• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
গোপালগঞ্জে স্বামী কমলেশ বাড়ৈ (৪৫) হত্যার দায়ে স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাকসুদুর রহমান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কমলেশ বাড়ৈর স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈ (৩৮) ও তার পরকীয়া প্রেমিক মন্মথ বাড়ৈ (৪০)।  জানা যায়, সুবর্ণার বাড়ি কোটালীপাড়া উপজেলার তালপুকুরিয়া গ্রামে এবং মন্মথ বাড়ৈ ওই গ্রামের মহেন্দ্রনাথ বাড়ৈর ছেলে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামি পলাতক রয়েছেন। মামলার বরাতে জানা যায়, কমলেশ বাড়ৈ কাঠমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার স্ত্রী গৃহবধূ সুবর্ণা বাড়ৈ একই গ্রামের মন্মথ বাড়ৈর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি স্বামী কমলেশ বাড়ৈ জানতে পারেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ শুরু হয়। সুবর্ণা বাড়ৈ ও তার পরকীয়া প্রেমিক কমলেশকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০২০ সালের ২ মার্চ গভীর রাতে খাবারের সঙ্গে কমলেশকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে হত্যার পর মরদেহ ঘের পাড়ে মাটিচাপা দেয় তারা।  প্রায় ৩ মাস পর ঘেরপাড় থেকে কমলেশের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কমলেশের ভাই রমেশ বাড়ৈ বাদী হয়ে সুবর্ণা ও মন্মথকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে বিচারক সুবর্ণা ও মন্মথকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর। বিবাদী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এইচএম মহিউদ্দিন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পিপি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর। তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পর পুলিশ ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে তারা জামিনে বেরিয়ে আর আদালতে হাজির হননি। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
০১ মে ২০২৪, ১৩:১৭

বিয়ের আগেই সন্তান জন্ম, স্বামীকে নিয়ে মুখ খুললেন সেই অভিনেত্রী
বলিউডের এ প্রজন্মের অভিনেত্রী ইলিয়ানা ডিক্রুজ। ‘বরফি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে দর্শকদের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। গেল বছর পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন তিনি। তার সন্তান জন্মের খবরে নড়েচড়ে বসেছিলেন নেটিজেনরা। বিয়ের আগে সন্তানের আগমনের বিষয়টি অনেকেই সেসময় ভালো চোখে দেখেননি। কটাক্ষে মেতেছিলেন কেউ কেউ। অভিনেত্রীর সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। তারপর জানা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মাইকেল ডোলানকে বিয়ে করেছেন ইলিয়ানা। এবার অভিনেত্রী মুখ খুললেন তার স্বামী মাইকেলকে নিয়ে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইলিয়ানা বলেন, বিবাহিত জীবন সুন্দরভাবে চলছে। আমি তার কোনো জিনিসটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি, তা বলা সত্যিই কঠিন। আমাকে সত্যিই ভাবতে হবে কারণ আমার মনে হয় যখনই আমি এরকম কোনো উত্তর দেই, সেখানে কিছু না কিছু বাকি থেকে যাবে। পরেরদিন হঠাৎ করে তোমার মাথায় আসবে। আরও বলেন, তিনি আমাকে আমার সবচেয়ে খারাপ সময় পার করতে দেখেছেন। তিনি আমাকে আমার সেরা কিছু সময়ের মধ্য দিয়েও দেখেছেন। তিনি প্রথম দিন থেকেই আমার পাশে ছিলেন। তার ভালোবাসার অবিচ্ছিন্ন সমর্থন আমার প্রতি ছিল সবসময়তেই। অনেকটা আমার সিনেমা দো অর দো প্যায়ারের মতো। অস্ট্রেলিয়ার ফটোগ্রাফার অ্যান্ড্রিউ নিবোনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন ইলিয়ানা। একাধিকবার তার সঙ্গে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছেন। ২০১৯ সালে দুজনের বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসে। অ্যান্ড্রিউ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করতে চাইলেও ইলিয়ানা বিচ্ছেদের খবর স্বীকার করে নেন।  তারপর খবরে এসেছিল ক্যাটরিনা কাইফের ভাই সেবাস্টিয়ান লরেন্ট মিশেলের সঙ্গে প্রেম করছিলেন ইলিয়ানা। সেই প্রেম নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে দেখা যায়নি তাকে। এরপর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর দিয়ে হইচই ফেলে দেন তিনি। পরে প্রকাশ করেন সন্তানের বাবার পরিচয়।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৭

জয়ের স্ত্রীর দাবি, সালমান শাহর মতোই তার স্বামীকে টার্গেট করা হলো
সম্প্রতি বিএফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নায়ক জয় চৌধুরীকে বয়কট করেছেন বিনোদন সাংবাদিকরা। তবে এই নায়কের স্ত্রী রোমানা ইসলাম নীড়ের দাবি তার স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার। এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। নীড় বলেন, এই ১১ বছরের ফিল্ম জীবনে কেউ বলতে পারবে না জয় কারও সঙ্গে কোনোদিন বেয়াদবি করেছে। শুধু সাংবাদিক ভাইয়েরা না চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত কোনো একটা মানুষ বলতে পারবে না। এমনকি আমাদের বিএফডিসিতে যে ঝাড়ুর কাজ করে তার সঙ্গেও হেসে কথা বলে তাদের সমস্যায় পাশে থেকেছে। এতোটাই ভালোবাসা পেয়েছে সে যে শিল্পীরা তাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে শিল্পীদের নেতা বানিয়েছে। ২৩ তারিখ কী এমন হলো যে এই পরিবেশ হলো?  উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে চিত্রনায়িকা নীড়ের ভাষ্য, আপনার শিল্পীকে কেউ বাউন্ডারি ক্রস করে মারতে আসবে আর আপনি সেটা চেয়ে চেয়ে দেখবেন? এটাই কি কাম্য আপনাদের? ভিডিওতে সবাই দেখেছে শিল্পী সমিতির বাউন্ডারি ক্রস করে একজন ভিতরে ঢুকছিল শিল্পীকে আঘাত করার জন্য। সেটা দেখে আর একজন শিল্পী প্রতিবাদ করেছে! এটাইতোহ শিল্পীদের ধর্ম হওয়া উচিত। খুব অবাক হলাম একা জয় চৌধুরীকে দোষ দিয়ে তাকে কোণঠাসা করা হচ্ছে? এটা কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হচ্ছে না তো?  সালমান শাহ, শাকিব খানদের মতোই টার্গেট জয়, এমনটাই মনে করে নীড় বলেন, যদি বিচার করতেই হয় আসেন সমান বিচার করতে শিখি? ওখানে কি এমনিই শিল্পীরা ক্ষিপ্ত হয়েছিল? আরও সহজভাবে বলি ওখানে কি এক হাতে তালি বেজেছিল? যে ছেলেটা ১১ বছর কারও সঙ্গে এক মিনিটের জন্য বেয়াদবি করেনি সে হঠাৎ করেই রেগে গেল? যুগে যুগে আমাদের চলচ্চিত্রে হয়ে এসেছে যে একটু মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তাকেই টার্গেট করা হয়েছে! সালমান শাহ, মান্না ভাই, শাকিব ভাই, জায়েদ খান, শেষে আসলো এই জয় চৌধুরী! শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই জয়কে লক্ষ্য করা হয়েছে বলে মনে করেন নীড়। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য সালমান শাহ আজ মরে গিয়েও প্রতিটা মানুষের অন্তরে আছে! মান্না ভাইও একই! শাকিব খান আজ আমাদের সব থেকে বড় সুপারস্টার! জায়েদ খানকে সবাই চেনে! জয়ের কি হবে জানি না! তবে একটা কথা বলতে পারি জয় জীবন দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রকে এবং এখানকার মানুষদেরকে ভালোবাসে। সর্বোপরি বলতে চাই এই শিল্পী সমিতির নির্বাচনই কি কাল হলো? চোখে পড়ে গেলো? চারদিকে এতো প্রশংসা এটাই কি কাল হলো?  আমি নিজে বলতে শুনেছি অন্য শিল্পীরা বলছে আজ জয় না থাকলে আমরা জিততে পারতাম না! অন্য শিল্পীরা বলছে এমন একজন জয় থাকলে আমাদের হয়ে যেতো! পরিবারকে সময় না দিয়ে দিনের পর দিন শিল্পী সমিতিকে সময় দিয়েছে! আমার মনে পড়ে না একটা ইফতার সে পরিবারের সঙ্গে করেছে! ঈদের দিনটা পর্যন্ত সে পরিবারকে দিতে পারেনি। এগুলোই কি কাল হলো? সাংবাদিক ভাইদের একটা কথায় বলবো সঠিক তদন্ত করে সঠিক সিদ্ধান্তটাই আপনারা নেবেন এটা বিশ্বাস রাখি। নীড় বলেন, আবেগ বা প্ররোচণায় পড়ে সিদ্ধান্ত সবার জন্যই ক্ষতির কারণ শিল্পী আর সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক একে অপরের ভাই। তাই ভাই ভাইয়ের সঙ্গে নমনীয় হবে এটাই স্বাভাবিক। সব শেষে আমরা একটা পরিবার।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৯

কিডনি দিয়ে স্বামীকে বাঁচানো ববিতার প্রাণ গেল ছিনতাইকারীদের হাতে
স্বামীর দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রায় ছয় মাস আগে নিজের একটি কিডনি দিয়ে সুস্থ করেছিলেন ববিতা আক্তার (৩৭)। তবে তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারলেন না। এক সপ্তাহ আগে ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত হয়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন তিনি। ঢাকার সাভারের বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ববিতা আক্তার আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার নাদিম মণ্ডলের স্ত্রী। এর আগে ১৫ এপ্রিল সাভার উপজেলার আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে রিকশায় ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত হয়েছিলেন ববিতা আক্তার। তার দেবর মো. কাদের হৃদয় বলেন, ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় ফুচকা খেতে যান ববিতা আক্তার। রাত আটটার দিকে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলে দুজন ছিনতাইকারী এসে ববিতার হাতের ব্যাগ ও গলায় থাকা সোনার চেইন টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান ববিতা। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পার্শ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ১৭ এপ্রিল ভুক্তভোগী গৃহবধূর দেবর মো. কাদের হৃদয় বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় সোমবার ওসমান গণি নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিলন ফকির। তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৩

স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে স্ত্রীর আত্মহত্যা
সাতক্ষীরা স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে ইরানী আফরোজ তানু (২৭) নামের এক বিউটি শিয়ান গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) শহরের কামালনগরের ভাড়া বাড়ির নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন তিনি। তিনি পলাশপোল সবুজবাগ এলাকার হান্নান গাজীর মেয়ে। জানা গেছে, গত মাসে কামালনগর দক্ষিণপাড়ার এই ভাড়া বাড়িতে ওঠেন ইরানী। সাতক্ষীরা শহরে তিনি একটি বিউটি পার্লার চালাতেন। বিভিন্ন বিষয়ে ওই দম্পত্তির সঙ্গে কলহ লেগেই থাকত। এদিন দুই সন্তানকে বাইরে রেখে এসে বাড়ি এসে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলা অবস্থায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ইরানী। এরপর স্থানীয়রা তা জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। সাতক্ষীরা সদর থানার তদন্ত (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।   
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৪২

স্বামীকে ফিরে পেয়ে যা বললেন ব্যাংক ম্যানেজারের স্ত্রী
বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন ঘরে ফিরেছেন। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে র‌্যাব। এদিকে অপহরণ হওয়ার তিন দিন পর স্বামীকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ব্যাংক ম্যানেজারের স্ত্রী মাইসুমা ইসলাম। তিনি বলেন, তিন দিন রুদ্ধশ্বাস সময় কেটেছে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রার্থনা শুনেছেন; নিরপরাধ মানুষটাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এটি শুধু আমার স্বামীর ফিরে আসা নয়, এটি একটি জীবনের বিজয়। মাইসুমা ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করার পর র‍্যাবের কর্মকর্তারা তাকে ফোন করেছিলেন। পরে তিনি র‍্যাব কার্যালয় গিয়ে স্বামীর সঙ্গে দেখা করেন। রাতে তার স্বামী র‍্যাবের কাছেই ছিলেন। পরে সকালে তার স্বামীকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে মুক্তি দিতে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে বান্দরবানের রুমা বাজার এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে র‌্যাব। 
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৭

কুমিল্লার হোমনায় স্বামীকে হত্যা, স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার হোমনায় প্রবাসী আব্দুল জলিল হত্যা মামলায় তার স্ত্রী শাহনাজ বেগমসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। এ মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মো. শাহজাহান নামের এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।  রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন।   রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবু ইউসুফ মুন্সী জানান, ২০১৩ সালের ৯ জুন ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে হোমনার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন আবদুল জলিল৷ পরদিন বাহের খোলা এলাকার রাস্তার পাশ থেকে জলিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই তাজুল ইসলাম। পরে আব্দুল জলিলের স্ত্রী শাহানাজ বেগম, মো. শাহজাহান, মো. কুদ্দুস মিয়া, আবদুল খালেক ও মো. রাজিব নামে ৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।   তিনি আরও জানান, দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানি শেষে আজ সকালে চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পলাতক ছিলেন। আদালতে হাজির মো. শাহজাহান নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন বিচারক।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৮

প্রবাসী স্বামীকে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী আটক
নোয়াখালীর চাটখিলে অণ্ডকোষ টিপে ওমান প্রবাসী স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।     নিহত ইলিয়াছ হোসেন (৩৫) উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রামদেবপুর গ্রামের ঘাসি বাড়ির মোহাম্মদ উল্যার ছেলে এবং তিনি ২ সন্তানের জনক ছিলেন।   শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার উত্তর রামদেবপুর গ্রামের ঘাসি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  আটক ফাতেমা আক্তার সোনিয়া (২৫) ফেনী জেলার ছাগলনাইয়ার পাঠান নগর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পাঠানগড় গ্রামের ইভু ভেন্ডার বাড়ির আহসান উল্যার মেয়ে এবং নিহত ইলিয়াছ হোসেনের স্ত্রী।   পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওমান থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি দেশে আসেন ইলিয়াছ। ছুটি শেষে রোজার ঈদের পরে পুনরায় তার ওমান চলে যাওয়ার কথা ছিল। সাত বছর আগে পারিবারিকভাবে সোনিয়ার সঙ্গে ইলিয়াছের বিয়ে হয়। স্ত্রীর কারণে তিনি ভাইদের সঙ্গে তেমন কথাবার্তা বলতে পারতেন না ভাইদের কাছে এমন অভিযোগ করতেন ইলিয়াছ। শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ে তিনি বড় ভাই আব্দুল মতিনের সঙ্গে বাড়িতে ফিরেন। এ নিয়ে ঘরে ঢুকলে স্ত্রীর সঙ্গে প্রথমে ইলিয়াছের বাগবিতন্ডা হয়। পরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে স্ত্রী সোনিয়া স্বামীর অণ্ডকোষ টিপে ধরলে ইলিয়াছ অজ্ঞান হয়ে যান। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যার দিকে গৃহবধূ সোনিয়াকে শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।      চাটিখল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগ স্ত্রী সোনিয়া তার স্বামীকে অণ্ডকোষ চেপে ধরলে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।  ওসি এমদাদুল হক আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আব্দুল মতিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। শনিবার সকালে ওই মামলায় আটক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।      
২২ মার্চ ২০২৪, ২৩:১৭

‘আমার স্বামীকে জলদস্যুদের হাত থেকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করুন’
‘আমাদের জাহাজে অ্যাটাক হইছে। জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমাদের সবাইকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। আমাদেরকে মারধর করেনি। আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত ভালো আছি, দোয়া কইরো।’ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম সাইদুজ্জামান মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে সর্বশেষ স্ত্রী মেহরিমা সাফরিন জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে এসব কথা বলেন।  বুধবার (১৩ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে একটি ভয়েস রেকর্ড বার্তা আসে মেহরিমার মুঠোফোনে। সেই বার্তায় একজনের কণ্ঠ শোনা যায়। তিনি জানান, ‘স্যার ভালো আছেন। সেহরি করে স্যার এখন ঘুমাচ্ছেন। কোনো মেসেজ থাকলে এই নাম্বারে এসএমএস পাঠাবেন।’   স্বামীকে নিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকায় মেহরিমা সাফরিন বলেন, জাহাজের কাজ অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক সময় গভীর সমুদ্রে গেলে ১৫-২০ দিন ধরে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ থাকে না। তখন চিন্তা হতো। নেটওয়ার্কের মধ্যে আসলেই তার সঙ্গে আবার যোগাযোগ হতো। কিন্তু এবারের বিষয়টি অনেক উদ্বেগের। তারা জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। খবরে দেখতেছি, মুক্তিপণ না পেলে তাদেরকে নাকি একে একে মেরে ফেলবে। এ অবস্থায় আমি চরম উৎকণ্ঠায় সময় অতিবাহিত করছি। এক বছরের কন্যা সন্তান আর অসুস্থ শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে সাহায্যের জন্য কোথাও যেতে পারছি না। সরকার ও জাহাজ কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আকুতি, যেভাবেই হোক আমার স্বামীকে জলদস্যুদের হাত থেকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করুন। বুধবার দুপুরে নওগাঁ শহরের আরজি নওগাঁ এলাকায় প্রকৌশলী সাইদুজ্জামানের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী ছাড়াও তার বাবা সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল কাইয়ুম ও মা কহিনুর বেগমের সঙ্গে কথা হয়। নওগাঁর সাপাহার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম বলেন, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আমার ছেলের নাম্বার থেকে ফোন আসে। ফোন করে জানায়, তাদের জাহাজে জলদস্যুরা অ্যাটাক করেছে। জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর গতকাল রাতে ও আজ সকালে অন্য নাম্বার থেকে ভয়েস এসএমএস পাঠিয়েছে। ভয়েস এসএমএসে জানিয়েছে, সে ভালো আছে। দস্যুরা কোনো মারধর করেনি। একটি ঘরে তাদের সবাইকে আটকে রাখা হয়েছে। জাহাজে খাবার পানির সংকট থাকায় তাদেরকে খুব পরিমাণে পানি খেতে দেওয়া হচ্ছে। আব্দুল কাইয়ুম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জাহাজ কোম্পানির গাফিলতির কারণেই জাহাজটিতে জলদস্যুতের আক্রমণ হইছে। কোটি কোটি টাকার মালামাল বহন করে অথচ সেই জাহাজে কোনো কোস্ট গার্ড নিয়োগ দেওয়া নেই। কোস্ট গার্ড থাকলে জলদুস্যরা এত সহজে আক্রমণ করতে পারতো না। এর আগেও ওই কোম্পানির জাহাজে জলদস্যুতের আক্রমণ হইছে। সাইদুজ্জামান ২০ বছর ধরে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দেশি-বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানির জাহাজে কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামের গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন জাহাজে কাজ করছে। এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ এস আর শিপিং লিমিটেড কোম্পানির একটি জাহাজ। মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন।
১৩ মার্চ ২০২৪, ২১:১৫

পরকীয়া প্রেমের জেরে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে পরকীয়া প্রেমের জেরে স্বামীকে হত্যা করার মামলায় স্ত্রীসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।  মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর দুর্গাপুর গ্রামের মোখলেছার রহমানের মেয়ে জোৎনা বেগম ও দাশরা খানপাড়ার বুলু মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া বাবু। এর জেরেই ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর বিকেলে আসামিরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এঘটনায় নিহতের চাচা ছানাউল ইসলাম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়