• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তীব্র গরমে হিলিতে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা
তীব্র গরমের কারণে দিনাজপুরের হিলিতে হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। এছাড়াও অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইলতুকমিশ আকন্দ।  হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা আরিক সরকার বলেন, আমার মায়ের দুদিন ধরে জ্বর, গলা ব্যথা ও পেটের সমস্যা। যার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসছি। পরে ডাক্তার মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের বেডে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেন। এখন আমার মায়ের শরীর অনেকটা ভালো।  হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইলতুকমিশ আকন্দ বলেন, সারাদেশে আবহাওয়া অতিরিক্ত গরম। যার ফলে অনেকেরই ডায়রিয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা নিয়মিত স্যালাইনসহ নানা মেডিসিন দিয়ে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।  দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, শুক্রবার দিনাজপুর জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক শূন্য  ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮  কিলোমিটার। তবে এখনই বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। 
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১১

শরীয়তপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ, ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
প্রচণ্ড গরমে শরীয়তপুরের ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত ৫৫ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল ও পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। সিভিল সার্জন কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জন, নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন, ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন, ভেদেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন, গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে সদর হাসপাতালে ২৪ জন রোগী ভর্তি হন। গত ৩ দিনে জেলায় ১৬১ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।  শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বর্ষা শুরু হলে এই রোগ কমে যাবে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত স্যালাইনসহ অন্যান্য সামগ্রী আছে। গতকাল সোমবার সদর হাসপাতালে ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ও বয়স্ক রোগীদের সংখ্যা বেশি। শয্যা সংকটের কারণে অনেকে হাসপাতালের মেঝে ও করিডরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  শরীফতপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ পরান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন ও বিশুদ্ধ পানি পান না করাসহ বিভিন্ন কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে।   
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৮

২৪ ঘণ্টা রোগী দেখবেন না চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা 
দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টা সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।  মঙ্গলবার (২৩) সকাল ৬টা থেকে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখার এ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেয় বিএমএ’র চট্টগ্রাম শাখা। এই খবরে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।     বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়সাল ইকবাল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রক্তিম দাশের ওপর হামলাকারী ছৈয়দ চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তার ও মেডিক্যাল সেন্টার, চট্টগ্রাম এনআইসিইউতে কর্তব্যরত শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রিয়াজ উদ্দিন শিবলুর ওপর বর্বরোচিত হামলার মূল অভিযুক্তদেরসহ জামিনপ্রাপ্তদের জামিন বাতিলের দাবি ও অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সব ধরনের প্রাইভেট প্র্যাকটিস (ব্যক্তিগত চেম্বার, হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নতুন রোগীর সেবা) বন্ধ থাকবে।   এতে আরও বলা হয়, বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে পূর্বদিনের ভর্তি রোগীর চিকিৎসা সেবা চলবে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পূর্বের রোগীর রিপোর্ট ডেলিভারি দেওয়া যাবে, কোনো প্রকার নতুন রোগী ভর্তি বা সেবা দেওয়া যাবে না।   এ বিষয়ে বিএমএর চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মুজিবুল হক খান বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন চিকিৎসকরা। একের পর এক চিকিৎসকের ওপর হামলা ঘটনা ঘটলেও উপযুক্ত বিচার না হওয়ার কারণে চিকিৎসকদের ওপর হামলা বেড়েই চলছে। সার্বিকভাবে চিকিৎসকরা কর্মক্ষেত্রে খুবই অনিরাপদ। চিকিৎসকদের সুরক্ষায় শক্তিশালী আইন থাকা দরকার। অবিলম্বে সমস্ত দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইন আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল চট্টগ্রামের পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহত এক রোগীকে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ার অভিযোগ তুলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রক্তিম দাশকে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এ ঘটনার দুদিন পর গত ১৪ এপ্রিল চট্টগ্রাম মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালের এনআইসিইউতে থাকা নিউমোনিয়া আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন শিবলুর ওপর হামলা চালায় রোগীর অভিভাবকরা।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১০

চিকিৎসকদের রোগী দেখার সংখ্যা বেঁধে দেবে সরকার
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন এবং আস্থা ফেরাতে কাজ চলছে। রোগীদের বেশি সময় দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টিতে চিকিৎসকদের রোগী দেখার সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনে একজন চিকিৎসক কত সংখ্যক রোগী দেখতে পারবেন তা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। একজন রাত দুইটা আড়াইটা পর্যন্ত রোগী না দেখে সঠিক সময় সঠিক রোগী যাতে দেখতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, নতুন আইনটা এমনভাবে করা হচ্ছে যেখানে চিকিৎসক সময় নিয়ে নির্ধারিত সংখ্যক রোগী দেখতে পারেন। রোগীদেরকে সময় দিয়ে দেখতে হবে। তখন ডাক্তারদের প্রতি রোগীদের আস্থা আসবে। এ সময় দায়িত্বে অবহেলা কিংবা ভুল চিকিৎসায় রোগীর ক্ষতি হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।   ডা. সামন্ত লাল সেন হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকারি হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক তার কাজের সময়ের মধ্যে যদি হাসপাতালে না-থেকে অন্য কোথাও গিয়ে অস্ত্রোপচার বা এমন কিছু করেন, তবে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।   তিনি বলেন, চিকিৎসক ও রোগীর সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের চিকিৎসকরা কোনো অংশেই ভারত, সিঙ্গাপুর, ব্যাংককের থেকে কম না। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, আমাদের চিকিৎসকদের কাউন্সেলিংয়ের সময়টা দেওয়ার অভাব।   স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের প্রতি আস্থা নেই বলে অনেকে বিদেশে চলে যাচ্ছে। ওখানে গিয়ে যে খুব একটা ভালো কিছু হবে সেটা না। আমি তো ভুটান থেকে রোগী নিয়ে এসেছি। ভুটানের রোগী আমাদের এখানে চিকিৎসা নিয়েছে।   ভুটানের রাজা বাংলাদেশে এসে অনেক খুশি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ভুটানে একটা বার্ন ইউনিট বানিয়ে দিচ্ছি। আমাদের সক্ষমতা প্রকাশ করার জন্য বাইরে আমরা হাসপাতাল বানানোর অনুমতি দিয়েছি।  
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৬

২০৩৫ সালে দেশে ডায়াবেটিস রোগী হবে সোয়া ২ কোটি
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, বিশ্বে প্রতি বছর ৭ মিলিয়ন করে নতুন ডায়াবেটিস রোগী তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশেও এ রোগে আক্রান্তের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে এখন প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ ডায়াবেটিস রোগী আছে। ২০৩৫ সাল নাগাদ দেশে ২ কোটি ২০ লাখ হতে পারে ডায়াবেটিস রোগী। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বর্তমানে দেশে ৫০ শতাংশ মানুষ জানেই না তাদের ডায়াবেটিস হয়েছে। ইদানিং গ্রামের মানুষদেরও ডায়াবেটিস হচ্ছে, যা আমাদের ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মুহূর্তে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি করা। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে, শারীরিক পরিশ্রম বাড়াতে হবে, স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপনের অভ্যেস করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত দিয়ে ৫ বেডের বার্ন ইউনিট শুরু করেছিলাম, তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে ৫০০ বেডে উন্নীত করেছি। চেষ্টা থাকলে সবই করা সম্ভব। এভাবে, সবার সহযোগিতা পেলে আমরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মান অবশ্যই উন্নত করতে পারব। বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক মো. সাইফুদ্দিন, ডা. অরুপ রতনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক পাঠান।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৮

ডিগ্রি ছাড়াই নামের আগে ডাক্তার, দেখতেন রোগী (ভিডিও)
সাইনবোর্ড আর এপ্রোন পরেই হয়ে গেছেন চিকিৎসক, সনদ বা ডিগ্রি ছাড়াই দেখছেন রোগী। শুধু তাই নয়, বেসরকারি কিছু ক্লিনিক চাকরিও দিচ্ছে তাদের। রাজধানীজুড়ে এমন বেশ কিছু ভুয়া চিকিৎসকের সন্ধান পেয়েছে আরটিভি। যাদের কেউ কেউ কলেজের গণ্ডি না পেরিয়েই হয়ে গেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। যাদের কাছে গিয়ে রোগমুক্তির পরিবর্তে জীবন সঙ্কটে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর আলম ফার্মাসিতে চিকিৎসক পরিচয়ে নিয়মিত রোগী দেখেন মো. আলম। তবে টিভি ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ করতেই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। মো. আলম স্বীকার করেন, এইচএসসি পাস করেই নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দেন তিনি। যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে এসএমসি হাসপাতালের চিকিৎসক সুদর্শনও ডিগ্রি ছাড়াই চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। সাংবাদিক দেখে মুহূর্তেই চিকিৎসক পরিচয় পাল্টে নিজেকে মেডিকেল এসিসটেন্ট দাবি করেন সুদর্শন। যদিও সেই সনদও দেখাতে পারেননি তিনি।  শ্যামলীতে আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে এক রোগীর অপারেশন করেন মোহাম্মদ আনোয়ার নামে এক ব্যক্তি। রোগীর স্বজনরা পরে জানতে পারেন তিনি চিকিৎসকই নন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি আনোয়ারকে তারাও চেনেন না। অথচ এখানেই চিকিৎসা দিতেন তিনি। একই অভিযোগ, পঙ্গু হাসপাতালের টেকনিশিয়ান সেলিমের বিরুদ্ধেও। তিনিও নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগী দেখেন। মোহাম্মদপুরে পিপলস ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও নাকি রোগি দেখেন তিনি। তবে অনেক চেষ্টাতেও তার সঙ্গে দেখা করা যায়নি, ফোনেও কথা বলতে চাননি। পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক ডা. কাজী শামীম উজ্জামান বলেন, ঘটনা সত্যি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  চিকিৎসক পরিচয়ে এমন প্রতারণার ভুরি-ভুরি উদাহরণ রাজধানীজুড়ে। যাদের কবলে পড়ে জীবন সঙ্কটে পড়ছেন বহু মানুষ। মানুষের জীবন-মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা প্রতারণা করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান শুরুর তাগিদ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৩৬

আরও ৩ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে মশাবাহিত রোগটিতে কারও মৃত্যু হয়নি।    স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ভর্তি রোগীদের মধ্যে ২ জন ঢাকায় এবং ১ জন ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৬০ জনে, যাদের মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫৯ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ভর্তি ৩৩ জন; আর ঢাকার বাইরে এ সংখ্যা ২৬। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয়েছে গত বছর।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৯

ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ৩ রোগী
দেশে গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩ জন। এ সময়ে মশাবাহিত রোগটিতে কারও মৃত্যু হয়নি। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে তিনজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকাতে দুইজন এবং ঢাকার বাইরে একজন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট চারজন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে একজন এবং ঢাকার বাইরে তিনজন ছাড়পত্র পেয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরের মোট ১৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ২০২ জন। এরমধ্যে ঢাকাতে ৪১০ জন ও ঢাকার বাইরে ৭৯২ জন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত এক হাজার ৭৫ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৩৫২ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতাল ৭২৩ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। বর্তমানে সারাদেশে মোট ১১১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঢাকায় ৪৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৩ জন। বর্তমানে হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গুরোগী ছাড়পত্র পাওয়ার হার শতকরা ৮৯ শতাংশ, ভর্তি থাকার নয় শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শতকরা এক দশমিক তিন শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয়েছে গত বছর।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৯

সরকারি হাসপাতালে ওষুধ পান না ৬৯ শতাংশ রোগী
অর্ধশতাধিক নীতিমালা ও আইন থাকার পরেও এখন পর্যন্ত দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হয়নি। শুধু তাই নয়, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ পান না ৬৯ শতাংশের বেশি রোগী।  সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ রোগীকেই বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হয়।  জন্মের পরপরই মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত হয় দেশের ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ শিশু। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্ল্যানিং মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চ (পিএমআর) আয়োজিত এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনটি সেশনে প্রকাশ করা হয় বিষয়ভিত্তিক ১৪টি গবেষণা প্রতিবেদন।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে এই গবেষণাগুলো করা হয়। অধিদপ্তরের নিরাপদ খাদ্য ও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় দেখা গেছে, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে দেশে আইন, নীতিমালা ও বিধিমালা রয়েছে ১৫২টির মতো। আইনের অভাব না থাকলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন খুব একটা নেই। যে কারণে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। দেশের হাসপাতালগুলোয় সংক্রমণ রোধ ও নিয়ন্ত্রণের (আইপিসি) অবস্থা বিষয়ক এক গবেষণায় বলা হয়, বেশিরভাগ হাসপাতালে আইপিসি কমিটি আছে। কিন্তু অধিকাংশ কমিটি কার্যকর নয়। অধিকাংশ হাসপাতালেই নেই আইপিসির জন্য নির্দিষ্ট জনবল। সরকারি ৬০ শতাংশ হাসপাতালে আইপিসি ব্যবস্থাপনা নেই। আর বেসরকারি হাসপাতালের ৫০ শতাংশে নেই এই ব্যবস্থাপনা। ফলে হাসপাতাল থেকে যেসব রোগের সংক্রমণ হয়, সেগুলো বাড়বে। এই সংক্রমণ মারাত্মক ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়। এই গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টিবায়োটিক কীভাবে ব্যবহার করা হবে, এর একটি গাইডলাইন থাকলেও হাসপাতালগুলোয় তা মানা হয় না।  এক-চতুর্থাংশ হাসপাতালে ‘হ্যান্ড হাইজেনিং স্টেশন’ অর্থাৎ হাত ধোয়ার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নেই। প্রতি বেডে একজন রোগী থাকার কথা থাকলেও হাসপাতালগুলোয় বেডের চেয়ে বহুগুণ বেশি রোগী থাকছে।  উন্নত দেশে আইপিসি হার ৩ থেকে ৫ শতাংশ হলেও এশিয়ার দেশগুলোয় এই হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। তথ্যের ঘাটতি-সম্পর্কিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্বাস্থ্য খাতের যে ৪০টি সূচক রয়েছে, এসব ক্ষেত্রে সরকার কাজ করলেও পরিপূর্ণ তথ্য নেই। এ ৪০টি সূচকের মধ্যে চারটির কোনো সঠিক তথ্যই নেই। অন্যদিকে, ১০ সূচকের আংশিক তথ্য রয়েছে। আর বাকি ২৬টি সূচকের যাচাই করার মতো তথ্য আছে, তবে তা পরিপূর্ণ নয়। যে চারটি সূচকের কোনো তথ্য নেই, তা হলো জন্মহার, অনিরাপদ পানি ও অনিরাপদ স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধির অভাবে মৃত্যুহার, স্বাস্থ্য সুযোগ-সুবিধার অনুপাত (যেখানে সাশ্রয়ী মূল্যের প্রাসঙ্গিক প্রয়োজনীয় ওষুধের সুবিধা রয়েছে) এবং নির্বাচিত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার কারণে রক্তপ্রবাহের সংক্রমণের তথ্য। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. কাজী মো. রাশিদ উন নবীসহ ১৩ জন চিকিৎসক একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। সেখানে দেশের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাব্যবস্থা সম্পর্কে নেওয়া রোগীদের সুস্পষ্ট মতামত উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ রোগীকে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খেতে হয়। যদিও তাদের হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়ার কথা। এছাড়া ১৮ শতাংশ রোগীকে সরকারি হাসপাতালের সেবা পাওয়ার জন্য টাকা দিতে হয়। হাসপাতালে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে অসন্তুষ্ট ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ রোগী। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।  স্বাগত বক্তব্য দেন পিএমআরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মাজহারুল ইসলাম।  এছাড়াও আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এবং জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৪

২২ লাখ ক্যানসার রোগী বাংলাদেশে
বাংলাদেশে ২২ লাখ ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী রয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ক্যানসার সচেতনতামূলক এক বিশেষ গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ তথ্য জানান। উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতি বছর ক্যান্সারে দেড় লাখ রোগী মারা যাচ্ছে। আমরা ২০৩০ সালে যখন এসডিজি অর্জন করব, তখন বিশ্বের ৭৭ শতাংশ ক্যানসার রোগী হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। আর বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ রোগী থাকবে এই অঞ্চলে। সুতরাং আমরা খারাপ অবস্থায় আছি। তিনি বলেন, খারাপ অবস্থায় থাকার কারণ হলো আমরা রোগকে অবহেলা করি।  এমনকি আমরা ব্রেস্ট ক্যানসারের রোগীকে চতুর্থ স্টেজে নিয়ে আসি। যার ফলে তাকে আর বাঁচানো যায় না। অথচ আর্লি ডায়গোনোসিস করলে অনেক রোগীকে বাঁচাতে পারতাম। উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিডনি, হার্ট ও ক্যানসারকে প্রাধান্য দিয়ে আট বিভাগে আটটি হাসপাতাল তৈরি করে দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে আমরা বিভাগ অনুযায়ী রোগীদের চিকিৎসা দিতে পারব। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির, বাংলাদেশ সোসাইটি অব রেডিয়েশন অনকোলজিস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী মোশতাক হোসেন ও এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়