• ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
সুনামগঞ্জে পরকীয়া সন্দেহে ও পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে খুন করেছে স্বামী। ঘটনার পর ঘাতক স্বামী রহমত আলী (২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ মে) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর এলাকায় সুরমা নদীরপাড়ে এই ঘটনা ঘটে।  নিহত গৃহবধূর নাম সুমা আক্তার (১৯), তিনি সুরমা ইউনিয়নের বেরিগাওঁ গ্রামের রহমত আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী। বিশ্বম্ভপুর উপজেলার মতুরকান্দি গ্রামের কিশোরগঞ্জ মহল্লার মৃত গোলাপ মিয়ার মেয়ে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রহমত আলী ও সুমা আক্তার এক বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন। গত ৪ মাস যাবত সুনামগঞ্জ শহরের নবীনগর এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করেন। স্ত্রীর পরকীয়া সন্দেহের ও পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত।  বুধবার রাত সাড়ে ১১ সুরমা নদীর পাড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে রড দিয়ে মাথায় আঘাত ও বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে স্ত্রী সুমাকে হত্যা করে স্বামী রহমত আলী। এরপর মরদেহ বনের মধ্যে রেখে আসেন৷ নিহতের মায়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ রহমত আলীকে বুধবার রাতেই আটক করে। মরদেহ ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রড ও ছুরি উদ্ধার করে। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে জানান, পরকীয়া সন্দেহের ও পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী সুমাকে বুধবার রাতে সুরমা নদীর পাড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে রড ও ছুরি দিয়ে হত্যা করেছে স্বামী রহমত আলী। তাকে গ্রেপ্তার করে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রড ও ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের কথা সে স্বীকার করেছে।     
০৩ মে ২০২৪, ০০:২২

খাটের ওপর পড়ে ছিল গৃহবধূ, স্বামী ঝুলছিল ওড়নায় 
গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার এক কক্ষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. ইসরাফিল (১৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে ও মোছা. রোকেয়া খাতুন (১৫) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে। জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত ৭-৮ মাস আগে তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের বহুতল ভবনে ভাড়া থেকে ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন। নিহত ইসরাফিলের বাবা মফিজুল হক জানান, পাশাপাশি ফ্লাটে বসবাস করতেন তারা। পরিবারের রান্নার কাজ তারা ইসরাফিলের ফ্লাটে করতেন। শুক্রবার সকালে ইসরাফিলের ফ্লাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে যান এবং ইসরাফিলকে ওড়নায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রোকেয়ার মরদেহ খাটের ওপর বিছানায় দেখতে পান। পরে পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আমি তোমাদের সঙ্গে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারও কোনো দোষ নেই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। সবাই ভালো থাকবা। মো. ইসরাফিল। মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁস দিল। তার জন্য সম্পন্ন আমি দায়ী। এতে কারও কোনো দোষ নাই।’ কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আজমীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রী রোকেয়া আত্মহত্যা করার পর তার শোকে স্বামী ইসরাফিল আত্মহত্যা করেছে। আমরা সুইসাইড নোট সংগ্রহ করেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৯

৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের তালবারিয়া গ্রামের মো. সোহেল রানার ছেলে মো. আবু সাঈদ। বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট, পুলিশের বড় কর্মকর্তা, এনএসআই কর্মকর্তা, অভিজাত হোটেলের ম্যানেজারসহ বিভিন্ন পরিচয় রয়েছে অষ্টম শ্রেণি পাস এই যুবকের। এসব পরিচয়ে ৩০ বছর বয়সেই ১৪টি বিয়ে করেছেন তিনি। জানা গেছে, বাবার স্টুডিওর দোকান থেকে ফটোশপে দক্ষ সাঈদের প্রতারণার প্রধান অস্ত্র টিকটক, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। যে নারী প্রতিষ্ঠিত, অর্থ-সম্পদ আছে সেই নারীদের টার্গেট করে সাঈদ টিকটক ও ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। সম্পর্কের পর বিয়ে করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে পালিয়ে যান তিনি। শুধু বিয়েই নয়, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এসব কারণে একাধিক মামলার আসামি হয়ে পলাতক রয়েছেন তিনি। ছোট থেকেই ধূর্ত আবু সাঈদ ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি গুরুদাসপুরের একটি ক্লিনিকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় আটক হয়ে গত ৪ বছর এলাকা ছাড়া। তবে ফেসবুক ও টিকটকে কখনও পাইলটের পোশাকে, কখনও পুলিশের পোশাকে নিয়মিত দেখা যায় তাকে। পরিবারের সঙ্গে গত চার বছরে দেখা করতে আসেননি তিনি। তবে বিভিন্ন সময়ে দূর-দূরান্ত থেকে আবু সাঈদের স্ত্রী পরিচয়ে অনেক নারী তার সন্ধানে আসেন। ২০১০ সালে জামালপুরের মাউশি এলাকার বৃষ্টি বেগম নামে একজনকে বিয়ে করেন আবু সাঈদ। তাদের দুই ছেলে রয়েছে। ২০১২ সালে রাজশাহীতে বিয়ে করেন। ওই বছরেই পাবনার চাটমোহর এলাকায় একজনকে বিয়ে করেন। ২০২১ সালে মানিকগঞ্জ জেলার এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর ২০১৩ সালে ঢাকার একজনকে বিয়ে করেন। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট টাঙ্গাইল সদর উপজেলা খাদিজা আক্তার সাদিয়াকে বিয়ে করেন।  ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর নাটোরের লালপুর উপজেলার এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২২ সালে আবারও টাঙ্গাইল মধুপুরের এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরায় এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২৩ সালেই আবার ঢাকার সাভারের এক নারীকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিয়ে করেন তিনি। ২০২৪ সালে ১৩তম স্ত্রী বরিশালে বিয়ে করেন। ঠাকুরগাঁওয়ে বিয়ে করে ১৪তম স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুরে সংসার করছেন আবু সাঈদ। এ বিষয়ে পঞ্চম স্ত্রী দাবি করা খাদিজা আক্তার সাবিনা জানান, বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কমার্শিয়াল পাইলট পরিচয়ে প্রায় আড়াই বছর আগে টিকটকে আবু সাঈদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তখন তিনি জানিয়েছিলেন তার বাবা-মা কেউ নেই, এতিমখানায় বড় হয়েছেন। এরপর প্রেমের পর ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে আমাদের বিয়ে হয়। টাঙ্গাইল সদরে আমার একটি বিউটি পার্লার ও একটি এনজিও পরিচালনা করি। বিয়ের পর আবু সাঈদ আমার দুই বোন ও এক ভাতিজিকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩০ লাখ টাকা চান, আমরা তাকে সেই টাকা দিই। কয়েক দিন পর আমার কাছ থেকে আরও ১০ লাখ টাকা নেন তিনি। কিছুদিন পরে তিনজনকেই নিয়োগপত্র দেন এবং বলেন তিন মাস পর চাকরিতে যোগদান করতে হবে। তিনি বলেন, একপর্যায়ে সাঈদের আসল ঠিকানা এবং তার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারি। তবে সাঈদ বুঝতে পেরেছিল আমি সব জেনে গেছি। এমনকি চাকরির জন্য যে নিয়োগপত্র দিয়েছিল সেগুলোও ভুয়া ছিল। এ কারণে আমার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সাঈদ। তারপর থেকে তাকে খোঁজার চেষ্টা করেও পাইনি। এসব ঘটনায় টাঙ্গাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে সাঈদের নামে মামলা করেছি। সাঈদের সন্ধান করতে গিয়ে তার আরও চার স্ত্রীর খোঁজ পাই। তাদের সবার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। সবার কাছ থেকেই বিয়ের পর বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।  সাঈদের চতুর্থ স্ত্রী দাবি করা এক নারী বলেন, আমি কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে চাকরি করি। তিন বছর আগে আমাদের টিকটকে পরিচয়  হয়। এনএসআই কর্মকর্তার পরিচয়ে সে আমার সঙ্গে কথা বলতো। এরপর প্রেম ও বিয়ে হয় আমাদের। বিয়ের পর চাকরি করে জমানো প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সে। তখন থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ। আজ পর্যন্তও তার সন্ধান পাইনি। একই কথা জানিয়েছেন সাঈদের আরও পাঁচ স্ত্রী। সাঈদের প্রতিবেশী মাসুদ রানা বলেন, সাঈদ ফটোশপে নিজের ছবি এডিট করে পাইলট, পুলিশ, সেনাবাহিনী, ডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তার পরিচয় দেয়। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পোশাক পরে ছবি তুলে তা ফেসবুক ও টিকটকে পোস্ট করত। এতে সুন্দরী মেয়েরা অল্প সময়ে তার প্রেমের ফাঁদে পড়ে যায়। সাঈদের বাবা সোহেল রানা বলেন, সাঈদের জন্য কোথাও মুখ দেখাতে পারি না। লজ্জা হয়, মাঝে মাঝে মরে যেতেও মন চাই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান থেকে মেয়েরা তার সন্ধানে আসে এবং ছেলের বউ হিসাবে পরিচয় দেয়। কিন্তু সাঈদের সঙ্গে গত চার বছরে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। পাশের গ্রামে সাঈদকে বিয়ে দিয়েছিলাম। সেই ঘরে ২টি সন্তান রয়েছে। ওই মেয়েটা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় করেছে। কিন্তু সাঈদ না আসায় বউমা এখন বাবার বাড়িতে চলে গেছে। এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৫

নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে ভাড়া বাসার তালাবদ্ধ ঘর থেকে আজিদা বেগমের (৪০) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি স্বামীসহ ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী পলাতক রয়েছেন।  রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের বাবুল খানের ভাড়া বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আজিদা বেগম নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার হাইলাটি গ্রামের রুমালী হোসেনের মেয়ে। সে উপজেলার জৈনা বাজারে স্থানীয় দুলাল কুমার ঘোষের পাবনা হোটেলের রান্নার কাজ করতেন। জৈনা বাজারের পাবনা হোটেলের মালিক দুলাল কুমার ঘোষ বলেন, প্রায় ৬ মাস যাবৎ আজিদা বেগম আমার হোটেলে কাজ করতেন। তিনি রান্না ও থালা-বাসন ধোয়ার কাজে সহযোগিতা করতেন। কখনো তার স্বামীকে দেখিনি। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, প্রায় ৯ মাস পূর্বে আজিদা বেগম তার স্বামীকে নিয়ে নগরহাওলা গ্রামের বাবুল খানের টিনশেড রুমের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। তার স্বামী স্থায়ীভাবে বসবাস না করলেও নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন। স্ত্রীর পরিচয় পাওয়া গেলেও স্বামীর পরিচয় কেউ জানাতে পারেনি। তার স্বামীর ব্যাপারে জানতে চাইলে সে বাড়ির মালিককে বলতো সে মাওনা চৌরাস্তায় কাজ করতেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে ঘর তালাবদ্ধ থাকায় কেউ খোঁজখবর নেয়নি। দুর্গন্ধ ও মশা-মাছি ছড়িয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে মেঝেতে ওই নারীর গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের পাশে বঁটি ও দা পড়েছিল। তিনি আরও বলেন, শুক্রবার কোনো একসময় বঁটি দিয়ে ওই নারীর স্বামী তাকে গলা কেটে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। স্বামীর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে তার স্বামীই গলা কেটে হত্যা করে পালিয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৭

গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক
নওগাঁর বদলগাছীতে অঞ্জুম নুরে ঐশী (১৭) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের গৃহবধূর নিজ ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  নিহত গৃহবধূর ওই গ্ৰামের ইমরান হোসেনের স্ত্রী। বদলগাছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে স্থানীয়দের মাধ্যমে ওই গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। এরপর ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। মরদেহটি উদ্ধারের সময় ওই গৃহবধূর গলায় দাগ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত গৃহবধূর স্বামী ইমরানকে আটক করা হয়েছে।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৩

মাদকের টাকার জন্য স্ত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দিলেন স্বামী
কুমিল্লায় মাদকের বকেয়া টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে তিন ধর্ষকের হাতে তুলে দিয়েছেন আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তি। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ ঘটনায় তিন ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। গত বুধবার জেলার বরুড়া উপজেলার শাকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তাররা হলেন- ওই গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম নুরু, তার সহযোগী মনির হোসেন ও মাহিন উদ্দিন। জানা গেছে, মাদকাসক্ত আবুল খায়ের একই গ্রামের নুরুল ইসলাম নুরু থেকে নিয়মিত মাদক নিতেন। সম্প্রতি ওই মাদক ব্যবসায়ীর কাছে ৫ হাজার টাকা বাকি পড়ে যায় তার।  কিন্তু বকেয়া টাকা দিতে না পারায় কৌশলে বুধবার স্ত্রীকে ওই মাদককারবারীর হাতে কৌশলে তুলে দেন খায়ের। ওইদিন গভীর রাতে স্থানীয় এক বিলে নুরু তার সহযোগী মনির ও মাহিনকে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এরপর ওই গৃহবধূ তার বাবার বাড়িতে ঘটনাটি জানায়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ বরুড়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।   নির্যাতনের শিকার নারীর চাচা আলা উদ্দিন ওই গৃহবধূর স্বামী ও ধর্ষকদের বিচার দাবি করেছেন। এ বিষয়ে বরুড়া থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তার স্বামীকেও খুঁজছে পুলিশ। তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৭

মাদক সেবন করে স্ত্রীকে মারধর, কারাগারে স্বামী 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাদক সেবন করে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে রিপন মিয়া (২৬) নামে এক মাদকসেবী স্বামীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তাকে দু’মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রিপন মিয়া পৌরসভার দেবগ্রাম এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়ার ছেলে।  ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রিপন মিয়া মাদকাসক্ত ছিলেন। মাদক সেবন করে তিনি প্রায়ই তার স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতেন। মঙ্গবার দুপুরে রিপন মিয়া মাদক সেবন করে স্ত্রীকে মারধর করলে তার স্ত্রী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান।   এরপর বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাহাতুল ইসলাম আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় গিয়ে তাকে আটক করে দু’মাসের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৩

যে কারণে জেল থেকে বের হয়েই স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী 
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রী শরিফা খাতুনকে (২২) নির্যাতনের মামলায় কারাভোগ শেষে জেল থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আরাফাত শুভর (২৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শাশুড়ি ইয়াসমিন খাতুনকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৮টায় শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী পূর্বপাড়া (মুরগি বাজার) স্বামীর বাড়ি থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান। গৃহবধূ শরিফা খাতুন শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা (সুতা পাড়া) গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং একই ইউনিয়নের আরাফাত শুভর স্ত্রী।  স্বামী আরাফাত শুভ একই ইউনয়নের তালতলী পূর্বপাড়া (মুরগি বাজার) গ্রামের শাহজাহানের ছেলে। তিনি পেশায় প্রাইভেটকার চালক। তাদের ঘরে ইসরাত আক্তার নামে আড়াই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। গৃহবধূর মামা ওমর ফারুক বলেন, ‘শুভ ও শরিফা খালাতো ভাই বোন। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে তারা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুভ তার স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন। নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা না হওয়ায় স্ত্রী শরিফা স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় স্বামী শুভ কারাভোগ শেষে সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আসেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে তাদের ঘরে ঝগড়ার আওয়াজ শুনতে পাই। সকালে শুনি আমার ভাগনি মারা গেছে। মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে তার স্বামী ও শাশুড়ি পালিয়ে যেতে চাইলে এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়।’ স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রহবধূর স্বামী আরাফাত শুভ নারী লোভী ও জুয়া খেলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এসব অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া লেগেই থাকতো। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাখাওয়াত হোসেন জানান, গৃহবধূর মৃত্যুর খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। এলাকাবাসী গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৪

গভীর রাতে ঘরে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আশঙ্কাজনক স্বামী 
পূর্ব শত্রুতার জেরে লক্ষ্মীপুরে জোৎসনা আক্তার (৩০) নামে এক নারীকে ‍কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হামলায় আহত স্বামী আলা উদ্দিনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। রোববার (১৪ এপ্রিল) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের মেঘনা বাজার এলাকার নুরুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত আলাউদ্দিন মৃত শাহে আলমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী।  অভিযুক্তরা হলেন ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী বকুলের বাপের বাড়ির আবদুর ররের ছেলে সিরাজ, মাহফুজ ও নিজাম। তারা সম্পর্কে আলাউদ্দিনের খালাতো ভাই। আহত আলাউদ্দিনের মামা নুরুল হক ও স্বজনরা জানান, রমজান মাসে আলাউদ্দিনের ঘরের পাশে একটি পুকুরে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করে নিয়ে যায় অভিযুক্ত সিরাজ। এরপর গত সপ্তাহে ওই পুকুরে আবারও পানি নিষ্কাশনের জন্য সেচ পাম্প বসায় সিরাজ। এতে বাড়ি-ঘর পুকুরে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় বাধা দিলে আলাউদ্দিনের সঙ্গে সিরাজের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়  সিরাজ। এরইমধ্যে ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন সিরাজের ভাই পারভেজ ও নিজাম। ওই বিরোধের জেরেই রোববার রাতে আলাউদ্দিনের ঘরে হামলা চালিয়ে তাকে ও তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জোৎসনা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় আলা উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. একে আজাদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই জোৎসা বেগমের মৃত্যু হয়। তবে স্বামী আলাউদ্দিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।  লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৭

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারলেন স্বামী
চাঁদপুরের মতলবে যৌতুকের জন্য স্ত্রী খাদিজা আক্তারের (২৩) গায়ে শ্যালো ইঞ্জিনের ডিজেল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করলো স্বামী ইব্রাহিম প্রধান।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের দিন সকাল ৭টার দিকে ইব্রাহিম তার স্ত্রীর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে খাদিজা মারা যান। অভিযুক্ত ইব্রাহিম শ্যালো ইঞ্জিন চালিত সেচপাম্প চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। তার বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বকচর গ্রামে।  জানা গেছে, চার বছর আগে একই গ্রামের দিনমজুর খোকন মিয়ার মেয়ে খাদিজাকে বিয়ে করে ইব্রাহিম (৩৮)। এরপর থেকেই যৌতুক হিসেবে টাকা দাবি করে খাদিজাকে নির্যাতন শুরু করত ইব্রাহিম। ঘটনার দিন সকাল ৭টার দিকে খাদিজার শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ইব্রাহিম। এরপর তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানায়, খাদিজার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে যায় আগুনে। বিষয়টি গোপন করে খাদিজার স্বজনদের না জানিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন লাশ দাফন করেন। আজ (রোববার) মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পান খোকন মিয়া। পরে মতলব দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। খোকন মিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকেই খাদিজাকে যৌতুকের জন্য মারধর করতো ইব্রাহিম। এসব নিয়ে অনেকবার সালিশ-বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু তার যৌতুক দেওয়ার সামর্থ্য নেই দেখে মেয়েটা মুখ বুঝে সবকিছু সহ্য করে গেছে। তিনি এ ঘটনায় জামাতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এলাকাবাসী জানায়, এটি ইব্রাহিমের তৃতীয় বিয়ে। যৌতুকের জন্য নির্যাতন সইতে না পেরে আগের দুই স্ত্রী পালিয়ে বেঁচেছেন। শেষরক্ষা হয়নি হতদরিদ্র বাবার মেয়ে খাদিজার।  মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন বালা বলেন, খাদিজার শাশুড়ি যায়েদা খাতুনকে (৬৭) বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। পলাতক ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।  
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়