• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ, বিপর্যস্ত জনজীবন
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা। তাপদাহের ভেতরেই তাদের বের হতে হচ্ছে। নাভিশ্বাস উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষের। অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রৌদ্রের প্রখর তাপে বিভন্ন জেলায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষের পাশাপাশি হিটস্ট্রোকে বিভিন্ন পশুপাখি মারা যাচ্ছে। বেড়েছে ডায়রিয়া, জ্বরসহ বিভিন্ন রোগ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। গরম সহ্য করেত না পেরে অনেকেই  আক্রান্ত হচ্ছেন  হিট স্ট্রোকে। রোববার (২১ এপ্রিল) ছয় জেলায় হিট স্ট্রোকে ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।  রাজধানীর মগবাজারে রাস্তার পাশে শরবত পান করছিলেন রিক্সাচালক কালাম মিয়া। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, অনেক কষ্ট হচ্ছে। কি আর করার। আমরা গরীব মানুষ। পেটের দায়ে বের হচ্ছি। ঘরে খাবার থাকলে, এই গরমে বাইরে বের হতাম না। মালিবাগ মোড়ে ভ্যানে হরেক রকম পণ্য বিক্রি করছিলেন বরিশালের খালেক আকন। পরিবার নিয়ে থাকেন মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায়। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, এত গরম এর আগে কখনোও অনুভব করিনি। দেখতেইতো পারছেন ঘেমে জামা আর শরীর একাকার। কপাল থেকে ঘাম ঝরছে। ঈদের পর বিক্রি কম। মানুষ এখনও গ্রামে আছে। সব মানুষ ঢাকায় ঢুকলে মনে হয় গরম আরও বেশি লাগতো। রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৩টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে দেশের দুই জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং সিলেট জেলা সমূহের ওপর দিয়ে সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবিরাজ করতে পারে। এ ছাড়া একই সময়ে ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৫

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ, যশোরে রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে সারাদেশ। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকায় শুক্রবারের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী অন্তত দু’দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দপ্তর থেকে যশোরে রেকর্ড তাপমাত্রার বৃদ্ধির তথ্য নিশ্চিত করা হয়।  আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বেশ কয়েকদিন দিন ধরেই খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে।  আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়, প্রতিদিনই তাপমাত্রা এক ডিগ্রি করে বাড়ছে। তিনদিন আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ দিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) যশোরে তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার যশোরে তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর চুয়াডাঙ্গায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিকে দেখা যায়, প্রচণ্ড গরমে যশোরে নাকাল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। গরমে গলে গেছে শহরের বেশ কয়েকটি পিচঢালা রাস্তা। সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, যাত্রাপথে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকে।  যদিও আবহাওয়া দপ্তর থেকে বলা হচ্ছে, এ তাপদাহ আরও কিছুদিন বিরাজ করবে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় অস্বস্তি আরও বাড়বে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৭

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দাবানলে পুড়ছে টেক্সাস
ভয়াবহ দাবানলের কবলে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস। প্রদেশটির উত্তরাঞ্চলে ১৭০০ বর্গ মাইল বা ৪৪০০ বর্গ কিলোমিটার বনভূমি গ্রাস করে ফেলেছে দাবানলটি। টেক্সাসের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় দাবানল।  দুইটি আলাদা দাবানল একত্রে মিলিত হওয়ায় এত বড় দাবানলটির সৃষ্টি হয়েছে। পাশের রাজ্য ওকলাহোমাতেও ছড়িয়ে পড়েছে দুর্যোগ। মাত্র তিন শতাংশ এলাকায় দাবানলটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।  গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বরফ পড়ায় আগুনের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। তবে ওই দাবানলটি এখনও বেশ বিপজ্জনক এবং অনিয়ন্ত্রিত বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার টেক্সাসে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সফরকালে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পরিদর্শন করেন তিনি। বাইডেন বলেছেন, ফেডারেল কর্মকর্তাদের দাবানল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাতে বলেছেন তিনি। পাশাপাশি দুর্গত এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ওপরও জোর দিয়েছেন। মার্কিন জাতীয় ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, টেক্সাস ও ওকলাহোমাকে পুরো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এদিকে দাবানলের কারণে দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনও জ্বলছে দাবানলটি। তবে, এখন পর্যন্ত কত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং কত ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দাবানল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ হিসাব পাওয়া যাবে।   অবশ্য মৌসুমের এই শুষ্ক সময়ে এ অঞ্চলে দাবানলের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। তাছাড়া এ বছর তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি। এজন্যই দাবানল এমন তীব্রভাবে ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরেকটি দাবানল তিন হাজার তিনশ একর জুড়ে জ্বলছিল। তবে সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৬

বাংলাদেশের দাপুটে বোলিংয়ে রান খরায় পুড়ছে নেপাল
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে নেপালরে বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল। সেমিতে উঠতে হলে বাংলাদেশকে এই ম্যাচ জিততেই হবে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় নেপাল। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার বিপিন রাওয়াল। ১২ বলে ২ রান করে মারুফ মৃধার বলে ক্যাচআউট হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি আকাশ ত্রিপাঠি। ১৩ বলে ৩ রান করে ইকবাল হাসানের প্রথম শিকার হন তিনি। ব্যাটিংয়ে থিতু হতে পারেননি আরকে ওপেনার অর্জুন কুমার। ২৬ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন নেপালের এই ওপেনার ব্যাটার। এতে দলীয় ২৯ রানে তিন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে নেপাল। বিশাল বিক্রামকে সঙ্গে নিয়ে নেপাল শিবিরে হাল ধরেন অধিনায়ক দেব খানাল। টাইগারই বোলার দেখে শুনে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। ৬০ বলে ৩৫ রান করে জিসান আলমের বলে ক্যাচ আউট হন খানাল।  এরপর তিন ওভারের ব্যবধানে প্রতিপক্ষের দুই ব্যাটারকে শিকার করেন পারভেজ ইমন। গুলশান ঝা ও দীপক বোহারা দুজনেই তিন রান করে বোল্ড আউট হন। এতে ছয় উইকেট হারায় নেপাল। কিন্তু পিচের এক প্রান্ত আগলে রাখেন বিশাল বিক্রাম। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে নেপালের সংগ্রহ ১৩০ রান। দিপেশ কানদেল ১১ বলে ১ রান এবং বিশাল বিক্রাম ৯৬ বলে ৫৫ রানে ব্যাট করছেন।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়