• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পানির এলাকায় সুপেয় পানির অভাব
‘পানির জন্য উপকূলের দুঃখ বারো মাস, সুপেয় পানির অভাব আর লবনাক্ততায় সর্বনাশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে বরগুনার পাথরঘাটায় খালি কলসি নিয়ে ‘কলসি বন্ধন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে বিষখালী নদী সংলগ্ন চরলাঠিমারা গ্রামের একটি মাঠে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  এতে প্রায় ৩ শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দাসহ সিসিডিবি, এনএসএস, বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন, চরলাঠিমারা, সিসিআরসিসহ ৩০টি বেসরকারি, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অংশগ্রহণ করে। এ সময় ‘আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ’ লবনাক্ত এবং খারাপ পানি ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে চায়না এমন চিন্তা করে একাধিক শিশু খালি কলসি নিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করে।  এতে বক্তব্য রাখেন পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশনের সহকারী ম্যানেজার মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ, সিসিডিবির প্রকল্প সমন্বয়কারী রতন মজুমদার, সমাজসেবক নয়ন আহমেদ, স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন, সোহরাব হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, পাথরঘাটায় পর্যাপ্ত সুপেয় পানি পাওয়া যায় না। এখানকার মানুষের মধ্যে নিয়মিত দেখা যায় পানির জন্য হাহাকারের চিত্র। এক কলসি পানির জন্য তাদের পাড়ি দিতে হয় কয়েক গ্রাম। তারপরেও অনেক সময় খাওয়ার মতো পানি না পেয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়তে হয়। প্রতি বছরই বিভিন্ন এলাকায় মিঠা পানির স্তর নিচে নেমে যায়। এতে সুপেয় পানির অভাব দিন দিন আরও বাড়ছে। তারা আরও বলেন, এখানে শুকনো মৌসুমে পানির সংকট তীব্র থাকে। বিশেষ করে পাথরঘাটায় গভীর নলকূপ স্থাপন সম্ভব না হওয়ায় এখনকার মানুষের দুঃখের যেন শেষ নেই। সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, উপকূলের মানুষের পানির দুঃখ ১২ মাস। উপকূলের পানির কান্না কেউ শুনতে পায় না। প্রকৃতিগতভাবেই এখানে পানির অভাব থাকে তাই বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে‌‌। যদিও সরকারি এবং বেসরকারিভাবে পানি সংরক্ষণের জন্য পানির ট্যাংক দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এলাকার নদ-নদীর পানি রিফাইন করে স্থায়ীভাবে পানি সরবরাহ ও সংরক্ষণসহ নতুন নতুন উপায় বের করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ, ছোট থেকেই শিশুদের সুপেয় পানির মাধ্যমে পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্ত রাখতে হবে। তা না হলে বংশ পরম্পরায় উপকূলের মানুষ রোগ-শোক নিয়ে জীবন চলতে হবে।
২২ মার্চ ২০২৪, ২১:০২

জিম্মি নাবিকদের খাবারের অভাব হবে না, জলদস্যুদের আশ্বাস
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ৩৫ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে নেয় সোমালি জলদস্যুরা। যখন জাহাজটি এ দুর্ঘটনায় পড়ে তখন সেটিতে ২৫ দিনের খাবার ও পানি মজুত ছিল। গত ১০ দিন সেই খাবার ও পানিতে ভাগ বসায় জলদস্যুরা। ফলে দ্রুত সেগুলো শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছিল নাবিকরা। এ খবরে তাদের স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। জাহাজ জিম্মির ৮ দিন পেরোনোর পর বুধবার (২০ মার্চ) জলদস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে দূর হয় সেই উৎকণ্ঠা। কারণ, জিম্মি নাবিকদের খাবার ও পানির অভাব হবে না বলে জানিয়েছে দস্যুরা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষের মুখপাত্র ও কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, নাবিকদের সঙ্গে আমাদের আজও যোগাযোগ হয়েছে। জিম্মি থাকলেও তারা সবাই সুস্থ আছেন। এখন জাহাজে যে খাবার ও পানি আছে, তা বেশি দিন যাবে না। কিছুদিনের মধ্যে এটা ফুরিয়ে যাবে। তবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে জলদস্যুরা উপকূল থেকে এনে প্রয়োজন মেটাবে বলে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মিজানুল ইসলাম বলেন, সোমালিয়া উপকূলে জিম্মি থাকা অনেক জাহাজকে এক বছরও অপেক্ষা করতে হয়। এটা নির্ভর করে অনেক কিছুর ওপর। তখনও কেউ খাবার ও পানির কষ্ট করে না। জলদস্যুরা নিজ দায়িত্বে এটার ব্যবস্থা করে। তারপরও আমরা বিকল্প পথে এগোচ্ছি। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে খাবার ও পানির ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। এদিকে জিম্মি জাহাজে খাবার ও পানি পাঠাতে কেনিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের সাহায্য চেয়েছে মালিকপক্ষ। সেই সঙ্গে কয়েকটি বীমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে তারা। তবে জলদস্যুরা সরাসরি যোগাযোগ করায় বিষয়টি সহজ হয়েছে। এর আগে গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে ৩৫ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে নেয় সোমালি জলদস্যুরা। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের দিকে সব থেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। দশ বছর চুপচাপ থাকার পর গত নভেম্বর মাস থেকে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। এ যাবত ২০টিরও বেশি আক্রমণ চালিয়েছে তারা। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি আক্রমণে সফলও হয়েছে তারা। তাদের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে শত শত মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে দস্যুরা।
২২ মার্চ ২০২৪, ০২:২৫

মোস্তাফিজের অভাব পূরণ করতে যাকে দলে নিলো কুমিল্লা
চলমান বিপিএলের দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে প্লে-অফের আগে মোস্তাফিজ আহত হওয়ায় বিপাকে পড়েছে লিটন দাসের দল। তাই মোস্তাফিজের ব্যাকআপ হিসেবে যুব বিশ্বকাপ দলের সদস্য রোহনাতদৌল্লাহ বর্ষনকে দলে নিয়েছে কোচ সালাউদ্দিন। দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে প্রথম দিনের অনুশীলনও করেছেন এই তরুণ পেসার। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে অনুশীলন করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এ সময় কুমিল্লা দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে দেখা যায় তাকে। চলতি মাসেই যুব বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশে এসেছেন রোহনাতদৌল্লাহ বর্ষন। এরপর ছুটি কাটাচ্ছিলেন নিজ এলাকা সৈয়দপুরে। নিজের বাড়ি থেকে এসেই যোগ দেন বিপিএলে। যুব বিশ্বকাপে দল চ্যাম্পিয়ন না হলেও বেশ ভালোই পার করেছেন বর্ষন। বিশ্বকাপে পেয়েছিলেন ৯ উইকেট। আবার প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ছিল আরও ৪ উইকেট। শেষদিকে চাপের মুখে ব্যাট হাতেও দলকে সমর্থন দিতে পারেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে দেখা গিয়েছিল সেটাও।  গত রোববার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করার সময় আঘাত পান মোস্তাফিজ। বিদেশি সতীর্থ ম্যাথু ফর্ড যখন ব্যাট করছিলেন, তখন বোলিং প্রান্তে ছিলেন ফিজ। হঠাৎ বল উড়ে গিয়ে ফিজের মাথায় আঘাত করে।  রক্তাক্ত অবস্থায় মোস্তাফিজকে স্ট্রেচারে শুইয়ে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। পরে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয় চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে। তার মাথায় ৫টি সেলাই লাগে। ইনজুরি আক্রান্ত মোস্তাফিজের বিকল্প হিসেবে তাই এই তরুণ বোলারকেই মনে ধরেছে কুমিল্লার কোচ সালাউদ্দিনের। অনুশীলনে চোট পেয়ে আপাতত মাঠের বাইরে আছেন মুস্তাফিজুর রহমান। মাথায় সেলাই লাগায় আরও বেশ কিছু দিন লাগবে ফিট হয়ে উঠতে।  তাই বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুরের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না এই টাইগার পেসার। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।  
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৯

‘ওয়ার্নারের অভাব পূরণ করবে গ্রিন’
পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান সিডনি টেস্ট দিয়ে লাল বলের ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন অস্ট্রেলিয়ার সফল ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ফলে তার পরিবর্তে কে ওপেনিংয়ের দায়িত্ব নেবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা প্রশ্ন। তবে ওয়ার্নারদের অভাব পূরণের জন্য ক্যামেরন গ্রিনকে বেছে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক কিংবদন্তি অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন। ক্রিকইনফোর এক সাক্ষাৎকারে ওয়াটসন বলেন, এই মুহূর্তে ওয়ার্নারের অভাব পূরণ করতে পারে কেবল গ্রিন। আমার মনে হয় তার (গ্রিন) সেই যোগ্যতা রয়েছে। সে জানে তাকে কী করতে হবে। তবে তাকে বোলিংটাও নিশ্চিত করতে হবে। যেমন আমি আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে করেছিলাম। আমার বিশ্বাস সে এটা করতে পারবে। গত নভেম্বরে ওয়ার্নারের বদলি হিসেবে গ্রিনকে দিয়ে ওপেন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কোচ ও নির্বাচক অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড। তাদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন ওয়াটসন।  পরামর্শ দিয়েছিলেন মার্নাস লাবুশেনেকে ওপনার হিসেবে খেলানোর। আর গ্রিনকে মিডিল অর্ডারে খেলাতে বলেছিলেন এই অজি কিংবদন্তি। তবে ওপেনিংয়ে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করেছেন উসমান খাজা। তাই লাবুশেনে তিন নম্বরে জায়গা পেয়েছে। অন্যদিকে মাঝের দিকে ট্রাভিস হেড এবং মিচেল মার্শ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায়, এখন গ্রিনের জন্য একমাত্র সমাধান ওপেন করা। ২০০৯ সালে একই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেছিলেন ওয়াটসন। দুই বছর ওপেনিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। ৪৫ ইনিংসে ব্যাট করে ১৭টি ফিফটি এবং দুটি সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। তার ব্যাটিং ছিল গড় ৪৩ দশমিক ৬৭। ঘরের মাঠে আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দলের ওপেনিংয়ের বিবেচনায় রয়েছেন আরো তিন ক্রিকেটার। তাদের মধ্যে রয়েছে ক্যামেরন ব্যানক্রফট, মার্কাস হ্যারিস এবং ম্যাট রেনশ।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়