• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মুগদা সড়কে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করলেন হাইকোর্ট
মুগদার প্রধান দুই পাশে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কেন উচ্ছেদের আগে জমির মূল্য পরিশোধ এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. মশিহুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। অ্যাডভোকেট মো. মশিহুর রহমান জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মুগদা সড়কের দুই পাশে ব্যক্তিগত বাড়ি ও দোকান পাট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আজ (মঙ্গলবার) হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে মুগদা সড়কের দুই পাশে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কেন উচ্ছেদের আগে জমির মূল্য পরিশোধ এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।  এ ছাড়াও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর যে আবেদন দেওয়া হয়েছে তা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৬

দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চলছে বঙ্গবাজারে  
রাজধানীর বঙ্গবাজারে বহুতল নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযানে ভেঙে ফেলা হচ্ছে অস্থায়ী সব দোকান।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকেই এই কার্যক্রম শুরু করে সিটি কর্পোরেশন।  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবাজারের সামনের অংশে একটি ভেকু দিয়ে বাঁশের কাঠামো সরিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত থেকে বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সেখানে উপস্থিত থেকে মোবাইলে উচ্ছেদ অভিযানের দৃশ্য ধারণ করতে দেখা যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কেউ। এর আগে গতকাল (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বঙ্গবাজারের অস্থায়ী দোকানগুলো উচ্ছেদের কার্যক্রম শুরু হয়। সংস্থাটির সম্পত্তি বিভাগের উদ্যোগে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। গত বছরের ৪ এপ্রিল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে যায় রাজধানীর সবচেয়ে পুরোনো ও জনপ্রিয় পাইকারি কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজার। পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজারের আধুনিকায়ন করে সেখানে ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। সেখানে ১.৭৯ একর জায়গার ওপর ১০ তলাবিশিষ্ট একটি আধুনিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা সিটি কর্পোরেশনের। সেইসঙ্গে বঙ্গবাজারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হচ্ছে বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণিবিতান।  পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১০ তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে গ্রাউন্ড ফ্লোর ও বেজমেন্ট ছাড়াও থাকবে মোট আটটি ফ্লোর। ভবনে থাকবে তিন হাজার ৪২টি দোকান। প্রতিটি দোকানের আয়তন হবে ৮০-১০০ স্কয়ার ফুট। ভবনটিতে থাকবে আটটি লিফট। এর মধ্যে চারটি থাকবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য। আর বাকি চারটি কার্গো লিফট থাকবে মালামাল ওঠানো-নামানোর জন্য। এছাড়া থাকছে গাড়ি পার্কিং, খাবারের দোকান, সমিতির অফিস, নিরাপত্তাকর্মী এবং সেখানকার কর্মীদের আবাসন ব্যবস্থা। ভবনটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা। ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১০ তলাবিশিষ্ট আধুনিক এ ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে মোট ৩৮৪টি, প্রথম তলায় ৩৬৬টি, দ্বিতীয় তলায় ৩৯৭টি, তৃতীয় তলায় ৩৮৭টি, চতুর্থ তলায় ৪০৪টি, পঞ্চম তলায় ৩৮৭টি, ষষ্ঠ তলায় ৪০৪টি ও সপ্তম তলায় ৩১৩টি দোকান থাকবে। এ ছাড়া, অষ্টম তলায় দোকান মালিক সমিতির অফিস, কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থা রাখা হবে। ভবনের পার্কিংয়ে একসঙ্গে প্রায় ১৮৫টি গাড়ি ও ১১০টি মোটরসাইকেল পার্কিং করা যাবে। ভবনটিতে ২২টি খাবারের দোকান রাখা হবে। সেইসঙ্গে নকশায় আরও ৮১টির বেশি দোকান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।  বঙ্গবাজারের পুরাতন মার্কেটটি মূলত বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, আদর্শ ইউনিট, মহানগর ইউনিট ও গুলিস্তান ইউনিট নিয়ে গঠিত ছিল। গত ৪ এপ্রিল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মার্কেটগুলো পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়। এছাড়া, মহানগর শপিং কমপ্লেক্স, এনেক্সকো টাওয়ার, বঙ্গ হোমিও মার্কেট এবং বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটের কিছু অংশেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে তিন হাজার ৮৪৫ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩০৩ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। এতোদিন পর্যন্ত পুড়ে যাওয়া মার্কেটের ফাঁকা স্থানে শামিয়ানা ও ছোট ছোট চৌকি বসিয়ে কোনোমতে ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৯

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ৩০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
ঈদকে সমানে রেখে যাত্রী সুবিধার্থে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।  বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ সরকারের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।   উচ্ছেদকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩টি হোটেল, কনফেশনারী, মুদি দোকানসহ ৩০টি স্থাপনা। ৬৮ শতাংশ সম্পত্তির ওপর ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পাকা স্থাপনা রয়েছে। সেগুলোও উচ্ছেদের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা মো. শাহদাত হোসেন।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৭

টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ থেকে অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ
টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দান থেকে অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোহাইমিনুল ইসলাম এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানে রাখা প্রায় ৫০টি ছোট-বড় ট্রাক সরিয়ে দেওয়া হয়। এর পূর্বে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের পক্ষে উপজেলা সদর ভূমি (এসিল্যান্ড) অফিসের এক কর্মকর্তা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানে এসে অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ডটি সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সরিয়ে নিতে ট্রাক স্ট্যান্ডের দায়িত্বে থাকা নেতৃবৃন্দকে মৌখিক নির্দেশ প্রদান করে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দান থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। আশা করি, এর ফলে ১১৮ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানের পরিবেশ ও পবিত্রতা ফিরে পাবে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল-সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯০৫ সালে স্থাপিত টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানে গত বছরের অক্টোবর মাসে টাঙ্গাইল ভাসানী হলের সামনে থেকে ট্র্যাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে ঈদগাহ্ ময়দানে বসার মৌখিক অনুমোদন দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানে ট্রাক স্ট্যান্ড বসার পরে টাঙ্গাইলের সর্বসাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঈদগাহ্ ময়দানে ট্রাক স্ট্যান্ড বসানোর ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশিত হলে, জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক মিটিংয়ে ঈদগাহ্ থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করা হয়।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৭

লোহাগড়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান
নড়াইলের লোহাগড়ায় লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা বাজার এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তার ওপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছোট-বড় একশটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনিমেষ বিশ্বাস ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরিন জাহানের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫১

ঢাকার আশপাশের ৫০০ অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ হবে : পরিবেশমন্ত্রী
বায়ুদূষণ কমাতে আগামী ১০০ দিনের কর্মসূচি হিসেবে ঢাকার আশপাশের অবৈধ ৫০০টি ইটভাটার উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, আদালতের হিসাবে ২ হাজারের মতো অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। আমরা প্রথমে ঢাকার আশেপাশে স্থায়ী চিমনিগুলো চিহ্নিত করছি। ১০০ দিনের কর্মসূচিতে দিনে গড়ে তিন থেকে চারটি ইটভাটা গুড়িয়ে দেবো। অর্থাৎ ১০০ কর্ম দিবসে লক্ষ্য হচ্ছে ৫০০ ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া। ঢাকার চারপাশে এক হাজার অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। আসলে এ ধরনের ইটভাটা সম্পূর্ণ অবৈধ। আরেকটা আছে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি। মন্ত্রী বলেন, আমরা সূচনা করছি, এই বার্তা দিতে চাচ্ছি যে, কোনো ধরনের অবৈধ ইটভাটা আমরা এখানে রাখতে চাচ্ছি না। তিনি বলেন, আপনারা এরই মধ্যে লক্ষ্য করেছেন ঢাকার আশেপাশে যে অবৈধ ইটের ভাটা আছে সেগুলো গুড়িয়ে দিচ্ছি। সেটা দিয়ে পুরো সমস্যা সমাধান হবে না। ঢাকা শহরে সিমেন্ট, বালি পরিবহন হয়, নির্মাণ কাজ হচ্ছে। সেগুলো ঢেকে রাখার নিয়ম। আগামীকাল আমরা ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করবো। সেখানে এসব বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে। খোলা ট্রাকে করে ঢাকা শহরে বালু, সিমেন্ট বহন করলে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হবে। ঢেকে না রেখে নতুন ভবন নির্মাণ করলে জরিমানার পরিমাণ বাড়বে। যারা বায়ুদূষণের জন্য দায়ী তাদের কোনোভাবেই ছাড় নয় বলেও জানান তিনি। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৩০০-এর ওপরে থাকলে ক্ষতিকর। আমাদের দেশে সেটা অনেক আগেই অতিক্রম করেছে। তাই বায়ুদূষণ কমানোর জন্য কি পরিকল্পনা নিচ্ছেন- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রথমে আমরা বায়ুদূষণের উৎসগুলো চিহ্নিত করছি। উৎস কি সেটা না জানলে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। আরেকটা বিষয় হলো বায়ুর মান যখন খারাপ পর্যায়ে চলে যায় তখন আমরা একটা এলার্ট ইস্যু করতে চাই। জনসাধারণকে বলতে চাই আজকে আমাদের বায়ুর যে মান আছে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য প্রচণ্ড ঝুঁকি। সুতরাং তাদের যদি জরুরি কাজ না থাকে তাহলে যেন ঘরের বাইরে না যায়। এছাড়া ডব্লিউএইচও বলছে মাস্ক পড়তে হবে। গাড়ির ধোয়া নিয়ন্ত্রণে কি ব্যবস্থা নেবেন- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এজন্য আমাদের সিটি করপোরেশন আছে, তাদের সহায়তা নিতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের জরিমানাগুলো নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। গাড়ির ধোঁয়া নিয়ে বিআরটিএ আছে, যে সব গাড়ির ফিটনেস নাই তাদের বিরুদ্ধে তো আমরা ব্যবস্থা নিতে পারবো না। শব্দদূষণ বিষয়েও বিআরটিএ দেখে। আমরা শুধু পরিবেশের মানমাত্রা নির্ধারণ করি। তবে এটা কার্যকর করার দায়িত্ব শুধু আমাদের না সবার দায়িত্ব। ফ্রান্স জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলা এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাংলাদেশকে আর্থিক এবং কারিগরি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান সাবের হোসেন চৌধুরী। এ সময় ফরাসি দূতাবাস ঢাকার ফার্স্ট কাউন্সেলর এবং ডেপুটি হেড অব মিশন গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জুলিয়েন দেউর, বাংলাদেশে এএফডি কান্ট্রি ডিরেক্টরের ডেপুটি সিসিলিয়া কর্টেস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৮

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট উচ্ছেদ ও সরকারি ব্যয় কমাতে হবে (ভিডিও)
বাজারে বর্তমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে টাকাকে আরও মূল্যবান করতে নীতি সুদ হার ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।  তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতি কমাতে তেমন অবদান রাখবে না বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, বাজারে কার্যকরভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে একচেটিয়া বাজার ব্যবস্থা ও সিন্ডিকেট উচ্ছেদের পাশাপাশি সরকারি ব্যয় কমাতে হবে। নীতি সুদ হার মাত্র ২৫ পয়েন্ট বৃদ্ধি করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কি সম্ভব? এই প্রশ্নের জবাবে অর্থনীতিবিদ সায়েম আমীর ফয়সাল বলেন, আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার তারা কম করে হলেও ১০০ বেসিস পয়েন্ট প্রতিমাসে বৃদ্ধি করেছিল। এখন আপনি যদি প্রশ্ন করেন যে, বাংলাদেশের সঙ্গে আসলে ২৫ পয়েন্ট বাস্তবসম্মত হবে কি না? তাহলে আমি মনে করি তা গ্রহণযোগ্য কোনো পরিবর্তন আনবে না। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টাকার মান নিয়ন্ত্রয়ণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যতই পলিসি নিক; সরকারি ব্যয় কাটছাঁট আর সিন্ডিকেট নির্মূল করা না গেলে, তা কোনো কাজেই আসবে না। অর্থনীতিবিদ ড. আবু আহমেদ বলেন, সরকারি ব্যয় কাটছাঁট করতে হবে। বাজার ব্যবস্থাপনা যদি কিছু লোকের হাতে চলে যায় এবং তারা যদি সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব মুদ্রানীতি কোনো কাজে আসবে না। এদিকে আইএমএফের ক্রলিং পেগ নীতি মেনে ডলারের বিনিময় হার আরও বাজারভিত্তিক করার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্লেষকরা। আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত এবং মুদ্রানীতির কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যে স্বস্তির পাশাপাশি অর্থনীতিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ সায়েম আমীর ফয়সাল বলেন, যতোই আমরা পলিসি ঘোষণা করি না কেন, যদি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ না থাকে তাহলে আকাঙ্ক্ষার জায়গায় পৌঁছাতে পারব না।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৪

চলনবিল থেকে দখলদার উচ্ছেদ করা হবে : পলক
চলনবিল থেকে দখলদার উচ্ছেদ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক।  শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে সিংড়ায় নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সিংড়ার নদী-নালা, পুকুর, খাল-বিল কোনো অপশক্তি জবর দখল করে রাখতে পারবে না। খালে কোনো বাঁধ থাকবে না, নদীতে কোনো সুর্তি জাল থাকবে না। চলনবিলে আমরা ১৫০ কিলোমিটার খাল দখলমুক্ত করেছি। যদি এ খালে কেউ বাঁধা সৃষ্টি করে আমরা তাকে নির্মূল করবো। তিনি বলেন, চলনবিল থেকে দখলদার উচ্ছেদ করা হবে। কারো জমিতে কেউ অবৈধভাবে দখল করতে পারবে না। দলিল যার, জমি তার। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিংড়া থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। আমরা চলনবিল সিংড়ার শিক্ষিতদের মেধা ও যোগ্যতার মাপ কাঠিতে চাকরি নিশ্চিত করবো। আমার সিংড়ার অসহায় গরীব মানুষ যেন জমি বিক্রি করে, ধার করে টাকা দিয়ে ছেলের চাকরি নিতে কোনো পরিবারকে সর্বত্র হারাতে না হয় সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরির ব্যবস্থা করবো। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে বক্তব্যে রাখেন- সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওহিদুল রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়