• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আইন অনুযায়ী হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান চালাতে বললেন হাইকোর্ট
এলোমেলোভাবে না করে আইন অনুযায়ী হোটেল ও রেস্তোরাঁয় অভিযান পরিচালনা করতে বলেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ কথা বলেন।  একই সঙ্গে আইন অনুযায়ী যারা রেস্তোরাঁ পরিচালনা করছে তাদের হয়রানি করা কেন অবৈধ নয় তা জানতে চেয়েও রুল জারি করে হাইকোর্ট। এর আগে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় টনক নড়ে বিভিন্ন সংস্থার। পরে রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোঁরা ও ভবনে অভিযান চালায় পুলিশ ও সিটি করপোরেশন। অভিযানে অনেক রেস্তোরাঁ বন্ধ, জরিমানা ও বেশ কয়েকটি ভবন ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করা। গ্রেপ্তার করা হয় ৮৭২ জনকে, মামলা হয় ২০টি। এরপর সোমবার (১১ মার্চ) অভিযান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে মালিকরা।  এদিকে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা করে। মামলায় কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান, চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ‘চুমুক’ নামের চা-কফির দোকানের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দুই দোকান মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেছেন।  
১২ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৪

বিশ্ব ইজতেমা / বিভাগ অনুযায়ী পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারণ করল ডিএমপি
মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হচ্ছে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অতিথিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ সমবেত হবেন ইজতেমা প্রান্তরে। এ বিপুল সংখ্যক মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ নির্দেশনাসহ বিভাগ অনুযায়ী যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।  ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের যানবাহনগুলো ১৫ নম্বর সেক্টর এলাকাধীন কদমতলী মার্কেট, ৫ নম্বর ব্রিজের ঢাল এবং ১৭ নম্বর সেক্টর উলুদাহ মাঠে পার্কিং করতে হবে। সিলেট ও খুলনা বিভাগ থেকে আসা যানবাহনগুলো পার্কিং করতে হবে উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টর লেকপাড় মাঠে। এ ছাড়া রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের জন্য পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারিত হয়েছে ১০ নম্বর ব্রিজ, ১১ নম্বর ব্রিজ লেকের পশ্চিম পাশে, ১৬ নম্বর সেক্টরের ভেতরে ও বউবাজার মাঠ। বরিশাল বিভাগ থেকে আসা গাড়িগুলো রাখতে হবে ধউর ব্রিজ ক্রসিং-সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশনে। এবং ৩০০ ফিট রাস্তা সংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টির খালি জায়গায় পার্কিং করা হবে ঢাকা মহানগরীর গাড়িগুলো।  ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের যানবাহন নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথভাবে পার্কিং করতে বলেছে ডিএমপি। এ ছাড়া খিলক্ষেত থেকে আব্দুল্লাপুর হয়ে ধউড় ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উভয়পাশে পার্কিং করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশনায়। আগামী ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ নির্দেশনা আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহন আব্দুল্লাহপুর, ধউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে। একইভাবে নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা যানবাহনগুলো কামারপাড়া ও আব্দুল্লাহপুর ক্রসিং পরিহার করে সাভার, গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে অথবা ধউড় ব্রিজ ক্রসিং হয়ে মিরপুর বেড়ীবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে। ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে আসা যানবাহনসমূহ কুড়িল ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে প্রগতি সরণি হয়ে অথবা বিশ্বরোড ক্রসিং (নিকুঞ্জ-১ কেচি গেট) দিয়ে ইউটার্ন করে চলাচল করবে। আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে ৩০০ ফিট দিয়ে আসা যানবাহন সমূহ কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (এয়ারপোর্টগামী) পরিহার করে প্রগতি সরণি এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ (কাকলী মহাখালীগামী) ব্যবহার করবেন। কোনোভাবেই বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করা যাবে না। আখেরি মোনাজাতের দিন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা ও এয়ারপোর্টগামী এক্সিট পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের চালকরা বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করবেন। ঢাকা মহানগর থেকে যেসব মুসল্লি পায়ে হেঁটে বিশ্ব ইজতেমাস্থলে যাবেন, তাদের তুরাগ নদীর ওপরে নির্মিত বেইলি ব্রিজ অথবা কামাড়পাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াত করবেন। বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন পদ্মা ইউলুপ এবং কুড়াতলী লুপ-২ হতে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য পরিবহন সেবা দেওয়া হবে। নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক ও হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং চালক ও যাত্রীরা একে-অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যেন বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়। গাড়ির সামনে ড্রাইভারের মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান থাকবে। ট্রাফিক সম্পর্কিত যে কোনও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে হবে— উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা): ০১৩২০-০৪৩৯৪০ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা): ০১৩২০-০৪৩৯৪১ সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা পূর্ব জোন) : ০১৩২০-০৪৩৯৫২ সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা পশ্চিম জোন): ০১৩২০-০৪৩৯৫৫ সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-এয়ারপোর্ট জোন) : ০১৩২০-০৪৩৯৫৮ ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন): ০১৩২০-০৪৩৯৭৩ টিআই (আব্দুল্লাহপুর): ০১৩২০-০৪৩৯৬৮ টিআই (কামার পাড়া): ০১৩২০-০৪৩৯৭১ টিআই (ধউর ব্রিজ): ০১৩২০-০৪৩৯৭০ টিআই (বিমানবন্দর): ০১৩২০-০৪৩৯৬২ ও ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম: ০১৭১১-০০০৯৯০ এছাড়া, পুলিশি সহায়তার জন্য কল করা যাবে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৮

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে : পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম বলেছেন, জাতির কাছে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধানের ধারা অনুযায়ী একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচন অনেকটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। নির্বাচন পরিচ্ছন্ন হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কোনো মিডিয়াতে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশিত হয়নি। এটি তুমুল প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন ছিল। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, কর্তব্য ও নিষ্ঠার সহিত নিজ নিজ দপ্তরের কাজ পরিচালনা করবেন। পরিকল্পনা মাফিক কর্মপন্থার মাধ্যমে পরিচ্ছন্নভাবে কাজ সম্পন্ন করবেন। আমরা জনগণের সরকার, আমরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। জনগণের দোরগোড়ায় সরকারকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকতে হবে। গ্রামীণ অবকাঠামো, সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতসহ অন্যান্য খাতে মানোন্নয়নের চেষ্টা করতে হবে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি কোনভাবেই চলবে না। এসব নির্মূল করতে আপনাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রশাসনকে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকতে হবে। জনগণের প্রয়োজন বুঝে সর্বদা সেবা দিতে হবে। জনগণের জন্য একটি স্বস্থিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পদের সুষ্ঠু ও সমবন্টনে কাজ করতে হবে। এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুন কৃষ্ণ পাল। এতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সারোয়ার হাসান জিটু, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা জুয়েলসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা।  
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়