• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অভিনেত্রী মানসীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
বাংলা টেলিভিশন তথা বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় মুখ অভিনেত্রী মানসী সিনহা। মূলত, কমেডি চরিত্রেই দর্শকদের নজর কেড়েছেন তিনি। সেই মানসী সিনহাই এবার পড়লেন বিপাকে। তার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ আনলেন তার পরিচালিত প্রথম ছবি ‘এটা আমাদের গল্প’র সহপ্রযোজক দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। দীপঙ্করের অভিযোগ, মানসী তার কাছ থেকে ২৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা নিয়েছিলেন, কিন্তু সেই টাকা ফেরত পাননি। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি পরিচালনায় হাত দিয়েছেন মানসী। ছবির নাম ‘এটা আমাদের গল্প’। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই ছবির সিংহভাগ শুটিং হয়ে গেছে। এই ছবির সহ-প্রযোজক এক সংবাদমাধ্যমকে দীপঙ্কর জানিয়েছেন, মানসী আমার থেকে ২৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা আমি ফেরত পাইনি। শুধু তাই নয়, শুটিং চলাকালীন মানসী, যে হিসেব দেখিয়েছিল, তা-ও স্পষ্ট নয়। ছবিতে বাকি টাকা শর্মিষ্ঠার বিনিয়োগ করার কথা ছিল। কিন্তু একটা সময়ে দেখলাম শর্মিষ্ঠাও ওর অফিস বদলে ফেললেন। পুরো বিষয়টায় আমার ধোঁয়াশা রয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এই ছবির পোস্টারও মানসী শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই পোস্টারে সহ-প্রযোজনার জায়গায় নিজের নাম না থাকায়, টনক নড়ে দীপঙ্করের। পোস্টারে প্রযোজক হিসেবে সুভাষ বেরা ও শুভঙ্কর মিত্রের নাম রয়েছে। দীপঙ্করের কথায়, আমি এদের চিনিই না। ২০২২ সালে আর কোনো উপায় না দেখে মানসীকে আইনি নোটিশ পাঠান প্রযোজক। এমনকি, সমঝোতাপত্রে সইও করেছিলেন মানসী। যেখানে লেখা ছিল দীপঙ্করের অনুমতি ছাড়া তিনি ছবি রিলিজ করবেন না। এই পুরো বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন মানসীও। তিনি জানালেন, ছবির শুটিং শুরু হয় শর্মিষ্ঠার প্রযোজনায়। শর্মিষ্ঠার বিনিয়োগকারী হিসেবে এসেছিলেন দীপঙ্কর। সহ-প্রযোজক হিসেবে দীপঙ্করের নাম রাখার সিদ্ধান্ত ছিল শর্মিষ্ঠার। মানসীর আরও জানিয়েছেন, দীপঙ্কর বলেছে টাকা খরচের হিসেব দিতে পারেনি শর্মিষ্ঠা। কিন্তু এখনও দীপঙ্করের মনে হচ্ছে আমি ওকে ঠকাচ্ছি! আমি তো পরিচালক মাত্র।দীপঙ্করের বিরুদ্ধে মানসী তার সই-সহ জাল নথি তৈরির অভিযোগও এনেছেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫০

সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্রের নামফলক ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে
নরসিংদীর শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ‘সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র’ নামের এক সংগঠনের নামফলক ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।  বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে দিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন খান নেতাকর্মীদের নিয়ে শত শত শিক্ষার্থীর সামনেই সংগঠনটির নামফলক ভেঙে গুড়িয়ে দেন। ওই সংগঠনে কলেজটির বিভিন্ন বর্ষে পড়ুয়া দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী গান-কবিতা-বিতর্ক চর্চা করে আসছেন।  কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, একযুগ ধরে কলেজটির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সালাউদ্দীন মর্তুজা শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক বিকাশে কাজ করছেন। প্রতিবছর রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী, বর্ষবরণ ও বসন্তবরণ আয়োজনের পাশাপাশি তিনি নিয়মিতভাবে শহীদ মিনার কেন্দ্রীক সংস্কৃতিচর্চায় ব্যস্ত রাখেন শিক্ষার্থীদের। সংস্কৃতিচর্চাকে আরও উদ্বুদ্ধ করতে গত দুই মাস আগে কলেজ কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে সালাউদ্দীন মর্তুজাকে আহবায়ক করে ‘সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র’ নাম দিয়ে এর সাংগঠনিক রূপ দেওয়া হয়। বিজ্ঞান ভবনের নিচতলার দুইটি কক্ষ এবং বাদ্যযন্ত্র কেনা ও সাজসজ্জার জন্য দুই দফায় ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন অধ্যক্ষ কল্যাণী ব্যানার্জী।  সোমবার উদ্বোধনের কথা থাকায় দেয়াল খোদাই করে একটি সুদৃশ্য নামফলক সাটানো হয়। আজ দুপুরে ওই নামফলকটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন খান নেতাকর্মীদের নিয়ে বিজ্ঞান ভবনের সামনে আসেন। সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্রের নামফলকটি দেখেই উত্তেজিত হয়ে যান তারা। এ সময় শাওন খানের নির্দেশে তার নেতাকর্মীরা ওই নামফলক ভেঙে গুড়িয়ে দেন। তাদের বলতে শোনা যায়, লেখাপড়ার নামে খবর নাই, আবার গানবাজনা। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে আসার পূর্বমুহূর্তে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চলে যান।  জানতে চাইলে সংগঠনটির আহবায়ক ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সালাউদ্দীন মর্তুজা বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে গত একযুগে রক্ত পানি করা পরিশ্রমে, বাধার পর বাধা পেরিয়ে সংগঠনটিকে এই জায়গায় এনেছি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, এমন একটি মডেল তৈরি করা যা এক সময় দেশের সব কলেজে অনুসরণ করা হবে। এবার যখন চর্চার জন্য কক্ষ পেলাম, বাদ্যযন্ত্র কেনার জন্য বরাদ্দ পেলাম, তখন নামফলক ভেঙে দেওয়ার নামে আবার বাধা এল। জামাত-শিবির যদি এ কাজ করত, কষ্ট পেতাম না।   অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন খান বলেন, ঘটনার সময় আমি কলেজেই অবস্থান করছিলাম। আমি নিজে তো নয়ই, ছাত্রলীগের কোন কর্মীও এতে জড়িত নন। সাধারণ শিক্ষার্থীরাই ক্ষুব্ধ হয়ে এই কাজ করেছেন।  ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন এই কাজ করবেন’ জানতে চাইলে শাওন খান বলেন, ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখে কলেজের অধ্যক্ষ কল্যাণী ব্যানার্জী অবসরে যাবেন। ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে তাকে বলেছিলাম, অবসরে যাওয়ার আগে ছাত্রদের কমনরুম ও কিছু ক্লাসরুমের সাউন্ড সিস্টেম সংস্কার করে দিতে। তিনি বলেছিলেন, সব হিসেব ক্লোজ করে ফেলেছেন, এখন আর কিছু করা সম্ভব নয়। পরে শুনলাম, গান-কবিতা-বিতর্কের জন্য নাকি কক্ষ ও টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি আমাদের এখনও পর্যন্ত কিছু জানাননি। এরই প্রেক্ষিতে আজ ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই সংগঠনের নামফলক ভেঙে দিয়েছে।  শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের অধ্যক্ষ কল্যাণী ব্যানার্জী এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শত শত শিক্ষার্থীর সামনেই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন খান দলবল নিয়ে এই নামফলক ভেঙেছে। কেন সে এমনটা করল, তা আমরা নিশ্চিত নই। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনা জানিয়েছি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।  এ বিষয়ে শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনা শুনেছি, কিন্তু কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়