• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গ্রেপ্তারের নির্দেশ নয়, রূপক অর্থে বোঝানো হয়েছে : জবি কর্তৃপক্ষ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কারের পর দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার এখতিয়ার রাখে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফিরোজ আলম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবন্তিকার মৃত্যুতে উপাচার্য সাদেকা হালিম ও কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুর আগে অবন্তিকা তার সুইসাইড নোটে অভিযুক্ত করে যাওয়া সহপাঠী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশসহ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী শিক্ষক দীন ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আদেশ নয় বলে জানিয়েছেন উপপরিচালক মোহাম্মদ ফিরোজ আলম। তিনি বলেন, আমরা চাই দোষীদের আইনের আওতায় আনতে। প্রশাসনকে গ্রেপ্তারের জন্য অনুরোধ করেছেন উপাচার্য মহোদয়। আদেশ নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার এখতিয়ার রাখে কি না এ প্রসঙ্গে জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক মো. তানভীর আহসান আরটিভি নিউজকে বলেন, কথাটি আসলে নির্দেশনা হবে না, এটা রূপক অর্থে বোঝানো হয়েছে। ওই সময় এমন একটা পরিস্থিতি ছিল যে, তড়িৎ সব করতে হয়েছে। সবকিছু পরিষ্কার করে বলতে গেলে অনেক বিষয় যুক্ত করতে হতো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আইনুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারের নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয় আইনে নেই। গ্রেপ্তারটা হলো আইনের বিষয়। তার পরিবার থেকে যদি মামলা করে তাহলে পুলিশ মামলা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে। প্রেস রিলিজে এটা দেওয়া ঠিক হয়নি। গতকাল রাতে আইন সংস্থার লোকজন ছিল, তাদের হয়তো বলেছে। এর বেশি কিছু নয়। উল্লেখ্য, শুক্রবার ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। মৃত্যুর আগে এক ফেসবুক পোস্টে নিজের মৃত্যুর জন্য নিজের সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করেছেন তিনি।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৯

জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, সহপাঠীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
ফেসবুক পোস্টে শিক্ষক ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১৬ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  ইতোমধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুতে উপাচার্য সাদেকা হালিম, কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে তার সুইসাইড নোটে দেওয়া আইন বিভাগের সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাত ১০টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৪

‘শরীফার গল্প’ ছেঁড়ায় শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবি জাসদের
প্রকাশ্যে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ‘শরীফার গল্প’ অংশের পাতা ছিঁড়েয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতি দিয়ে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এ দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে জাসদ নেতারা বলেছেন, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠ্যপুস্তকে ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া বিষয় নিয়ে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। তিনি বিজ্ঞানশিক্ষার বিরোধিতাকারী এবং ধর্মের অপব্যবহার করে উসকানি দিয়ে উত্তেজনা ও অশান্তি সৃষ্টি করছেন। বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, অতীত থেকে ধর্মের অপব্যাখ্যা, অপব্যবহারকারীরা বিজ্ঞানশিক্ষার বিরোধিতা করে মুসলমানদের বিজ্ঞান ও যুক্তির পথ থেকে সরিয়ে অন্ধ ও কূপমণ্ডূক বানানোর অপ্রয়াস চালিয়ে আসছেন। তারা তাদের ধর্ম ব্যবসায়ের প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে বিজ্ঞানশিক্ষা ও যুক্তিকে প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে আসছেন। গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তব্য দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। তখন তিনি অভিযোগ করেন, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে। বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি ওই বইয়ের ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ অংশের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন প্রকাশ্যে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৭

কলেজছাত্রের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে খেলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে কলেজছাত্র রিফাত হত্যার একমাস অতিবাহিত হলেও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কোনো আসামি।  বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে আসামিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে উপজেলার ধলাপাড়া-পেচার আটা আঞ্চলিক সড়কে মানববন্ধন করেছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।  মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ধলাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, আলোর পথে ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।  বক্তারা বলেন, ধলাপাড়া কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইফাত তালুকদার হত্যার একমাস পার হলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছেন। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে। এর আগে, ১৯ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিওতে চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে রিফাতের মৃত্যু হয়। রিফাত তালুকদার উপজেলার শরাশাক গ্রামের হেলাল তালুকদারের ছেলে। পরিবারের অভিযোগ মামলা হলেও আসামিদের গ্রেপ্তারে গড়িমসি করছে পুলিশ। মামলার বিবরণ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার শরাশাক গ্রামের স্থানীয় আব্দুল লতিফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খেলতে যান রিফাত। খেলার এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয় মো. রবিন ও তার অন্যান্য সঙ্গীদের সঙ্গে। কথা না বাড়িয়ে স্কুল মাঠ থেকে চলে আসেন রিফাত। স্কুলের পাশেই এক দোকানে বসে সে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এমন সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা করেন শরাশাক গ্রামের কাদের মন্ডলের ছেলে মো. রবিন (২৬), মো. আবিদ (২২), মো. আজমীর ও একই গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে শাহপরান (২০)। নিহত রিফাত তালুদারের চাচা শাহাদৎ হোসেন তালুকদার বলেন, রিফাতকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার সময় রাস্তায় রিফাতের ভাই ইমন ও আব্দুল্লাহর ওপর হামলায় চালায়। আব্দুল্লাহর মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ইমন তালুকদারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিলেও রিফাত ও আব্দুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। টাঙ্গাইল হাসপাতালে রিফাতের অবস্থার অবনতি হলে শনিবার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান। মেডিকেলের আইসিওতে চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার বিকেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রিফাত। এদিকে ঘটনার দিন শুক্রবার রাতে ঘাটাইল থানায় নিহত রিফাতের ভাই ইমন তালুকদার বাদী হয়ে মামলা করেন। রিফাতের চাচা শাহাদৎ হোসেন তালুকদার আরও জানান, আসামিরা এলাকায়ই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর আসামিদের বাবা কাদের মন্ডল এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন টাকার পুতের মরণ নাই যদি না নেয় জমে। পুলিশেরে টাকা দিয়া আইছি লাগলে আরও দিমু। শাহাদাৎ হোসেনের অভিযোগ মামলা করার পর পুলিশ একবার গিয়েছিল। তারপর আর যায়নি। ঘাটাইল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত জয়নাল আবেদিনকে আটক করা হয়েছে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৬

পার্লারের কক্ষে গোপন ক্যামেরা / গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের মালিকের জামিন
রাজধানীর ধানমন্ডির উইমেন্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিউটি পার্লারের বিভিন্ন কক্ষে গোপনে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেপ্তার প্রতিষ্ঠানটির মালিক ফারনাস আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ তার জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এক নারী ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানা পুলিশ উইমেন্স ওয়ার্ল্ড বিউটি পার্লারে অভিযান চালায়। এরপর সেখান থেকে ৮টি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক মো. একরামুল হক বাদী হয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের দুই মালিকসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করে। মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। গত ২৭ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডিতে উইমেন্স ওয়ার্ল্ড পার্লারের বিভিন্ন কক্ষে সিসি ক্যামেরা পায় পুলিশ। একজন নারী ভুক্তভোগীর সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের ধানমন্ডি শাখা থেকে আটটি সিসি ক্যামেরার ডিভিআর উদ্ধার করে। তখন তিনজনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে সেদিন ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেছিলেন, একজন নারী ২৬ ডিসেম্বর ধানমন্ডিতে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের শাখায় যান। সেখানে তিনি বিভিন্ন কক্ষে সিসি ক্যামেরা দেখতে পান। এরপর মৌখিকভাবে থানায় অভিযোগ দেন। তার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিতে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের ওই শাখায় গিয়ে আটটি সিসি ক্যামেরার ডিভিআর উদ্ধার করা হয়। তখন শাখার তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।  পরে পুলিশ বাদী হয়ে এ ঘটনায় উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের মালিক ও কর্মকর্তাদের আসামি করে মামলা করে। মামলার পর আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।  
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:১১

শিল্পমন্ত্রীর ছেলেকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
নরসিংদী-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (৭ জানুয়ারি) নির্বাচন চলাকালে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেন, সকালে একদল কর্মী নিয়ে কেন্দ্রটিতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করেন মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী। তারা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ১২টি ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা মার্কায় সিল মারেন। পরে ঘটনাটি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানোর পরপরই তিনি ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার পরপরই আমাকে জানাবেন। তিনি বলেন, নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে করতে কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের কোনো অভিযোগ থাকতে পারবে না। বিষয়টি নিশ্চিত করে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হাছিবা খান বলেন, মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নরসিংদী-৪ আসনে ১টি পৌরসভা ও ২০টি ইউনিয়নে ১৫৮টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২ হাজার ৬১০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ২ হাজার ৮২৭ জন, পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৮১ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র‌্যাব টহলে ছিল। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে ছিল সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে ছিল। এ ছাড়া প্রতিকেন্দ্রে ছিল ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়