• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
অবসর ভাঙা ও বাবরের সঙ্গে বিরোধ নিয়ে মুখ খুললেন ইমাদ
ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে বাবরের সঙ্গে বিরোধের গুঞ্জন অনেক পুরনো। অনেকে মনে করেন এই দুই ক্রিকেটারের হুট করে অবসর নেওয়ার পিছনে বাবর আজমের ভূমিকা ছিল। এতো দিন চুপ থাকলেও এবার মুখ খুলেছেন ইমাদ ওয়াসিম। শনিবার (৫ মে) পাকিস্তানের গণমাধ্যমের সামনে বাবরের সঙ্গে বিরোধ প্রসঙ্গে ইমাদ বলেন, বাবরের সঙ্গে আমাদের (ইমাদ ও আমির) কোনো সমস্যা নেই। তিনি আমাদের ক্যাপ্টেন এবং সবাই তাকে সমর্থন দেবো।  অবসর ভেঙ্গে দলে ফেরা নিয়ে এই অলরাউন্ডার বলেন,  শুধুমাত্র খেলার জন্য নয়, আমির এবং আমি একটি কারণে ফিরে এসেছি। শেষবার খেলতে এবং বিশ্বকাপ জিততে। ‘গত কয়েক আসরে আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল খেলেছি, যা অবশ্যই খুব বড় অর্জন। কিন্তু সত্য হলো সেমিফাইনাল এবং ফাইনালিস্টদের কেউ মনে রাখে না আমাদের লক্ষ্য সেই টুর্নামেন্টে জয়ী হওয়া।’ গত আসরে ফাইনালে ইংলিশদের কাছে পরাজিত হয়ে শিরোপা খুয়েছিল পাকিস্তান। এবার সেই স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর আশা এই পাক ক্রিকেটারের। ইমাদ বলেন, আমি আমার নিজের সুবিধার জন্য ফিরে আসিনি, আমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য এবং একটি উচ্চ অবস্থানে থেকে টুর্নামেন্টটি শেষ করতে চাই। আমরা চাই ২৫ মিলিয়নের এই জাতিকে সন্তুষ্ট করতে, যাতে সবাই একসঙ্গে উদযাপনে শামিল হতে পারি। এটাই আমাদের এখনকার মিশন ও লক্ষ্য।’ তিনি আরও বলেন, আমরা এটি অর্জন করতে পারব কি না সেটা কে বলতে পারে? আমার অবদান ছোট বা বড় যাই হোক, তা আমার কাছে বিবেচ্য নয় যদি আমরা ট্রফি জিতি। এটা বলা সহজ, কিন্তু বাস্তবায়ন করা কঠিন।  ‘আমি মনে করি আমরা যদি এক হয়ে খেলি, তাহলে আমরা কারও কাছে হারব না। আমি বাইরের চাপ অনুভব করি না, শুধু ম্যাচের চাপ। আমি কেবল আমার পারফরম্যান্সকে কেন্দ্র করে চাপ অনুভব করি, আর কিছু না।’  উল্লেখ্য, আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পর্দা উঠবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। যেখানে একই গ্রুপ ‘এ’-তে রয়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তান। ৯ জুন তারা বহুল কাঙ্ক্ষিত ম্যাচে নিউইয়র্কের নাসাউ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে। 
০৫ মে ২০২৪, ১৬:৪৬

নতুন শিক্ষাক্রমের সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম দক্ষতামূলক, যা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে স্বাধীনতা মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ উপমহাদেশের হাজার বছর ধরে বহমান ইসলামী ভাবধারা দেশের আলিয়া মাদরাসায় চর্চা করা হয়। ইসলাম শিক্ষার বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে মাদরাসায় নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সাদরে গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিভ্রান্তিকর কিছু থাকলে তা সংশোধন করা হবে। শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে অপরাজনীতি না করার আহ্বান জানাই। তিনি আরও বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে মাদরাসা শিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। এর ফলে তারা মাদরাসার জন্য প্রণীত পাঠ্য বইয়ে তাদের মতামত প্রদান ও অবদান রাখতে পারবেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বীনি শিক্ষার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন। সরকার এক হাজার ৮০০ মাদরাসা ভবন নির্মাণ করেছে। এ ছাড়াও প্রচুর সংখ্যক মাদরাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। সভায় মাদরাসা শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং যৌক্তিক দাবিসমূহ বিবেচনা করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এ সময় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জাতীয় পাঠ্যক্রমের বিষয় ছাড়াও ধর্মীয় বিষয় অধ্যয়ন করে। তাই তারা মূলধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু বলেন, অতীতে মাদরাসা শিক্ষকদের সংগঠনের নামে কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন। তারা ইসলামের চর্চার চেয়ে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর মতাদর্শ প্রচারে অধিক ব্যস্ত ছিলেন। তবে বর্তমান সরকার মাদরাসায় প্রকৃত ইসলামের চর্চার পরিবেশ বজার রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়