• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফিলিস্তিন ইস্যুর স্থায়ী সমাধান চায় চীন
বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে কথা বলেছে। তারা চায় দেশটির বর্তমান পরিস্থিতির দ্রুত ও স্থায়ী সমাধান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুর দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ, ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধানে কুয়ালালামপুরের সঙ্গে কাজ করতে চায় চীন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেইজিংয়ে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসানের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এই কথা জানান। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। এর আগেও এমন উক্তি করেছেন ওয়াং ই। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে দেশটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ইসরাইল-ফিলিস্তিন উত্তেজনা থামানোর দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া উচিত যুক্তরাষ্ট্রের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস খবরে জানায়, ফিলিস্তিনে চলমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজিত বৈঠকে চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি চার দফার একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন আবারও নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি তুলে ধরবে এবং একটি বিবৃতি দিতে যেনও সবাই সম্মত হয় সেই চেষ্টা করবে।  চীনা মন্ত্রী নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বলেন, উভয় পক্ষের শান্তি আলোচনার শুরুর পক্ষে চীন, যেটির ভিত্তি হবে দুই রাষ্ট্র সমাধান। যত দ্রুত সম্ভব স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে যে রাষ্ট্রের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন থাকবে। ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুসারে নির্ধারিত হবে সীমান্ত। ওয়াং জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ফিলিস্তিন ইস্যুতে একই সুরে কথা বলতে পারছে না। মূলত ফিলিস্তিনে ইসরাইলি সহিংসতার ঘটনায় নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতি প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের বাধা দেওয়াকে ইঙ্গিত করে চীনা কূটনীতিক এ মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার এবং অবস্থান সমন্বয় করার আহবান জানাই। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ মানুষ। নিহতদের অধিকাংশ শিশু ও নারী।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০১

পরীক্ষার আগে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নের সমাধান হতো ঢাবির হলে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। চক্রের মূলহোতা অসিম গাইনের হয়ে ঢাবির জগন্নাথ হলে বসে প্রশ্নের সমাধান করতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের দুই আবাসিক শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন ও সুজন চন্দ্র। পরীক্ষা শুরুর আগেই এসব সমাধান করা প্রশ্ন পৌঁছে যেত পরীক্ষার্থীদের হাতে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ডিবিপ্রধান বলেন, গত রোববার ঢাবির ক্যাম্পাস থেকে জ্যোতির্ময় ও সুজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ। তাদের দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার (২৪ এপ্রিল) মাদারীপুর থেকে পরীক্ষার্থী মনিষ গাইন, পঙ্কজ গাইন ও লাভলী মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরমধ্যে মনিষ ও পংকজ পুলিশ হেফাজতে দুই দিনের রিমান্ডে রয়েছে। আর লাভলীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি বলেন, গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২১ জেলার সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এ পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের উত্তরপত্র ও ডিভাইসসহ মাদারীপুরে সাতজন ও রাজবাড়ীতে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। দুটি ঘটনায় পৃথক মামলা করেন সংশ্লিষ্টরা। এরমধ্যে রাজবাড়ীতে আটক হওয়া পরীক্ষার্থী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরীক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে হারুন অর রশীদ জানান, পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র পেয়েছেন তারা। প্রশ্ন প্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার বিনিময় সমাধান করিয়ে নেন চক্রের হোতা অসিম গাইন। এ প্রস্তাবে জ্যোতির্ময় ও সুজনসহ সাতজন জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময়গুহ ঠাকুরতা ভবনের ২২৪ রুমে বসে প্রশ্নের সমাধান করে পাঠান। চাকরির বয়স শেষের দিকে এমন পরীক্ষার্থীদের টার্গেট করে তাদের সঙ্গে দুই-তিন মাস আগ থেকেই যোগাযোগ শুরু করে চক্রটি। তাদের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি করতো। পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগেই প্রশ্নের উত্তর পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিতো অসিম। তাদের সমাধান করে দেওয়া প্রশ্নের মধ্যে ৭২ থেকে ৭৫টি সঠিক থাকতো। তিনি বলেন, মাদারীপুরের রাজৈর এলাকার অসিম গাইন চক্রের হোতা। তিনি আগেও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন। এতে অল্পদিনে কয়েক শ’ কোটি টাকা আয় করেছেন। এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকা অসিমের মানবপাচার, হুন্ডি ব্যবসা ও ডিশের ব্যবসা রয়েছে। যেখানে তিনি প্রশ্ন ফাঁস করে আয় করা টাকা বিনিয়োগ করেছেন। বর্তমানে পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। জড়িত কেউ ছাড় পাবে না। 
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৯

যুদ্ধ নয়, আলোচনায় সমাধান সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধ নয়, আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-ইরান যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। তাই যুদ্ধ বন্ধ করে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। যুদ্ধের কারণে যারা এখনও বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। এর আগে, গতকাল বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাইল্যান্ডে পৌঁছালে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান এবং ১৯ রাউন্ড গান স্যালুট দেওয়া হয়। থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর পর শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী রাজপ্রাসাদে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাক্লাওচাওয়ুহুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধাবিমলালক্ষণের রাজকীয় দর্শকদের সঙ্গে থাকবেন। ২৫ এপ্রিল ইউএনএসক্যাপ-এর ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। একইদিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫২

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফাটল ধরিয়ে ‘দরবেশ’ সেজে নিজেই দিতেন সমাধান
দরবেশ বাবা সেজে বিভিন্ন উপায়ে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ১৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মাগুরা জেলা ও ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তারের সময় চক্রটির কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৪১টি মোবাইল ফোন, বিপুলসংখ্যক সিমকার্ড ও ডিজিটাল আলামত উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয় তারা। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, খিলগাঁও থানার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এই চক্রের সন্ধান পায় সিআইডি। তিনি বলেন, চক্রটি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করে প্রতারণা করত। এই চক্রটি স্বামী-স্ত্রীর নম্বর সংগ্রহ করে তাদের মধ্যে কলহ তৈরি এবং গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রলুব্ধ করে প্রতারণা করত। বিজ্ঞাপনে ভাগ্যবদল, পাওনা টাকা আদায়, মামলায় জেতানো, পারিবারিক সমস্যা সমাধান এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারার কথা বলা হতো। এরপর বিজ্ঞাপনে দেওয়া নম্বরে কেউ যোগাযোগ করলে শুরু হতো পকেট কাটা। চমকপদ এমন বিজ্ঞাপন দেখে সম্প্রতি প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক নারী চিকিৎসক।  সিআইডি জানায়, বিজ্ঞাপনে দরবেশ বেশধারী এক ব্যক্তি নিজেকে সৌদি আরবের মসজিদে নববীর ইমাম পরিচয় দিয়ে বলছেন, তিনি কোরআন হাদিসের আলোকে মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করেন। বিজ্ঞাপনটি মন কাড়ে ওই নারী চিকিৎসকের। পরে বিজ্ঞাপনে দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন তিনি। অপর প্রান্তে থাকা ‘দরবেশ বাবা’ বেশধারী ব্যক্তি সুন্দরভাবে কথা বলে তার পারিবারিক সমস্যা শুনতে চান। ভুক্তভোগী চিকিৎসক তার পরিবারের সমস্যার কথা কথিত দরবেশ বাবার কাছে তুলে ধরলে তিনি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, বাবার ওপর আস্থা রাখো। তোমাকে মা বলে ডাকলাম। আজ থেকে তুমি আমার মেয়ে। তবে কিছু খরচ লাগবে। খরচের কথা কাউকে জানালে সমস্যার সমাধান তো হবেই না, বরং সমস্যা আরও বাড়বে। ‘এরপর ওই নারী চিকিৎসক ভণ্ড দরবেশের কথায় তার ভক্ত হয়ে যান। বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন সময়ে অলৌকিক সমস্যার কথা বলে প্রলোভন ও ভয়-ভীতির মাধ্যমে মোট ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এই প্রতারক চক্র। পরে এমএফএস নম্বরের সূত্র ধরে মাগুরা জেলা থেকে আশিকুর রহমান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তার দেওয়া তথ্যমতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে কথিত দরবেশ পরিচয়দানকারী ১৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, চক্রটি ২০২০-২১ সাল থেকে এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে চক্রটি এমএফএস নম্বরে টাকা হাতিয়ে নিত।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৪

কালার করে চুলের দফারফা, যে উপায়ে করবেন সমাধান
ফ্যাশানের যুগে অনেকেই চুলে পছন্দের রঙ করান। আর এতেই তৈরি হয় সব ঝামেলা। সঠিক পরিচর্চা না করলে চুলের হাল বেহাল হয়ে যায়, চুল একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। চুল রুক্ষ হয়ে যায়, নষ্ট হয়ে যায় চুলের মানও। শুরু হয় চুল পড়া। একই সঙ্গে হারাতে শুরু করে চুলের সৌন্দর্য। তাই এই সময় চুলের প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। এক্ষেত্রে ঘরোয় উপায়েই নিতে পারেন চুলের যত্ন। তার জন্য কী করতে হবে জেনে ঝটপট যত্ন নিন চুলের। জেনে নিন উপায়গুলো- >> সবার আগে যেটা প্রয়োজন তা হলো চুলের রুক্ষভাব কাটানো। তার জন্য মাথায় তেল ব্যবহার করতে পারেন। আজকাল অনেকেই তেলের নাম শুনলে নাক সিঁটকোন ঠিকই। তবে তারা হয়তো জানেন না যে চুলের জন্য তেল কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে দু থেকে একদিন ক্যাস্টর অয়েল গরম করে চুলে লাগালে দূর হবে রুক্ষভাব। >> এ ছাড়া ব্যবহার করতে পারেন কারিপাতার তেল। নারকেল তেলের মধ্যে কয়েকটি কারিপাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এ বার এটি ছেঁকে নিতে হবে। ঠান্ডা হলে তারপর চুলে প্রয়োগ করুন। >> মাথায় মাখতে পারেন ডিম। এতে চুল নরম ও উজ্জ্বল হবে। হেনার সঙ্গে মিশিয়েও ডিম মাখতে পারেন। এতে আরও ভালো ফল পাবেন। >> সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন শ্যাম্পু করুন। এবং শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এ ছাড়া ব্যবহার করতে ভুলবেন না হেয়ার মাস্কও। 
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৫

অল্প বয়সে মুখে বলিরেখা? সমাধান এই ঘরোয়া ফেসপ্যাকেই
কফি এবং কলা, এই দুই উপাদান কিন্তু ত্বকের জন্য খুব উপকারি। ঝকঝকে ত্বক পেতে কফি এবং কলার তৈরি ফেসপ্যাকের জুড়ি মেলা ভাড়। কফি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। আর কলা ত্বক করে উজ্জ্বল এবং মসৃণ। এই মিশ্রণের ফেসপ্যাক মুখমন্ডলের মধ্যে জমে থাকা মৃতকোষগুলোকে দূরে সরিয়ে ত্বককে আরও মসৃণ ও উজ্জ্বল করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কফি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। আর কলা ত্বক করে উজ্জ্বল এবং মসৃণ। আর এই দুই উপাদান যখন মিলে যায়, তখন ম্যাজিক তৈরি হয়।  সব ধরনের স্কিনের জন্যই কলা-কফির ফেসপ্যাক ব্যবহার করা যায়। ঘরোয়া উপায়েই বানিয়ে নিতে পারেন কলা-কফির ফেসপ্যাক। ত্বকের যেকোনও সমস্যার সমাধান ঘটবে এই ফেসপ্যাকের গুণে, এমনটাই আশ্বাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন ফেসপ্যাক তৈরির নিয়ম জেনে নেওয়া যাক- ১) হালকা গরম পানিতে এক চামচ কফি মিশিয়ে নিন। রাতে শোয়ার আগে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের বলিরেখা কমবে। ২) শুষ্ক ত্বকে দারুণ কাজ করে কলা। একটা কলাকে চটকে নিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে নিন। তার মধ্যে কফি মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। কিছুক্ষণ মুখে লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ত্বক ঝকঝকে হয়ে উঠবে। ৩) হাঁটু, কনুই, বগলে যদি কালো ছাপ পড়ে তাহলে কলার খোসায় মধু, লেবুর রস মিশিয়ে ঘষে নিন। দেখবেন দ্রুত কালো ছোপ দূরে হবে। ৪) দিন দিন ঠোঁটের রং কালো হয়ে যাচ্ছে? কোনও চিন্তা নেই। কলার ছোট টুকরো করে নিন। তার মধ্যে অল্প কফি মিশিয়ে নিয়মিত ঠোঁটে লাগালেই কালো ছোপ দূর হবে। ৫) চোখের তলায় কালো ছোপ দেখা দিলে কফির সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিয়ে চোখের নিচে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে নিন। ৬) কলার খোসার মধ্যে কিছু পরিমাণ কফি এবং মধু ঢেলে দিন। সেই খোসাটা নিয়ে স্ক্রাবারের মতো করে মুখে ঘষতে থাকুন কয়েক মিনিট। এতে ত্বক ঝকঝকে হবে এবং বলিরেখা পড়বে না। ৭) শুধু ত্বকের যত্ন নয়, চুলের যত্নেও কফি আর কলা দারুণ কাজ করে। উষ্ণ পানিতে কফি মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩১

উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভোটাধিকার প্রয়োগই একমাত্র সমাধান
মা, মাটি ও মানুষের আস্থা ভালোবাসার নীড় প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। শত সঙ্কট মোকাবেলায় বাঙালি জাতি কখনো তাবেদার, দখলদারদের কাছে মাথা নত করেনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সমাগত। ৭ জানুয়ারি এ মহারণ অনুষ্ঠিত হবে। দেশের জনগণ যেনো নির্বিঘ্নে ও উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তাই এখন কাম্য। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের উদ্যোগও প্রশংসনীয়। ইতোমধ্যেই এ উদ্যোগ নির্বিঘ্ন করতে সরকার বিজিবি, র‌্যাব ও আনসারসহ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে, গত ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে  এ লক্ষ্যে নিরলস ভাবে তারা কাজ করে যাচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এসব উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে। হয়রানি ছাড়াই এবার জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।  রাষ্ট্রকাঠামোতে গুণগত পরিবর্তন ও রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের কাছে থাকতে হলে, প্রয়োজন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। যেখানে সকল গণতন্ত্রকামী দল ও মতের লোকদের অংশগ্রহণ থাকবে। গণতন্ত্রে এর বিকল্প নেই।  বাংলাদেশে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। এই দলগুলোর মধ্যে ৩০টি দলেরমত এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। বিএনপির সাবেক বেশ কিছু নেতা নিজ দল ও বিশ্বাস ছেড়ে এতে অংশগ্রহণ করছে। তবে বিএনপি সরাসরি নির্বাচনে আসলে, গণতন্ত্রের জন্য ভালো হতো। নির্বাচন একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধক প্রক্রিয়া। তাই বিএনপি এতে না এলেও, সুষ্ঠুভাবে তা সম্পন্ন করা নির্বাচন কমিশনের প্রধান দায়িত্ব। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়াও এতে, জাতীয় পার্টিসহ অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সুতরাং একটি প্রতিযোগিতা পূর্ণ নির্বাচন আমরা  দেখতে পাব ইনশাআল্লাহ। অতীতে দেখা গেছে সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সহযোগিতায়, ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবেও কাজ করেছে। বিশ্বের অনেক দেশেই আধা সামরিক বাহিনী বিপদসংকুল ও দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় নির্বাচনের সময় জনগণের অণুকুলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে, যাতে ভোটে অংশগ্রহণ সহায়ক হয়। গত ৩ জানুয়ারি, ২০২৪ থেকে ১০ই জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী নির্বাচনী মাঠে থাকবে। নির্বাচন কমিশনের সভায় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ফ্রি, ফেয়ার ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে তারা নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে। নির্বাচন কমিশনকে ওনারা আশ্বস্ত করেছেন যে, সশস্ত্র বাহিনী জাতির যেকোন সংকট মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটবে না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ২০২৪ সালের নির্বাচনে ২০১৪ অথবা ২০১৮ সালের প্রদত্ত ভোটারের সংখ্যা থেকে অনেক বেশি হবে।  একতরফা নির্বাচনের প্রতিবাদে বিএনপি অবরোধ কর্মসূচিও পালন করছে এবং নির্বাচনে যাতে জনগণ ভোট না দেয়, তার জন্য প্রচারণার মাধ্যমে প্রয়াস চালাচ্ছে। অবরোধ কর্মসূচির সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় গণপরিবহনে এবং রেলওয়েতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সরকার বারবারই বলছে যে বিএনপির অবরোধের ফলে জনজীবনে এর কোন প্রভাব নেই এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমি আশাবাদী নির্বাচনে জয়ী হয়ে, আগামীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের নেতৃত্বে ইনশাআল্লাহ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। এর ফলে দেশের নাগরিকরা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন এবং এতে টেকসই উন্নয়নও নিশ্চিত হবে। এ উন্নয়নটা কোন একটা গোষ্ঠী বা শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। সমাজের একেবারে প্রান্তিক স্তরের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত এর সুবিধা পৌঁছে যাবে। প্রতি বছর সাধারণত ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট করা হয়। এর মধ্যে এক থেকে দেড় লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রণয়ন করা হয় শুধুমাত্র সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরিতে। এই অর্থ ব্যয় করা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে দারিদ্র পীড়িত মানুষের কাজে। এখানে বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা ছাড়াও আরো অনেক ধরনের ভাতা প্রদান করা হয়। উক্ত অর্থ গৃহহারাদের জন্য গৃহায়ণ ও আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা চলমান। প্রধানমন্ত্রী এই কাজগুলো সরাসরি তত্ত্বাবধানও করছেন এবং উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে একটি সবুজ বাংলাদেশ, একটি টেকসই উন্নয়নের বাংলাদেশ, একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নকে বলতে পারি এবং এর উন্নয়নের ফলে সকলের কাছে সুফল পৌঁছবে। সেই বাংলাদেশ আমরা আগামীতে অবশ্যই দেখতে পাব।  নির্বাচনের পর নানা ধরনের আন্তর্জাতিক চাপ বা স্যাংশন আসতে পারে, বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। যারা স্যাংশনের কথা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে স্যাংশন সম্পর্কে তাদের ধারণা অনেক কম। আমার বিশ্বাস, কোনো বাধা আমাদের অগ্রগতিকে থামিয়ে রাখতে পারেনি ১৯৭১ সালে এবং এখনও পারবে না। সুতরাং এগুলো নিয়ে চিন্তিত হবার কিছুই নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এখন বাংলাদেশ। অনেক ইনডেক্সে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের শক্তিই হচ্ছে দেশের জনগণ। আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় কষ্টসহিষ্ণু, সাহসী, দৃঢ় প্রত্যয়ী মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ এবং প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা তরুণ ভোটারদের প্রতি রইলো, আমার অকৃত্রিম ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা। পরিপূর্ণ আস্থার সঙ্গে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ অতীতের অন্ধকার পেছনে ফেলে এখন আলোকিত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন আলোর পথের যাত্রী, উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিশারী, যা আমাদের ২০৪১ সালের উন্নত দেশে রূপান্তর করবে ইনশাআল্লাহ।  আসুন আমরা আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হই। লেখক: উপাচার্য, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা এবং সাবেক উপাচার্য, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়