• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গুজরাটের বিপক্ষে দিল্লির ব্যাট টু ব্যাক জয়
চলতি আইপিএলের প্রথম দেখায় গুজরাটকে আসরের সব থেকে কম ৮৯ রানে অলআউট করেছিল দিল্লি। সেই ম্যাচে ছয় উইকেটের দুর্দান্ত জয় পায় পান্থের দল। দ্বিতীয় দেখায় ঘরের মাঠে গুজরাটকে ৪ রানে হারিয়ে ব্যাক টু ব্যাট জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। বুধবার (২৪ এপ্রিল) আগে ব্যাট করতে নেমে গুজরাটকে ২২৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তুলতে পারে গুজরাট। এতে ৪ রানের জয় পায় দিল্লি। এতে গুজরাটকে পিছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে দিল্লি। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় গুজরাট। ৫ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার শুভমান গিল। এরপর সাই সুদর্শনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ঋদ্ধিমান শাহা। ২৫ বলে ৩৯ রান করে ঋদ্ধিমান আউট হলেও ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এই সুদর্শন। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি আজমতুল্লাহ ওমারজাই। ২ বলে ১ রান করে আউট হন এই আফগান অলরাউন্ডার। ৩৯ বলে ৬৫ রান করে সুদর্শন আউট হলে চাপে পড়ে গুজরাট। ৫ বলে ৮ রান করে শাহরুখ খান এবং ৫ বলে ৪ রান করে রাহুল তাওয়াতিয়া আউট হলে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন ডেভিড মিলার। ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ১৮তম ওভারে দ্বিতীয় বলে মুকেশ কুমারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন ডেভিড মিলার। ২৩ বলে ৫৫ রান করে এই বাঁহাতি ব্যাটার আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় গুজরাট। ৬ বলে ১৩ রান করে আউট হন কিশোর। শেষ দিকে ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললেও হার এড়াতে পারেনি গুজরাট। নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তুলতে পারে গুজরাট। এতে ৪ রানের জয় পায় দিল্লি। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন রাসিখ সালাম। এ ছাড়াও কুলদ্বীপ যাদব দুটি, এনরিখ নরকিয়া, মুকেশ কুমার ও অক্ষর প্যাটেল একটি করে উইকেট নেন। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শাহ এবং জ্যাক ফ্রেজার। তবে ইনিংস বড় করেতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৪ বলে ২৩ রান করে ফ্রেজার আউট হলে ৭ বলে ১১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন পৃথ্বী। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শাই হোপ। ৬ বলে ৫ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। এরপর দিল্লি শিবিরের হাল ধরেন অক্ষর প্যাটেল এবং ঋষভ পান্থ। দুজনের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে দিল্লি। ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। এরপর দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪৩ বলে ৬৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। অপর প্রান্তে ব্যাট চালাতে থাকে পান্থও। ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন দিল্লি অধিনায়ক। এরপর ব্যাটিংয়ে এসে তাণ্ডব শুরু করে ক্রিস্টান স্টাবস। ১৯তম ওভারে ২১ রান তোলে এই প্রোটিয়া ব্যাটার। শেষ ওভারে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারিতে রান তুলতে থাকেন পান্থ। স্টাবসের ৭ বলে ২৬ রান এবং পান্থের ৪৩ বলে ৮৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ২২৪ রানের বড় পুঁজি পায় দিল্লি। 
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৮

অক্ষরের বিদায়ের পর পান্থের তাণ্ডব, বড় পুঁজি দিল্লির
দিল্লির ঘরের মাঠে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিল গুজরাট টাইটান্স। তবে এই সিদ্ধান্তই যেনো কাল হয়ে দাঁড়ালো গিলদের জন্য। আগে ম্যাচে ৮৯ রানে অলআউট হওয়া গুজরাটের সামনে ২২৫ রানের পাহাড় লক্ষ্য দিয়েছে দিল্লি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শাহ এবং জ্যাক ফ্রেজার। তবে ইনিংস বড় করেতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৪ বলে ২৩ রান করে ফ্রেজার আউট হলে ৭ বলে ১১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন পৃথ্বী। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শাই হোপ। ৬ বলে ৫ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। এরপর দিল্লি শিবিরের হাল ধরেন অক্ষর প্যাটেল এবং ঋষভ পান্থ।  দুজনের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে দিল্লি। ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। এরপর দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪৩ বলে ৬৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। অপর প্রান্তে ব্যাট চালাতে থাকে পান্থও। ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন দিল্লি অধিনায়ক। এরপর ব্যাটিংয়ে এসে তাণ্ডব শুরু করে ক্রিস্টান স্টাবস। ১৯তম ওভারে ২১ রান তোলে এই প্রোটিয়া ব্যাটার। শেষ ওভারে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারিতে রান তুলতে থাকেন পান্থ। স্টাবসের ৭ বলে ২৬ রান এবং পান্থের ৪৩ বলে ৮৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ২২৪ রানের বড় পুঁজি পায় দিল্লি। শেষ ওভারে মোহিত শর্মার পাঁচ বলে চার ছক্কা এবং এক চার মারেন তিনি। গুজরাট টাইটান্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন সানদ্বীপ ওয়ারিয়ার। এ ছাড়াও নুর আহমেদ নেন এক উইকেট।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৯

লোয়ার মিডলের ব্যর্থতায় বৃথা গেল ম্যাগার্ক ঝড়, দিল্লির বড় হার
ঘরের মাঠে আজ ম্যাচ জিততে বিশ্ব রেকর্ডই করতে হতো দিল্লি ক্যাপিটালসকে। লক্ষ্য যে ২৬৭ রান! অবশ্য নিজেদের অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার ফ্রেজার-ম্যাগার্কের ঝড়ো ইনিংসের তোড়ে ম্যাচের পাওয়ার প্লে পর্যন্ত বেশ দাপটের সঙ্গেই সেই লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছিল রিশব পান্তের দল। কিন্তু লক্ষ্যটা যে পাহাড় সমান! প্রয়োজন ছিল দলের সবার কমবেশি পারফর্ম করার। সেটাই পারলো না দিল্লি। দলের লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের নিদারুণ ব্যর্থতায় বড় হারই সঙ্গী হলো দিল্লি ক্যাপিটালসের। আর তাতেই আরেকবার সার্থকতা পেল ট্রাভিস হেডের বড় ইনিংস; টানা চতুর্থ জয় পেল তার দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।  এবারের আইপিএল যেন দুহাত ভরে দিচ্ছে ট্রাভিস হেডকে। ক্রিজে নেমে রান পাচ্ছেন ঝড়ের বেগে, আর তাতে ভর করে হায়দ্রাবাদেরও জয়রথ ছুটছে সমানতালে। এর আগের ম্যাচেই ট্রাভিসের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৮৭ রানের পুঁজি পায় হায়দরাবাদ। পরে বিরাট কোহলি, ডু প্লেসিস আর দিনেশ কার্তিকের সম্মিলিত প্রচেষ্টাও হারাতে পারেনি তাদেরকে। আজকের ম্যাচে সেঞ্চুরি না পেলেও ট্রাভিসের ব্যাট থেকে ৮৯ রান আসে মাত্র ৩২ বলে। অষ্টম ওভারের শেষ বলে কুলদীপ যাদবের বলে ক্যাচ না দিলে হয়তো আগের ম্যাচের নিজের গড়া দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটাই ভেঙে ফেলতেন হায়দ্রাবাদের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। নিজের সেঞ্চুরি না এলেও রেকর্ডে অবশ্য নাম ঠিকই লেখা হয়েছে ট্রাভিসের। অভিষেক শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে ঝড়ো শুরুতে আইপিএল ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি এনে দিয়েছেন দলকে।একইসঙ্গে সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েছেন এ জুটি। আইপিএলের ৩৫তম ম্যাচে এসে ৬ ওভারে তাদের সংগ্রহ ১২৫ রান। ষষ্ঠ ওভার পর্যন্ত চলা এই তাণ্ডবে হেড অপরাজিত ছিলেন ২৬ বলে ৮৪ রানে। অপরপ্রান্তে থাকা অভিষেক শর্মার তখন ১০ বলে ৪০ রান। এই দুইয়ের ঝড়ো গতির বড় জুটিকে কাজে লাগিয়ে ৭ উইকেট খরচায় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ পেয়ে যায় ২৬৬ রানের বিশাল পুঁজি। ২২ ছক্কা আর ১৮ চারে সাজানো সানরাইজার্সের এই ইনিংসটি চতুর্থ সর্বোচ্চ স্কোর আইপিএল ইতিহাসের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মারকাটারি শুরু করে দিল্লিও। চার বলে ১৬ রান তুলে পরের বলে ওপেনার পৃথ্বী শ এবং দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ওয়ার্নার এক রান করে আউট হলেও ম্যাগার্কের ১৮ বলে ৬৫ রানের ঝড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নেয় ক্যাপিটালস; সঙ্গে ম্যাচেও টিকে থাকে ভালোভাবেই। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলেই ছন্দপতন। মায়াঙ্ক মার্কান্ডের বলে ক্যাচ দিয়ে যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছিলেন ম্যাগার্ক, দিল্লির রান তখন তিন উইকেটে ১০৯। এরপর দিল্লি ম্যাচে ছিল আর মাত্র দেড় ওভারের মতোন। ৮ ওভার চার বলে অভিষেক পোরেল যখন ২২ বলে ৪২ রান করে আউট হন দিল্লির ইনিংস তখন ৪ উইকেটে ১৩৫। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি স্বাগতিকরা। লোয়ার মিডল অর্ডারের চরম ব্যর্থতায় ১৯.১ ওভারে ১৯৯ রানে অলআউট হয় দিল্লি। দলের শেষ তিন ব্যাটার ফেরেন রানের খাতা না খুলেই।   এর আগে হায়দরাবাদ আইপিএল ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ ইনিংস গড়ে দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড (৩২ বলে ৮৯) ও অভিষেক শর্মার (১২ বলে ৪৬ রান) ঝড়ে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৯

গুজরাটকে গুঁড়িয়ে দিল্লির রেকর্ড জয়
চলতি আইপিএলে ‍খুব একটা ছন্দে নেই গতবারের রানার্স আপ গুজরাট টাইটান্স। ছয় ম্যাচ খেলে মাত্র তিনটি জয় পেয়ে শুভমান গিলের দল। অন্যদিকে গুজরাটের সমান ম্যাচ থেকে দুটিতে জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। নিজেদের সপ্তম ম্যাচে মাঠে নামছে এই দুই দল। বুধবার ( ১৭ এপ্রিল) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় দিল্লি। নিজেদের আইপিএল ইতিহাসে সর্বনিম্ন সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে ৮৯ রানে অলআউট হয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বেশ তাড়াহুড়োই দেখিয়েছে রিশভ দিল্লি ক্যাপিটালস। তাতে ৪ উইকেট হারালেও লক্ষ্যটা ভালোভাবেই পেরিয়ে গেছে রিশভ পন্তের দল। বুধবার (১৭ এপ্রিল) আহমেদাবাদে গুজরাটকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে দিল্লি। গুজরাটের দেয়া ৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬৭ বল হাতে রেখে জয় পায় দিল্লি। শুরুতেই গুজরাটের বোলারদের ওপর চড়াও হন জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। তবে ১০ বলে ২০ রানের বেশি করতে পারেননি ফ্রেজার। দলীয় ৩১ রান নিয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার পৃথ্বী শ'ও।  নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে দিল্লিও। কেউই ২০ রানের বেশি করতে পারেনি। এক কথায় অভিষেক পোরেল, রিশভ পন্ত এবং শাই হোপদের সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দিল্লি।  ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় গুজরাট। উএকট হারানোর শুরুটা শুভমান গিলকে দিয়ে। দলীয় ১১ রানে ইশান্ত শর্মার বলে ফেরেন তিনি। চতুর্থ ওভারে ১০ বলে ২ রান করে আউট হন ঋদ্ধিমান সাহা।   ঋদ্ধিমান আউট হওয়ার ১ বল পরেই রান আউট হন সাই। একই ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ডেভিড মিলার। নবম ওভারে পরপর ২ বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফিরেছেন অভিনব মনোহর এবং শাহরুখ।  রশিদ খান এবং রাহুল টেওয়াটিয়া সপ্তম উইকেটে ১৮ রানের জুটি গড়েন। এটিই ছিল গুজরাটের ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের জুটি। দ্বাদশ ওভারে অক্ষরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন টেওয়াটিয়া। ২৪ বলে ৩১ রান করেন রশিদ খান। তার লড়াকু ইনিংসেই ৮৯ রানে থামে গুজরাট।  দিল্লির হয়ে সফল মুকেশ কুমার। ২ ওভার ৩ বলে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইশান্ত শর্মা এবং ত্রিস্তান স্টাবস নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।  আইপিএল ইতিহাসে এটি সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গুজরাটের। এর আগে দলটির সর্বনিম্ন সংগ্রহ ছিল ১২৫ রান।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৫

বোলিংয়ে শক্তি বাড়াতে দিল্লির নতুন চমক
চলতি আইপিএলে শুরুটা ভালো করতে পারেনি দিল্লি ক্যাপিটালস। পাঁচ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে তারা। তাই এবার দলের শক্তি বাঁড়াতে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার লিজার্ড উইলিয়ামসকে দলে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এর আগে দাদি মারা যাওয়ার কারণে আইপিএলের চলতি আসর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার হ্যারি ব্রুক। তার পরিবর্তে এই প্রোটিয়া পেসারকে দলে নিয়েছে দিল্লি। দিল্লিতে পেসার হিসেবে আগে থেকেই আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এনরিখ নরকিয়া, ইশান্ত শর্মা, খলিল আহমেদ, ঝাই রিচার্ডসন ও মুকেশ কুমার। এবার তাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন উইলিয়ামস। এবারই প্রথমবার আইপিএল খেলতে আসছেন উইলিয়ামস। তাকে ৫০ লাখ রুপিতে কিনেছে দিল্লি। পেস আক্রমণকে আরও বেশি ধারালো করতেই একজন ব্যাটারের বদলে বোলারকে দলে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। দিল্লিতে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক পেসার লুঙ্গি এনগিদিও। পিঠের ইনজুরিতে পড়ে চলতি আইপিএল থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৮৩টি ম্যাচ খেলেছেন উইলিয়ামস। প্রোটিয়া এই পেসারের থলিতে আছে ১০৬ টি উইকেট। এছাড়া ৪টি ওয়ানডে ম্যাচও খেলেছেন উইলিয়ামস।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫০

চেন্নাইকে হারিয়ে দিল্লির প্রথম জয়
চলতি আইপিএলের শুরুটা ভালো হয়নি দিল্লি ক্যাপিটালসের। প্রথম দুই ম্যাচেই হারের তিতো স্বাদ পেয়েছে পান্থ-ওয়ার্নাররা। তবে চেন্নাইকে হারিয়ে আসরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দিল্লি। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে চেন্নাইকে ২০ রানের হারিয়েছে তারা। রোববার (৩১ মার্চ) আগে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইকে ১৯১ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলতে পারে চেন্নাই। এতে ২০ রানের জয় পায় দিল্লি। ফলে টানা দুই জয়ের পরের তিতো স্বাদ পেলো চেন্নাই। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় চেন্নাই। ইনিংসের প্রথম ওভারে সাজঘরে ফেরেন রুতুরাজ গাইকোয়াড়। ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি আরেক ওপেনার রাচিন রবিন্দ্রও। ১২ বলে ২ রান করেন তিনি। দলীয় ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে বর্তমান চ্যাম্পিয়ানরা। এরপর চেন্নাই শিবিরে হা্ল ধরেন আজিঙ্কিয়া রাহানি এবং ড্যারিল মিচেল। দুজনের ব্যাটে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় দল। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি কেউই। ২৬ বলে ৩৪ রান করে মিচেল আউট হলে, ৩০ বলে ৪৫ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন রাহানি। ডাক আউট হয়ে ফেরেন সামির রিজভিও। এতে দ্রুত তিন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে চেন্নাই। ১৭ বলে ১৮ রান আউট হন শিভাম ডুবে। এরপর ধোনিকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন জাদেজা। দুজনের মারকুটে ব্যাটিংয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে চেন্নাই। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। জাদেজার ১৭ বলে ২১ রান এবং ধোনির ১৬ বলের ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলতে পারে চেন্নাই। এতে ২০ রানের জয় পায় দিল্লি। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন মুকেশ কুমার। এ ছাড়াও খালিল আহমেদ দুটি এবং এক উইকেট শিকার করেন অক্ষর প্যাটেল। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শা ও ডেভিড ওয়ার্নার। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৯৩ রান। ৩৫ বলে ৫২ বলে করে মোস্তাফিজের প্রথম শিকার হন ওয়ার্নার। দুর্দান্ত ক্যাচ নেন পাথিরানা। ২৭ বলে ৪৩ রান করে ওয়ার্নারকে সঙ্গ দেন পৃথ্বী। মিচেল মার্শকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ঋষভ পান্থ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি মার্শ। ২ বলে শূন্য রান করে আউট হন ত্রিস্তান স্টাবস। এক প্রান্ত আগলে রেখে ৩১ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন পান্থ। পরের বলেই সাজঘরে ফেরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত অক্ষর প্যাটেলের ৮ বলে ৭ রান এবং অভিষেক পোরেলের ৬ বলে ৯ রানের ইনিংসে ভর করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানের বড় পুঁজি পায় দিল্লি। চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন মাথিশা পাথিরানা। এ ছাড়াও মোস্তাফিজুর রহমান এবং রবিন্দ্র জাদেজা একটি করে উইকেট নেন।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৮

দিল্লি হাইকোর্টে মুক্তির আবেদন করলেন কেজরিওয়াল
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশকে অবৈধ বলে আদালতের কাছে আবেদন করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তাকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। শনিবার (২৩ মার্চ) তিনি এ আবেদন করেন। খবর এনডিটিভির। এছাড়া ইডি হেফাজতে থাকাকালে নিজ দল আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন তিনি।  চিঠিটি পড়ে শোনান তার স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল। এতে তিনি বলেন, আপনারা সমাজের জন্য কাজ চালিয়ে যান। বিজেপির কাউকে ঘৃণা করবেন না। তারা সবাই আমাদের ভাইবোন। ভারতের ভেতরে ও বাইরে অনেক শক্তি রয়েছে, যেগুলো আমাদের দেশকে দুর্বল করে তুলছে। কোনো কারাগারই বেশি দিন আমাকে আটকে রাখতে পারবে না। আমি শিগগিরই বেরিয়ে আসব এবং প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করব। কেজরিওয়াল চিঠিতে আরও বলেন, কারাগারের ভেতরে বা বাইরে যেখানেই থাকি না কেন, আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দেশের সেবার জন্য উৎসর্গ করেছি। রক্তের প্রতিটি ফোঁটা দেশের জন্য বিলিয়ে দিয়েছি। এদিকে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পর বিজেপি সরকার আম আদমি পার্টির নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির নেতা ও দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৫

দিল্লির অধীনস্ত হওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি : মেজর হাফিজ
দিল্লির অধীনস্ত হওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।  মেজর হাফিজ বলেন, দিল্লির অধীনস্ত হওয়ার জন্য বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। আওয়ামী লীগ এ দেশকে একটি নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তারা সবসময় বিদেশি শক্তির দিকে তাকিয়ে থাকে। যে গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিল, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেই গণতন্ত্র নস্যাৎ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনগণের আজ নাভিশ্বাস অবস্থা। কিন্তু এটা নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথাই নেই। বিএনপির আন্দোলনে যোগ না দিলে জনগণ দায়ী থাকবেন উল্লেখ করে এরপর তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের জন্য আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনে জনগণকে অংশ নিতে হবে। জনগণ অংশ না নিলে এর জন্য তারা দায়ী থাকবেন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়