• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
আসছে আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত গান ‘ইনবক্সে’
বাংলা সঙ্গীতভুবনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম আইয়ুব বাচ্চু। গিটারের জাদুকরও বলা হয় এই কিংবদন্তিকে। ২০১৮ সালে হুট করে সবাইকে ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান তিনি। গেল বছর প্রয়াত রক লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত গান প্রকাশ ও তাকে ট্রিবিউট করে কনসার্টসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়ে এশিয়াটিকের সঙ্গে চুক্তি হয় আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশনের। সেই চুক্তি অনুযায়ী আসন্ন রোজার ঈদে প্রকাশ পাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত গান ‘ইনবক্সে’। ‘ইনবক্সে ঝিমায় বসে, বোকা শব্দের দল/ফেসবুকে লুটোপুটি খায়/সস্তা চোখের জল’ কথায় গানটি লিখেছেন নিয়াজ আহমেদ অংশু। সুর-সংগীত করেছেন আইয়ুব বাচ্চু নিজেই। সম্প্রতি গানটির ভিডিও নির্মাণ করছে কোলাহল কমিউনিকেশন। গীতিকার নিয়াজ আহমেদ অংশু বলেন, আমাদের কাছে বাচ্চু ভাইয়ের একাধিক অপ্রকাশিত গান রয়েছে। এলআরবির গিটারিস্ট মাসুদ গানগুলো খুব যত্ন করে রেখেছেন। সেখান থেকেই গানগুলো ধারাবাহিকভাবে মুক্তি দেয়া হবে। এলআরবি’র গিটারিস্ট আবদুল্লাহ মাসুদ বলেন, বসের একাধিক গান রয়েছে এবি কিচেনের হার্ডডিস্কে; যার রেকর্ড ধারণ থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণ আমিই করতাম। বস একটি অ্যালবাম করলে অনেকগুলো গান রেকর্ড করতেন। এরপর সেখান থেকে বাছাই করে অ্যালবামে প্রকাশ করতেন। বাকি গানগুলো রয়ে যেত। সেই অপ্রকাশিত গানগুলো নিয়েই কাজ করছে এবি ফাউন্ডেশন।  
১২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪২

ঈদেই আসছে রাজের ‘কাজলরেখা’
‘মনপুরা’ সিনেমা মুক্তির পরে ২০০৯ সাল থেকে ‘কাজলরেখা’ নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। দীর্ঘ ১২ বছরের গবেষণা শেষে ২০২২ সালে এসে সিনেমাটির শুটিংয়ে নামেন। আসন্ন ঈদে ‘কাজলরেখা’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে শনিবার (৯ মার্চ) রাতে রাজধানীর বনানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ‘কাজলরেখা’র শিল্পী কলাকুশলীদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নির্মাতা। সেখানে জানানো হয়, বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, আমেরিকা, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াতে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হবে। প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো প্রেক্ষাপটে ময়মনসিংহের গীতিকার একমাত্র রূপকথা অবলম্বনে ‘কাজল রেখা’ তৈরি করেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম। এর আগে চারটি সিনেমা মুক্তি পেলেও নির্মাতা জানান, তার পঞ্চম সিনেমা ‘কাজলরেখা’ হচ্ছে সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। ১৬ শতকের গল্পে কাজলরেখা নির্মাণ করা থেকে শিল্পী নির্বাচন ও কারিগরি দিকসহ প্রতিটি সেক্টরকে সঠিকভাবে সমন্বয় করাটাই আসল চ্যালেঞ্জ ছিল বলে মনে করেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তিনি বলেন, প্রতিটি সেক্টরকে এক সুতোয় একটি মালা হিসেবে গাথতে হয়েছে। ধাপে ধাপে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে উতরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, তৎকালীন আপামর মানুষের যে বিনোদন ছিল সেটি এখনো প্রাসঙ্গিক। এ কারণে আমি মনে করি সিনেমাটি দর্শক দেখবে। ঈদে অনেকগুলো সিনেমা মুক্তি পাবে। ভালো কাজের প্রতিযোগিতা থাকাটা ইতিবাচক দিক। আর যে সিনেমার দম থাকবে সেই সিনেমা মানুষ দেখবে। তিনি আরও বলেন, বড় আয়োজন কাজলরেখা মুক্তির উপযুক্ত সময় হচ্ছে উৎসব। ঈদ ও বৈশাখ একসঙ্গে আমরা পাচ্ছি। এ কারণে আমার কাছে মনে হয়েছে এই সময় সিনেমাটি মুক্তি দেয়া উচিত। সিনেমা নির্মাণ থেকে মুক্তি দেয়া সবকিছুই আমাদের এখানে চ্যালেঞ্জ। তাই আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছি, দেখা যাক ফলাফল কি আসে। ২০ এর অধিক গান নিয়ে নির্মিত এ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে শরিফুল রাজ, মন্দিরা চক্রবর্তী, সাদিয়া আয়মান প্রত্যেকেই দর্শকদের ঈদে ভিন্ন ধাঁচের ‘কাজলরেখা’ দেখার আমন্ত্রণ জানান।  দুই বছর ধরে ৫০ দিনে নেত্রকোণার দুর্গাপুর, খুলনা সুন্দরবন, কক্সবাজার, সিলেটের হাওড় ও রাজধানীর মিরপুরে ‘কাজলরেখা’র শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। নবীন প্রবীণ মিলিয়ে শতাধিক কলাকুশলী এতে যুক্ত আছেন। সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এর শিল্পী শরিফুল রাজ, মন্দিরা চক্রবর্তী, ইরেশ যাকের, সাদিয়া আয়মান, আবুল কামাল আজাদ প্রমুখ। সিনেমাতেও আরও অভিনয় করেছেন মিথিলা, খায়রুল বাশার, শাহানা সুমি, সুজয়।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৩

যে কারণে আবারও পর্দায় আসছে ‘পরাণ’
দেশের জনপ্রিয় তিন অভিনয়শিল্পী শরিফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম ও ইয়াশ রোহান। রায়হান রাফী নির্মিত ‘পরাণ’ সিনেমায় অভিনয় করে রীতিমতো নজর কেড়েছিলেন তারা। ২০২২ সালের ঈদুল আযহায় মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি।  ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেছে এক বছরেরও বেশি সময়। তবে লম্বা এই বিরতির পর ফের পর্দায় আসছে ‘পরাণ’। শুধু বাংলাদেশ নয়, মুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপেও সাফল্য পেয়েছিল সিনেমাটি।      শুক্রবার (৮ মার্চ) থেকে সিনেমাটি স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত হবে ‘পরাণ’। বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ আহমেদ।  এ প্রসঙ্গে দেশের এক গণমাধ্যমে মেজবাহ আহমেদ বলেন, শুক্রবার থেকে সিনেমাটি এক সপ্তাহের জন্য সিনেপ্লেক্সের তিন শাখায় ১০টি শো চলবে। দর্শক চাহিদা থাকলে শো আরও বাড়ানো হবে। তিনি আরও বলেন, এই সিনেমাটি চালানোর কারণ মানসম্মত নতুন বাংলা সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে না। তাছাড়া ওটিটিতেও পরাণ মুক্তি পায়নি। মূলত এ কারণেী পুনোরায় সিনেমাটি প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।    প্রসঙ্গত, শরিফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম ও ইয়াশ রোহান ছাড়া ‘পরাণ’ সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেনে— রাশেদ মামুন, নাসির উদ্দিন, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজি সিদ্দিকীসহ অনেকেই।    
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৩:১১

আসছে তাপপ্রবাহ, কালবৈশাখীর আশঙ্কা
ফাল্গুনের ২৩ তারিখ আজ। প্রকৃতিতে কড়া নাড়ছে তপ্ত চৈত্র মাস। এখনই টের পাওয়া যাচ্ছে গরমের প্রভাব। সকালের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই গরমের অনুভূতিও বাড়তে থাকে। যদিও আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়েই থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে, মার্চের মাঝামাঝি সময়ে বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা। আর শেষদিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে একাধিক মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। সেইসঙ্গে মাসের যেকোনোও দিন হানা দিতে পারে তীব্র কালবৈশাখী ঝড়।  সম্প্রতি আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। মার্চ মাসের পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, এ মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হবে। ২ থেকে ৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।   পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মার্চের শেষের দিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে ১ থেকে ২টি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি থাকতে পারে। এছাড়া, আগামীকাল শুক্রবার (৮ মার্চ) সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে, শনিবার সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৩

ভোজ্যতেলের বাজারে আসছে সুবাতাস
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকায় বিক্রি হবে। আগামীকাল রোববার (৩ মার্চ) থেকে এ মূল্য কার্যকর হবে। আমাদের টার্গেট শুধু রমজান নয়, রমজান মাসের পরও নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কোনো ব্যবসায়ী বা গোষ্ঠীর হাতে সাধারণ মানুষ জিম্মি থাকবে না। শনিবার (২ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে ‘অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাসরুট উইম্যান অন্ট্রাপ্রেনারস বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আহসানুল ইসলাম টিটু। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল শুক্রবার থেকে ভোজ্যতেলের মনিটরিং শুরু হয়েছে। সকল মিল গেটে টিমগুলো মনিটরিং-এ আছে আজ। ট্যারিফ কমানোর পরে কত মাল তারা ইমপোর্ট করেছে এবং তাদেরকে বাফারস্টোক তৈরির জন্য যে সময় দেওয়া হয়ে তা কতটা কাজে লাগিয়েছে সে বিষয়ে ইতোমধ্যে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি আগামীকাল থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকায় বিক্রি হবে। আর প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৪৯ টাকায়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজান ও রমজান মাসের বাইরেও নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।  ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী আমাদের পেঁয়াজ ছাড় করণের আশ্বাস দিয়েছেন দাবি করে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, একইসঙ্গে তিনি সেখানে বসেই পেঁয়াজ ছাড়ের নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা গতকাল সে চিঠি পেয়েছি। দেশটি থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এ সপ্তাহের মধ্যে আসা শুরু হবে। রমজানে যেন ভোক্তাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে না হয় সেই কাজ করছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেলে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর চিঠি দিয়েছি যার প্রভাব রমজানে পড়বে। খেজুর প্রায় ১০ প্রকার রয়েছে। নরমাল খেজুর রয়েছে ব্যবসায়ীদের একমাস সময় দিয়েছি দাম কমানোর। বস্তায় আসা জায়েদি খেজুর আগামীকাল দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। আশা করছি এরপর দাম কমে আসবে অর্থাৎ এ সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ খুচরা ও পাইকারি মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হবে, এতে দাম কমে আসবে বলে জানান তিনি। আমরা ব্যবসায়ীদের সমস্যা নিরসন করে দেব কিন্তু কোনো অজুহাত শুনব না সাফ জানিয়ে দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যৌক্তিক কারণ ছাড়া রমজানে কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেরিতে ছাড়ার সুযোগ নেই।  এবারও টিসিবির এক কোটি মানুষ তেল-চিনিসহ কয়েকটি নিত্যপণ্য ভর্তুকি মূল্যে পাবেন।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৩

ভারত থে‌কে পেঁয়াজ আসছে চল‌তি সপ্তাহেই
চল‌তি সপ্তাহেই ভারত থে‌কে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসা শুরু হ‌চ্ছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।  শ‌নিবার (২ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাসরুট উইম্যান অন্ট্রাপ্রেনারস বাংলাদেশ (এ‌জিউ‌ব্লিউই‌বি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠা‌ন শে‌ষে সাংবা‌দিক‌দের মু‌খোমু‌খি হ‌য়ে এ তথ‌্য জান‌ান তিনি।  সম্প্রতি আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে ভার‌তের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের স‌ঙ্গে বৈঠক ক‌রে‌ছেন প্রতিমন্ত্রী। ওই বৈঠ‌কের প্রসঙ্গ তু‌লে ধ‌রে তিনি বলেন, ডব্লিউটিওতে ভার‌তের বা‌ণিজ‌্যমন্ত্রীর স‌ঙ্গে একটা বৈঠক ছিল। সেখা‌নে বসে তিনি (পীযুষ গয়াল) চি‌ঠি ইস‌্যু করার নি‌র্দেশ দি‌য়ে‌ছেন। চি‌ঠি ইস‌্যু হ‌য়ে গেছে। আমা‌দের হা‌তে চি‌ঠির ক‌পি এসে গে‌ছে। গতকাল‌ আমরা চি‌ঠি পে‌য়ে‌ছি। আহসানুল ইসলাম টিটু ব‌লেন, এ সপ্তাহেই ভারত থে‌কে ৫০ হাজার মে‌ট্রিক টন পেঁয়াজ আসা শুরু হ‌বে। রমজা‌নের আগে যেন ভোক্তাদের বে‌শি দামে নিত‌্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিন‌তে না হয়, সেটাই আমা‌দের লক্ষ্য। গত ৭ থে‌কে ৯ ফেব্রুয়া‌রি দি‌ল্লি সফরে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ওই সফ‌রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভার‌তের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের স‌ঙ্গে বৈঠক ক‌রেন তিনি। সেই বৈঠ‌কেও ভারত‌ থেকে রমজানের আগে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এবং এক লাখ টন চিনি আমদানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।   
০২ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৯

১২ বছর পর ঈদে আসছে জায়েদ খানের সিনেমা
ঢাকাই সিনেমার এ প্রজন্মের চিত্রনায়ক জায়েদ খান। সিনেমার চেয়ে বিতর্কিত কাজেই বেশি আলোচনায় থাকেন তিনি। মাঝে মধ্যেই ডিগাবাজি কিংবা বিতর্কিত মন্তব্য  করায় খবরের শিরোনামে উঠে আসে তার নাম।  তবে দীর্ঘদিন ধরেই তার নতুন সিনেমা দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন জায়েদের ভক্তরা। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে তাদের। প্রায় এক যুগ পর আগামী ঈদে আসছে জায়েদের নতুন সিনেমা ‘সোনার চর’।  ঈদে ‘সোনার চর’ মুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন সিনেমাটির প্রযোজক জাহাঙ্গীর সিকদার। চলচ্চিত্রে নির্মাণ করেছেন জাহিদ হোসেন। সিনেমায় একজন মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেছেন জায়েদ।  মূলত মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে ‘সোনার চর’। সিনেমা গল্পে দেখানো হয়েছে— ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফিরে আসার সময়ের কথা।  সিনেমা প্রসঙ্গে জায়েদ বলেন, আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে শ্রম দেওয়া সিনেমা ‘সোনার চর’। মাসের পর মাস চুল না কাটা, শীতে নদীতে সাঁতরে শুটিং করাসহ এই সিনেমার জন্য কত শ্রম দিয়েছি সেটা দর্শক বুঝতে পারবেন।    চিত্রনায়ক আরও বলেন, আমার ক্যারিয়ারে প্রথম ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ ঈদে মুক্তি পেয়েছিল। এ কারণে ঈদে সিনেমা মুক্তির ব্যাপারে আমার মধ্যে একটা থ্রিল তো কাজ করছেই। আমাদের দেশের দর্শক এখন ঈদে বেশি হলমুখী হন। সেই হিসেবে ঈদে ‘সোনার চর’ মুক্তি পেলে অনেক বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, ‘সোনার চর’ সিনেমায় জায়েদ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন, মৌসুমী-ওমর সানী। এছাড়া এক্সেল ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত এই সিনেমায় আরও রয়েছেন— শহীদুজ্জামান সেলিম, শবনম পারভীন, আবুল হোসেন মজুমদার, শাওন আশরাফ, পাপিয়া মাহি প্রমুখ।      
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৩

আকার বাড়ছে মন্ত্রিসভার, আসছে নতুন মুখ
শিগগিরই দ্বাদশ সংসদের মন্ত্রিসভার আকার বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। এতে বর্তমান মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন ৭-৮ জন নতুন মুখ। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কয়েকজন ত্যাগী নেতা ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের মূল্যায়ন করা হতে পারে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। এরপর টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে দলটি। শপথ নেন প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার ৩৭ সদস্য। এর মধ্যে ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। গত সংসদে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছিলেন ৪৭ জন। গতবারের ১৪ মন্ত্রী, নয়জন প্রতিমন্ত্রী ও দুজন উপমন্ত্রী এবারের মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি। দলটির সূত্র জানায়, সরকারের কাজের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় মন্ত্রিসভার আকার বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। যদিও কবে নাগাদ মন্ত্রিসভার আকার বাড়তে পারে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে খুব শিগগিরই মন্ত্রিসভার এই সম্প্রসারণ হতে পারে। এই বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগও প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানা গেছে। বর্ধিত মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগের ত্যাগী, জনপ্রিয় ও তরুণ সংসদ সদস্যরা স্থান পেতে পারেন।  এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী আসন থেকে টেকনোক্র্যাট কোটায় কেউ মন্ত্রীও হতে পারেন—এমন গুঞ্জনও চলছে। দ্বাদশ সংসদে ৪৮ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য মনোনয়ন দিয়েছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি মনোনয়ন দিয়েছে। সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। বুধবার বিকেলে শপথ নিলেই তারা সংসদে যোগ দিতে পারবেন। এদিকে এখন পর্যন্ত দুটি মন্ত্রণালয়ে কোনো মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে দুজন নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা আলোচনায় আছে। আগের মন্ত্রিসভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ছিলেন মন্নুজান সুফিয়ান। তাকে এবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে এমন আলোচনা চলছে। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত একজন সদস্যকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী করা হতে পারে। পাশাপাশি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়েও একজন প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রীর পদটি উত্তরবঙ্গের কেউ পেতে পারেন।পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ ক্ষেত্রে যশোর এবং কিশোরগঞ্জের দুজন সংসদ সদস্যের বিষয়ে আলোচনা আছে। একই সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও একজন প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রী কিংবা বিভাগ ভাগ করে আরেকজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়টি আলোচনায় আছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, দ্বিতীয় দফায় সংরক্ষিত নারী আসন মন্ত্রিসভার সদস্য হতে পারেন। এ ছাড়া ১৪ দলীয় জোট থেকেও মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। মন্ত্রিসভার আকার বাড়ানোর বিষয়ে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়—এগুলোয় কোনো না কোনো সময় মন্ত্রী আসবেন। সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের পর নির্বাচিত নারীদের মধ্য থেকে মন্ত্রী হতে পারেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০২

সাবধান চোর ভাই, বাজারে আসছে ‘গণধোলাই’
বাজার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীও বিরক্ত। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। না করে উপায় কী? প্রতিদিন পত্রপত্রিকায় বাজারের যেসব অদ্ভুত চিত্র আসছে, তাতে কারোরই প্রতিক্রিয়াহীন থাকার সুযোগ নেই। আর তিনি তো প্রধানমন্ত্রী। দেশের অভিভাবক। তিনি নিশ্চয়ই জানেন, দেশের প্রতিটি মানুষ বাজার চিত্র বোঝে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে। কারণ, সরকার দাম ঘোষণা করে দিচ্ছে কোন পণ্যের। কিন্তু বাজারে গিয়ে সেই দামের সঙ্গে পণ্যেরে দামের কোন মিল পায় না মানুষ। বিক্রেতার কাছে ক্রেতা হয়তো বলেছে সরকারি দামের কথা। কিন্তু আমি নিজে বিক্রেতাকে বলতে শুনেছি সরকারের কাছে গিয়ে কেনেন প্রতিদিন বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার বচসা কখনও কখনও হাতাহাতি পর্যন্ত গড়াচ্ছে। এই তথ্য নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীর অজানা নয়।  আমি দু-একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেন বেশি দামে কিনতে হয়। বেশি দামে বিক্রি না করে উপায় কী? সব পণ্যের দামেরই একই অবস্থা। ভোজ্য তেল থেকে শুরু করে মাংস পর্যন্ত। অথচ সরকার বলছে, প্রতিটি পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্স আছে। যদিও অতীতেও সবসময় এসব ছিল। কিন্ত বাজারের স্বেচ্ছাচার যায়নি। তাই কোন সন্দেহ নেই আমাদের সবচেয়ে বড় অস্বস্তির নাম বাজার। খোদ প্রধানমন্ত্রীই এই অস্বস্তির উদাহরণ দেন। বলেন, ‘একবার পেঁয়াজের খুব অভাব দেখা দিল। পরে দেখা গেলো, বস্তার পর বস্তা পচা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দেয়া হচ্ছে। এদের কী করা উচিত, আপনারাই বলুন। তাদের গণধোলাই দেওয়া উচিত। পণ্য লুকিয়ে রেখে পঁচিয়ে ফেলে দেবে, আরেক দিক দিয়ে দাম বাড়াবে।’ তিনি নিশ্চয়ই এও জানেন জানেন যে, বাজারে কোন পণ্যের দাম সরকার যদি কমায়, বাজারে এর প্রভাব পড়তে সময় লাগে অন্তত তিন মাস। আর দাম বাড়ার সময় সরকারের ঘোষণা আসার আগেই দাম বেড়ে যায়। এর জন্যে খুচরা বিক্রেতা দোষ দেন পাইকারি বিক্রেতাকে, আর পাইকারি বিক্রেতা দোষ দেন খুচরা বিক্রেতাকে। আর ক্রেতা দোষ দেন সরকারের। বাজার থেকে বাসায় ফেরেন শাপ-শাপন্ত করতে করতে। আসলে দোষ কার? কৃষক কী অস্বাভাবিক বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে পারেন? খোঁজ নিলে দেখা যাবে, আসলে কৃষকের পণ্য মজুদ করে করে রাখার সুযোগ নেই। কারণ তার ওপর বীজ, সার, পানি বিক্রেতার চাপ থাকে। তিনি ফসল ঘরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। কোন কোন কৃষকের ফসল ক্ষেতে থাকতেই কিনে নেয় ফড়িয়া। আসলে মজুদটা হয় ফড়িয়ার ঘরে। বাজার কারসাজি করলে ফড়িয়া করে। মোদ্দা কথা বাজার থেকে পণ্যের উৎপাদকও স্বস্তি পান না, ক্রেতাও স্বস্তি পান না।  উৎপাদক এবং ভোক্তার অস্বস্তির বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে পরিস্কার। তিনি বললেন, “দরকার দাম বাড়ালে ভোক্তার ক্ষতি আর দাম কমালে কৃষকের ক্ষতি” আসলে বাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সরকারের হাতে থাকলে কারোরই ক্ষতি নয়। কারণ আমজনতার সবাই ক্রেতা অথবা বিক্রেতা। মাছ ব্যবসায়ী মাছ বিক্রি করে সবজির ওয়ালার কাছে যান। সবজি ব্যবসায়ী যান একটু আগে তার দোকান থেকে ঘুরে যাওয়া চাল ব্যবসায়ীর কাছে। সমস্যাটা করে তারা যাদের আম জনতার কাছে যাওয়ার দরকার নেই। অর্থাৎ যে শ্রেণি উৎপাদকও নয় আবার প্রকৃত ভোক্তাও নয়। কেউ কেউ তাদের বলে মধ্যস্বত্বভোগী।  আমার হিসাবে এদের শুধু মধ্যস্বত্বভোগী বললে দোষী সবাইকে চিহ্নিত করা হবে না। কারণ আমাদের বাজার ব্যবস্থায় মধ্যস্বত্বভোগী হওয়াটা দোষের নয়। সৎ ভাবেও মধ্যসত্ব ভোগ করা যেতে পারে। আসলে এই দায়টা যাদের তারা আসলে এক শ্রেণির অসৎ মধ্যসত্বভোগী। যে কারণে এদের সংখ্যাও খুব বেশি নয়। কিন্তু এদের টাকা আছে পেশিশক্তিও আছে। এরাই আসলে কৌশলে বাজার নিয়ন্ত্রণহীন করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় না কেন? এই সহজ কিন্তু দামী কেনর উত্তর কিছু দিন আগ পর্যন্ত মন্ত্রীরা দিতেন। এখন খোদ প্রধানমন্ত্রী দিচ্ছেন। গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিদিন লেখে। এই লেখায় আমি আর সেই বিস্তারে গেলাম না। মোদ্দা কথা যারাই বাজার অস্থির করুক না কেন , তাদের উদ্দেশ্য সৎ নয়। সে সরকারের সঙ্গে থাক বা বিরোধী দলে থাক সেটা তার কৌশল। তার মুল লক্ষ্য বাজার থেকে মুহূর্তেই টাকা তুলে নেয়া।       মুহূর্তেই যারা বাজার থেকে টাকা তুলে নিতে চায়, তারা বাজার অস্থির করার সুযোগ খোঁজে। রোজার মাস তেমনই সময়। প্রতিবছর এই সময় বাজোরের অস্থিরতার চূড়ান্ত হয়। একেবারে প্রকাশ্যে প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দাম নিয়ে কারসাজি হয়। কারও কিছু বলার থাকে না। কারসাজিটা শুরু হয় সরবরাহ দিয়ে। বছরের অন্যান্য সময় টের পাওয়া না গেলেও এই সময়ই বোঝা যায় বাজার অস্থিরতার মূল সূত্র পণ্যের সরবরাহ লাইনে। এই লাইনেই সারা বছর ঘাপটি মেরে বসে থাকে ওই দুর্বৃত্ত মধ্যসত্বভোগী। এখানে আবারও একটি কথা না বললেই নয়, সেটা হচ্ছে সরবরাহ লাইনের সবাই দুর্বৃত্ত নয়। কিন্তু দুর্বৃত্তরা শক্তিশালী। যে কারণে চাইলেও অনেকে সৎ থাকতে পারেন না। কিছু দিন আগে একজন মাংস বিক্রেতা সরকারি দামে মাংস বিক্রি করতে চেয়ে জীবন দেয়াটা এর উদাহরণ।  গত সংসদের একজন মন্ত্রী প্রকাশ্যে বলে ফেলেছিলেন সে কথা। এবারও বলা শুরু হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, রমজান সামনে রেখে কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই, বাজারে কারসাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, অবৈধভাবে নিত্যপণ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার হাল ছেড়ে দিয়েছে, এ কথা মনে করার কোনো কারণ নেই। অবৈধভাবে যারা নিত্যপণ্য মজুত করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নিরাপত্তা বাহিনী সেই অনুযায়ী কাজ করছে। আর সব শেষ বললেন প্রধানমন্ত্রী। এরই মধ্যে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, রমজানে কোনো জিনিসের অভাব হবে না। সব রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে” বলতে দ্বীধা নেই বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অতীতের যেকোন সময়ের সরকার এখন তৎপর মনে হচ্ছে। সেই নির্বাচনী ইশতেহার থেকে সবখানেই এই তৎপরতার ছাপ দেখা যাচ্ছে। এখন দরকার ঠিকঠাক মনিটরিং। সেটা যে নেই তাও বলা যাবে না। কিন্তু সেটা ঠিকঠাক হওয়া দরকার। ঠিকঠাক শব্দটি ব্যবহার করলাম কারণ, প্রতিবার বাজার মনিটরিং এর উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রত্যেক বাজারে একটি পণ্যের দাম ঝোলানো বোর্ড রাখা হয়। সপ্তাহ খানেক সজিবও থাকে এই ব্যবস্থা। কিন্তু এর পরপরই সব কেমন ঝিমিয়ে পড়ে। মনিটরিং এর কাজটি ঠিকঠাক হয় না।  কিন্তু আমার কেন যেন মনে হচ্ছে এবার বাজার নিয়ন্ত্রণ হবে। কারণ খোদ প্রধানমন্ত্রী এবার বাজার কারসাজিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গণধোলাই এর কথা বলে তিনি সাধারণ ক্রেতাদেরও সতর্ক হতে বলেছেন। এখন দরকার মানুষের অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা। আজকের অনলাইনের যুগে যেকোন মানুষ তার পরিচয় নিশ্চিত করে একটি বাজারের যেকোন অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করতেই পারেন। চাইলে তিনি ছবিও যুক্ত করতে পারেন এই অভিযোগের সঙ্গে। এর পর ঘোষণা অনুযায়ী প্রকাশ্যে শাস্তি শুরু হলে, জানা যাবে কে কেন বাজার অস্থির করতে চায়। সবচয়ে বড় কথা এতে বাজারে স্বস্তি ফিরবে।  লেখক : গণমাধ্যম কর্মী
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৬

জিমেইলকে টেক্কা দিতে আসছে মাস্কের এক্সমেইল 
চ্যাটজিটিপির এর নিজস্ব সংস্করণ প্রকাশ করার পর, ইলন মাস্ক এবার প্রযুক্তি বাজারে নিয়ে আসতে যাচ্ছেন এক্সমেইল(Xmail)। শুধু তাই নয়, বাজারে আসার আগেই গুগলের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ইমেইল পরিষেবা জিমেইল (Gmail) এর সঙ্গে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিয়ে রেখেছে মাস্কের প্রতিষ্ঠান এক্স কর্প।  নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স -এ একটি কথোপকথনে, ইলন মাস্কও নিশ্চিত করেছেন তার নতুন ইমেইল পরিষেবা লঞ্চের ব্যাপারে। বলেছেন, 'এক্সমেইল' নামে একটি সার্ভিস খুব শিগগিরই আসতে চলেছে। সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কগুলোতে সম্প্রতি একটি জাল ছবি প্রচার শুরু হওয়ার সূত্র ধরে গুগল জিমেইল বন্ধ করার গুজবের মুখোমুখি হওয়ার পরই এই ঘোষণাটি এলো। ইলন মাস্ক অবশ্য আসন্ন পরিষেবাটি সম্পর্কে বেশি কোনও বিবরণ প্রদান করেনি, তাই এটি কখন অ্যাক্সেসযোগ্য হবে তা অজানাই রয়ে গেছে। তবে দ্রুতই এটি এক্স অ্যাপে যুক্ত হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। গত শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নাথান ম্যাকগ্র্যাডি নামে এক্স-এর সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের একজন সিনিয়র সদস্য তার প্লাটফর্মে একটি পোস্ট করেন, যেখানে তিনি প্রশ্ন রাখেন, 'এক্সমেইল লঞ্চ হচ্ছে কবে?' তার ওই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় স্বত্তাধিকারী মাস্ক লিখেন, 'শিগগিরই লঞ্চ হবে এক্সমেইল। ইমেল পরিষেবা খাতে একটি বিশাল উত্থান হতে যাচ্ছে।'  একই পোস্টে একজন এক্স ইউজার মন্তব্য করেছেন, 'জিমেইলে আস্থা হারিয়েছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এক্সমেইল-এ স্যুইচ করার সময় এসেছে!'  অন্য একজন লিখেছেন, 'আমি আমার জিমেইল ব্যবহার করব, যেভাবে আমি এখন আমার হটমেইল (Hotmail) ব্যবহার করি- জাঙ্কের জন্য।  প্রসঙ্গত, এই মূহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইমেইল পরিষেবা জিমেইল। বিশ্বব্যাপী ১৮০ কোটি সক্রিয় ইউজার রয়েছে এর। এক্সমেইল লঞ্চের আভাস প্রসঙ্গে রিয়া ফ্রিম্যান নামে এক সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্রাটেজিস্ট বলেছেন,  জিমেইলের এক্স সংস্করণ আসতে পারে। আর যদি তা সত্যি হয়, জিমেইল ত্যাগ করে সেটি গ্রহণ করা দেখাটা আকর্ষণীয় হবে।  ফ্রিম্যান আরও বলেন, 'ইলন মাস টুইটার কিনে নিয়ে তাতে বিশাল পরিবর্তন করেছেন। তার পক্ষে জনমত আছে বলে মনে হয় না, তাই লোকেরা তাদের ইমেল পরিচালনার সঙ্গে এক্স-কে বিশ্বাস করবে কি না তা দেখার বিষয় হবে। এদিকে, গুগল শুক্রবার এক্স-এ ঘোষণা করেছে যে জিমেইল বন্ধ হচ্ছে না। তারা ডিফল্ট জিমেইল ইন্টারফেস পরিবর্তন করেছে, যেটি আগে 'বেসিক HTML' ছিল, আর এখন এটি নতুন এবং আরও রঙিন। এই পরিবর্তনটি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথম করা হয়।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়