• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দ্বিতীয় দিন, হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা এবং হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানছেন না বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। তবে প্রশাসনের দেওয়া ৫টি বাসে করে কিছু শিক্ষার্থী হল ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে অনেকেই প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে রয়ে গেছেন আবাসিক হল গুলোতে।  বৃহস্পতিবার (২ মে) দ্বিতীয় দিনের মতো হল ও ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ায় শিক্ষার্থী বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। হলে থাকা শিক্ষার্থীদের দাবি, শিক্ষক দ্বন্দ্বের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কোন ভাবেই বন্ধ থাকতে পারে না। এদিকে, মঙ্গলবার সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। হল ছাড়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খোলা রাখার দাবিতে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জানান, খুব শীঘ্রই আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে, বুধবার (১ মে) সকাল থেকে দলে দলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে তারা কেন ভোগান্তির শিকার হবেন, সেই প্রশ্ন তোলেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, হল বন্ধ হলেও শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করলেও তাদের বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হবে না। পাশাপাশি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্ব নিরসনে তারা কাজ করবেন। মানববন্ধনে অংশে নেওয়া নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা হল ছেড়ে কোথাও যাবো না, আমাদের ক্লাস ও পরীক্ষা চালু করতে হবে। ভিসি ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে আমরা কেনো বলির পাঠা হবো, আমরা এসব নাটকের প্রতিকার চায়। এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ভিসি-শিক্ষক সমিতির চলমান দ্বন্দ্বে নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয় চলমান সংকট নিরসনের জন্য জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
০২ মে ২০২৪, ১৫:৪০

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, মানছেন না শিক্ষার্থীরা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় মঙ্গলবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১ মে) সকাল থেকে দলে দলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে তারা কেন ভোগান্তির শিকার হবেন, সেই প্রশ্ন তোলেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, হল বন্ধ হলেও শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করলেও তাদের বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হবে না। পাশাপাশি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্ব নিরসনে তারা কাজ করবেন।   মানববন্ধনে অংশে নেওয়া নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা হল ছেড়ে কোথাও যাবো না, আমাদের ক্লাস ও পরীক্ষা চালু করতে হবে। ভিসি ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে আমরা কেনো বলির পাঠা হবো, আমরা এসব নাটকের প্রতিকার চায়। এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ভিসি-শিক্ষক সমিতির চলমান দ্বন্দ্বে নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয় চলমান সংকট নিরসনের জন্য জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 
০১ মে ২০২৪, ১৮:৫০

ক্ষতিপূরণের দাবিতে ৯ বাস আটক করেছেন জাবি শিক্ষার্থীরা
ক্ষতিপূরণের দাবিতে ইতিহাস পরিবহনের ৯টি বাস আটক করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একদল শিক্ষার্থী।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন এলাকায় বসে বাসগুলো আটক করা হয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন সড়কের একপাশে ইতিহাস পরিবহনের ৯টি বাস সারি সারি রাখা হয়েছে।  শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার সকাল সোয়া ৯টার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী ইতিহাস পরিবহনের একটি বাস হঠাৎ ব্রেক (হার্ড ব্রেক) করায় পেছন থেকে ধাক্কা দেয় সাভার পরিবহনের আরেকটি বাস। ঠিক তার পেছনে থাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর প্রাইভেট কার সাভার পরিবহনের বাসটিতে ধাক্কা দেয়। এতে জাবি শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী ক্যাম্পাসে তার বন্ধুদের জানালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের এক পাশে ইতিহাস পরিবহনের ৯টি বাস আটক করেন। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের ছাত্রী। ভুক্তভোগী বলেন, ‘এতবড় একটি ঘটনা ঘটার পর পেছনে কেউ মারা গেল নাকি বেঁচে আছে সেটি না দেখে বাসটি দ্রুত টান দিয়ে চলে যায়। এরপর আমার প্রাইভেট কারের চালক ইতিহাস পরিবহনের বাসে উঠে কেন এমন হার্ড ব্রেক করল জানতে চাইলে বাসচালক এবং সহযোগী খারাপ ব্যবহার করেন ও হুমকি দিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেন। আমরা সড়কে চলাচলের নিরাপত্তা চাই।’ ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার বন্ধুদের দাবি, সড়কে চলাচলের নিরাপত্তা এবং প্রাইভেট কারের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ইতিহাস পরিবহন কর্তৃপক্ষের। তারপর তারা বাসগুলো ছাড়বেন। এ বিষয়ে ইতিহাস পরিবহনের আটককৃত একটি বাসের চালক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমাদের (ইতিহাস) একটি বাস হার্ড ব্রেক করছে, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কার ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু সেই বাস আটক না করে আমাদের বাসগুলো আটক করে রেখেছে। আমাদের যিনি চেকার আছেন তাকে বিষয়টি জানিয়েছি।’ ইতিহাস পরিবহনের ভিআইপি চেকার মো. জসিম বলেন, ‘যে বাসটি হার্ড ব্রেক করেছে সেটার নাম্বার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দিয়েছেন। আমরা ওই নির্দিষ্ট বাসটি শনাক্ত করার জন্য রোডে যারা দায়িত্বে আছেন তাদেরকে বলেছি। ওই বাসের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধান করব বলে ক্যাম্পাসে এসেছি। আমাদের একটি বাস আটক রেখে বাকিগুলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য ছাত্রদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জেফরুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘জানতে পেরেছি, ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি মেরামত করে দেওয়ার জন্য ইতিহাস পরিবহনের মালিকপক্ষ রাজি হয়েছে। গাড়িটি এখন গ্যারেজে আছে। ক্ষতিপূরণ দিলে শিক্ষার্থীরা বাস ছেড়ে দেবে বলে জানিয়েছে। এ ঘটনায় আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।’
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১০

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা পেলো বাইসাইকেল ও শিক্ষা বৃত্তি 
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাচোল উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান।  এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বক্তব্যে তিনি বাল্যবিয়ে মাদকরোধে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।  মতবিনিময় সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন মাতিন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল আফ্রিকার ডিরেক্টর প্রোগ্রাম মিস আন্না মিনজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার ছাইদুল হাসান, সিভিল সার্জন ডা. এসএম মাহমুদুর রশিদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক দেবেন্দ্র নাথ উরাঁওসহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে নাচোল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবারের ১৬৭ জন শিক্ষার্থীকে বাইসাইকেল ও ১৮৭ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। 
২০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৭

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তিতে পড়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এতে করে পড়াশোনায় ব্যাঘাত, ঘুমে সমস্যা ও পানি সংকটসহ নানান সমস্যায় অতিষ্ঠ হয়ে দিন পার করছেন বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। ভোগান্তি হতে মুক্তি পেতে ২৪ ঘণ্টা জেনারেটর সুবিধা দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা।  জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের দুটি ও মেয়েদের তিনটি হলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিত্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্ধের দিনে এ ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। রমজান মাসে প্রায় সবগুলো বিভাগে ক্লাস ও কিছু কিছু বিভাগে সেমিস্টার চলায় এই দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের নির্বিঘ্নে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। হলগুলো ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনগুলোতেও একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে একাডেমিক কার্যক্রমেও প্রভাব পড়ছে বলে জানা যায়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিডি দফতর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল অর্ডারের একটি নির্দিষ্ট সময় জুড়ে জেনারেটর সুবিধা চালু রাখা হয়। অফিসিয়াল অর্ডারের চেয়ে বেশি সময় জেনারেটর চালু রাখতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে এবং অনুমতি পেলে পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন তারা। দুর্ভোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের এক আবাসিক ছাত্রী আরটিভিকে বলেন, পরীক্ষা দিয়ে এসে দেখি কারেন্ট নাই। রুমমেট এর থেকে শুনলাম আরও ঘণ্টা খানেক আগে কারেন্ট গিয়েছে। গরমের মধ্যে শরীর অনেক খারাপ করে। সন্ধ্যার সময় কারেন্ট আসে। মাঝখানে ১০ মিনিটের জন্য এমনি এসে আবার চলে যায়। পরদিন নেক্সট এক্সিমের প্রিপারেশন এর জন্য ল্যাপটপ অন করে বসি। কারেন্ট আবার চলে যায়। ওয়াইফাই  না থাকলে মোবাইল ডাটা দিয়ে তো এতক্ষণ চলা সম্ভব না। অনেককিছু সার্চ করা লাগে। ল্যাপটপ এর চার্জ শেষ হয়ে বন্ধ ও হয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রচুর বিরক্তি কাজ করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক স্পিকার আবদুল মালেক উকিল হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, গতবছর পরীক্ষার সময় আমরা পড়াশোনা করেছি তখন লোডশেডিং ছিল না যেটা এই বছর দেখা যাচ্ছে। পাঁচ মিনিট পরপর বিদ্যুৎ আসে আর যায়, যার কারণে আমরা পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছি না। পরীক্ষা থাকায় উপায় না পেয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে আমাদের পড়তে হচ্ছে যা একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের জন্য দুঃখজনক। বঙ্গমাতা হলের এক আবাসিক ছাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রথমত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুৎ না থাকলে অসহ্য গরম লাগে, হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে। পানি সরবরাহের সমস্যা হয়, ফলে পানি সংকট দেখা দেয়। এছাড়া ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোতে চার্জ থাকে না, ফলে রমজানের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস করতে অসুবিধা হয়। ওয়াইফাই সুবিধা ও থাকে না। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে পানির সমস্যাতেও ভোগান্তি হচ্ছে উল্লেখ করে বিবি খাদিজা হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, খাদিজা হলের পানির লাইনগুলো এমনভাবে করা যে পানি আগে সামনের ব্লকে যায় এরপর পিছনের ব্লকে আসে। দেখা যায় সকালে ক্লাসে যাওয়ার সময় পানি নাই আবার দুপুরে এসেও পানি নাই। মাঝে যেই সময় হঠাৎ অল্প একটু আসে তখন যারা থাকে তারা পায় বা অনেক সময় দেখা যায় জানেও না। গতবছর পুরো গ্রীষ্মকাল এইভাবেই গেছে। সব হলে পানি থাকলেও খাদিজা হলের পিছনের ব্লকে দেখা যায় নাই। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ জামাল হোসাইন বলেন, বিদ্যুৎ তো সরকারের হাতে, তারা কতক্ষণ দিবে না দিবে এটার ওপর আমাদের হাত নেই। বিদ্যুৎ সরকারের হাতে থাকলেও জেনারেটর সুবিধাতো বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে। তবে কেন এ সুবিধা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় দেয়া হচ্ছে না। এ প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, আমাদের অফিসিয়াল একটা অর্ডার আছে কয়টা থেকে কয়টা জেনারেটর চালু রাখবো বা কতক্ষণ চালু থাকবে। আর এর চেয়ে বেশি সময় জেনারেটর চালু রাখতে হলে অর্থের ব্যাপার আছে। ভিসি স্যার বা ট্রেজারার স্যার হচ্ছেন এটার অথোরিটি। উনারা যদি অনুমতি দেয় অতিরিক্ত সময় চালানোর তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, আমাদের একটা জেনারেটর নষ্ট। ঐটা ঠিক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.দিদার-উল-আলম বলেন, আমরা অফডেতে হল এবং আবাসিক এলাকায় দিনের বেলায় জেনারেটর এর ব্যবস্থা করছি। দিনের বেলায় জেনারেটর থাকবে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বলে দেওয়া হয়েছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৮

চিকিৎসার জন্য টাকা পাবেন শিক্ষার্থীরা
প্রতি দুইমাস পরপর প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে অর্থ সহায়তা পাবেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা। মার্চ-এপ্রিল প্রান্তের আবেদন প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের উপবৃত্তি শাখার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সোহাগের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান শ্রেণিতে অধ্যয়নরত দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে এককালীন আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। ‘দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান নির্দেশক, ২০২০’ অনুসরণ করে এ অনুদান দেওয়া হবে। চিকিৎসার অনুদান পেতে শিক্ষার্থীকে এই লিংকে ঢুকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী প্রতি দুই মাস অন্তর অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে একজন শিক্ষার্থী তার চিকিৎসা মেয়াদে একবারমাত্র অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। জানা গেছে, আগামী ৩০ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমানের শিক্ষার্থীরা অনুদান পেতে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৯

শিক্ষকরা অনিয়মিত, শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যে বিদ্যালয়ে
যে বিদ্যালয়ে দিনের শুরুতে গাওয়া হয় না জাতীয় সংগীত, সে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কীভাবে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করবে এই গানটিই আমাদের বাংলাদেশের পরিচয়। জাতীয় সংগীতেই শেষ নয়, বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না শিক্ষকরাও। কোমলমতি শিশুদের হাজিরাও ডাকা হয় বিকেলে। শিক্ষকদের এমন আচরণে শিশুরাই বা কি শিখবে!  খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরের ফাতেমা নগর এলাকায় অবস্থিত বিদ্যালয়টি। পাহাড়ি-বাঙালির সংমিশ্রণে গড়া এই গ্রামটিতে ১৯৮০ সালে গড়ে উঠেছে বড় পানছড়ি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় যে শিশুদের সুশিক্ষায় গড়ার প্রথম কারিগর সেটি হয়তো ভুলেই গেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শিক্ষকদের নানা অজুহাত আর অনিয়মেই ধ্বংস হচ্ছে শিশুদের মেধা। প্রতিটি বিদ্যালয়ে দিনের শুরুতে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়েই পাঠদান শুরু হয়। অথচ এই বিদ্যালয়ের পাঠদান শুরু হয় জাতীয় সংগীত ছাড়াই। যেখানে শিশুদের হাজিরা ডাকার কথা ক্লাসের শুরুতেই, সেখানে হাজিরা ডাকা হয় বিকেল ৩টায়। নানা অজুহাত আর ক্ষমতার বলে শিক্ষকরাও নিয়মিত আসেন না বিদ্যালয়ে। বসে বসেই সরকারি অর্থ গুনছেন তারা। এতে নষ্ট হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের মেধা বিকাশ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না বিদ্যালয়ে। আবার হাজিরা ডাকা হয় বিকেলে। এ ছাড়াও শিক্ষকরা নিয়মিত আসেন না বিদ্যালয়ে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের একটি দল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) হাজির হয় বড় পানছড়ি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তখন বিকেল ৩টা। বিদ্যালয়ে দেখা যায় ৬ শিক্ষকের মাঝে শুধুমাত্র ১ জন শিক্ষক উপস্থিত। তার কাছে বাকিদের কথা জানতে চাইলে জানান ১ জন এসে চলে গেছে, ২ জন ট্রেনিংয়ে, ১ জনের স্বামী অসুস্থ এবং বাকি ১ জন ডেপুটেশনে।  যাকে উপস্থিত পাওয়া যায়, তিনি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলম। তিনি জানান, আমি সকালে আসি। এসে দাপ্তরির কাজও আমিই করি আবার শিশুদের পাঠদানও আমিই করি। কোনো শিক্ষক সকালে এসে আবার চলে যায় দুপুরের আগেই। তাদেরকে নিষেধ করেছি। ওরা ওদের মতো করে আসে আবার চলে যায়। একটি শ্রেণিতে ১ ঘণ্টায় ক্লাস হয়েছে ৫টি বিষয়ের ওপর। এমন মন্তব্যসহ শিক্ষকদের নানা অনিয়ম তুলে ধরে ওই এলাকার মো. আব্দুল জলিল জানান, এই বিদ্যালয়ের পাশেই আমার দোকান। আমি বহুদিন যাবৎ দেখছি যে কোনো শিক্ষক ৯টায় আসলে ১০টায় চলে যায়। আবার ১০টায় আসলে ১১টায় চলে যায়। তারা নিয়মিত স্কুলেও আসে না এবং যাওয়ারও কোনো নিয়ম থাকে না। বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করলে বলে জাতীয় সংগীত হয় না, ক্লাসও ঠিকমতো হয় না। তারপর ১ ঘণ্টায় ১ জন শিক্ষক ৫টা ক্লাস নিছে। কীভাবে নিয়েছে তা আমার মাথায় ধরে না। এ ছাড়াও বিদ্যালয়েই রয়েছে পরিত্যক্ত এক ভবন। সেটি যেকোনো মুহূর্তেই ধসে পড়তে পারে বলে জানায় এলাকাবাসীরা। শিক্ষার এমন নাজেহাল অবস্থা আর কতোদিন। অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান কোমলমতি শিশুদের স্বজনরা। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শুক্কুর আলী জানান, শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে আসেন না। জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না। স্কুলে অনিয়ম হচ্ছে। শিক্ষকরা যে যার মতো করে চলে যায়। স্কুল যেন সঠিকভাবে চলে এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পানছড়ি উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এডিন চাকমা জানান, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সরকারেরর নীতিমালায় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবো।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮

যৌন হয়রানি : তদন্তে ১০ দিনের সময় বেঁধে দিলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্তে কমিটি গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ১০ দিন সময় বেঁধে দিয়ে ক্লাসে ফিরেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। দশ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু না হলে আবারও ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদ ভবন প্রাঙ্গণে একটি সংবাদ সম্মেলনে করে এ কথা জানান শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা ক্লাসে ফিরে যান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বিভাগের ত্রয়োদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিজ খান। তিনি বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচারিক প্রক্রিয়া এগিয়ে না নেওয়া, অথবা এতে কোনোরূপ অবহেলা, পক্ষপাত অথবা স্বচ্ছতার ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়, অথবা কোনো মহল বিচার প্রক্রিয়াকে কোনোভাবে প্রভাবিত করছে বলে প্রতীয়মান হয়, তাহলে পুনরায় ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে ফিরতে বাধ্য হব।  গত ১০ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে প্রক্টরের কাছে লিখিত দেন বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী। যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে কিছু অডিও রেকর্ড ও মেসেজের স্ক্রিনশট জমা দেন তিনি। ওই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ নামেন বিভাগের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক নাদির জুনাইদের অফিস কক্ষে তালা দেওয়ার পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের তালায় সিলগালা করে দেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি তারা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন। শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের জন্য তাদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে না, এমন লিখিত নিরাপত্তার আশ্বাস চান বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে।  গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক নিরাপত্তা দেওয়ার লিখিত আশ্বাস দেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ । এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা রোববার থেকে রুটিন অনুযায়ী ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিলেন। অভিযোগ অস্বীকার করে আসা অধ্যাপক নাদির জুনাইদ অবশ্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পেছনে ‘অন্য কিছু’ দেখছেন। বিভাগের পরবর্তী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার আগে ‘ব্যক্তিগত আক্রমণের’ শিকার হচ্ছেন বলে তার ভাষ্য।   
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৭

মেট্রোরেলে হাফ ভাড়া চান শিক্ষার্থীরা
দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত গণপরিবহন মেট্রোরেলেও বাসের মতো হাফ ভাড়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে মেট্রো রেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা করার দাবি তাদের। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রো স্টেশনের নিচের রাস্তায় আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালুর সময় হাফ ভাড়ার দাবিতে আন্দোলন করলে মেট্রো কর্তৃপক্ষ সরকারের সঙ্গে কথা বলে ভাড়া কমানোর আশ্বাস দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই আশ্বাসের কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। তারা আরও বলেন, এমনিতেই অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মেট্রোরেলের ভাড়া অনেক বেশি। এ অবস্থায় একজন সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে মেট্রো ভাড়া অনেক। সরকার শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করতে অঙ্গীকার করলেও ভাড়ার ক্ষেত্রে ছাড়ের বিষয়টি মাথায় রাখেনি। তাই মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের হাফ-পাসের দাবি তাদের।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪০

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কুকুরের কামড়ে একদিনেই আহত ৯, আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা 
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কুকুরের কামড়ে একদিনেই ৯ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর আগেও বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোসহ রাস্তাঘাটে কুকুরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ব্যথার দান’ মেডিকেল সেন্টারে ভ্যাকসিন না থাকায় আহতদের কেউই সেখানে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না।  গতকাল শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) একদিনে ৯ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।  আহত শিক্ষার্থী সুশান্ত দাস জানান, ‘গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু হলে আসার সময় হঠাৎ করে পেছন থেকে কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়েছি। এ দিন আমিসহ আরও ৮জন আক্রান্ত হয়েছি। বর্তমানে সকলেই আমরা চিকিৎসা নিচ্ছি।কুকুরের ভয়ে এখন বাইরে বের হতেই সাহস পাচ্ছি না।’  বিশ্ববিদ্যালয়কে কুকুরমুক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তিনি।  আহত হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে গেলেও উপকার পাচ্ছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সেখানে ভ্যাক্সিনের ব্যবস্থা নেই। ব্যথার দান নামের এই মেডিক্যাল সেন্টারের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. হেলাল উদ্দিন শনিবার রাতে (২৭ জানুয়ারি) জানান, ‘কোনো ভ্যাকসিনই নেই’। কোথায় পাওয়া যাবে জানতে চাইলে তিনি বাইরের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলের তথ্য দেন। তিনি ৫ বছর আগেও (২০১৮ সালে) এমন একটি সময়ে ভ্যাকসিন নেই বলে জানিয়েছিলেন গণমাধ্যমকে।  এমন কুকুর আতঙ্কে ভয়ে চলাচল করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানকারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিশুকিশোরসহ অন্যরা। তবে এতদিনেও এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।  সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ ভাস্কর্য, অনুষদ, ভিসি বাংলো, আবাসিক হলগুলোর সামনে কুকুর ঘোরাফেরা করছে। পথচারীদের বিশেষ করে একা কাউকে দেখলে কুকুরগুলো কামড়াতে চলে আসছে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা থেকে কুকুরগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য নিরাপত্তা কর্মীদের বলা হয়েছে। পাশাপাশি কুকুরদের আঘাত না করে কীভাবে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’ এর আগেও স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহযোগিতা নেবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন প্রক্টর।  
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়