• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যুক্তরাষ্ট্রে আসামি ধরতে গিয়ে বন্দুক হামলায় ৪ পুলিশ নিহত
যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায়ে এক আসামিকে আটক করতে গিয়ে বন্দুক হামলায় চার পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের শার্লট শহরে বন্দুক হামলা ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের শার্লটে ওয়ারেন্ট বাস্তবায়নের সময় চারজন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় অন্য আরও ৪ জন আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত একজন সন্দেহভাজন হামলাকারীকে ব্যারিকেড দেওয়া বাড়ির সামনে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। গোলাগুলি ও বন্দুক হামলার এই ঘটনা প্রায় তিন ঘণ্টা স্থায়ী ছিল। হামলায় দুই বন্দুকধারী জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আহত অফিসাররা ইউএস মার্শাল সার্ভিসের নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্সের অংশ। বিবিসি বলছে, শার্লটের শহরতলীর রাস্তায় যখন বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয় তখন এসব পুলিশ কর্মকর্তা আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায়ে এক অপরাধীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিলেন। শার্লট-মেকলেনবার্গ পুলিশ প্রধান জনি জেনিংস একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কর্মকর্তাদের দিকে গুলি ছোড়া হলেও তারাও পাল্টা গুলি চালায়। সে সময় বাড়ির ভেতরে থেকে তাদের ওপর অনবরত গুলি ছোড়া হয়। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আজ আমরা আমাদের কয়েকজন বীরকে হারালাম যারা আমাদের সম্প্রদায়কে নিরাপদে রাখতে কাজ করে যাচ্ছিলেন। তিনি আরও বলেন, গত ৩০ বছরে এমন ভয়াবহ হামলা তিনি আর দেখেননি। সোমবার শহরের পূর্বের একটি আবাসিক এলাকায় হামলা শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টারও বেশি সময় পরও গোলাগুলি চলছিল। পরে গালওয়ে ড্রাইভে পুলিশ বাড়িতে হামলা চালালে ঘটনাটি শেষ হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে বাড়ির ভেতরে থাকা আরও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।     
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩০

হাতকড়া খুলে পালাল হত্যা মামলার আসামি
শরীয়তপুর জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সামনে থেকে হত্যা মামলার এক আসামি পালিয়েছেন।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের সামনে থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাতকড়া খুলে পালিয়ে যান ওই আসামি। রাত ৯টা পর্যন্ত ওই আসামির খোঁজ মেলেনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুর পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম। পালিয়ে যাওয়া ওই আসামি হলেন শরীয়তপুর সদর উপজেলার পূর্ব কোটাপাড়া এলাকার মিয়া চান ফকিরের ছেলে বাবু ফকির (২৫)। দুপুরে সদরের পালং মডেল থানার হাজত খানা থেকে তাকে আদালতে নেয় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় হত্যা মামলা রয়েছে। আদালত সূত্র জানায়, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ধার্য তারিখে হাজিরা দিতে প্রিজন ভ্যানে করে পালং মডেল থানা থেকে অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে শরীয়তপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের সামনে আনা হয় বাবু ফকিরকে। আসামিকে বুঝে নেয় কোর্ট পুলিশ। এরপর এজলাসের সামনে পুলিশের সদস্যরা আসামি বাবু ফকিরকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কৌশলে হাতকড়া খুলে পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যান তিনি। দুপুর থেকে আদালত চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরকীয়ার জেরে গত বুধবার রাতে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে প্রেমিক মামুন চৌকিদার তার দুই সহযোগীর হাতে তুলে দেন নড়িয়া উপজেলা জপসা গ্রামের মোহাম্মদ আলী মাদবরের স্ত্রী মুন্নী বেগমকে। পরেরদিন বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ আলী মরদেহ সদর উপজেলার সুজনদোয়াল এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার নিহতর ভাই কেরামত মাদবর পালং মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার আসামি বাবু ফকির।  শরীয়তপুর পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, আসামি পালিয়ে গেছে এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন। ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে জেলা পুলিশের টিম কাজ করছে।  
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৫

টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার অন্যতম আসামি দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ দেলুকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী পাহাড়ি এলাকার মুরার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী এলাকার বাসিন্দা মৃত আলী হোসেন প্রকাশ পেটুর ছেলে। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দেলোয়ার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ১০ জন কৃষককে অপহরণ মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।  তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন অপহরণের সঙ্গে সরাসরি নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। আসামি বিভিন্ন অপহরণের সঙ্গে তার জড়িত থেকে লোমহর্ষক বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা দেয়। আসামির বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণসহ আরও ৪টি মামলা রয়েছে। আসামিকে আইনি কার্যক্রম শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৫

শাহজাদপুরে এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা : প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
রাজধানীর শাহজাদপুরে মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্মরত হাসান মাহমুদ (৫৫) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের গুলশান বিভাগ।  গ্রেপ্তারের সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, এটিএম বুথ ভাঙার কাজে ব্যবহৃত হাতুড়ি, ছেনি ও সাবলসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে আসামির নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ।  বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়েন্দা প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি জানান, সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। উল্লেখ্য, ঈদুল ফিতরের আগের দিন (১০ এপ্রিল) ভোরে শাহজাদপুরের মাইশা চৌধুরী টাওয়ারের নিচতলায় মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে নিরাপত্তাকর্মী হাসান মাহমুদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৯

সেনবাগে কলেজছাত্র শাওন হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর সেনবাগে সেবারহাট বাজারের আলোচিত কলেজছাত্র শাওন হত্যা মামলার ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  শনিবার রাতে সেনবাগের সীমান্তবর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার জমিদারহাট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব মনোয়ারা জেনারেল হাসপাতালের কাছ থেকে আসামি শামীমকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া আসামি সাকায়েত আল নওশদ ও এয়াছিন আরাফাতকে সিলেট থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন। তিন বলেন, শামীমকে র‌্যাব-১১ গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে। অপর দু’জন আসামি সাকায়েত আল নওশদ ও এয়াছিন আরাফাতকে রাতে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  উল্লেখ্য, ১৭ এপ্রিল বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে সেনবাগ উপজেলার সেবারহাট বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাত শাওনকে হত্যা করা হয়। 
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩২

১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২২ বছর পর গ্রেপ্তার
ফেনীতে অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মনিরুল আলম মিনার (৪৩) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৭। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর পর পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাকে ফেনী শহরের মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মনিরুল আলম মিনার ফেনী শহরের পূর্ব উকিলপাড়া এলাকার দিদারুল আলমের ছেলে। র‍্যাব এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাত ১০টার দিকে মাস্টারপাড়ায় অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি মিনারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ফেনী মডেল থানায় দায়েরকৃত একটি অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০০২ সাল থেকে পলাতক ছিলেন। ফেনী র‍্যাব-৭-এর অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, ১৭ বছরের সাজা ও ১০ হাজার টাকার দণ্ড এড়াতে মিনার দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে নিজের নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে পালিয়ে ছিলেন। গতকাল রাতে শহরের মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আজ বুধবার ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, র‍্যাবের কাছে গ্রেপ্তার মনিরুল অস্ত্র মামলায় আজ দুপুরে মিনারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৯

পুলিশের ঘুষিতে আসামি নিহত
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে গেলে পুলিশের কিল-ঘুষিতে রমিজ মিয়া (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বুরুঙ্গাছড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন খন্দকার লিটন জানান, তাহিরপুর থানার এএসআই জিয়া উদ্দিন বুরুঙ্গাছড়া গ্রামে পরোয়ানাভুক্ত আসামি রমিজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় রমিজ পালানোর চেষ্টা করলে তাকে কিল-ঘুষি মারে পুলিশ। একপর্যায়ে তাকে নারিকেলের ডাগুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তাৎক্ষণিক নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান রমিজ।  এ সময় নিহতের পরিবারের লোকজন পুলিশকে বলে, আপনাদের মানুষ, আপনারা নিয়ে যান। পরে এএসআই জিয়া উদ্দিন মরদেহ ফেলেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার এএসআই জিয়া উদ্দিন বলেন, আসামি ধরতে গেলে ঘটনাস্থল থেকে রমিজ মিয়া পালিয়ে যায়। এরপর আমি থানায় চলে আসি।  তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজিম উদ্দিন বলেন, রমিজ মিয়ার নামে তাহিরপুর থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে। তার মৃত্যুর বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০২

বরিশাল মেডিকেলে প্রিজন সেলে আসামির হাতে আসামি খুন
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে হত্যা মামলার এক আসামির হাতে আরেক আসামি খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরে হাসপাতালের নিচতলার প্রিজন সেলে দু’আসামিকে বেধড়ক পেটান ওই আসামি। পরে আহতদের চতুর্থ তলার সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।  সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুর ১টায় এক আসামির মৃত্যু হয়। নিহত আসামির নাম মো. মোতাহার (৬০)। নিহত মো. মোতাহার বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজউদ্দিনের ছেলে।  তিনি বরগুনার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। জানা যায়, আহত অপর আসামি অজিত মন্ডল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। অজিত একটি চুরি মামলার আসামি। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর গ্রামের গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে। হামলাকারী তরিকুল ইসলাম (২৫) পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে। তিনি পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল নগরের কোতয়ালি মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক। তিনি বলেন, হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন মানসিক রোগী আসামি তরিকুল অপর ২ আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছেন। এতে দুজন আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ডেপুটি জেলার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রিজন সেলে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে আজ কিছু বলতে পারবো না। এ দিকে হাসপাতাল প্রশাসন বলছে, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই রোগীকে নিয়মানুযায়ী হাসপাতালের মানসিক ওয়ার্ডে রাখার কথা। আর সেখানে রাখলে এমনটা হতো না। কিন্তু সেখানে না রেখে সুস্থ মানুষের মধ্যে এভাবে রাখাটা আদৌ উচিত হয়নি কারা কর্তৃপক্ষের। রাখলেও সেভাবে ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল। এ ব্যাপারে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, কী ঘটনা ঘটেছে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ করে বলতে পারবো।  দায়িত্বরতদের অবহেলার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৭

থানায় ঢুকে পুলিশকে মারপিট, আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা 
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ভেতরে ঢুকে পুলিশ সদস্যদের মারপিট করে মাদকসহ একাধিক মামলার আসামিকে ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে শাজাহানপুর থানায় এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। আরও একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সাইদুর রহমান, আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী সাদ্দাম রবীন, রমজান আলী, বোরহান উদ্দিন, মিরাজুল রহমান, আমিনুল ইসলাম ও মিঠুন মিঞা।  এ সময় ৩৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, জমি দখল, সরকারি কাজে বাধা, মাদক আইনে অন্তত ৮-১০টি মামলা রয়েছে। এর আগে সরকারি টেন্ডার চুরির ঘটনায় মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বরখাস্ত হয়েছিলেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাজাহানপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।   ওসি শহিদুল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ৯টায় আড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মদ্যপ অবস্থায় মাদক, ২টি বার্মিজ চাকুসহ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিঠুনের নামে হত্যা, মাদকসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে থানায় প্রবেশ করে আসামি মিঠুন মিয়াকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমাকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও নুরুজ্জামানের লোকজন অন্য পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে পালিয়ে যায়। মারপিটে অন্তত পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।  ওসি বলেন, আহতদের মধ্যে এসআই আনিছুর রহমান, কনস্টেবল ইসমাইল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, রুহুল আমিন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পরে নুরুজ্জামানসহ আরও লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণ করতে মাঝিড়ায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় জেলা পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবির সদস্যরা নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেন। ওসি আরও বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় থানায় প্রবেশের পর পুলিশকে আহত করে আসামি ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। আরও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩৭

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
যশোরের ঝিকরগাছার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও মাদকব্যবসায়ী আব্দুল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতে শার্শার দৌলতপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মাদক মামলায় সাজা হওয়ার পর থেকে আব্দুল করিম বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর গ্রামের বাসিন্দা। র‌্যাব জানায়, করিম চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ২০১০ সালের ২২ জুন ঝালকাঠি জেলা থেকে তিনি বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ আটক হন। এ ঘটনায় মামলার পর তার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। সবশেষ আব্দুল করিমকে আদালত যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ সময় তিনি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। র‌্যাব আরও জানায়, তাদের কাছে খবর আসে বেনাপোলের দৌলতপুরে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। সেই সূত্র ধরেই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়