• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মাশরুমের উপকারিতা ও যেভাবে খাবেন
ব্যাঙের ছাতা বলেই পরিচিত মাশরুম। এ কারণে হয়তো অনেকেই খেতে চান না। তবে যারা এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেন, তারা ঠিকই খেয়ে থাকেন। মাশরুম ক্লোরোফিলবিহীন ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ এবং নতুন ধরনের সবজি যা সম্পূর্ণ হালাল, সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও উচ্চখাদ্যশক্তি এবং ভেষজগুণে ভরপুর। এর মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ প্রোটিন আছে, যা অত্যন্ত উন্নত ও নির্ভেজাল। এতে উপকারী শর্করা ও চর্বি আছে। তবে অনেকেই আছেন যারা এর উপকারিতা সম্পর্কে অল্প কিছু জানলেও এটি কীভাবে খেতে হয় তা জানেন না। মাশরুমের পুষ্টিগুণ এবং এটি খাওয়ার উপায় সম্পর্কে পুষ্টিবিদের মতামত জেনে নেওয়া যাক। মাশরুম : মাশরুম হচ্ছে ছত্রাক পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার প্রজাতির মাশরুম পাওয়া গেছে। তবে সব ধরনের মাশরুম কিন্তু খাওয়া যায় না। বনে-জঙ্গলে পাওয়া মাশরুম বিষাক্ত। এ ক্ষেত্রে অর্গানিক বা নিজেদের চাষ করা মাশরুম খাওয়া যেতে পারে। বাটান, ওয়েস্টার ও পোর্টেবেলো ধরনের মাশরুম রয়েছে, যা খুবই জনপ্রিয়। আর যেখানে সেখানে পাওয়া নয়, নিজে চাষ বা অর্গানিক মাশরুম খাওয়া নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত। পুষ্টিগুণ : মাশরুমে ওষধি গুণাগুণ রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ছাড়াও রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিবায়োটিক, মিনারেল, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ডি ও বি। উপকারিতা : অনেকেই আছেন যারা ওজন কমাতে চান। এ ক্ষেত্রে তারা খাদ্যতালিকায় মাশরুম রাখতে পারেন। কারণ, মাশরুমে লো ক্যালোরি। যারা পেশি বাড়াতে চান তাদের প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন হয়। তারা প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাশরুম খেতে পারেন। এ ছাড়া মাশরুমে পেনিসিলন থাকায় এটি অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। যা শরীরের জন্য উপকারী। এ ছাড়া মাশরুম খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস কমানো, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ, হৃদযন্ত্র ভালো রাখা, কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস, ক্যানসার ও টিউমার প্রতিরোধ এবং শিশুদের হাড় ও দাঁত ভালো রাখার ক্ষেত্রে কার্যকর উপকার পাওয়া যায়। খাওয়ার উপায় : সালাদ হিসেবে মাশরুম খেতে পারেন। আবার মাশরুমের স্যুপ, ক্রিম মাশরুম স্যুপ খুব জনপ্রিয়। কেউ কেউ সবজির সঙ্গে মাশরুম দিয়ে রকমারি রেসিপি তৈরি করেন। নুডুলসের সঙ্গে বা ফ্রাই করেও খেতে পারেন। এছাড়া চাইলে স্যুপে আস্ত ব্যবহার না করে মাশরুমের পাউডার করে মিশিয়ে খেতে পারেন। সতর্কতা: মাশরুম কখনোই কাঁচা বা অল্প সেদ্ধ অবস্থায় খাওয়া যাবে না। পরিপূর্ণ সেদ্ধ বা রান্না হলে তবেই খেতে হবে। তা না হলে হজম ও অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশনের সমস্যা হতে পারে। আবার খাওয়ার আগে মাশরুম বিষাক্ত কিনা, সেটি নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, আবার যদি কারও মাশরুম খাওয়ার পর অ্যালার্জির সমস্যা হয় তাহলে না খাওয়া ভালো। কিডনি রোগ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের মাশরুম খাওয়া ঠিক নয়। কারণ, এটি ছত্রাকজনিত প্রোটিন। এ ছাড়া হজমে সমস্যা বা পেটের সমস্যা হলেও না খাওয়াই ভালো।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০০

খতনা বা মুসলমানি কেন করতে হয়, উপকারিতা কী?
মুসলিম জাতি ছাড়াও অন্য ধর্মাবলম্বীরাও খতনা দিয়ে থাকে। পুরুষাঙ্গের সামনের দিকে যে অতিরিক্ত চামড়া পুরুষাঙ্গের সংবেদনশীল মাথাকে ঢেকে রাখে, তা কেটে বাদ দেওয়াকেই বলা হয় খতনা বা মুসলমানি। মেডিক্যাল টার্মে একে বলে সারকামসিশন।  দীর্ঘসময় ধরে এই কাজ বাংলাদেশে হাজামরা করে আসলেও এখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা সার্জারির মাধ্যমে তা করা হচ্ছে। কেন খতনা করা হয়? সাধারণত ধর্মীয় রীতি অনুসারে মুসলিম ছেলে শিশুদের এটি করা হয়। কিছু কিছু জন্মগত রোগেও সাকামসিশন করার নির্দেশনা আছে। এর মধ্যে আছে— যাদের লিঙ্গের অগ্রভাগের ছিদ্র ছোট থাকে, বারবার তাদের প্রস্রাবে সংক্রমণ হতে পারে; যাদের চামড়া গ্লান্স লিঙ্গের পেছনে আটকে গিয়ে ব্যথা করে, তাদের ক্ষেত্রে এটি করা হয়; এই দুটি অবস্থার মেডিকেল টার্ম হলো ফাইমোসিস আর প্যারাফাইমোসিস। কোন বয়সে খতনা করানো উত্তম? পশ্চিমা দেশে সাধারণত জন্মের পরপরই এটি করা হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে সাধারণত দেখা যায় যে, বাচ্চারা একটু বড় হলে তারপর তাদের খৎনা করা হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কোনো নির্দিষ্ট বয়স না থাকলেও বাংলাদেশের সামাজিক বাস্তবতায় তিন বা চার বছর বয়স খৎনার উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। মুসলমানির জন্য সঠিক সময় হলো স্কুলে যাওয়ার আগে। পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের চিকিৎসকদের একটি দল একমত হয়েছেন, এই সময়ের আগে করলে প্রস্রাবের রাস্তা সরু হয়ে যেতে পারে। ইসলামের দৃষ্টিতে খতনা মুসলিম সমাজে এ সংস্কৃতি শত শত বছর ধরে চলে আসছে। এটি একটি মহান সুন্নত। যুগে যুগে বড় বড় নবি-রাসুলও এ সুন্নত পালন করেছেন। সর্বপ্রথম এ সুন্নত পালন করেছেন হজরত ইবরাহিম (আ.)।  হজরত সাইদ ইবনে মুসাইয়াব (রহ.) থেকে বর্ণিত, হজরত ইবরাহিম (আ.) হলেন খতনার সুন্নত পালনকারী সর্বপ্রথম ব্যক্তি। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ২৬৪৬৭)। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন ইবরাহিম (আ.)-কে তার রব কয়েকটি বাণী দিয়ে পরীক্ষা করেন, অতঃপর তিনি তা পূর্ণ করেন। তিনি বলেন, আমি তোমাকে মানুষের জন্য নেতা বানাব। সে বলল, আমার বংশধরদের থেকেও? তিনি বলেন, জালিমরা আমার ওয়াদাপ্রাপ্ত হয় না। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১২৪) খতনার উপকারিতা খতনা বা মুসলমানি করার কিছু উপকারী দিক রয়েছে। যেমন— মুসলমানি করালে মূত্রনালির সংক্রমণের ঝুঁকি কম হয়। কিছু যৌনবাহিত রোগের ঝুঁকিও হ্রাস করে; গ্লান্সের প্রদাহ, গ্লান্স ও ফরস্কিনের প্রদাহ প্রভৃতি প্রতিরোধ করে; অনেক সময় পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া মূত্রনালিতে এমনভাবে লেগে থাকে যে প্রস্রাব ভালো মতো বের হতে পারে না। তখন প্রস্রাবের নালিতে ইনফেকশন বা কিডনিতে জটিলতা হতে পারে।  মুসলমানি করালে ফাইমোসিস হয় না। পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া উল্টে শক্ত হয়ে গেলে ওই চামড়াকে আর সামনে ও পেছনের দিকে নড়াচড়া করা যায় না। তখন লিঙ্গের মাথা ফুলে যায়, রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু মুসলমানি করালে এই জটিলতা থেকে রক্ষা মেলে; পেনাইল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা তৈরি করে খতনা। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষার জন্যও যেকোনো ধর্মের পুরুষরা খতনা করিয়ে থাকেন। খতনার বৈজ্ঞানিক সুফল পুরুষের খতনাকে আধুনিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত বলে মনে করেন। খতনার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকজাতীয় (ব্যাকটেরিয়া) রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। খতনার প্রধান সুবিধা হলো, এর ফলে লিঙ্গের অগ্র ত্বকে যে তরল জমে নোংরা অবস্থার সৃষ্টি করে, তা থেকে রেহাই পেতে পারে। খতনার সুফল নিয়ে অস্ট্রেলীয় মেডিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক ড. ব্রায়ান মরিস চমৎকার গবেষণা করেছেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, যেসব বালকের সারকামসিশন (খতনা) করা হয়নি, তাদের অপেক্ষাকৃত কিডনি, মূত্রথলি ও মূত্রনালির ইনফেকশন চার থেকে ১০ গুণ বেশি হয়। তিনি মনে করেন, সারকামসিশনের (খতনা) মাধ্যমে অন্তত এক-চতুর্থাংশ মূত্রনালির ইনফেকশন হ্রাস করা যায়। যৌনবিজ্ঞানীরা বহুকাল আগে থেকেই বলে আসছেন যে পুরুষের খতনা করালে স্পর্শকাতরতা বেড়ে যায়। এতে যৌন মিলনে অধিক আনন্দ উপভোগ করে নারী-পুরুষ উভয়ই। বর্তমানে ইংল্যান্ড, আমেরিকাসহ ইউরোপেও প্রচুর পরিমাণে খতনা করানো হয়। সেখানে গুরুত্বের সঙ্গে এটা দেখা হয়।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৯

শীতকালে মধু পানে মিলবে যেসব উপকারিতা
মধু এক বিচিত্র প্রাকৃতিক উপাদান। ফুলের মধ্যে থাকা মধু মূলত সংগ্রহ করে মৌমাছির দল। নিজেদের প্রয়োজনে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছির দল জড়ো করে মৌচাকে। তবে ফুল থেকে আনা একেবারে তরল টাটকা মধুর সঙ্গে মিশে যায় তাদের শরীর নির্গত কিছু যৌগ, উৎসেচক। তারপর সেই মৌচাক ভেঙে নিয়ে মধু সংগ্রহ করা হয়।সারাদেশে সুন্দরবনের মধুর অনেক চাহিদা রয়েছে। খাঁটি, প্রাকৃতিক মধুর অনেক গুণ। নিয়মিত মধু খেলে শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন হতে পারে।  দেখে নিন এক নজরে- চিনির বিকল্প হিসেবে দারুন কাজ করতে পারে মধু। ফলে স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস। যা কোষের ক্ষতি রোধ করতে সক্ষম, ফলে শরীরের উপকারি বন্ধু ব্লা যায় মধুকে। গলা ব্যথা, ছোটখাটো সংক্রমণ, ক্ষত সারিয়ে তোলার ক্ষমতা রয়েছে মধুতে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান। মধু খুব দ্রুত শক্তি জোগাতে পারে। বলবর্ধক হিসেবে মধু দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত।  হজমকারক হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে মধুর। শুধু তাই নয় বদহজম বা কোষ্ঠবদ্ধতার মতো সমস্যার সমাধানেও কার্যকর এই প্রাকৃতিক উপাদান। ভালো ঘুমের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে মধু। রাতে ঘুমোনোর আগে এক চামচ মধু খেলে ভালো ঘুম হয়। মধুতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন। এছাড়াও একাধিক খণিজ পদার্থও পাওয়া যায় এতে। প্রাণীজ এবং উদ্ভিজ্জ উপাদানের মিলনে এর মধ্যে নানা ধরনের উৎসেচকও মিশে থাকে। তাই সার্বিক ভাবেই স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে মধুর একটা গুরুত্ব থেকেই যায়। শুধু খেয়ে নয়, মধু ত্বকের জন্যও উপকারি। তাই ত্বক চর্চার ক্ষেত্রেও মধুর ব্যবহার ব্যাপক প্রচলিত।  হঠাৎ করে তাপমাত্রার অস্থিতিশীলতার কারণে শীতের শুরুতে অনেকেরই গলা বসে যায়, গলাব্যথা হয়। দিনে দুবার বিভিন্ন মসলা (আদা, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ) পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খেলে গলাব্যথা সেরে যায়। শীতকালে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। নিয়মিত রং চায়ের সঙ্গে কিংবা কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। শীতে ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ হয়ে যায়। এই শুষ্ক ত্বককে মসৃণ টান টান রাখতে চাইলে অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাবেন।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়