• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
আসামি ধরতে গিয়ে ১০ পুলিশ সদস্য আহত
চট্টগ্রামে সোনা মানিক নামের এক দুর্ধর্ষ অপরাধীকে ধরতে গিয়ে হামলায় পুলিশের চার কর্মকর্তা ও ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ মার্চ) গভীর রাতে জেলার বাঁশখালীতে উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের মধুখালী হাজী আলী মিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিচয় পাওয়া আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বাঁশখালী থানার উপপরিদর্শক সুধাংশু শেখর হালদার, আহসান হাবিব, তোফাজ্জল হোসেন, নজরুল ইসলাম এবং কনস্টেবল মো. রুহুল। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর। জানা গেছে, থানায় ডাকাতিসহ নানা অপরাধে ১৮ মামলার আসামি সোনা মানিককে গ্রেপ্তারে তার বাড়িতে অভিযান চালায় চালায় পুলিশ। এ সময় মানিক বাহিনীর লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। তবে আহমদ কবির ওরফে সোনা মানিক নামে আলোচিত আসামিকে একটি বিদেশি বন্দুক এবং দুটি এলজি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ জানান, ভয়ংকর সন্ত্রাসী সোনা মানিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ ১৬টি মামলা রয়েছে। সে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বেরিয়ে এসে আবার অপকর্ম শুরু করে। তাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে চার কর্মকর্তাসহ পুলিশের ১০ সদস্য আহত হয়েছেন। মানিককে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়।  তিনি জানান, গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি বন্দুক, দুটি এলজি পিস্তল, রামদা ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে

ময়মনসিংহে ৩ পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা, আসামি ছিনতাই
ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের ৩ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।  রোববার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় ত্রিশালের ধানিখলা ইউনিয়নের শিমুলিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ কর্মকর্তারা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন এসআই ইসমাইল হোসেন (৩০), এএসআই গোলাম রসুল (৩৫) ও এএসআই রাকিব (৩৯)। তারা প্রত্যেকেই ত্রিশাল থানায় কর্মরত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিনি জানান, এএসআই রাকিবের পেটে কোপ লেগেছে। তিনি অপারেশন থিয়েটারে রয়েছেন। এ ছাড়া এসআই ইসমাইলের পিঠে ও এএসআই রসুলের কনুইয়ের ওপরে কোপানোর আঘাত রয়েছে। শুরুতে রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না। আহতদের বেডে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে রাকিবের অবস্থা কিছুটা গুরুতর। ত্রিশাল থানার ওসি (তদন্ত) চাঁদ মিয়া জানান, বেদেনা নামে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে ধরতে ধানিখলা ইউনিয়নের শিমুলিয়াপাড়া এলাকায় যান ওই পুলিশ কর্মকর্তারা। আসামিকে বাড়িতে পেয়ে গ্রেপ্তার করতে চাইলে তার ছেলে নাইম ও হারুন এলোপাতাড়ি তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে তার মাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে আসামি বেদেনাসহ অন্যরা পালিয়ে গেছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৯

রাজধানীতে বাসার ছাদে তরুণীকে ধর্ষণ, আসামি গ্রেপ্তার
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় ২২ বছর বয়সী এক তরুণীকে বাসার ছাদে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় পলাতক আসামি গালিফকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (অপস্ অফিসার) মো. মাহফুজুর রহমান। গ্রেপ্তার গালিফ খিলক্ষেত থানা এলাকার আহম্মদ মোক্তাদির আরিফ ওরফে সুমনের ছেলে। র‍্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী গত ২৩ ফেব্রুয়ারি খিলক্ষেত থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন তানভীর (২২), গালিফ (২২), মাহাদী (২২) ও মো. সানি (২১)। পরে মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর ভাটারা থানার কুড়িল চৌরাস্তার জান্নাতি আই অপটিকস দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি ধর্ষণের ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ঘটনার পর গ্রেপ্তার এড়াতে অভিযুক্ত আসামি রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা। এর আগে মামলার এজাহারে ভিকটিম অভিযোগ করেছিলেন, তিনি রাজধানীর উত্তরায় একটি শো-রুমে কাজ করেন। মার্কেটে কাজ করার সময় প্রায় ৬ মাস আগে তার সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হতো। ওই ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার জন্য আসামি সানি ভুক্তভোগী তরুণীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য ৩ নম্বর আসামি মাহাদী গত ২২ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণীকে খিলক্ষেত যেতে বলেন। মাহাদীর কথায় তরুণী খিলক্ষেত গেলে আসামিরা একটি বাড়ির পঞ্চম তলা ভবনের ছাদে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য জোর করে। এরই একপর্যায়ে প্রধান আসামি তানভীর ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৭

ছাত্রদলকর্মী নিহতের ঘটনায় ৭ আসামি আটক
কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা এলাকার লেগুনা স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে ছাত্রদলকর্মী জামিল হাসান অর্ণব নিহতের ঘটনায় মূলহোতা রাব্বিসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৭ মার্চ) জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্র ও ছাত্রদলকর্মী জামিল হাসান অর্ণব নিহত হয়। এ ঘটনায় তার মা ঝরনা বেগম ২৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত  ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই কুমিল্লার ভারত সীমান্তবর্তী পাঁচথুবী এবং নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘর্ষের সময়ে মূল অস্ত্রধারী ফজলে রাব্বি, মো. সুমন,  রাশেদ,  কাউছার, খলিলুর রহমান, রিয়াজ ও সোলেমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, সাত রাউন্ড গুলি, চারটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় তিন শ্যুটারের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করলেও একজন পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতেও অভিযান চলছে।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪১

গুইমারায় পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ ৩টি জিআর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে গুইমারা থানা পুলিশ। আটককৃত আসামি গুইমারা থানাধীন হাফছড়ি ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকার শৈলাথৈ মার্মার ছেলে মংশাপ্রু মার্মা।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ৩টার দিকে এসআই আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে আসামিকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুইমারা থানার ওসি আরিফুল আমিন। তিনি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ৩টি ওয়ারেন্ট দীর্ঘদিন মুলতবি ছিল। আসামি দুর্গম পাহাড়ে পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা কঠিন হয়ে যায়। অবশেষে আমাদের একটি চৌকস টিম আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৩

বাবা হত্যার আসামি সেই ছেলের প্রাণ গেল সড়কে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাবাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ছেলে নাঈম ফকির (২২) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে শুরুর অংশে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ভাঙ্গা পৌরসভার ছিলাধরচর মহল্লার কিবরিয়া ফকিরের ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাঈম বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। এ সময় সড়কের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহিল বাকী জানান, নিহত নাঈম ২০২২ সালে তার বাবা কিবরিয়া ফকিরকে খুন করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জামিনে বেরিয়ে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর সময় এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১১:১৮

সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামি গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর সেনবাগে পৃথক দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি মো. গিয়াস উদ্দিন ও স্নেহেন্দু বিকাশ রায়কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে সেনবাগ থানার ওয়ারেন্ট অফিসার এস আই উত্তম কুমার সরকার এ তথ্য জানান। আসামি মো. গিয়াস উদ্দিন উপজেলার কাবলিপুর ইউনিয়নের মইজদীপুর গ্রামের আবদুল হকের ছেলে ও স্নেহেন্দু বিকাশ রায় উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের জামালপুর দাস বাড়ির সুনিল রঞ্জন রায়ের ছেলে। উত্তম কুমার সরকার বলেন, ২০১৪ সালে নোয়াখালী জেলা ও যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক প্রতারণামূলক অর্থ আত্মসাতের একটি মামলায় স্নেহেন্দু বিকাশ রায়কে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। অপরদিকে ২০০১ সালে নোয়াখালী জেলা ও যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সড়ক দুর্ঘটনায় একটি মামলায় মো. গিয়াস উদ্দিনকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই মামলার রায়ের পর থেকেই আসামিরা পলাতক ছিলেন।  তিনি বলেন, নোয়াখালীর সেনবাগ থানার পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন স্নেহেন্দু বিকাশ রায় ও মো. গিয়াস উদ্দিন। পরে আসামিদের নিজ এলাকা থেকে পুলিশের পৃথক দুটি টিম তাদের গ্রেপ্তার করে।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৭

মাদক মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামি মো. ইব্রাহিমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে তাকে শহরের ভাদুঘর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইব্রাহিম ভাদুঘর গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ২০১১ সালে ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা ছিল। সেই মামলায় ২০১৪ সালে আদালত রায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডাদেশের পর থেকে ইব্রাহিম পলাতক ছিল। অবশেষে তাকে ভাদুঘর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিকেলেই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:০০

ছদ্মবেশে থাকা ৮৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ছদ্মবেশে থাকা ৮৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত মো. জসিম (৩০) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রোববার (৩ মার্চ) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। মো. জসিম (৩০) হাতিয়ার মাইজছড়া ইউনিয়নের মৃত হাশেম ভান্ডারির ছেলে।  বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ছদ্মবেশে থাকা গ্রেপ্তারকৃত আসামি জসিম পেশায় একজন জলদস্যু ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। নোয়াখালীর হাতিয়া, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ এবং ভোলা জেলার মনপুরায় জেলেদের অস্ত্রধারী বাহিনী দ্বারা অপহরণ করতেন। মুক্তিপণ না দিলে নির্যাতন করে মেরে ফেলতেন। জসিম জলদস্যু বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করতো না। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন তিনি। র‍্যাবের গোয়েন্দা চৌকস দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী এলাকায় একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে ৮৪ বছরের সাজা ও থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৭

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল
শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ আসামির জামিনের মেয়াদ বেড়েছে। তবে জামিনের মেয়াদ কতদিন বেড়েছে, সেটি এখনও উল্লেখ করা হয়নি। পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।  রোববার (৩ মার্চ) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।  এর আগে, সকালে পূর্বের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের হাজির হয়ে ফের জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূস। জামিন নিতে আসেন গ্রামীণ টেলিকমের আরও তিন কর্মকর্তা। এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করার আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা কর জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী যেটা দেওয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। এর আগে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে ২০১১ থেকে ১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল দায়েরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আপিল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অপর তিন কর্মকর্তা। সেই আবেদন খারিজ করে রায় দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা পলি জানান, ২০২০ সালের নভেম্বরে ২০১১ থেকে ২০১৩ দুই বছরের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টকে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এরপর এনবিআরের কাছে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্ট অর্থ নেই বলে মওকুফ চান। কিন্তু তখন তাদের একটি অ্যাকাউন্টে প্রায় সাড়ে তিন শ থেকে প্রায় চার শ কোটি টাকার মতো ছিল। ফলে এনবিআর অর্থ চেয়ে নোটিশ করে। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। সেটির শুনানি শেষে গ্রামীণ টেলিকমের রিট খারিজ করেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ম অনুযায়ী দাবি করা আয়করের ২৫ শতাংশ টাকা আগে জমা দিয়ে এরপর এনবিআরেরব বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে আদেশ দেওয়া হয়।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়