• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মাদরাসা শিক্ষকদের জন্য সুখবর
নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশপ্রাপ্ত স্কুল-কলেজের বেসরকারি শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পেলেও মাদরাসা শিক্ষকরা তা পাননি। এবার বদলির সুযোগ পেতে যাচ্ছেন মাদরাসা শিক্ষকরা। তবে এর আওতায় আছেন শুধুমাত্র ইনডেক্সধারী মাদরাসার শিক্ষকরা। সম্প্রতি মাদরাসা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, মাদরাসা অধিদপ্তরের আওতায় শিক্ষকদের বদলি হবে। অধিদপ্তরটির কর্মশালায় প্রাথমিকভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুত এ সংক্রান্ত খসড়া অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এ জন্য আলাদা একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। তবে বদলি হতে হলে এসব মাদরাসা শিক্ষককে ইনডেক্স পাওয়ার পর অন্তত ২ বছর চাকরির বয়স হতে হবে। এরপর তারা বদলির আবেদন করতে পারবেন। স্বেচ্ছা বদলি, জনস্বার্থে বদলি এবং মিউচুয়াল ট্রান্সফার এই তিনভাবে বদলির সুযোগ পাবেন ইনডেক্সধারী মাদরাসার শিক্ষকরা। জনস্বার্থ এবং মিউচুয়াল বদলি বছরের যেকোনো সময় হবে। আর স্বেচ্ছায় বদলির প্রক্রিয়া বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে হবে।   মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) ও মাদরাসা শিক্ষকদের বদলিসংক্রান্ত কমিটির সদস্যসচিব জাকির হোসাইন বলেন, মাদরাসা শিক্ষকদের বদলি নিয়ে প্রথম কর্মশালায় বেশ কিছু মতামত এসেছে। তবে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা কিছু বিষয় যুক্ত করতে বলেছেন, তা নিয়ে কাজ চলছে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৪

নিখোঁজের ৫ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে মারুফ হোসেন নামে এক মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে জেলার তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগড় ইউনিয়নের ঝরঝুরি বাজারের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।  মরদেহ উদ্ধার হওয়া মারুফ হোসেন তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগড় ইউনিয়নের ঝরঝুরি গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে ও স্থানীয় হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র। মরদেহ উদ্ধার অভিযান চলাকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১২ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মারুফ হোসেন বিপিএম জানান, গত ৫ তারিখে তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগড় ইউনিয়নের ঝরঝুরি বাজার থেকে মাদরাসা ছাত্র মারুফ হোসেন নিখোঁজ হওয়ার পরদিন তাড়াশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও র‌্যাব-১২ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ করেন নিখোঁজ ছাত্রের বাবা। অভিযোগ পাওয়ার পর দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ হোসেনকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা। র‌্যাব-১২ অধিনায়ক মারুফ হাসান বিপিএম আরও জানান, মাদরাসা ছাত্র কিশোরকে অপহরণ করার পর থেকে তার বাবার নিকট মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল, এমনকি তাকে হত্যা করার পরও মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ব্যাপক তদন্ত করা হচ্ছে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩০

মাদরাসা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহ আলমগীর
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিসিএস ১৪তম ব্যাচের কর্মকর্তা প্রফেসর মুহাম্মদ শাহ আলমগীর। বর্তমানে তিনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব হাছিনা আক্তারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০২০-এর ধারা ১৩(২) অনুযায়ী মুহাম্মদ শাহ আলমগীর (১২৪০), মাদ্রাসা পরিদর্শক, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ গত বছরের নভেম্বরে অবসরে গেলে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. সিদ্দিকুর রহমান ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। প্রসঙ্গত, অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলমগীর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। এর আগে, তিনি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।‌ এর আগে, তিনি মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি থাইল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়ন এবং মালয়েশিয়ার নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লিডারশিপ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫১

পাঁচ মাসেই হাফেজ তাহসিন
মাত্র পাঁচ মাসে পবিত্র কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করলেন চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার দারুল কোরআন মাদ্রাসার ছাত্র তৌহিদুল হাসান তাহসিন। নয় বছর বয়সী তাহসিন নাজেরানা শেষ করে কোরআনে হাফেজ হতে এই মাদরাসা ভর্তি হয়।  সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে মাদ্রাসা মিলনায়তনে তাহসিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পাগড়ী প্রদান করেন শিক্ষক ও আমন্ত্রিত অতিথিরা। তাহসিন উপজেলার সূচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দশনা পাড়ার ইমাম হোসেনের চতুর্থ এবং কনিষ্ঠ সন্তান। তাহসিন বলেন, কোরআনে হাফেজ হতে মা-বাবা ও শিক্ষকদের সার্বিক সহযোগিতা এবং দোয়া পেয়েছি। আমার শিক্ষকরা যেমন সহায়তা করেছে, তেমিন আমিও দিন এবং রাতে পড়েছি। যে কারণে ৪ মাস ২৮ দিনে আমার পুরো কুরআন হিফজ সম্পন্ন হয়। এর জন্য আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রশংসা করছি।   তাহসিনের মা আয়েশা বেগম বলেন, আমার ছেলে খুবই ছোট। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় সে কুরাআন হিফজ করা শেষ করতে পেরেছে। আমার ছেলে যেন আরো বড় আলেম হতে পারে সে জন্য দেশবাসীসহ সকলের দোয়া চাই।  মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান বুলবুলি বলেন, মাদ্রাসায় ৮০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন কোরআন তিলওয়াত প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে তাহসিন নামে ছাত্র ১৪৮ দিনে কুরআন হিফজ সম্পন্ন করেছে। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই এই ছাত্র যেন একজন ভাল আলেম হতে পারে। একই সাথে আমরা প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।  
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৬

ভারতের উত্তর প্রদেশে নিষিদ্ধ হলো মাদরাসা
ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশের মাদরাসাগুলো নিষিদ্ধের আদেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। দেশটিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে মাদরাসার ওপর এমন নির্দেশ দেওয়ার ফলে মুসলিমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর থেকে আস্থা হারাবেন।  শুক্রবার (২২ মার্চ) বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থী এবং বিবেক চৌধুরী এ রায় দেন।  এ রায়ের মাধ্যমে উত্তর প্রদেশে মাদরাসা পরিচালনাকারী ২০০৪ সালের আইন বাতিল করা হলো। রায়ে বলা হয়েছে, এই আইন ভারতের সাংবিধানিক ধর্মনিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন করে। এ ছাড়া মাদরাসার শিক্ষার্থীদের প্রচলিত স্কুলে স্থানান্তরেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। উত্তর প্রদেশের মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ জানিয়েছেন, আদালতের এই আদেশের পর মাদরাসাগুলোতে দেওয়া সরকারি অনুদান বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে বিপাকে পড়বেন রাজ্যের ২৫ হাজার মাদরাসার ২০ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী এবং অন্তত ১০ হাজার শিক্ষক। রাজ্যের ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষের এক পঞ্চমাংশই মুসলমান বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে মাদরাসা বোর্ডের সাংবিধানিকতার বৈধতা নিয়ে অংশুমান সিং রাঠোর নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় এই রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। এই রাঠোর কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কি না তা নির্ধারণ বা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স। ভারতে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সাত দফায় শুরু হতে যাচ্ছে সাধারণ নির্বাচনে। এতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্ট-বিজেপি আবারও জয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে নির্বাচনের আগে এই রায় মুসলিম ভোটের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। যদিও ভারতে ধর্মীয় বৈষম্যের কথা অস্বীকার করেছেন মোদি। অবশ্য আদালতের রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে শনিবার রয়টার্সের করা ই-মেইলের কোনও উত্তর দেয়নি মোদির কার্যালয়। উত্তরপ্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠি বলেছেন যে, এটি মাদরাসার বিরুদ্ধে নয় এবং মুসলিম ছাত্রদের শিক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আদালত এই আদেশের জন্য সময়সীমা দেয়নি, তবে উত্তর প্রদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ বলেছিলেন যে, মাদ্রাসাগুলি এখনই বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর আগে, বিজেপি শাসিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামও শত শত মাদ্রাসাকে প্রচলিত স্কুলে রূপান্তরিত করছে। ভারতের মাদ্রাসাগুলোয় মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৯-১০ সালে কংগ্রেস সরকার উত্তর প্রদেশে ‘স্কিম ফর প্রোভাইডিং কোয়ালিটি এডুকেশন ইন মাদ্রাসাজ’ নামের একটি বিশেষ প্রকল্প চালু করে। ২০১৬ সালে সেই প্রকল্পের তহবিলে আরও ৩০০ কোটি রুপি দিয়েছিল তৎকালীন বিজেপি সরকার। কিন্তু ২০২২ সালের মার্চে ওই প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্র : রয়টার্স
২৪ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৬

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে চাকরির সুযোগ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২টি পদে ৯ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। যা যা প্রয়োজন  প্রতিষ্ঠানের নাম : শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভাগের নাম : কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ চাকরির ধরন : স্থায়ী প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ কর্মস্থল : বিভাগীয় শহর বয়স : ১ মার্চ ২০২৪ তারিখে ১৮-৩০ বছর। বিশেষ ক্ষেত্রে ৩২ বছর। আবেদনের নিয়ম : আগ্রহীরা কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।  আবেদন ফি : টেলিটক প্রি-পেইডের মাধ্যমে ১ পদের জন্য ২২৩ টাকা, ২ নং পদের জন্য ১১২ টাকা অফেরতযোগ্য হিসেবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাঠাতে হবে। আবেদন শুরু : ২০ মার্চ ২০২৪ তারিখ সকাল ১০টা থেকে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় : ২০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ সন্ধা ৬টা পর্যন্ত।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৭

ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর শিল্পকলা একাডেমি এলাকার দারুল আজহার মডেল মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে (১০) বলাৎকারের অভিযোগে ওই মাদরাসার শিক্ষক মো. ইলিয়াছের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।  অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ইলিয়াছ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের গাংচিল গ্রামের হাজী মুরশিদুর রহমানের ছেলে। সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি।  গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনায় নির্যাতিত শিশুর মা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মামলা এ মামলা দায়ের করেন।  এর আগে গত ৬ মার্চ বিকেলে মাদরাসার ওই শিক্ষকের রুমে বলাৎকারের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিশুর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ভিকটিম দারুল আজহার মডেল মাদরাসার ছাত্র ছিল। মাদরাসার হুজুর মাওলানা আবদুর জলিলের ইউনিটে থেকে পড়ালেখা করছিল ভিকটিম। গত এক মাস পূর্ব থেকে ওই মাদরাসার শিক্ষক মো. ইলিয়াছ ভিকটিমকে বিভিন্ন অজুহাতে নিজ রুমে ডেকে নিয়ে একাধিকবার জোরপূর্বক বলাৎকার করে এবং বিষয়টি কাউকে জানালে মারধরের হুমকি দেয়। সর্বশেষ গত ৬ মার্চ বিকেলে পুনরায় শিক্ষক মো. ইলিয়াছ ভিকটিমকে তার রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। এতে শিশুটির পায়ুপথে রক্তক্ষরণ দেখা দিলে ব্যথার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বিষয়টি মুঠোফোনে তার মাকে অবহিত করে। পরে ভিকটিমের মা মাদরাসায় গিয়ে ঘটনাটির বিচার চাইলে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি কোনো বিচার না করে উল্টো অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে তার কাছ থেকে একটি মুচলেকা নিয়ে তাকে মাদরাসা ছেড়ে যেতে সহযোগিতা করে। মুচলেকায় ওই শিক্ষক ভিকটিমসহ আরও একাধিক ছাত্রের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকার করেন। দারুল আজহার মডেল মাদরাসার পরিচালক আবু সালমান বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমরা ওই শিক্ষকের পরিবারকে ডেকে তাদের উপস্থিতিতে বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। পরবর্তীতে তিনি বলাৎকার ছাড়া ওই ছাত্রের সঙ্গে অন্যান্য খারাপ আচরণের কথা স্বীকার করেন এবং মুচলেকায় উল্লেখ করে স্বাক্ষর করেন। তার বিরুদ্ধে যেকোন আইনি প্রক্রিয়ায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করবেন বলেও জানান এ পরিচালক। এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আসামি গা ঢাকা দিয়েছে। তবে তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।  
১১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৪

মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু
নোয়াখালীর কবিরহাটে মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় আমির হোসেন (১৩) নামের এক মাদরাসাছাত্র নিহত হয়েছেন। রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নে চাপরাশিরহাট-মন্ডলিয়া সড়কের জনতা বাজার-সংলগ্ন চর গুল্লাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।   আমির হোসেন ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চর মন্ডলিয়া গ্রামের বিটারাগো বাড়ির দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় চর মন্ডলিয়া গ্রামের একটি মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।   স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকালে নিজ বাড়ি থেকে একই ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকায় বড় ভাইয়ের কাছে যান আমির।  সেখান থেকে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে অবৈধ মাটিবাহী ট্রাক্টর তাকে পেছন থেকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। পরে এলাকাবাসী ট্রাক্টরটি আটক করে। কিন্তু ঘটনার পরপরই গাড়ির চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ধানশিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন স্থানীয় বিষয়টি দফারফার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাহাব উদ্দিন বলেন, নিহত ছেলের বাবা একজন দিনমজুর। তিনি থানায় মামলা করতে চাচ্ছেন না। আমার কাছে এসেছে বিষয়টি সমাধা করে দেওয়ার জন্য। আমি তাদেরকে নিয়ে বসেছি। আমি সমাধান করতে পারলেও তারা থানায় যাবে, না পারলেও থানায় যাবে। কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, বাদী মামলা করতে চাচ্ছে না। আমি বলেছি বাদীকে আমার কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। যেন থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে যায়। নিহতের পরিবার ময়নাতদন্তও করতে চাচ্ছে না।
১০ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৯

নদীতে গোসলে গিয়ে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে নবগঙ্গা নদীতে ডুবে আব্দুল্লাহ (১৪) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের হাট পাঁচুড়িয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল্লাহ উপজেলার মধ্য পাঁচুড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে এবং তিনি হাট পাঁচুরিয়া নুরানী হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্র। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে মাদরাসা থেকে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করার জন্য নবগঙ্গা নদীতে যায় আব্দুল্লাহ। তিনি তার বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে ডুব দিলে তার বন্ধুরা উঠলেও তিনি আর উঠে আসেননি। বন্ধুরা তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে একপর্যায়ে তাদের একজনের পায়ে আব্দুল্লাহর মরদেহ বাঁধলে তারা পানি থেকে তুলে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি নিহত আব্দুল্লাহ সাঁতার জানতেন না। আব্দুল্লাহর আকস্মিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৬

দেশে কওমি মাদরাসা থাকা নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরলেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদেরও যাতে কর্মসংস্থান হয় সেটাও আমরা চাই। এ জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিন কওমি মাদরাসা নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তার এ বক্তব্যকে বিকৃত করে একটি রাজনৈতিক দল প্রচার করছে বলে দাবি করেন তিনি। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটি জেলা থেকে একটি আলোচনা এসেছিল, অনিবন্ধিত, নাম-পরিচয়হীন নুরানি মাদরাসার নামে কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। সেগুলো নিবন্ধনের প্রক্রিয়া কী? সেই প্রেক্ষিতে আমি বলেছিলাম, যেসব নুরানি মাদরাসা গড়ে উঠছে, সেগুলোর যথাযথ নিবন্ধন আছে কি না, সেগুলোতে কীভাবে শিক্ষাক্রম পরিচালিত হচ্ছে? অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যাতে সাংঘর্ষিক না হয়, সে বিষয়ে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কীভাবে তা ইউনিফরমিটির মধ্যে আনা যায়। বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, নুরানি বা কওমি মাদরাসার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে—এই ধরনের মন্তব্য (কওমি মাদরাসা বন্ধ) আমি করিনি। এই আলোচনা সৃষ্টি করে এক পক্ষ গুজব রটাচ্ছে। গুজব রটিয়ে কওমি মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টির নোংরা অপচেষ্টা করছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তারা আগে আরও অনেক ধরনের মানহানিকর এবং আপত্তিকর কথা বলছে।  তিনি বলেন, বারবার বলছি, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে, অবশ্যই থাকবে। কারণ আমরা আইন দিয়ে কওমি মাদরাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স স্বীকৃতি দিয়েছেন। কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু সেখানকার শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ন্যূনতম লিটারিসির কথা বলছি, তারা যাতে কর্মসংস্থান পায়, সে সমস্ত বিষয় নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করতে চাচ্ছি, আগামীতেও কাজ করব। তাদের বারবার আমন্ত্রণও জানিয়েছি। এখানে মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার মতো কথা কেউ কখনো বলেননি। তিনি আরও বলেন, একটি পরিকল্পনার মধ্যে থেকে, নিবন্ধনের মধ্যে থেকে, কী পড়ানো হচ্ছে সেসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে, আমার শিক্ষার্থী, আমাদের এই প্রজন্মকে কী পড়াচ্ছি, সেটা জাতীয় শিক্ষাক্রম হোক, কওমি মাদরাসা হোক বা ইংরেজি মাধ্যমে হোক, সেটির ওপর রাষ্ট্রের নজর তো অবশ্যই থাকতে হবে। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কিছু যদি পড়ানো হয়, সেটা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে হোক; আমরা দেখেছি, অনেক পাবলিশিং হাউজের নাম করে উসকানি দেওয়ার জন্য বই ছাপানো হয়েছে এবং পড়ানো হচ্ছে, সেগুলো আমাদের অবশ্যই দেখতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে।  
০৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়