• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপের স্প্রিংমিটিং-এ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিতে অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী এখন ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং মাহমুদ আলীর বর্ণাঢ্য কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক কর্মজীবন সংক্ষেপে তুলে ধরেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন এবং তার নেতৃত্বে দেশ সামনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মাহমুদ আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব নিয়েছেন এবং তিনি জাতিকে এর অভীষ্ঠ লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির অস্তিত্ব এখনও বিদ্যমান এবং তারা দেশের চলমান উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার জন্য ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৭১ সালে নিউইয়র্কে তার কূটনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণা করেন। তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত প্রথম কূটনীতিক যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর আগে, অর্থমন্ত্রী দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। দূতাবাসে পৌঁছলে অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলীকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এবং দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা। সূত্র : বাসস
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৯

সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ : অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠকে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নই। ইতোমধ্যে সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশ। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংস্কারে সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো কাজে লাগছে। মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে স্বস্তি ফিরলেও যারা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে তারা খুশি না। আগামী অর্থবছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমবে আইএমএফের এমন পূর্বাভাসে চিন্তার কিছু নেই। এ সময় অর্থনৈতিক উত্তরণের ধারা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭

অর্থনৈতিক সংকট কেটে গেছে : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কারণে ডলার সংকট অনেকটা কেটেছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব কেটে গেছে। যারা দেশকে শ্রীলঙ্কা হবে ভেবেছিল, তাদের ধারণাও ভুল প্রমাণ হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক বাজেট বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই কথা বলেন। বৈঠকে ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লা মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বেশ কিছু বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন। প্রস্তাবগুলো বিবেচনার আশ্বাস দেন তিনি। এ সময় আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রতিনিধি এসেছিল। তারা বলেছে, আমরা অপেক্ষা করছি তোমাদের প্রপোজালের জন্য। তোমরা আগে প্রপোজাল দাও, টাকা আমরা দেবো, টাকার কোনো অভাব নেই। কাজেই এরকম একটা নিশ্চয়তা পাওয়ার পর আর তো কোনো সন্দেহ নেই। কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ (বিএনপি) বলেছিল আর এই তো হয়ে গেল, শ্রীলংকা হলো বলে। শ্রীলঙ্কা হয়েছে? হয় নাই তো। আমরা টিকে আছি এবং আগামী বাজেট প্রণয়নের কাজ চলছে। আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, দেশ তো চলছে। দেশের মানুষের যেসব আইটেম দরকার সেগুলো সবই আসছে। সেগুলো পাওয়া যাচ্ছে। হ্যাঁ, দামটা নিয়ে একটু ইয়ে আছে কোনোটা বাড়ছে, কোনোটা কমছে। সেগুলো তো আছে। মুক্ত বাজার অর্থনীতি যেভাবে চলে সেভাবে চলছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৮

ড. ইউনূসের গোমর ফাঁস করেছিলেন বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান
বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান গ্রামীন ব্যাংক ও ড. ইউনূসের কৌশলী অবস্থান বেশ স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের আচরণ, বিদেশিদের কাছে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ড. ইউনূসের নানাবিধ কৌশলী অবস্থান ও জিয়াউর রহমানসহ পরবর্তী কয়েকটি সরকারের সময়ও তিনি যে সুবিধাগুলো নিয়েও উল্লেখ করেন না সেসব নিয়ে কথা বলে গেছেন। তার আত্মজীবনীতে স্পষ্টভাবে এসবের উল্লেখ পাওয়া যায়। তিনি লিখেছেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ গ্রহণকারীদের ওপর যদি গবেষণা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে, গ্রামের অনেক ঋণ গ্রহণকারী একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে। তারা তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। এ ধরনের অনেক ঘটনার কথা মাঝে মাঝে পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং এ বিষয়ে পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটিতেও প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে। ড. ইউনূস বলেছেন যে, গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ আদায়ের জন্য মামলা-মকদ্দমা করতে হয় না। একথা ঠিক। কারণ এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে রাতারাতি তারা সমস্যার সমাধান করতে পারেন। কিন্তু ব্যাংক তা পারে না। অনাদায়ী ঋণ আদায় করতে ব্যাংককে মামলা করতে হয়, নিষ্পত্তির জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়।’ ড. ইউনূসের মাইক্রো ক্রেডিটের ফলে বাংলাদেশের দলিলে আর্থিক অবস্থার বিরাট পরিবর্তন হয়ে গেছে, এ কথাটা সর্বাংশে সত্য নয় উল্লেখ করে তিনি তার বইতে লিখেছেন, ‘পরিবর্তন অনেকের কাছেই দৃশ্যমান নয়। দু'হাজার বা পাঁচ হাজার টাকা ধার নিয়ে এবং শতকরা আঠাশ ভাগ পর্যন্ত বা তারও বেশি সুদ দিয়ে কোনো লোকের পক্ষে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব নয়। একটা নির্দিষ্ট সময় বা স্তর পর্যন্ত সমাজে মাইক্রোক্রেডিট একটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে। সামান্য টাকা ধার নিয়ে কেউ ধানকে চাউল করে বিক্রি করে কিছু বাড়তি আয় করে; অথবা অন্যভাবে কেউ বাড়তি আয় করে। এ কাজের মধ্য দিয়ে সামগ্রিকভাবে দারিদ্র বিমোচন সম্ভব নয়। এ ধরনের কর্মসূচি সরকার বহু আগেই নিয়েছিলো।’   গ্রামীণ ব্যাংক এর শুরুর ইতিহাস টেনে তিনি লিখেছেন, ‘সরকার গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে তিন বছর চালিয়েছিলো। এই গ্রামীণ ব্যাংক ছিলো বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা প্রজেক্ট এবং ড. ইউনুস ছিলেন ওই প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক। পরে তিনি চেয়ারম্যান হন ১৯৮৩ সালে। পূর্বে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন পদাধিকার বলে অর্থসচিব। এছাড়া ছিলো বোর্ড অব ডাইরেক্টরস। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রোজেক্ট হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংক কাজ শুরু করে ১৯৭৯ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়ার আমলে।’ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর নানাভাবে নিজের জন্য কিছু অর্জন করতে চেয়েছেন উল্লেখ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, ‘উনি ভীষণ রকমের ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষী মানুষ এবং ভীষণ কৌশলী বটে। ফলে মিথ্যেটাও কীভাবে সত্যর মতো শোনাবে সেইটা তিনি বেশ ভালো করে রপ্ত করেছেন। এবং সাধারণ মানুষ তার কথা শুনে বিভ্রান্ত হওয়ার বহু নজির আছে।’
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:২২

সরকার বিরোধীরা মিথ্যাচার করছে : অর্থমন্ত্রী
সরকার বিরোধীরা সব বিষয়ে মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। শনিবার (৯ মার্চ) দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সব দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসীরা দেশে যে টাকা পাঠান তা প্রতিমাসে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিধায় গত ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। কিন্তু সরকার বিরোধীরা সব বিষয়ে মিথ্যাচার করছে। এগুলো এতটা জঘন্য মিথ্যাচার তাই উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না। কেননা তা নিয়ে কথা বললে তাদেরকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ নতুন যুগ সন্ধিক্ষণে রয়েছে এখন বিএনপির ওই ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে লাভ নেই। কেননা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সগৌরবে পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন করে সেটা আবার প্রমাণ করেছেন। সকল মেগাপ্রকল্প আজ দৃশ্যমান হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্কুল-কলেজে  ডিজিটাইজেশনের মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। ভবিষ্যতে একে একে দেশের অন্যান্য স্কুল-কলেজও এই আধুনিকায়ন ও ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আসবে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আধুনিক, সহজ ও উন্নত হবে এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বেতন ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সাহসী ও বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে দৃঢ় প্রত্যয় এর কারণেই এই অটোমেশন সম্ভব হচ্ছে। এই স্কুল-কলেজগুলো আধুনিকায়ন হলে, অটোমেশন এবং ডিজিটাইজেশন হলে, শিক্ষার্থীরা সহজে শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারলে, এই শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’ এর আগে শিক্ষা কার্যক্রম আধুনিকায়ন ও অটোমেশনের লক্ষ্যে খানসামা এবং চিরিরবন্দর উপজেলায় ১৮টি স্কুল ও কলেজে অত্যাধুনিক এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।  উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. তাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অর্থমন্ত্রীর একান্ত সচিব নাকিব হাসান তরফদার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৯

অর্থনীতি নিয়ে হতাশার কিছু নেই : অর্থমন্ত্রী
‘দেশের অর্থনীতি নিয়ে হতাশার কিছু নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতির সবগুলো সূচকই বাড়ছে। ফেব্রুয়ারি মাসে আমাদের রেমিট্যান্স এসেছে ২১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কাজেই আমদের এখানে অনিশ্চয়তার কিছু নেই, হতাশারও কিছু নেই। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন নিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। যেমন বিএনপি মহাসচিব বলেছেন যে তিনি কোনো উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন না। তারা তো এসব কথাই বলে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগ বানিয়েছে, তাই এটা ভেঙে পড়বে। তিনি এ ধরনের কথা কীভাবে বলতে পারেন? এগুলো থেকে সত্যিকারের যেটা চিত্র, সেটি তুলে ধরার জন্য ডিসিদের আহ্বান জানানো হয়েছে।   এক প্রশ্নের জবাবে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, শেখ হাসিনার যে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, আমরা সেটি ধরে এগোচ্ছি। দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে এবং মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে সেটি আপনি রাস্তায় ঘুরলেই দেখতে পাবেন। মেট্রোরেলে চড়লেই বুঝতে পারবেন মানুষ কতটা খুশি হয়েছে, আশ্বস্ত হয়েছে। নারীরা কীভাবে একা চলতে পারেন মেট্রোতে, তারা সন্তুষ্ট।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩১

জিনিসপত্রের দাম আরও কমবে : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ‘বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমে আসছে, এটা আরও কমবে। ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসছে ভারত থেকে, এগুলো আসলে দাম আরও কমে যাবে।’ রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নতুন দায়িত্ব পাওয়া ওয়াসিকা আয়শা খান। অর্থনীতি কি ভালো অবস্থায় আছে, মানুষ কি ভালো আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের মানুষকে জিজ্ঞেস করেন। আমি তো মনে করি ভালো আছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ে নতুন প্রতিমন্ত্রীর বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন একজন প্রতিমন্ত্রী পেয়ে ভালো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি আরও বাড়বে। এ সময় নতুন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, ‘করোনার সময় থেকে এবং পরবর্তীতে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বের অর্থনীতিই চাপে রয়েছে। এতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে ও নাজুক অবস্থায় আছে। এখান থেকে উত্তরণ ঘটানোই হবে এখন প্রধান কাজ। তবে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করছি না। কাজ করে যেতে হবে।’
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৬

বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য : অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে যুক্তরাজ্য সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে খুব ভালো একটি আলোচনা হয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ কীভাবে একত্রে কাজ করতে পারে তা নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের বহুদিনের সম্পর্ক। আমরা বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি। যুক্তরাজ্য অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। যেহেতু তারা দীর্ঘদিন আমাদের সঙ্গে কাজ করছে, তারা বাংলাদেশের অবস্থা বোঝে। তাদের এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতাও রয়েছে। আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য আমাদের সহায়তা করতে চায়। তবে কোন কোন খাতে- সেটি এখন বলা যাবে না। এসব নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৬

ভিশন-২০৪১ লক্ষ্যপূরণে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক : অর্থমন্ত্রী
সরকারের ভিশন-২০৪১ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে, এক্ষেত্রে দেশের অর্থনীতিতে সংস্কার চেয়েছে তারা।   বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে  বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেকের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এসেছিলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। আমিই তাকে নিয়ে গিয়েছিলাম। রোহিঙ্গারা তো এখনো যায়নি, যে কারণে সেই সম্পর্ক আছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য কাজ করে। তারা বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চান। মন্ত্রী বলেন, তারা সংস্কার চাচ্ছে। সংস্কার তো অবশ্যই দরকার। তারা বলেছে, তারা বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তবে কোন কোন জায়গায় সংস্কার দরকার তা জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। বলেছেন, দেখি আমরা, কাজ শুরু করি। আমাদের মধ্যে ভালো একটা সম্পর্ক রয়েছে। তারা সেটা অব্যাহত রাখবে। এর আগে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা করেছি। আরও ১৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্বালানি, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সহায়তা করা হবে। বাংলাদেশের জন্য এখন অর্থায়ন দরকার উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, বাংলাদেশের ২০৪১ সালের পরিকল্পনা সামনে রেখে অর্থ সহায়তা যেমন দরকার, তেমনই সংস্কারও করতে হবে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৫

মির্জা ফখরুলকে পাকিস্তান যেতে বললেন অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, যারা এখনও বিরোধিতা করেন তাদের খেয়াল করতে হবে। তাদের কত ধৃষ্টতা! ওপেন মিটিংয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, পাকিস্তান ভালো ছিল। তাদের আমি সেখানে চলে যেতে বলেছি। পাকিস্তান ভালো ছিল, যান দেখে আসেন। এখন কেউ পাকিস্তানে যায়? রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিয়োগ স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধুর এই দেশ ধ্বংস করতে দেব না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সদ্য দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সবগুলো মোকাবিলা করতে কাজ করা হবে। তবে বর্তমানে যদি অগ্রাধিকারের কথা বলেন, তাহলে সামনের রমজানই প্রথম অগ্রাধিকার। আপনাদেরও সহযোগিতা দরকার হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রচুর ষড়যন্ত্র থাকা সত্ত্বেও আমার এগিয়ে যাচ্ছি। চ্যালেঞ্জের সঙ্গে আমাদের অর্জনও কম নয়। ধারাবাহিক প্রক্রিয়াটির সবগুলো একবারে সব করা সম্ভব নয়। সব উন্নয়ন প্রক্রিয়াই অনেক কারেকশন দরকার, চ্যালেঞ্জ থাকবে তা সমাধান করতে হবে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়