• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সেন্ট মার্টিন
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ওপারের বিস্ফোরণের শব্দ কেঁপে উঠছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৩টার পর থেকে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পারছেন সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দারা। বিকট শব্দে সেন্ট মার্টিনের বাড়িঘর পর্যন্ত কাঁপছে বলে জানিয়েছেন তারা। সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন শুভ বলেন, বিকেল ৩টার পর থেকে একের পর এক গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিস্ফোরণের শব্দে সেন্ট মার্টিনের মাটি পর্যন্ত কেঁপে উঠছে। আব্দুল মালেক নামে আরেকজন বলেন, বিকট শব্দে মনে হচ্ছে গুলিগুলো বাড়ির ওপরে পড়ছে। জেলেরা ভয়ে মাছ শিকার না করে সাগর থেকে ফিরে আসছেন। সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
২৯ মার্চ ২০২৪, ২১:০৯

গুলি-মর্টারশেলের শব্দে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত
মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যের জেলা শহর মংডুর আশপাশের কয়েকটি গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ শনিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।  সীমান্তের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন দিন বন্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে নতুন করে শুরু হয় গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপ। তবে গত দুই রাতে (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) লড়াইয়ের তীব্রতা আগের তুলনায় বেশি অনুভূত হয়েছে। গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এপারে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা, পৌরশহর ও সাবরাং কেঁপে উঠছে।  টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, এক মাস ধরে রাখাইন রাজ্যে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চললেও গত দুই দিন তার তীব্রতা কিছুটা বেড়েছে মনে হচ্ছে। তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নাফ নদীর ওপারে বিস্ফোরিত মর্টারশেলের বিকট শব্দে এপার কেঁপে উঠছে। সীমান্ত এলাকার হাজারো মানুষ খেতখামারে যেতে পারছেন না। অনেক এলাকায় চিংড়ি-কাঁকড়া, সবজি ও ধান চাষ বন্ধ আছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ জালাল বলেন, মর্টার শেলের বিকট শব্দে তাঁর এলাকায় কম্পন অনুভূত হচ্ছে। রাতের বেলায় ঘনঘন কম্পনে শিশুদের ঘুম ভেঙে যাচ্ছে, অনেকে ভয়ে কান্নাকাটি করছে। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বিপরীতে নাফ নদীর বুকে জেগে ওঠা তোতারদিয়া দুই সপ্তাহ আগে আরাকান আর্মি দখলে নেয়। এখন মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী সেটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর নজরদারিতে আছে বিজিবি। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, রাখাইনে নতুন করে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত টেকনাফ সীমান্তে গুলি এসে পড়ার খবর পাওয়া যায়নি।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৮

গোলাগুলির শব্দে কাঁপছে টেকনাফ, বন্ধ শাহপরীর দ্বীপ জেটি
বান্দরবানের ঘুমধুম ও তুমব্রুর বিপরীতে মিয়ানমার সীমান্তের ঘাঁটিগুলো এখন আরকান আর্মির দখলে। সেখানে আপাতত গোলাগুলি বন্ধ হলেও এবার টেকনাফের সীমান্তের ওপারে চলছে তুমুল লড়াই। মর্টারশেল ও গোলাগুলির শব্দে ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠছে এপাড়ের ঘরবাড়ি। নিরপাত্তার কারণে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের ভ্রমণে চলাচল বন্ধ রেখেছে বিজিবি।   সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালেও ভারী গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয়দের। টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, সীমান্তে গোলাগুলিতে নিরাপত্তার কারণে নাফ নদীর শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে মানুষের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আজকেও সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে সেটি মিয়ানমারের অনেকে ভেতরে। তবে নতুন করে যাতে কেউ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছি।  তিনি বলেন, আমরা রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত শাহপরীর দ্বীপসহ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকালে ১৬৫ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছি। পাশাপাশি সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনকে জরুরি কাজ ছাড়া সীমান্তে ঘুরাঘুরি না করতে নিষেধ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, রোববার ভোর থেকে সোমবার কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের হ্নীলা, হোয়াইক্যং ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া গেছে।  শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটের টোল আদায়কারী ছিদ্দিক আহমদ বলেন, নাফ নদীর বুকে জেটি ঘাটে ভ্রমণে প্রতিনিয়ত মানুষের আনাগোনা ছিল। কিন্তু সীমান্তের গোলাগুলি বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তার কারণে এই জেটিতে দুইদিন ধরে লোকজনের যাতায়াত বন্ধ রেখেছে। এ ছাড়া কিছুদিন আগে টেকনাফ-সেন্টমাটিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা যারা সীমান্তের বাসিন্দা রয়েছি, ওপারের গোলাগুলিতে ব্যাপক প্রভাব পরেছে।  হ্নীলার বাসিন্দা মো. সাইফুল বলেন, আমার এলাকায় রাতে অনেক ভারি গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। সকাল থেকে গোলার শব্দ কমেছে। কিন্তু থেমে থেমে গোলার শব্দ পাচ্ছে সীমান্তের লোকজন। যার ফলে মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি কমেনি। টেকনাফের জাদিমুড়া ক্যাম্পের বাসিন্দা হাসমত উল্লাহ বলেন, মংডু শহরের এতিল্লাপাড়ায় বসবাসরত চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহর সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। মিয়ানমার জান্তা সরকার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বলেছে।   টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ ৯ নম্বর ওর্য়াডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, রাতে বন্ধ থাকলেও সকাল থেকে আবারও তারা সীমান্তে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা বিজিবির সহায়তায় সীমান্তের লোকজনকে জরুরি কাজ ছাড়া অযথা সীমান্তে ঘুরাঘুরি না করতে নিষেধ করেছি। জানা যায়, মিয়ানমারের রাখাইনে জান্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে যুদ্ধে রাখাইনের মংডু শহরের বাঘগোনা, হাদিবিল, নলবনিয়া নয়াপাড়া গ্রামে হেলিকপ্টার দিয়ে হামলা চালায়। ফলে কয়েক দিন ধরে এসব এলাকার প্রায় চার হাজার লোক বাড়িঘর ছেড়ে সীমান্তবর্তী সিকদারপাড়া ও মন্নিপাড়া গ্রামে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষা করছে। 
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪২

মিয়ানমারে বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে বাংলাদেশ সীমান্ত
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের ব্যাপকতা বেড়েছে। থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে। আর বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে বাংলাদেশ সীমান্ত। এ অবস্থায় আতঙ্কে দিন কাটছে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরেও টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের লম্বাবিল ও উনচিপ্রাং সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে থেমে থেমে এবং ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি সীমান্তে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এর আগে, মঙ্গলবারও থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দে সীমান্ত এলাকা কেঁপে ওঠে। স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে ব্যাপক গোলাগুলি চলছে। যার শব্দ তারা এপার থেকে শুনতে পাচ্ছেন। এ ছাড়া কিছুক্ষণ পর পর বিস্ফোরণের বিকট শব্দে পুরো সীমান্ত এলাকা কেঁপে উঠেছে। সংঘাতময় পরিস্থিতিতে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কাও করছেন তারা। এর ফলে সবমিলিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।   বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়া এলাকা থেকে কখনও কালো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে, আবার কখনও গুলি বা মর্টারশেলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এদিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জালাল আহমদ বলেন, এলাকাবাসীর মনে স্বস্তি নেই। না জানি কখন এপারে গুলি বা মর্টারশেল এসে পড়ে। ওপারে থেমে থেমে গোলাগুলি আর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি বলেন, নাফ নদীর ওপারে বিস্ফোরণের শব্দ মঙ্গলবার ভোর থেকে বেড়েছে। বুধবারও এপারে গুলি-মর্টারশেল এসে পড়ার আশঙ্কার পাশাপাশি রোহিঙ্গাসহ অন্যদের অনুপ্রবেশের ঝুঁকি বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোসহ সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান বিজিবির টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে নাফ নদী পেরিয়ে কেউ যেন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। 
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৬

শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম, চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের শুরু থেকেই বিভিন্ন মাত্রার শৈত্যপ্রবাহে জেলার জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় তাপমাত্রা কমতে থাকায় এ জেলায় তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছিল ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রামে শীতের দাপট যেন কোনোভাবেই কমছে না। ঘন কুয়াশার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হিমেল হাওয়া। এ ছাড়াও মেঘের আনাগোনা আকাশে থাকায় শীতের ঠান্ডা আরও বেড়েছে। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দিনের বেলায় সূর্যের মুখ দেখা যায় না। তবে গত দুদিন ধরে সকাল দশটার পর সূর্য উঠলেও স্থায়ী হচ্ছে না। কিন্তু রোদের উত্তাপ মেঘের কারণে তেমন নেই বলে মানুষের মাঝে তেমন স্বস্তি নেই। গত কয়েক দিনের টানা শৈত্যপ্রবাহে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। এরপরও দুদিন ধরে শীতকে উপেক্ষা করে কাজে যাচ্ছেন কেউ কেউ। বোরো বীজতলার পাশাপাশি আলুখেতের চিন্তায় রয়েছে কৃষকরা। আলুর লেট ব্লাইট রোগের কারণে গোঁড়া পচনে আবাদে ঘাটতি হবে বলে আশংকা তাদের। এ ছাড়া জেলার আড়াই শ’ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন শীতের রোগী ভিড় করছেন।  হাসপাতালে বেডের চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান সরদার শিপন জানান, এ পর্যন্ত এ হাসপাতালে ৩৭৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। শুধুমাত্র ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী অর্ধশতাধিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশু ও বৃদ্ধ।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৩

কাঁপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি
তীব্র থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে কাঁপছে পঞ্চগড়। গত ৭ দিন ধরে এ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  গতকাল রোববার একই সময়ে রেকর্ড হয়েছিল ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  গত ২৩ জানুয়ারি থেকে এ জেলায় বইছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। তিনি বলেন, গতকালের চেয়ে আজ সামান্যতম তাপমাত্রা বাড়লেও তীব্র থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। সোমবার ভোর ৬টায় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার সকাল ৯টায় ৫ ডিগ্রি ও ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছিল ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলে মৃদু, মাঝারি ও দুদিন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে এ জেলায়। এদিকে নিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হলেও সকালেই দেখা মিলেছে সূর্যের মুখ। হিমশীতলের বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। 
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪২

শীতে কাঁপছে গাইবান্ধা
ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গাইবান্ধার মানুষ। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় গাইবান্ধায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে তীব্র শীতের কারণে অনেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এতে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নার্স ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের।  শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হওয়ায় তাদেরকে ঠান্ডা থেকে দূরে রাখাসহ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন বিরাজ করতে পারে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৯

শীতে কাঁপছে যমুনা তীরবর্তী লোকজন
গত কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন বগুড়ার সারিয়াকান্দির দুর্গম চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষরা। যমুনা নদী সংলগ্ন হওয়ায় এসব এলাকায় শীতের তীব্রতা একটু বেশি। বিভিন্ন সময়ে যমুনা নদীর ভাঙনের শিকার বেশকিছু এলাকাবাসী তাদের ভিটেমাটি এবং কৃষিজমি হারিয়ে এখন নিস্ব। পেটের ভাত জোগাড় করতে তাদের প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়। তাই তারা কিনতে পারেন না ভালো কোনো শীতের গরম কাপড়। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন সম্পূর্ণ নদীগর্ভে। আর ৫টি ইউনিয়নের আংশিক নদীগর্ভে। তাই এ উপজেলার বিশাল আয়তনের জনগোষ্ঠী চরবাসী। চরবাসী এসব এলাকার লোকজন বারবার যমুনা নদী ভাঙনের শিকার হয়ে তাদের ভিটেমাটি এবং কৃষিজমি হারিয়ে কেউ কেউ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। কয়েক দিনের তীব্র শীতে এসব মানুষরা এখন শীতে কাঁপছে।  সজিরন বেওয়া (৭০)। জীবনে ৯ বার যমুনা নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন। ভিটেমাটি এবং কৃষিজমি হারিয়ে এখন বাস করছেন অন্যের জমিতে। কাজলা ইউনিয়নের চর ঘাগুয়া চরে তার বসবাসের অযোগ্য বাড়ি। গত কয়েকবছর আগেই তার স্বামী মারা গেছেন। ৪ ছেলের মধ্যে ১ ছেলেও মারা গেছেন চিকিৎসার অভাবে। ৩ ছেলে অন্যের জমিতে দিন মজুরের কাজ করেন। অনেক কষ্টে এলাকার লোকদের সহযোগিতায় ২ মেয়েকে তিনি বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেদের অভাবের সংসারে তার ভাত হয়নি। সারাদিন অন্যের জমির মরিচ তুলে দিয়ে যা আয় হতো, তা দিয়ে কিনতেন ডাল-চার। বয়সের ভারে আর মরিচ তুলতে পারেন না। এখন বিভিন্ন মানুষের কাছে দশ-পাঁচ টাকা হাত পেতে পেটের ভাত জোগাড় করেন। কয়েক দিনের প্রচণ্ড শীতে তিনি কষ্ট করছেন। শরীরে কোনো গরম কাপড় নাই। গ্রামের চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে বেশ কয়েকবার গরম কাপড় প্রার্থনা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। এদিকে গত কয়েক দিন ধরেই এ উপজেলায় গভীর রাত থেকে শুরু কওে পরদিন প্রায় দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে। কুয়াশার জন্য রাতে ৩০ ফিট দূরের কোনো কিছু চোখে দেখা যায়না। সন্ধ্যা ৭টা হতে কুয়াশা শুরু হয়ে পরদিন দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। কুয়াশার জন্য উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে সকাল ১০টা পর্যন্ত। রাতে প্রচণ্ড কুয়াশার জন্য গাছের পাতা হতে টপটপ করে বৃষ্টির মতো পানি পরছে।  কৃষকরা হালকা শীতের কাপড় পরেই ছুটছে খেতের দিকে, এনজিওকর্মীরা রেইনকোট পরে মোটরবাইকে বেরিয়ে পড়েছে কিস্তি আদায়ের কাজে, গরুর মালিকরা দুধ দোহন করে নিয়ে ছুটছে বাজারের দিকে। দিনমজুর এবং শ্রমিকরা বেড়িয়ে পরেছে তাদের নিজ নিজ কাজে। তবে তাদের শরীরে গরম কাপড়ের অভাব ব্যাপকভাবে লক্ষণীয়। অটোভ্যান শ্রমিকরা শীতের বাতাসকে উপেক্ষা করেই ছুটছেন পেটের দায়ে। বয়স্ক মানুষরা প্রচণ্ড শীতে ঘরবন্দি হয়েছেন। সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, সরকারি যে কম্বলগুলো পাওয়া গিয়েছিল তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরিব-দুঃখী মানুষ খুঁজে বের করে তাদের দেওয়া হয়েছে। চরবাসীদেরও এ সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় কম্বল অপ্রতুল হওয়ার জন্য হয়তো কেউ কেউ বাদ পড়তে পারেন। যারা বাদ পড়েছেন, তাদের জন্যও দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে।  
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০০

প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে শীতের প্রভাবে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে এ জেলার মানুষ। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জেলাজুড়ে জবুথবু অবস্থা বিরাজ করছে। ব্যহত হচ্ছে সাধারণ জীবনযাত্রা।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে এ জেলায় মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে। ফলে জেলার ছিন্নমূল মানুষ ও খেটে খাওয়া শ্রমিক শ্রেণির লোকজন রয়েছেন চরম বিপাকে।  সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রচণ্ড শীতে নিম্ন আয়ের ও সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে গিয়ে এবং গরম পানি করতে গিয়ে দগ্ধের ঘটনা ঘটলেও মানুষ আগুনের তাপ নিচ্ছেন। দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা তেমনটা বাড়েনি।  এ শীতের প্রকোপে জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রতিদিন বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগী। এদের অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ।তবে হাসপাতালে বেডের চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় গাদাগাদি করে রোগীদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় শীতে কষ্টে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষজন। নদী পাড়ে হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছেন এখানকার মানুষ।  এদিকে গত এক সপ্তাহ যাবৎ জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের ২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও জেলায় মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। যা আগামী আরও দুদিন অব্যাহত থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানা গেছে।  জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, ইতোমধ্যে ৬৭ হাজার কম্বল শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তবে আরও শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই সেগুলো বণ্টন করা হবে। 
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৭

৫.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এক দিনের ব্যবধানে ৮ ডিগ্রি থেকে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৫ ডিগ্রির ঘরে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় মৌসুমের ও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস বলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থেকে কমে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এ জেলার ওপর দিয়ে। গত কয়েকদিনের তুলনায় পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা উঠানামায় বেড়েছে কনকনে শীতের তীব্রতা। এদিকে বেলা বাড়লেও ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে চারপাশ। এতে করে গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও সড়কগুলোতে মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই কমে গেছে। কনকনে শীতে জনজীবনে নেমে এসেছে জনদুর্ভোগ। এদিকে দেখা গেছে, তাপমাত্রার পারদ নেমে আসায় এবং শীতের তীব্রতা বাড়ায় বেশি দুর্ভোগে ও বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী এবং নিম্ন আয়ের মানুষরা। শীতের তীব্রতায় অনেকেই ঘরবন্দি জীবন অতিবাহিত করছেন। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন গণমাধ্যমকে বলেন, ভোর ৬টায় দেশের মধ্যে ও মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড হয়েছে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরবর্তীতে এদিন সকাল ৯টায়ও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়