• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম 
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এরইমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন কমিশনার বিভিন্ন কর্মকর্তাকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে দলীয় প্রভাব খাটানোর কোনো তথ্য-প্রমাণ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করার মধ্যে দিয়ে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ভোটার ও প্রার্থীদের বিশ্বাস তারা অবাধ ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন দেখতে চলেছে। নির্বাচন কমিশনাররা জানিয়ে দিয়েছেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে প্রার্থীদের প্রচারণা চালাতে হবে। এর বাইরে গেলেই শাস্তি পেতে হবে। সরকারি সুবিধা ভোগ করে কেউ নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিলে যে প্রার্থীর প্রচার করবে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কুড়িগ্রাম, নীলফামারীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে দলীয় প্রভাব খাটানোর কোনো তথ্য-প্রমাণ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সংসদ সদস্যরা এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন এবং ভোট দিতে পারবেন কিন্তু নির্বাচনী কোনো প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন না। মন্ত্রী-এমপিদের জনসভায় একই মঞ্চে উপজেলা নির্বাচনের কোনো প্রার্থী উপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  ভোটারদের উপস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে সচেতনতামূলক প্রচারণাসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ভোটারদের উপস্থিতির জন্য প্রচারণা চালাবে নির্বাচন কমিশন।’ এদিকে অতীতের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আহসান হাবিব খান। পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে আচরণবিধি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে মতবিনিময় সভা শেষে ইসি হাবিব বলেন, নির্বাচন কমিশন সকল প্রার্থীকেই সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই এখানে কে প্রভাবশালী আর কে কম প্রভাবশালী সেটা দেখা হবে না।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৮

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস আজ
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আজ সোমবার (২ এপ্রিল) পালিত হবে ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য- ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন : শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’। দিবসটি পালন উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী  ডা. দীপু মনি । এ বছর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশব্যাপী দিবসটি পালন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সম্মানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনে নীল রংয়ের আলোকসজ্জা করা হবে। এছাড়া অটিজম বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে রোড ব্র্যান্ডিং, বিশেষ স্মরণিকা ও লিফলেট ছাপানো হয়েছে। অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৭ সালে ২ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস' হিসেবে পালনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এক সময় অটিজম ছিল একটি অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যু। এ সম্পর্কে সমাজে নেতিবাচক ধারণা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও স্কুল সাইকোলজিস্ট সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ২০০৭ সালে এ বিষয়ে দেশে কাজ শুরু করেন। এ অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যুতে তার বিরাট অবদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি পেয়েছেন। বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেনসায়েমা ওয়াজেদ পুতুল।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়