• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিশেষ ক্যাম্পে লেগ স্পিনার রত্ন খুঁজবে বিসিবি
বর্তমানে বিশ্ব ক্রিকেটে লেগ-স্পিনারদেরই দাপট চলছে। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলো এদিক থেকে বেশ এগিয়ে। তবে দীর্ঘদিন ধরে একজন লেগ-স্পিনারের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য নিয়েই এবার মাঠে নেমেছিল বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি। পাকিস্তানের শাহেদ মেহমুদের নেতৃত্বে বড় সুখবরই দিয়েছে ডেভেলপমেন্ট বিভাগ, তবে এখনও বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়েই আছে। দেশের নানান প্রান্ত থেকে বাছাই করে ৮০ জন লেগ-স্পিনারের তালিকা করেছে বিসিবি। তাদের পরখ করে দেখার জন্য আগামী ২ ও ৩ মে সময় চূড়ান্ত করেছে ডেভেলপমেন্ট বিভাগ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন।  তার (সুজন) ভাষ্য, ‘লেগ-স্পিনার নিয়ে অবশ্যই আমাদের বাড়তি চিন্তা আছে। (বিসিবির গেম) ডেভেলপমেন্টে শাহেদ মেহমুদ আছেন লেগ স্পিন কোচ হিসেবে। এরই মধ্যে আমরা অনেক লেগ স্পিনার নিয়ে ট্যালেন্ট হান্ট করেছি। খুঁজে বের করেছি ৮০ জনকে। শাহেদ বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে গিয়েছে। রংপুর, ফরিদপুর, রাজশাহী-সব জায়গায় গিয়ে কাজ করে ট্যালেন্টগুলো বের করে এনেছে।’ সুজন যোগ করেন, ‘শিগগিরই আমরা দুই ভাগে ৪০ জন করে ৮০ জনের সঙ্গে ক্যাম্প শুরু করব। আগামী ২ ও ৩ মে এই ক্যাম্প হবে। সেখানে আমরা বাছাই করে এই ক্যাম্পটা আরও ছোট করব। পরে ২০ জনে এনে আমরা তাদেরকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করব।’ বিসিবির এই পরিচালকের মন্তব্য, ‘আমাদের এখন অনেক লেগ-স্পিনার উঠে আসছে। আমি খুবই খুশি। আগে যথাযথ যত্নের অভাব ছিল। এজন্য লেগ-স্পিনার কোচ আমরা একজন নিয়েছি ডেভেলপমেন্টে। আমি খুব খুশি যে, মুশতাক (ভাই) আমাদের জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আমি মনে করি, তিনি যদি বেশি সময় ধরে আমাদের সঙ্গে থাকেন, তাহলে এখান (লেগ-স্পিন ক্যাম্প) থেকে বেশ কয়েকজন লেগ-স্পিনার পাওয়া যাবে।’  
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০০

তিন জমজ ভাই যেন তিন টুকরা রত্ন
বগুড়ার ধুনট উপজেলার বথুয়াবাড়ি এলাকার স্কুলশিক্ষক গোলাম মোস্তফা। সুখেই চলছে গোলাম মোস্তফা ও আর্জিনা বেগমের সংসার। তাদের ঘর আলো করে আসে তিন জমজ সন্তান। কয়েক মিনিট ব্যবধানে জন্ম নেওয়া তিন শিশু আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়ায় তাদের সংসারে। কিন্তু সুখ বেশি দিন সইল না আর্জিনা বেগমের। মাত্র ৫ বছরের মাথায় স্বামীকে হারান তিনি। হঠাৎ স্বামীকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন আর্জিনা। তবে ভেঙে পড়েননি তিনি। জীবন যুদ্ধে হারবার পাত্র নন তিনি। সংকল্প করেন যে করেই হোক সন্তানদের পড়াশোনা করাবেন। মানুষের মত মানুষ করবেন। স্বপ্নপূরণ হয়েছে এক জীবনযোদ্ধা মায়ের। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে তিন ছেলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। সন্তানদের এমন সাফল্য আনন্দাশ্রুতে ভাসিয়েছে আর্জিনা বেগমকে। শুধু আর্জিনা নন। খুশিতে ভাসছে পুরো পুরো ধুনট। মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া তিন জমজ ভাই হলেন- মাফিউল হাসান, সাফিউল হাসান এবং রাফিউল হাসান। ধুনট নবির উদ্দিন পাইলট হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক ও বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন তিস ভাই। এর পর একসঙ্গে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় আসেন। তবে প্রথমবার সাফল্য পান মাফিউল। তিনি ভর্তি হন ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে। আর চলতি বছর সাফিউল দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে ও রাফিউল নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। মাফিউল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, তিন ভাই বগুড়ায় মেসে একই সঙ্গে থেকে সরকারি শাহ সুলতান কলেজে পড়েছি। মা কষ্ট করে এবং জমি বিক্রি করে পড়ালেখা করিয়েছে। কখনোই আমাদের কষ্ট করতে দেয়নি। শাফিউল হাসান বলেন, ‘আজ বাবা থাকলে অনেক খুশি হত। বাবাকে হারিয়েছি শিশুকালে। এখন মাই বাবার অভাব পূরণ করছে। মানুষের সেবা করার জন্য যাতে চিকিৎসক হতে পারি এই দোয়া চাই সবার কাছে। রাফিউল ইসলাম বলেন, অসুস্থ অবস্থায় বাবা মারা যান। যখন বুঝতে পারলাম বাবার সেই কথা তখন থেকেই তিন ভাই প্রতিজ্ঞা করি ডাক্তারি পড়ব। মানবতার তাগিদে গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা করব। এই গ্রাম থেকে কেউ আগে মেডিকেল চান্স পায়নি। আমরা এক পরিবার থেকে তিনজন মেডিকেলে চান্স পেয়েছি। এটা একদম অবিশ্বাস্য। মা আর্জিনা বেগম বলেন, তিন ছেলের জন্ম হয়েছে ২০০৪ সালে। ২০০৯ সালে ওদের বাবা হৃদরোগের মারা যান। ওদের বয়স তখন পাঁচ বছর। ওরা বাবার স্নেহ-মমতা পায়নি। তিনি মারা যাওয়ার পর তিন সন্তানকে পড়ালেখা করানো নিয়ে বিপাকে পড়ি। নিজে কষ্ট করে এবং জমি বিক্রি করে ওদের পড়ালেখা করিয়েছি। প্রায় পাঁচ বিঘা জমি ছিল। ওদের পড়াশোনার খরচের জন্য বাবার বাড়ির জমিও বিক্রি করেছি। বাকি যা আছে তাও প্রয়োজনে বিক্রি করব। তবুও ওদের চিকিৎসক বানাব। যাতে আমাদের মত গরিব মানুষদের সেবা করতে পারে। তাদের এই সাফল্য ছুঁয়ে গেছে স্থানীয়দের। তিনভাইকে নিয়ে এখন গর্বের শেষ নেই এলাকাবাসীর। তাদের নিয়ে গর্ব করছেন শিক্ষকরাও। কান্না জড়িত কণ্ঠে শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন, এরা তিন ভাই মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করি। আমি চাইব তারা যেন দেশ ও দশের কল্যাণে দাঁড়াতে পারে এই দোয়া করি।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়