• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরুর বিষয়ে বৈঠক
রাজধানীর ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পের (বিআরপি) কাজ দ্রুততার সঙ্গে পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে ভূমিমন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ভূমিমন্ত্রী বিআরপি প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন এবং এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। এদিকে গত ৬ এপ্রিল নিজ নির্বাচনী এলাকা ভাষানটেক পরিদর্শন করে বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ করা হবে না বলে জানিয়েছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। এ দিন বস্তিবাসীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় আমি ভাষানটেক বিআরপি প্রকল্প নিয়ে আপনাদের কথা দিয়েছিলাম সকল বস্তিবাসীকে পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে। সেই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভাষানটেক বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী দ্রুত বিআরপি প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৮

মেয়াদ বাড়ল পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের
পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুবিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠার পর বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) অনুমোদন দেওয়া হয়। পরিকল্পনা কমিশন জানায়, পদ্মা সেতু রেলসংযোগ বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। নতুন করে এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ আরও এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, নতুব মেয়াদে বাকি কাজগুলো শেষ করা হবে। ভাঙা রেলজংসনের পাশাপাশি টিটিপাড়া আন্ডারপাসের কাজও কিছু বাকি আছে। তবে মেয়াদ বাড়লেও প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে না। আগের মতোই এই রুটে চলবে ট্রেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩ মে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। সে সময় এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৩৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ২২ মে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। মূলত জমি অধিগ্রহণে জমির দাম তিনগুণ হয়ে যাওয়ায় ব্যয় বেড়ে যায়।  এরপর প্রকল্পের মেয়াদ ২ বছর বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু করোনায় কাজের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হলে আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৪

‘বিআরটি প্রকল্পের সাত ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার’
গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) সাতটি ফ্লাইওভারের উদ্বোধনের পর সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের জন্য এই সাতটি ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার।  রোববার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভিডিও কানফারেন্সের মাধ্যমে তিনি ফ্লাইওভারগুলোর উদ্বোধন করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সাতটি ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে। ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের জন্য এই সাতটি ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার। এ প্রকল্প নির্মাণে বিলম্ব হয়েছে। যথাসময়ে শেষ করা সম্ভব হয়নি। এটি বাস্তবায়নে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেছে। তারপরও দেরিতে হলেও কাজটি শেষ হওয়ার পথে। মন্ত্রী বলেন, এখন থেকে এই ফ্লাইওভারগুলো দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে। যার মধ্যে রয়েছে ৩২৩ মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাঁ-পাশ), ৩২৩ মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান-পাশ), ১৮০ মিটার জসীমউদ্‌দীন ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউ-টার্ন-১ গাজীপুরা ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউ-টার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ২৪০ মিটার ভোগড়া ফ্লাইওভার এবং গাজীপুরের চৌরাস্তায় ৫৬৮ মিটার ফ্লাইওভার। ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, ঈদযাত্রার বিষয়ে আমরা সভা করেছি। ট্রাক-ভারী পরিবহন বন্ধ রাখা আগে ও পরে, সেটির সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার যেটি কাজ, সেটি তারা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাতে যানজট দূর করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। গাজীপুর কিছুটা সমস্যার কারণ ছিল। কিন্তু সেটির এবার আরও সমাধান হয়ে গেলো। এবার ঈদযাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হবে। যানজট কেন কমছে না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যানজট নিরসনে সিগন্যাল সিস্টেমটা জরুরি। প্রধানমন্ত্রীও এটি বলেছেন। সিগন্যাল সিস্টেমটা চালু হলে যানজট নিরসনে এটির ভূমিকা থাকবে। গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট— প্রকল্পের (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) আওতায় উড়াল সড়ক তৈরি হচ্ছে গাজীপুর থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ উত্তরা হাউজ বিল্ডিং থেকে টঙ্গী চেরাগ আলী মার্কেট পর্যন্ত এলাকার সড়কের কাজ করছে। বাকিটা হচ্ছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে। ঢাকার সঙ্গে গাজীপুরের যোগাযোগে মানুষের ভোগান্তি দূর করতে শুরুতে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল চার বছরের মধ্যে, যদিও তা গড়িয়েছে ১২ বছরে। প্রকল্পের সময় আর অর্থ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে অনেক। ২০১১ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক প্রকল্পের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে। ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর একনেকে বিআরটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। এরপর কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রকল্পের সবশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। শুরুতে প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ছিল চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত। কিন্তু পরে সময় বৃদ্ধি করে প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হলেও পথ ছোট করে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে কেরানীগঞ্জের পরিবর্তে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত করা হয়।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৫

বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ
চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। সভাশেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নানা নির্দেশনা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প সম্পন্ন করে ফেললে আমরা নতুন প্রকল্প নিতে পারবো। কিছু কিছু প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সেগুলোও দ্রুত শেষ করা উচিত। দ্রুত শেষ না করলে খরচও বাড়ে, কালক্ষেপণও হয়। সেটা যেন না হয়।  তিনি বলেন, প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় যেন এ বিষয়ে একটু নজর দেয়। যেসব প্রকল্প অল্প খরচ করলেই শেষ হয়ে যাবে, সম্পূর্ণ হয়ে যাবে, সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করে ফেলা দরকার। শেখ হাসিনা বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য যে প্রকল্পগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের নিতে হবে। প্রকল্প বাছাই করার সময় সেটা আমাদের দেখা দরকার। আমাদের যে লক্ষ্যটা আছে সেটা আমরা অর্জন করতে পারি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যে প্রকল্পে তাড়াতাড়ি রিটার্ন মিলবে এমন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, জনগণের কল্যাণ বিবেচনা করে প্রকল্প বাছাই ও দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বলেছেন। কোনো জমি পতিত যেন না থাকে। এডিবি ক্লাইমেট চেঞ্জে অর্থায়ন করতে চায় এটা সঠিকভাবে দ্রুত ব্যবহার করতে হবে। সরকারপ্রধান বলেন, উন্নয়ন সহযোগীরা যে ঋণ দিচ্ছে তা সঠিক সময়ে নিতে হবে বা ব্যবহার করতে হবে। দীর্ঘদিন যাতে পাইপ লাইনে পড়ে না থাকে। 
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৭

নতুন সরকারের প্রথম একনেক সভায় ৯ প্রকল্পের অনুমোদন
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত নতুন সরকারের প্রথম একনেক সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ৭ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। ৯টি প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন থেকে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শের-ই বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবে ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার মেইন স্ট্রিমিং প্রজেক্ট ও ঢাকা জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হলো–পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ইন্টিগ্রেটিং ক্লাইমেট চেঞ্জ এডাপশন ইনটু সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পাথওয়েস অব বাংলাদেশ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দেশের ৪৮ জেলায় শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএইউ) অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন (২য় সংশোধিত), পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের পিডিবিএফের কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্প ২য় পর্যায়। বিদ্যুৎ বিভাগের ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (ওজোপাডিকো) এলাকার জন্য স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারিং (২য় পর্যায়), দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রস্তাবিত দুদকের খুলনা, রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ এবং ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ এবং পরিকল্পনা বিভাগের আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি): প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেশন অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট (পিসিএমইউ) (৪র্থ সংশোধিত) প্রকল্প। এ ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের চলমান সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) (৩য় সংশোধিত) প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩২

ঢাকা-চট্টগ্রাম আট লেন প্রকল্পের সমীক্ষা শুরু হচ্ছে মার্চে
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী জানিয়েছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট লেন প্রশস্তকরণ ও উভয় পাশে সার্ভিস লেন নির্মাণ প্রকল্পের সমীক্ষা আগামী মার্চে শুরু হচ্ছে।  রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আয়োজনে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এই তথ্য জানান। আমিন উল্ল্যাহ জানান, কোন এলাকায় ছয় লেন; কোন এলাকায় আট লেন হবে তা সমীক্ষায় নির্ধারণ করা হবে। এটি নির্ধারিত হবে যানবাহনের চাপের ওপর ভিত্তি করে। তবে এটি আমাদের ফাইনাল মিটিং নয়। আমরা সবগুলো স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসবো। সবার পরামর্শ নেওয়া হবে। তারপর চূড়ান্ত ডিজাইন করা হবে। সভায় জানানো হয়, নতুন প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জের মদনপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রামের বারইয়ারহাট থেকে সিটি গেট পর্যন্ত যেসব স্থানে যানজট তৈরি হতে পারে, সেসব স্থানে ওভারপাস করে দেওয়া হবে। যেসব স্থানে সড়ক বাঁকা, সেগুলো সোজা করা হবে। এটি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প। প্রকল্পটিতে অর্থায়নে অনেক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে। সভায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হলে আট লেনে হবে না। তাই চট্টগ্রাম থেকে রামগড় পর্যন্ত এই সড়কে দশ হাজার গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা দরকার। একই সঙ্গে রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য ব্যবহার করে সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার ৩ ঘণ্টায় যাতায়াত করা যাবে। এটি বাস্তবায়ন করতে পারলে আমাদের সময় ও অর্থ খরচ দুটোই কম হবে। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি আট লেনে উন্নীত করার দাবি জানিয়ে আসছি। আট লেনে উন্নীত হলে যানজট কমবে, খরচও কমবে। তবে চট্টগ্রাম ছাড়া সারাদেশে কোথায় ওয়েট স্কেল নেই। এটির কারণে দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় আমাদের পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। এটি সমাধান করা উচিত।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫২

প্রকল্পের একটি টাকাও অপচয় না করার আহ্বান সমাজকল্যাণমন্ত্রীর
মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের একটি টাকাও অপচয় না করার আহ্বান জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রোববার (২৮ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জনকল্যাণমুখী কাজকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রকল্পের একটি টাকাও অপচয় করা যাবে না। তিনি বলেন, একটি সহনশীল ও সহমর্মী সমাজ গঠনে আমাদের কাজ করতে হবে। যেখানে পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে সক্ষম মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। সকলে মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মন্ত্রণালয়ের কাজকে শতভাগ জনমুখী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা সরাসরি অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছি। আমাদের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। তিনি বলেন, দেশের জেলা পর্যায়ের যেসব হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সুবিধা নেই সেগুলোতে এই সুবিধা প্রদানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প নেওয়া হবে। ঢাকাসহ বিভিন্ন বড় শহরে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা রোগী ও তাদের এটেন্ডেন্টদের স্বল্প খরচে থাকার জন্য ডরমিটরি স্থাপন ও সারাদেশে প্রবীণদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপনে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়