• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিল্পাকে নাকি বিপাকে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা, মুখ খুললেন অভিনেত্রী
বেশ কয়েক দিন ধরেই ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও শিল্পা শেঠির একটি ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তোলপাড় চলছে নেটমাধ্যমে। শিল্পাকে নাকি বিপাকে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা— রীতিমতো এমন বিতর্কের মুখে পড়েছেন এই দুই তারকা। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ঋতুপর্ণা। শিল্পাকে ও ঋতুপর্ণার ভাইরাল ভিডিওটি দেখে নেটিজেনদের ধারণা, ঋতুপর্ণাকে দেখেও এড়িয়ে গিয়েছেন শিল্পা। বাংলার প্রথম সারির অভিনেত্রীকে নাকি পাত্তাই দেননি তিনি।  বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক যেন বেড়েই চলেছে।   ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় পোজ দিচ্ছিলেন শিল্পা। এমন সময়  ক্যামেরার সামনে দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায় ঋতুপর্ণাকে। আর সেটা দেখেই নেটিজেনদের একাংশের দাবি, ঋতুপর্ণা ইচ্ছে করেই ছবি তোলায় বাদ দিতেই ক্যামেরার সামনে এসেছিলেন তিনি। আবার অনেকের মতে, ঋতুপর্ণাকে দেখেও চিনতে পারেননি শিল্পা।  সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ঋতুপর্ণা। তিনি বলেন, সেখানে অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ছাড়া অন্য কোনো ফোটোগ্রাফারের প্রবেশের অনুমতি ছিল না। কেউ ভিডিওটা কোনোভাবে রেকর্ড করে গুজব ছড়াচ্ছে।   অভিনেত্রী জানান, কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তখন ঋতুপর্ণাকে ভেতরে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তাই ডাক পেয়ে এগিয়ে যান অভিনেত্রী। তিনি শিল্পাকে দেখেননি। এমনকি শিল্পাও তখন ঋতুপর্ণাকে খেয়াল করেননি।      ঋতুপর্ণা-শিল্পা দুজনেই একে অপরের দীর্ঘ দিনের পরিচিত। অভিনেত্রী বলেন, হোটেলের লাউঞ্জে আমাদের কথা হয়েছে। তারপর অনুষ্ঠানে আমরা পাশাপাশি আসনেও বসেছিলাম।  তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঋতুপর্ণাকে নিয়ে যে সমালোচনা শুরু হয়েছে, সেটা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, অপ্রত্যাশিত ঘটনা। কিন্তু নেটমাধ্যমে আমাকে নিয়ে অনেকে ভালো মন্তব্যও করেছেন। সে দিক থেকে ঠিক আছে।  সূত্র : আনন্দবাজার   
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৫

যে কারণে বাংলাদেশের পরিচালক-প্রযোজকের ওপর ক্ষুব্ধ ভারতীয় অভিনেত্রী
পশ্চিমবঙ্গের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই তাকে ‘ঋ’ নামেই চেনেন। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু শুটিং শেষ হওয়ার দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার পারিশ্রমিক দেননি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।  শুধু তাই নয়, পরিচালক-প্রযোজক তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন বলেও জানান ঋতুপর্ণা। টাকা না পেয়ে বাংলাদেশের পরিচালক-প্রযোজকের ওপর খেপেছেন তিনি। এমনকি বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও পোস্ট দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। যদিও পরে সেটা মুছে দেন ঋতুপর্ণা।   সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ঋতুপর্ণা। এসময় বাংলাদেশের পরিচালক-প্রযোজকের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন তিনি।  ঋতুপর্ণা বলেন, প্রায় তিন লাখ টাকা পাই তাদের কাছে। আমার কাছে এটা অনেক বড় অঙ্কের টাকা। অনেক দিন ধরে বসে আছি। গত দেড় মাস ধরে ক্রমাগত পরিচালককে ফোন করে যাচ্ছি, তিনি ফোন রিসিভ করছেন না, যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ।   এখন আমার উদ্বেগ হচ্ছে, টাকা পাব তো! শেষমেশ বাধ্য হয়ে ফেসবুকে লিখি। আমি গত ২৮ মার্চ প্রোডাকশনের লোকেদের সঙ্গে কথা বলি, তখন আমার সঙ্গে  খুবই খারাপ ব্যবহার করা হয়। কেন আমি টাকা চাচ্ছি, সেটাতেই তাদের আপত্তি। সেটা আমার খারাপ লাগায় ফেসবুকে লিখি। না হলে আমি তেমন মানুষ নই যে, ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত জীবন তুলে ধরব।  অভিনেত্রী আরও বলেন, আসলে টাকা পাঠানো নিয়ে সমস্যা। আমি এই মুহূর্তে বুঝে উঠতে পারছি না, কী সমস্যা হচ্ছে। এর আগে শ্রীলঙ্কায় কাজ করেছি, কোনো সমস্যা হয়নি। এবারই প্রথম বাংলাদেশে কাজ করতে গিয়ে এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হলো। বুঝতে পারছি না, আমার কী করণীয়। তবে একটা শিক্ষা হয়েছে। ভবিষ্যতে ডলারে কাজ করব। টাকায় কোনো আর্থিক আদান-প্রদান না হয় সে বিষয়টি খেয়াল রাখব। তবে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পরই প্রযোজক টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঋতুপর্ণা। কিন্তু ওই পরিচালক-প্রযোজকের নাম প্রকাশ করেননি তিনি। শুধু যে বাংলাদেশের পরিচালক-প্রযোজকের ওপর ক্ষুব্ধ ঋতুপর্ণা, বিষয়টি এমন নয়।  বাংলাদেশের আতিথেয়তারও বেশ প্রশংসা করে্ন তিনি। এ প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা বলেন, ওখানকার মানুষ খুবই অতিথিপরায়ণ। খুবই ভালো অ্যাপায়ন পেয়েছি। আমার জুতা থেকে ব্যাগ বয়ে দেওয়ারও লোক ছিল।  অন্যদিকে, টালিউডে জুতা তো দূরের বিষয়, ব্যাগ নিতে বললেও মুখ বাঁকা করে। দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই ভালো-খারাপ দিক রয়েছে। সবই ঠিক ছিল। কিন্তু টাকাপয়সা নিয়ে কেন এমন হলো বুঝলাম না। তবে ওরা কথা দিয়েছে, টাকাটা যত দ্রুত সম্ভব দিয়ে দেবে। টাকাটা পাওয়া অবধি অপেক্ষা করব।    প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ‘লাভ ইন ইন্ডিয়া’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে নাম লেখান ঋতুপর্ণা। পরবর্তীতে ‘গান্ডু’, ‘কয়েকটি মেয়ের গল্প’র মতো বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। তবে ২০১৫ সালে ‘কসমিক সেক্স’ সিনেমায় সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি। সূত্র : আনন্দবাজার 
৩০ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৮

সংসার নিয়ে মুখ খুললেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয় গুণে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। অনেক তারকাই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বললেও ঋতুপর্ণাকে খুব একটা কথা বলতে দেখা যায় না। এবার নিজের সংসার নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।    সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে নিজের কাজ এবং সংসার জীবনের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন ঋতুপর্ণা। এসময় অভিনেত্রী বলেন, নারীরা অনেকগুলো বিষয় একসঙ্গে সামলাতে পারে। কিন্তু পুরুষরা সেটা পারে না। এ ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে রয়েছে। ঋতুপর্ণা বলেন, আমার দাদি মাকে দেখেছি, রান্নাঘর থেকে বাইরের জগত সব একা হাতে সামলাতেন। তার কিন্তু স্নাতক স্তরের পড়াশোনাও ছিল না। কিন্তু আমার মনে হয় নারী হিসেবে এমন সহজাত ক্ষমতা ছিল তার, যে একসঙ্গে অনেক দায়িত্ব নিতে পারত। আর এই ক্ষমতা কিন্তু সময় বা পরিস্থিতির জন্য তৈরি হয় না। নারীদের ভেতরেই থাকে।  অভিনেত্রী আরও বলেন, দাদি মা তার মেয়েদের খুব ভালোভাবে শিক্ষিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মস্থলে কাজের ক্ষেত্রেও শতভাগ সহায়তা ও সাপোর্ট করেছে। তারা প্রত্যেকেই ভালো ভালো জায়গায় কাজ করেছে। শুধু তিনি নন, আমার মাকেও দেখেছি একসঙ্গে অনেক দায়িত্ব নিতে। অনেক দিক সামলাতে। তবে মেয়েদের নিজের সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। আমি যদি অসহায়, দুর্বল হিসেবে সকলের সামনে নিজেকে জাহির করি, মানুষও আমাকে ওই চোখেই দেখবে।  তখন আমাকে ঘিরে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের পরিবেশ তৈরি হবে। আমার ভালো লাগা, ইচ্ছা সব আমাকেই দেখতে হবে। না হলে তো কিছুই করা যাবে না। সময়ে এক এক করে প্রিয়জন হারিয়ে যাবে। মানুষ আরও বিচ্ছিন্ন হবে। কিন্তু এ নিয়ে যদি সারাক্ষণ মনখারাপ করি তাহলে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনব। কোনো নারীই যেন করুণার পাত্র হিসেবে নিজেকে তৈরি না করে।   নিজের সংসার নিয়ে ঋতুপর্ণা বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে কাজ শুরু হয়ে যায় আমার। আমার শাশুড়ি মা হাসপাতালে। তার সব দায়িত্ব আমার। মেয়ের খবর রাখা। ছেলেকে ফোন করা। সংসারের নানান কাজের পাশাপাশি সবই চলছে।   তিনি বলেন, আমি এখন মর্যাদা নিয়ে খুব ভাবি। মানুষের কাছে সবকিছু থাকলেও সে মর্যাদাহীন হলে বিপদ। আমি মাটিতে পড়লে নিজেকেই নিজে উঠিয়ে নিয়ে চলি। সংসার আর কাজ দুটোতেই বিশ্বাস করি। ইন্ডাস্ট্রিতেও দীর্ঘদিন ধরে একা যুদ্ধ করছি। বড় প্রযোজনা সংস্থারা যে আমার সঙ্গে আছে, এমনও নয়। আমি নিজেই নিজের জায়গা তৈরি করেছি। নতুনদের সুযোগ দিয়েছি। আমি আমার সবটা দিয়ে কাজ করি। কান্না মুছে হাসি ফিরিয়ে আনি। আমি বৃদ্ধি করতে না পারি, সৃষ্টি তো করি। না হলে থমকে যাব।  সূত্র : আনন্দবাজার   
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:১১

ফের ঢাকায় এসেছেন ঋতুপর্ণা
আবারও ঢাকায় এসেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন তিনি। সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবের সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিতেই মূলত বাংলাদেশে এসেছেন ঋতুপর্ণা।  বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের জন্মমাস স্মরণে আগামী ২০ ও ২১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে আয়োজন হবে এই উৎসবের। এটি আয়োজন করছে সুচিত্রা সেন মেমোরিয়াল ইউএসএ।    জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারি জ্যামাইকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই দিনের এই উৎসবের লোগো ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন ঋতুপর্ণা। এবার উৎসবের সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন ঋতুপর্ণা।  সুচিত্রা সেন উৎসবের অন্যতম আয়োজক হাসানুজ্জামান সাকী জানান, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স হলে সুচিত্রা সেন উৎসব উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ঋতুপর্ণা।  তিনি আরও বলেন, এর আগে বিচ্ছিন্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রে দুই বাংলার সিনেমা প্রদর্শনী হয়েছে। এবারই প্রথম একটি পূর্ণাঙ্গ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। দুই দিনব্যাপী এই উৎসবে দুই বাংলার ১০টি ফিচার ফিল্ম, ৫টি তথ্যচিত্র, ৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা প্রদর্শিত হবে। ইতিমধ্যে অনেক চলচ্চিত্র জমা পড়েছে। সেখান থেকে সিনেমা বাছাই করে উৎসবে প্রদর্শন করা হবে। মূলত উৎসবের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতেই ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সংবাদ সম্মেলন শেষ করে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় ফিরে যাবেন ঋতুপর্ণা। সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র উৎসবের বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন  নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, ভারতীয় পরিচালক বেদব্রত পাইন ও নিউ ইয়র্কের স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টসের চলচ্চিত্রবিষয়ক শিক্ষক মেরি লি গ্রিসান্তি।      
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়