• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
১৮ বছর শিকলে বন্দি হাফেজ আব্দুল খালেকের মানবেতর জীবনযাপন
নিজ ঘরে প্রায় ১৮ বছর ধরে শিকলে বন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন ৩৫ বছরের যুবক হাফেজ আব্দুল খালেক। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর জানাজার নামাজ পড়াবেন, এমন স্বপ্ন নিয়ে মেধাবী ছেলেকে মাদরাসায় দেন বাবা-মা। তবে ছেলে কোরআনের হাফেজ হলেও বাবা-মায়ের সেই স্বপ্ন আর নেই। হাফেজ হওয়ার মাসখানিকের মধ্যে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন আব্দুল খালেক। এরপর থেকে গত প্রায় ১৮ বছর ধরে তাকে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে। ছেলে অসুস্থ হওয়ার পর সম্পত্তি ও গরু বিক্রি করেও তার চিকিৎসা করা হয়েছে। এতেও হাফেজ আব্দুল খালেক সুস্থ না হওয়ায় তার বাবা আব্দুল কুদ্দুস দুঃখে-কষ্টে কয়েক বছর আগে মারা যান। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ভোটাল গ্রামের মৃত আবদুল কুদ্দুসের ছেলে হাফেজ আব্দুল খালেক। তারা ৫ ভাই ৩ বোন। ৫ ভাইয়ের মধ্যে ৩য় আব্দুল খালেক সবার আদরের ছিলেন। পড়ালেখায় যেমন ভালো ছিলেন, তেমনি এলাকায়ও ভদ্র ছেলে হিসেবে যথেষ্ট সুনাম ছিল। উপজেলার জয়শ্রেরী রাহমানিয়া আরাবিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করে আব্দুল খালেক কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। পড়াশোনায় তিনি খুব মনোযোগী ছিলেন। কিন্তু হাফেজ হওয়ার মাস খানেকের মধ্যে আস্তে আস্তে খালেক মানসিক ভারসাম্য হারাতে থাকেন। পরিবারের সামর্থ্য অনুযায়ী তার চিকিৎসা করানো হয়। অসহায় এই পরিবারটি তাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করেও খালেককে সুস্থ করতে পারেনি। পায়নি কোনো সাহায্য সহযোগিতা। এগিয়ে আসেনি কোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা। সুস্থ না হওয়ায় বসতঘরের একটি কক্ষে এভাবে হাফেজ আব্দুল খালেককে ১৮ বছর শিকলবন্দি মানবেতার জীবন যাপন করতে হচ্ছে।   গত ৩ বছর পূর্বে উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর মাত্র ১০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন। এ পর্যন্ত আর কোনো সহযোগিতা পায়নি এ পরিবারটি। অর্থের অভাবে আব্দুল খালেকের উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছে না, এজন্য বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছে তার বৃদ্ধা মা শামসুন্নাহার। কেঁদে কেঁদে হাফেজ আব্দুল খালেকের মা শামসুন্নাহার বলেন, মেধাবী হওয়াতে আব্দুল খালেককে হাফেজি মাদরাসায় পড়িয়েছেন। ছেলে হাফেজ হয়ে ইসলাম প্রচারের সঙ্গে নিজের বাবা-মায়ের শেষ যাত্রায় জানাজার নামাজে ইমামতি করবেন। কিন্তু ওই সন্তান হাফেজ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে তার নিজের জীবনই এখন বিপর্যস্ত। তাকে শিকলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। ছেলের এই করুণ পরিণতি দেখে গত ১৩ বছর পূর্বে তার বাবা মারা গেছেন। হাফেজ আব্দুল খালেকের ভাই মো. মোস্তফা, আবু বকর সিদ্দিক ও বেলায়েত হোসেন বলেন, সে বিভিন্ন সময় ঘরের আসবাবপত্র ভেঙে ফেলে। অনেক সময় এদিক-সেদিক চলে যায়। পরিবারের পক্ষে সারাক্ষণ দেখে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। এজন্য তাকে ঘরে এভাবে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। পারিবারিক অর্থিক অনটনের কারণে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছে না। স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করে আব্দুল খালেক কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। খুব মনোযোগী ছিলেন। ১৮ বছর আগে মানসিক ভারসাম্য হারানোর পর জমিজমা বিক্রি করে আমাদের পরিবারের সামর্থ্য অনুযায়ী তার চিকিৎসা করানো হয়। ভাইয়ের চিকিৎসায় বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন তারা। জয়শ্রেরী রাহমানিয়া আরাবিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মহসিন মিয়া বলেন, আবদুল খালেক খুব মেধাবী ছাত্র ছিল। হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরাসহ তার পরিবরের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছি চিকিৎসার জন্য, কিন্তু সে সুস্থ হয়নি। বর্তমানে সে শিকল বাঁধা অবস্থায় আছে, বিষয়টি অনেক দুঃখজনক। সরকার অথবা কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি যদি তার চিকিৎসার দায়িত্ব বহন করে। আমরা বিশ্বাস করি সে সুস্থ হয়ে উঠবে। প্রতিবেশী মো. ইয়াছিনসহ আরও কয়েকজন বলেন, একজন কোরআনে হাফেজের এমন মানবেতর জীবন খুবই দুঃখজনক। সমাজের বৃত্তবানরা যদি অসহায় এ পরিবারটি পাশে দাঁড়িয়ে হাফেজ আব্দুল খালেকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। তাহলে আমরা আশা করি হাফেজ আব্দুল খালেক সুস্থ হয়ে উঠবে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সহিদ এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারসহ সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।   গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান পাটওয়ারী বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এখন যেহেতু আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আমি খোঁজখবর নিয়ে তার পাশে দাঁড়ানো ও চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করব। ফরিদগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, হাফেজ আব্দুল খালেকের বিষয়ে জানতে পেরে আমরা নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়েছি এবং একটি প্রতিবন্ধী ভাতার বই করে দিয়েছি। হাফেজ আব্দুল খালেকের সু-চিকিৎসা হলে আবার সে সুস্থ জীবনে ফিরে আসবে মনে করছেন তার পরিবার। তাই সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তার চিকিৎসায় এগিয়ে আসবেন এমনটাই প্রত্যাশা গ্রামবাসীর।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৬

‘আলোকিত কোরআন’ চ্যাম্পিয়ন হাফেজ ইসমাইল
পবিত্র রমজান উপলক্ষে আরটিভি আয়োজিত কোরআনে হাফেজদের প্রতিযোগিতামূলক রিয়্যালিটি শো আলোকিত কোরআন-২০২৪ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জামালপুরের মো. ইসমাঈল হোসেন। এবার ১৪তম বারের মতো আয়োজিত হয়েছে আর্ন্তজাতিক মানের হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ‘জিপিএইচ ইস্পাত আলোকিত কোরআন-২০২৪।’ রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ১৪তম এ আয়োজনের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানটি আরটিভির পর্দায় সম্প্রচার হয়। দেশসেরা হাফেজ অন্বেষণে ১৪ বছর ধরে পবিত্র রমজান মাসে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় রিয়েলিটি শো আলোকিত কোরআন আয়োজন করে আসছে জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি। এবারের আসরে হাজার হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে বিজয়ের মুকুট ওঠে জামালপুরের ইসমাইল হোসেনের মাথায়। তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও তিন লাখ টাকার চেকের রেপ্লিকা তুলে দেন অতিথিরা। প্রথম রানার-আপ সিলেটের আবদুর রহমান জামির হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও দুই লাখ টাকার চেকের রেপ্লিকা এবং দ্বিতীয় রানার-আপ নারায়ণগঞ্জের আবু তালহার হাতে এক লাখ টাকার চেকের রেপ্লিকা ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। মাদারীপুরের সাইফুল ইসলাম ফারহান ও কক্সবাজারের আইয়ুব বিন সাইদ হন যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম। ৯৫, তেজগাঁও বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে আয়োজিত গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান বলেন, আজ আরটিভি পরিবারের জন্য একটি আনন্দঘন দিন, কারণ এখানে আজ সর্বকালের সেরা এবং সার্বজনীন মহাগ্রন্থ পবিত্র কোরআনের বাহক আলোকিত সব কোরআনের হাফেজগণ উপস্থিত হয়েছেন। আর এইসব আলোকিত মানুষের কারণেই পবিত্র কোরআন চর্চায় আরটিভির এই আয়োজন সময়ের সেরা আয়োজন হয়ে উঠেছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, আলোকিত কোরআন ২০২৪-এর ১৪তম আসরে পবিত্র রমজান মাসব্যাপী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে একঝাঁক তরুণ প্রতিভাবান হাফেজে কোরআনকে আরটিভি আমাদের সামনে হাজির করেছে, যারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ইসলাম প্রসারের পথকে আরও আলোকিত করবে। আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু বলেন, বিগত ১৪ বছরে  আরটিভির এই আয়োজন আপনাদের সকলের সহযোগিতা ও ভালোবাসায় একটু একটু করে এগিয়েছে। দেশ ছাড়িয়ে তাই এই আয়োজনের জনপ্রিয়তা আজ বিশ্বব্যাপী। আরটিভির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউব ও ফেজবুক পেজে মানুষের ভালোবাসা ও মন্তব্যগুলো তার অন্যতম প্রমাণ। এই আয়োজনের সকল বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীর জন্য আমার পক্ষ থেকে মোবারকবাদ। ধন্যবাদ সকল ওস্তাদ ও আলেম সমাজকে, ধন্যবাদ আমাদের দর্শকদের যারা বরাবরই আমাদের সঙ্গে ছিলেন এবং আছেন। উক্ত আয়োজনে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদানের পাশাপাশি মনোনীতদের হাতে পদক তুলে দেন আরটিভির পরিচালক শামসুল আলম সুমন, জিপিএইচ ইস্পাত-এর জেনারেল ম্যানেজার  মো. মামুন কবির, আরএফএল প্লাস্টিকস লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর  মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। উল্লেখ্য, দেশব্যাপী আরটিভির ১৪তম হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্ব শুরু হয় দেশের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সহস্রাধিক প্রতিযোগী থেকে অডিশনের মাধ্যমে। সেই অডিশনে দুইশয়ের অধিক সেরা হাফেজকে বাছাই করে আমন্ত্রণ জানানো হয় বিচারিক অডিশনের জন্য। রাজধানী ঢাকার ৯৫ তেজগাঁওয়ে অবস্থিত বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে চূড়ান্ত অডিশনের মাধ্যমে বাছাই করা হয় সেরা ৩০ জন প্রতিযোগী হাফেজকে। তাদের নিয়ে শুরু হয় মূল আয়োজন। মাসব্যাপী আয়োজনে প্রতিযোগী হাফেজদের তিলাওয়াতকে মূল্যায়ন করেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রখ্যাত ক্বারী আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার বিচারক হাফেজ ক্বারী মো. নাজমুল হোসাইন। বিচারক হিসেবে ছিলেন- আবুধাবী থেকে আগত মসজিদুল ওবায়েত মো আব্দুল্লাহ আল কায়োবি আল আইন, আবুধাবীর ইমাম প্রখ্যাত হাফেজ কারি আজহারুল ইসলাম ও অস্ট্রিয়া থেকে আগত মিশরের আল আযহার থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা অস্ট্রিয়ার মসজিদুল হিদায়ার ইমাম ও খতিব অধ্যাপক শায়খ আবদুল মতিন আল আজহারী। অনুষ্ঠান বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মো. শামসুদ্দিন মিঠুর নির্বাহী প্রযোজনায় গ্র্যান্ড ফিনালে আয়োজনের উপস্থাপনায় ছিলেন মাওলানা মো. হেদায়েতুল্লাহ। টাইটেল স্পন্সর জিপিএইচ ইস্পাত। পাওয়ার্ড বাই আরএফএল পাইপ এন্ড ফিটিংস। সহযোগিতায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, স্মার্ট একটিভ সিনথেটিক কালার পেস্ট। অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল কিউএস মাল্টিমিডিয়া।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৪

পাঁচ মাসেই হাফেজ তাহসিন
মাত্র পাঁচ মাসে পবিত্র কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করলেন চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার দারুল কোরআন মাদ্রাসার ছাত্র তৌহিদুল হাসান তাহসিন। নয় বছর বয়সী তাহসিন নাজেরানা শেষ করে কোরআনে হাফেজ হতে এই মাদরাসা ভর্তি হয়।  সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে মাদ্রাসা মিলনায়তনে তাহসিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পাগড়ী প্রদান করেন শিক্ষক ও আমন্ত্রিত অতিথিরা। তাহসিন উপজেলার সূচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দশনা পাড়ার ইমাম হোসেনের চতুর্থ এবং কনিষ্ঠ সন্তান। তাহসিন বলেন, কোরআনে হাফেজ হতে মা-বাবা ও শিক্ষকদের সার্বিক সহযোগিতা এবং দোয়া পেয়েছি। আমার শিক্ষকরা যেমন সহায়তা করেছে, তেমিন আমিও দিন এবং রাতে পড়েছি। যে কারণে ৪ মাস ২৮ দিনে আমার পুরো কুরআন হিফজ সম্পন্ন হয়। এর জন্য আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রশংসা করছি।   তাহসিনের মা আয়েশা বেগম বলেন, আমার ছেলে খুবই ছোট। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় সে কুরাআন হিফজ করা শেষ করতে পেরেছে। আমার ছেলে যেন আরো বড় আলেম হতে পারে সে জন্য দেশবাসীসহ সকলের দোয়া চাই।  মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান বুলবুলি বলেন, মাদ্রাসায় ৮০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন কোরআন তিলওয়াত প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে তাহসিন নামে ছাত্র ১৪৮ দিনে কুরআন হিফজ সম্পন্ন করেছে। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই এই ছাত্র যেন একজন ভাল আলেম হতে পারে। একই সাথে আমরা প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।  
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৬

কাবা শরীফের ইমাম হতে চান বিশ্বজয়ী হাফেজ বশির
ইরানে কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৮০টি দেশের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অধিকার করা বাংলাদেশের হাফেজ বশির আহমেদকে সংবর্ধনা দিলো ছাত্রলীগ। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিন প্রাঙ্গণে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।  সংবর্ধনায় হাফেজ বশিকে একটি গিফট বক্স তুলে দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এমন সম্মাননা পেয়ে আনন্দিত বশির ও তার শিক্ষক মাওলানা হাফেজ নেছার আহমেদ নেছারী। হাফেজ বশির বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! দেশবাসীর দোয়ায় আমি ইরানে কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছি। হাফেজদেকে সম্মানিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করায় ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানাই। বশিরের শিক্ষক মাওলানা হাফেজ নেছার আহমেদ নেছারী বলেন, বশির মাত্র পাঁচ মাসে হিফজ সম্পন্ন করেছে। সে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার আগে খুব ভয় পাচ্ছিলো। আমি তাকে বলেছি তুমি ১৮ কোটি মানুষের ভার নিয়ে এসেছো। যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের পতাকাকে সম্মানিত করতেই হবে। তার স্বপ্ন হচ্ছে ইসলামিক স্কলার হওয়া এবং পবিত্র কাবা শরীফের ইমাম হওয়া। তিনি আরও বলেন, বশির সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে সম্মানিত করায় তাকে দেশের বিভিন্ন মহল থেকে সম্মানিত করা হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত রাখলে হাফেজরা আরও অনুপ্রাণিত হবে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত হবে, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সম্মান বাড়বে।  ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা চাই দেশে একটি ইনক্লুসিভ শিক্ষা ব্যবস্থা ও ছাত্ররাজনীতি গড়ে উঠুক। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার জন্য আমরা মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রম চালু করেছি। তারা যেন প্রযুক্তির সুযোগ সুবিধা, কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ সরকার তাদের বিশ্বস্ত বন্ধু হয়ে কাজ করবে। 
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩১

বিশ্বজয়ী হাফেজ বশির আহমেদকে সংবর্ধনা দেবে ছাত্রলীগ
ইরানে কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৮০টি দেশের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অধিকার করা বাংলাদেশের হাফেজ বশির আহমেদকে সংবর্ধনা দেবে ছাত্রলীগ। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিন প্রাঙ্গণে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাত্রলীগের মাদরাসা শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিকেল ৩টায় বিশ্বজয়ী হাফেজ বশির আহমেদকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে তাকে একটি গিফট বক্স দেওয়া হবে। গিফটের মধ্যে কুরআন শরিফ, জায়নামাজ ও টুপিসহ আরও অনেক কিছু থাকবে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪১

৭ মাসে হাফেজ হলেন ১১ বছরের আল মাহির
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জামিয়া ইয়াকুবিয়া বসুরহাট মাদরাসার ১১ বছর বয়সী ছাত্র আল মাহির শাহরিয়ার মাত্র ৭ মাসে কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। অপরদিকে, একই প্রতিষ্ঠান থেকে ১১ মাসে কোরআনে হাফেজ হয়েছেন ১৩ বছর বয়সী তারই বড় ভাই আল ফাহিম শাহরিয়ার। দুভাই অল্প সময়ে কোরআন মুখস্থ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। নিজের ছেলেদের জন্য দোয়া চেয়েছেন মা সালমা সুলতানা লিলি।  জানা যায়, বাবা ও নানার ইচ্ছায় প্রথমে বড় ছেলে আল ফাহিম শাহরিয়ারকে বাড়ির পাশে জামিয়া ইয়াকুবিয়া বসুরহাট মাদরাসার হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। বড় ছেলে ১১ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করে কোরআনে হাফেজ হন। এতে পরিবারে দেখা দেয় পরিবর্তন। এরপর ছোট ছেলে আল মাহির শাহরিয়ারকেও ভর্তি করা হয় একই মাদরাসার হিফজ বিভাগে। সে ওই মাদরাসা থেকে মাত্র সাত মাস একদিন সময় নিয়ে কোরআন মুখস্থ করে ফেলেন। ছেলেদের এমন সাফল্যে খুশি মা-বাবাসহ এলাকাবাসী। মায়ের আশা ছোট ছেলে আল ফারিক শাহরিয়ার আরও কম সময়ে কোরআনে হাফেজ হবেন। তারা দুভাই বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলী এলাকার হাজী তাজুল ইসলামের বাড়ির প্রবাসী মাইন উদ্দিনের ছেলে।   হাফেজ আল ফাহিম শাহরিয়ার ও তার ছোট ভাই আল মাহির শাহরিয়ার বলেন, মা-বাবা ও নানার আন্তরিক উৎসাহে আমরা কোরআনে হাফেজ হয়েছি। আমরা আমাদের শিক্ষক এলাকাবাসীসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞ। শিক্ষার্থীদের মা সালমা সুলতানা লিলি বলেন, আমার বাবা তার নাতিদেরকে হাফেজ বানানোর জন্য আমাকে উৎসাহ দেন। উনার খুব ইচ্ছে ছিল, আমার তিন ছেলে যেন হাফেজ হন। নাতিরা যেন তার নানা মারা গেলে নানার জানাজা পড়াতে পারেন। প্রথমে কিন্তু আমি ছেলেদের মাদরাসায় দিতে চাইনি। ওদের বাবা অনেকটা জোর করে এক ছেলেকে হাফেজ বানিয়ে দেখতে বলেন। যখন আমার বড় ছেলে হাফেজ হয়। তখন আমার মধ্যে কথাবর্তা, আদব কায়দা, নামাজ কালামে পরিবর্তন চলে আসে। তখন আমার দ্বিতীয় ছেলেকে হিফজ বিভাগে ভর্তি করিয়েছি। জামিয়া ইয়াকুবিয়া বসুরহাট মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মান্নান বলেন, দুভাই অনেক মেহনত করে কোরআন মুখস্থ করে। মাঝখানে ছোট ভাইয়ের একটু সমস্যা করেছিল। পরে তা আবার ঠিক হয়ে যায়। ১৯৯৪ সালে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এ মাদরাসা থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ জন কোরআনে হাফেজ হয়েছে। আমার হাতে এ মাদরাসা থেকে ২৫জন ছাত্র হাফেজ হয়েছে।     মুহতামিম জামিয়া ইয়াকুবিয়া বসুরহাট মাদরাসার মুফতি মুহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, এ মাদরাসা প্রতিষ্ঠা পর থেকে ৫০ জন ছাত্র হাফেজ হয়। দুভাই অনেক মেহনত করে কোরআনে হাফেজ হয়েছে। আমি তাদের ওস্তাদকেও ধন্যবাদ জানাই, তারা ছাত্রদের পেছনে খুব মেহনত করেছেন।  শুধু মাদরাসার শিক্ষকরাই নন এলাকাবাসীও শুভ কামনা জানিয়েছেন হাফেজ দুভাইয়ের জন্য। তাদের প্রত্যাশা ইসলাম প্রসারে ভূমিকা রাখবেন এ হাফেজরা।  
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৮

দেড় বছরে কোরআনের হাফেজ দুই ছাত্রকে রাজকীয় বিদায়
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় দেড় বছরে কোরআনের হাফেজ দুই ছাত্রকে রাজকীয়ভাবে বিদায় দিয়েছেন মাদরাসা কমিটি। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে দিঘিরহাট নুরুল উলুম নুরানি হাফিজিয়া মাদরাসায় বিদায় অনুষ্ঠান ঘিরে হাফেজ দুজন ছাত্রকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মুসুল্লি ও এলাকাবাসী।  হাফেজ দুজন হলেন পাটগ্রমা উপজেলার কুচলিবাড়ী গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মো. রমজান আলী ও সফিকার রহমানের ছেলে মো. আবদুর রহমান। মাদরাসা কমিটি ও শিক্ষক হাফেজ ছাত্র দুজনকে ফুলের মালা পরিয়ে বিভিন্ন উপহারসামগ্রী তুলে দেন। আয়োজকরা তাদেরকে সুসজ্জিত মাইক্রোবাসে বসিয়ে রাজকীয় সম্মানে পৌঁছে দেন বাড়িতে।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আওলাদ হোসেন, মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক, কমিটির সভাপতি আব্দুস সামাদ বাচ্চু, সম্পাদক শামসুল হক বাবু, শিক্ষক হাফেজ ইমানুর রহমান।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়