• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কৃষককে অফিস থেকে বের করে দেওয়ায় দুই কর্মকর্তাকে বদলি
ধান নিয়ে পরামর্শের জন্য মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা কৃষি অফিসে গেলে কৃষক ফজলুর রহমানকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন সুজনকে মানিকগঞ্জ থেকে দিনাজপুর অঞ্চলে এবং শিবালয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদারকে ফরিদপুরের সালথায় বদলি করা হয়। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রবিআহ নূর আহমেদ। তিনি বলেন, শিবালয় উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তাকে দিনাজপুরে এবং কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদারকেও ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিস আদেশে জানা যায়, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন সুজনকে দিনাজপুর অঞ্চলের অধীনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। আগামী ৩ এপ্রিলের মধ্যে তিনি দায়িত্বভার হস্তান্তর করবেন, অন্যথায় ৪ এপ্রিল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিস) বলে গণ্য করা হবে। অপরদিকে কৃষি অধিদপ্তরের আরেক অফিস আদেশ থেকে জানা যায়, শিবালয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদারকে মানিকগঞ্জ থেকে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। আগামী ১৬ এপ্রিল তিনি তার দায়িত্বভার হস্তান্তর করবেন। অন্যথায় ১৭ এপ্রিল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিস) বলে গণ্য হবে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা কৃষি অফিসে ক্ষতিগ্রস্ত একগুচ্ছ ধান নিয়ে পরামর্শ নিতে যান কৃষক ফজলুর রহমান। কৃষি অফিসে দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তার ওই কৃষকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। ওই কৃষককে অফিস থেকে বের করে দেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. শহিদুল আমিন এবং অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মো. মামুন ইয়াকুবকে নিয়ে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৩

কৃষককে বের করে দেওয়ার ঘটনায় কর্মকর্তাকে শোকজ
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় কৃষক ফজলুর রহমানকে কৃষি অফিস থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।  বুধবার (৩ এপ্রিল) প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া ভুক্তভোগী ওই কৃষকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রবিআহ নূর আহমেদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার শিবালয় উপজেলা কৃষি অফিসে এক গুচ্ছ ধান নিয়ে পরামর্শ নিতে যান কৃষক ফজলুর রহমান। কৃষি অফিসে দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তা ওই কৃষকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা এবং কৃষককে অফিস থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে তাদের নির্দেশে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. শহিদুল আমিন এবং অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মো. মামুন ইয়াকুবকে নিয়ে দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারা আজ সকাল থেকে ঘটনাস্থল গিয়ে কাজ করেছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রবিআহ নূর আহমেদ বলেন, শিবালয় উপজেলা কৃষি অফিসের ঘটনায় আজকে জেলার দুইজন অফিসার এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদার ভুক্তভোগী ওই কৃষকের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় তার ক্ষতিগ্রস্ত ধানের খেতও পরিদর্শন করেন। তিনি আরও বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বোরোখেতে পোকার আক্রমণ হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে শিবালয় উপজেলার উথলী ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের কৃষক ফজুলুর রহমান পরামর্শের জন্য একগুচ্ছ ধান হাতে কৃষি অফিসে যান। এ সময় তিনি ধানগুলো ছবি তোলার কথা বলেন এবং জেলার উপপরিচালকের ফোন নম্বর চান। একই সঙ্গে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে যান না বলে অভিযোগ করলে তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সুজন। পরে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সুজন ওই কৃষককে বলেন, ‘আমি কি আপনার কামলা দিই? আপনি কি দেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে গেছেন? আপনি বললেই মাঠে যেতে হবে? যা পারেন করেন গা। আপনি বেরিয়ে যান। যদি বয়স্ক লোক না হতেন তাহলে আপনাকে দেখে দিতাম।’ একপর্যায়ে তাকে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়। ঘটনা জানার পর দুই সাংবাদিক ভুক্তভোগী কৃষককে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদারের কাছে গেলে তিনিও সাংবাদিকদের সামনেই কৃষকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদার।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কৃষিজমির পত্তনের (ইজারা) পাওনা ১ হাজার টাকা দিতে না পারায় মুসা মিয়া (৩৪) নামে এক কৃষককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।  শনিবার (৩০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের দক্ষিণখার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত মুসা মিয়া দক্ষিণখার গ্রামের মৃত জজু মিয়ার ছেলে। হত্যায় অভিযুক্তের নাম রুহুল আমিন। তিনি একই গ্রামের মৃত তৌহিদ মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত রুহুল আমিন। স্থানীয়রা জানায়, আজ সকালে ঘটনার সময় রুহুল আমিনদের কাছ থেকে পত্তন নেওয়া জমিতেই কাজ করছিল মুসা মিয়া। সকালে টাকা আনতে গিয়ে বাড়িতে না পেয়ে জমিতে যায় রুহুল আমিন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে রুহুল আমিনের সঙ্গে থাকা একটি ছুরি দিয়ে কৃষক মুসা মিয়াকে উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় মুসা মিয়ার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা ও বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রাজু আহমেদ জানান, জমির টাকা নিয়ে ছুরিকাঘাতে কৃষক নিহতের ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।  
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৮

পূর্ব বিরোধের জেরে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে বুধ লাল দাস (৪২) নামের এক কৃষককে পূর্ব বিরোধের জেরে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত বুধ লাল দাস উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের হেলারকান্দি গ্রামের মহালাল দাসের ছেলে।  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধ লাল দাস তার চাচাত ভাই প্রমোদ দাসসহ মেলা থেকে বাড়ি পথে মাধবপুর নামক স্থানে পতিত জায়গায় কয়েক জন লোক পূর্ব বিরোধের জেরে তাদেরকে আটক করে। পরে দা দিয়ে বুধ লাল দাসের মাথার বাম পাশে ও হাতে জখম করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জন্টু লাল দাস চৌধুরী নামে নিহতের এক আত্মীয় জানান, সেচ প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাবুলদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে কয়েকবার বিচার-সালিসও হয়েছে। কিন্তু বাবুল গংরা প্রভাবশালী হওয়ায় সমাধান হয়নি। তিনি জানান, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভরপূর্ণী মেলা থেকে আসার পথে মাধবপুর নামক স্হানে বাবুল মিয়া গংরা বুধ লাল দাসকে দা ও রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়