• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সন্দ্বীপে পথচারীদের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ 
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে হাজী ছায়েদ উল্লাহ সামাজিক সংস্থার উদ্যোগে ৫ শতাধিক পথচারী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, গাড়ির ড্রাইভারদের মাঝে ঠান্ডা পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) উপজেলার মাঈটভাঙ্গা ইউনিয়নের শিবেরহাটে এগুলো বিতরণ করা হয়।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাঈটভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আবুল হোসেন মেম্বার, শিবেরহাট উত্তর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ ধন দাশ, হাজী ছায়েদ উল্লাহ সামাজিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন মাঈনউদ্দীন, মাওলানা আবদুল ওহাব মুনসুরসহ অনেকেই।  আয়োজকরা জানান, তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যে শ্রমজীবী দিনমজুর, রিকশাচালকদের কিছুটা স্বস্তি দিতে এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। এ সংকট মুহূর্তে যাতে সবাই এগিয়ে আসে। বিশেষ করে এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় বিষয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হয়েছে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৫

তীব্র তাপদাহে এসএমসির ওরস্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ
সপ্তাহজুড়ে দেশব্যাপী তীব্র দাবদাহে সাধারণ মানুষ তথা শ্রমজীবী মানুষ যে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে সেটি লাঘবে সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি) সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে দেশব্যাপী ১২টা আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে ওরস্যালাইন-এন ও বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ শুরু করেছে। দেশব্যাপী এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকাস্থ এসএমসির প্রধান কার্যালয়ের সামনে (এসএমসি টাওয়ার, ৩৩ বনানী, ঢাকা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও তছলিম উদ্দিন খান এবং এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফ নাসির জনসাধারণের মাঝে এসএমসির ওরস্যালাইন-এন ও বোতলজাত বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ করেন এবং কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় এসএমসি এবং এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লি. এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে তছলিম উদ্দিন খান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা সারা দেশে ওরস্যালাই-এন এর পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করেছি যাতে করে জনসাধারণ এবং শ্রমজীবী মানুষ নিকটস্থ ফার্মেসি এবং দোকান থেকে প্রয়োজন মতো ওরস্যালাইন-এন ক্রয় করতে পারেন এবং তীব্র দাবদাহে সৃষ্ট সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি বা হিট স্ট্রোক এড়াতে পারেন। এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফ নাসির বলেন, এসএমসি সবসময় সব ভালো কাজের সাথে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এসএমসি জনসাধারণের কল্যাণে এ ধরণের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে। পানিশূন্যতা রোধে এসএমসির ওরস্যালাই-এন পান করতে তিনি সবাইকে আহ্বান জানান। সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি) বাংলাদেশের স্বাধীনতা লগ্ন থেকেই দেশের নারী, শিশু ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি অবস্থা উন্নয়নে কাজ করে আসছে। বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য বিষয়-বিশেষ করে বন্যা, সাইক্লোন এবং অতিমারির সময়েও এসএমসি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৩

মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে ‘ডেডবডি’র প্রচারণা, বিশুদ্ধ পানি বিতরণ
ভৌতিক ঘটনার অবলম্বনে প্রযোজক-পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল নির্মাণ করেছেন সিনেমা ‘ডেডবডি’। রোজার ঈদে সিনেমাটি মুক্তির কথা ছিল দেশের সিনেপ্লেক্সগুলোতে। তবে শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে যায়। আগামী ৩ মে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। মুক্তি সামনে রেখে সোমবার (২৯ এপ্রিল) মোটরসাইকেল পদযাত্রা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ করে সিনেমাটির কলাকুশলীরা। প্রায় দেড় শতাধিক মোটরসাইকেল ও পিকআপভ্যান ও মাইক্রো নিয়ে সিনেমাটিন শিল্পীরা পদযাত্রা করেন। এফডিসি থেকে পদযাত্রা বেরিয়ে ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, শ্যামেলী সিনেমা হল হয়ে এ পদযাত্রা শেষ হয় মিরপুর সনি স্কয়ারে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ইকবাল, অভিনেতা ওমর সানী, সংগীত পরিচালক এফ এ প্রীতম প্রমুখ। এ সময় ইকবাল বলেন, আমি ভুলসময় সিনেমাটি মুক্তি দিতে চাইনি, যার কারণে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসি। কারণ, এবারের ঈদে ১১টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। একসঙ্গে এতগুলো সিনেমা তো হুমকি। আমাদের তো পর্যাপ্ত সিনেমা হল নেই। এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া অনেক সিনেমা ওয়েব সিরিজ হয়েছে। সিনেমা ভিন্ন বিষয়। সেগুলো দর্শক কিন্তু ফিরিয়ে দিয়েছে। ৩রা মে আরেকটি ঈদ হতে যাচ্ছে। সবাইকে সিনেমা হলে এসে ডেডবডি দেখার আমন্ত্রণ রইল। ওমর সানী বলেন, প্রায় দুই শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছি। তবে এমন চরিত্রে এবারই প্রথম কাজ করেছি। যারা বাংলা সিনেমা ভালোবাসেন তাদের হলে এসে সিনেমাটি দেখার অনুরোধ করব। সিনেমাটি নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। ‘ডেডবডি’তে অভিনয় করেছেন ওমর সানী, মিশা সওদাগর, শ্যামল মাওলা, জিয়াউল রোশান, মিষ্টি জাহান, রাশেদ মামুন অপু, কলকাতার এনিসহ অনেকেই। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ট্রেলার। আর ট্রেলার মুক্তির পর রীতিমতো এর প্রশংসায় মেতেছেন নেটিজেনরা।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৮

ময়মনসিংহে ছাতা ও সুপেয় পানি নিয়ে মাঠে যুবলীগ 
প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে ময়মনসিংহে বিতরণ করা হয়েছে ছাতা। সেই সঙ্গে দেওয়া হয়েছে সুপেয় পানি, স্যালাইন এবং জুস।  ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর নির্দেশে সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠান এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। রোদে সুরক্ষার জন্য ছাতার পাশাপাশি সুপেয় পানি, স্যালাইন এবং জুস পেয়ে খুশি পথচারীসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। এ সময় আইনশৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশের মাঝেও বিতরণ করা হয় ছাতা। আগামী চারদিন শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য মানুষের মাঝে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক রাসেল পাঠান। ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের এ নেতা বলেন, প্রথমদিনে ১০০ জনের মাঝে ছাতাসহ পথচারী ও নিম্ন আয়ের সহস্রাধিক মানুষকে সুপেয় পানি, স্যালাইন এবং জুস দেওয়া হয়েছে। ময়মনসিংহ সদর আসনের এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত এর নির্দেশে বসানো হয়েছে এমন সেবামূলক বুথ। এসব বুথ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি ও ছাতা নেওয়া যাবে। যতদিন অসহ্য তাপদাহ থাকবে, এ কার্যক্রম ততদিন চলবে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৮

তাপদাহের মধ্যে পানি সংকট রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়
মাস জুড়ে টানা তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ। সূর্যের তেজে মুষড়ে পড়েছে জনজীবন। বাইরে বের হলেই গলা শুকিয়ে আসছে পিপাসায়। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে অধিক আর্দ্রতায় শুকাচ্ছে না ঘাম, কাপড় ভিজে লেপ্টে যাচ্ছে শরীরে, আর দ্বিগুণ হচ্ছে অস্বস্তি। এই যখন পরিস্থিতি, এর মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহে। বাসা-বাড়িতে পানি না পেয়ে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। গত কয়েক দিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বাড্ডা, নতুন বাজার, রামপুরা, মেরুল, ডিআইটি, মালিবাগ, বাসাবো, মিরপুর, পুরান ঢাকা, মুগদা, মান্ডা, লালবাগ, রায়েরবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা পানি পাচ্ছেন না ঠিকঠাক মতো।  হঠাৎ রাজধানীর এতগুলো এলাকায় পানির এ সংকটের কারণ জানতে গেলে ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হয়, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে কয়েক দিনের অসহনীয় গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে। মূলত যেখানকার ডিপ টিউবওয়েলে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, সেসব এলাকায় কিছুটা পানির সংকট দেখা দিয়েছে।  এদিকে ওয়াসার লাইন থেকে পানি না পেয়ে টাকার বিনিময়ে ওয়াসার গাড়ির মাধ্যমে পানি সরবরাহের অর্ডার করেন অনেক এলাকার বাসিন্দা। কিন্তু সেই পানিও ঠিকমতো মিলছে না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।  জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসার আওতায় ১০টি মডস জোনে পানির চাহিদা জানানো হলে বিশেষ গাড়ির মাধ্যমে বাসা-বাড়িতে পানি পৌঁছে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে প্রতি ছয় হাজার লিটারের একটি বড় গাড়ির জন্য নেওয়া হয় ৬০০ টাকা। কিন্তু চাহিদা অনেক বেশি থাকায় সিরিয়াল দিয়ে, ফোন করেও এসব পানির গাড়ি পাচ্ছেন না পানি সংকটে থাকা বাসিন্দারা। অভিযোগ এসেছে, ৬০০ টাকার গাড়ির জন্য হাজার-বারোশ’ টাকা দিয়েও সিরিয়াল পাচ্ছেন না তারা। রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ভাড়া বাসায় থাকেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাফায়েত ইসলাম। গত ৪-৫ দিন ধরে বাসায় পানি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তার। ক্ষোভ প্রকাশ করেতিনি বলেন, গত ৪-৫ দিন ধরে ওয়াসার লাইনে পানি পাই না আমরা। এত গরমে মানুষের জীবন যায় যায় অবস্থা, এর মধ্যে বাসায় পানি না থাকা যে কতটা কষ্টের তা বলে বোঝানো সম্ভব না। এই ৪-৫ দিন গোসল নেই ঠিকমতো, বাথরুমে যাওয়া যায় না। আমাদের সমস্যা নিরসনে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না ওয়াসাকে। যাবির হাওলাদার নামে একই এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা ওয়াসার মডস জোনে বারবার যোগাযোগ করছি। বারবার অর্ডার দিয়েও আমরা পানি পাচ্ছি না। পানির গাড়ি পেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। ৬০০ টাকার পানির গাড়ি দ্বিগুণ টাকা দিয়েও অনেক সময় পাওয়া যাচ্ছে না। একই অভিযোগ পাওয়া গেছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়েও।  এ ব্যাপারে মডস জোনের আওতায় বাড্ডার বৌবাজার এলাকার ওয়াসার পাম্পের অপারেটর মনিরুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে পানি সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা মেশিন চালিয়ে ঠিকমতো পানি পাচ্ছি না। পানির স্তর নিচে নেমে গেছে কিছু কিছু এলাকায়। গরমে পানির চাহিদাও অনেকগুণ বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে পানি সরবরাহ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা ওয়াসার এক কর্মকর্তা বলেন, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে; মূলত সেই সব এলাকাতেই কিছুটা পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ঢাকা ওয়াসা বলছে, প্রতিদিন প্রায় ২৯০ কোটি লিটার পানির উৎপাদনের সক্ষমতা আছে তাদের। গরমকাল এলে রাজধানীতে পানির চাহিদা থাকে ২৬০ কোটি লিটার। সে হিসাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি থাকার কথা না। তবে, ভূগর্ভস্থ পানির ওপর অতি নির্ভরশীলতাই পানির বর্তমান সংকটের কারণ।  বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার পানি শোধনাগার রয়েছে পাঁচটি। তবে সংস্থাটি পানি পাচ্ছে চারটি শোধনাগার থেকে। উপরিতলের পানির উৎপাদন ৭০ শতাংশে উন্নীত করার কথা থাকলেও সেই লক্ষ্য এখনো পূরণ করতে পারেনি ঢাকা ওয়াসা। বর্তমানে উপরিতলের পানি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। আর বাকি ৬৫ শতাংশ ওয়াসার সরবরাহ করা পানি আসছে ভূগর্ভ থেকে। প্রসঙ্গত, শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা মহানগরীর পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসার সব মডস জোনের কার্যক্রম তদারকির জন্য ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করেছে ঢাকা ওয়াসা। রাজধানীতে পানির সমস্যা সমাধানে এসব টিম আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত পানি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম মনিটরিং করবে। গঠন করা এই ১০টি মনিটরিং টিম জোনভিত্তিক পাম্পগুলো নিয়মিত ও আকস্মিক পরিদর্শন করবে। পাম্প চালকরা যথানিয়মে দায়িত্ব পালন করছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হবে টিমগুলো। পরিদর্শনকালে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করবে ঢাকা ওয়াসার এ কমিটি।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৫

গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ভালো নাকি ক্ষতিকর
দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ নগরবাসী। একে তাপমাত্রা সহন ক্ষমতার বাইরে, তার সঙ্গে রয়েছে বাতাসের অত্যধিক আর্দ্রতা। এ দুইয়ের আক্রমণে সাধারণ মানুষের অবস্থা খুবই নাজেহাল। এমন তীব্র তাপদাহে একটু প্রশান্তির খোঁজে সকলেই ঠান্ডা পানি পান করে তৃষ্ণা মিটাচ্ছেন। আবার অনেকে গরম থেকে ঘরে ফিরেই হুটহাট করে একেবারে ফ্রিজ থেকে বের করেই বরফজমা ঠান্ডা পানি পান করছেন। তবে ঠান্ডা পানি পান করা নিয়েও নানা সময়ে বারণ শুনতে হয়।  বিশেষজ্ঞদের মতে হুটহাট করে একেবারে ফ্রিজ থেকে বের করেই বরফজমা ঠান্ডা পানি পান করা ঠিক নয়। শুধু গরম বলে নয়, যেকোনো সময় ঠান্ডা পানি পানের বিষয়ে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা। ঠান্ডা পানি পান কী স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর- গরমে ঠান্ডা পানি পান করা যেতেই পারে। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করা শরীরের জন্য খারাপ হতে পারে। ঠান্ডা পানি হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। গ্রীষ্মের গরমের কথা মাথায় রেখে যতটা সম্ভব ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ঠান্ডা পানি খেলে কি কি হতে পারে তা নিচে দেওয়া হলো- শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্যহীনতা: শরীরের তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার কারণে দেহের তাপমাত্রা তখন আর ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটে থাকে না। তখন শরীরে টনসিলের সমস্যা, মাইগ্রেনের সমস্যা, দাতে ব্যথা, খাদ্যনালির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া সর্দি, কাশি বা জ্বরের ঝুঁকি বেড়ে যায় অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করলে। গলাব্যথা: গরমে ঠান্ডা পানি পানে গলাব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া সর্দি-কাশির অন্যতম কারণ হতে পারে ঠান্ডা পানি। খাবারের পরপর ঠান্ডা পানি পানে অতিরিক্ত মিউকাস (শ্লেষ্মা) তৈরি হয়। এটি শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধা তৈরি করে। যখন শ্বাসনালিতে বাধা তৈরি হয়, তখন নানা প্রদাহযুক্ত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। হৃদস্পন্দন কমিয়ে দেয়: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠান্ডা পানি পান হৃদস্পন্দন কমিয়ে দিতে পারে। তাইওয়ানের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঠান্ডা পানি পান করা হার্টের জন্য ক্ষতিকর। তাই বিপদ থেকে বাঁচতে ঠান্ডা পানি পানের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। যাদের আগে থেকেই হার্টের সমস্যা রয়েছে, তারা ঠান্ডা পানি পুরোপুরি এড়িয়ে চলবেন। হজমে বাধা: বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা পানি বা ঠান্ডা কোমল পানীয় রক্তনালির সংস্পর্শে আসে এবং হজমপ্রক্রিয়ায় বাধা দেয়। হজমের সময় যে পুষ্টি শোষিত হয়, সে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়। শরীর তখন হজমপ্রক্রিয়ার চেয়ে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শরীরে বেশি পানিশূন্যতা দেখা যায়। ঈষদুষ্ণ পানি পান করুন: অসহনীয় গরম পড়েছে বলে অনেকেই কুসুম গরম পানি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। বরং ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাচ্ছেন। কিন্তু এ ভুল করতে যাবেন না। সকালে ঈষদুষ্ণ পানি পান করলে শরীরের ফ্যাট কমে, হজম প্রক্রিয়া ঠিকমতো কাজ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তাও ভালো হয়ে যায়। তাই রোজ সকালে হালকা গরম পানি পান করতে মোটেও ভুল করবেন না। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মতে, তীব্র এ গরমে দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি অবশ্যই পান করতে হবে। পাশাপাশি ডাবের পানি, ফলের জুস, ঘোল, লেবুর শরবত খেতে পারেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫০

নামছে স্তর, রাজবাড়ীতে কোথাও মিলছে না পানি
সারাদেশের ন্যায় রাজবাড়ীতেও চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় রাজবাড়ীর জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। একদিকে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে জেলার মানুষ অন্যদিকে নতুন করে প্রায় সব উপজেলাতে দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। এতে যেমন বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন, তেমনি ব্যহত হচ্ছে কৃষি উৎপাদন। জানা গেছে, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে খরায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। যার ফলে নলকূপে (টিউবওয়েল) পানি উঠছে না। পানির অভাবে গৃহস্থালী কাজকর্ম যেমন ব্যহত হচ্ছে তেমনি জমিতে সেচ দিতে পারছে না কৃষক। সেচের অভাবে নষ্ট হচ্ছে ফসলাদি। বালিয়াকান্দি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভৌগোলিক কারণে বৃহত্তর ফরিদপুরের মধ্যে বালিয়াকান্দি উপজেলাটি ভিন্ন। আশপাশের তুলনায় এই অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ স্তর বেশ নিম্নমুখী। যে কারণে প্রতি বছর পানির স্তর ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি নিচে নেমে যাচ্ছে। বালিয়াকান্দিতে মোট পরিবারের সংখ্যা ৫০ হাজার। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ৫টি পরিবারের জন্য কমপক্ষে একটি নলকূপ থাকা জরুরি। সে অনুযায়ী বালিয়াকান্দিতে প্রয়োজন প্রায় ১০ হাজার নলকূপ। কিন্তু সরকারি ভাবে ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৬০টি সাবমারসিবল পাম্প ও ২০১৯ সাল থেকে ৫২০টি তারা টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় খুবই সামান্য।  ব্যক্তিগত উদ্যোগে যেসব বাসাবাড়িতে টিওবয়েল বসানো হয়েছে সেগুলোতেও এখন আর পানি উঠছে না। পানি না ওঠার কারণ হিসেবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বলছে, বালিয়াকান্দিতে বর্ষা মৌসুমে পানির স্তর ১৫ থেকে ২২ ফুট নিচে চলে যায়। আর শুষ্ক মৌসুমে বিশেষ করে এপ্রিল, মে ও জুন মাসে সেটা নেমে দাঁড়ায় ৩২ ফুট নিচে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বসানো নলকূপগুলোর পাম্পিং ক্ষমতা ২০ থেকে ২৪ ফুট। যার কারণে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলে পানি থাকে না। শুধুমাত্র সরকারিভাবে বসানো তারা ও সাবমারসিবল পাম্প দেওয়া নলকূপে পানি থাকে। বালিয়াকান্দির সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা অনিক শিকদার, সবুজ শিকদার, নারুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মিঠুন, রিয়াদসহ অনেকেই জানান, গত কয়েক দিন হলো বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্নস্থানে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে টিউবওয়েল পানি উঠছে না। বাড়ির গৃহস্থালি কাজ করার জন্য অন্য জায়গা থেকে পানি আনতে হচ্ছে। এতে করে ভোগান্তি বেড়েছে বাড়ির মা-বোনদের। পানির এ সমস্যা শুধু বালিয়াকান্দিতেই নয়। রাজবাড়ী সদর, পাংশা, কালুখালীতেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই উপজেলার গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ নলকূপে পানি উঠছে না। গত কয়েকদিন ধরে পানি ওঠা বন্ধ হয়েছে। তীব্র খরায় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে পানি উঠছে না বলে জানান স্থানীয় অনেকেই। কিছু নলকূপে পানি উঠলেও পারিমাণে অনেক কম। সমস্যা বেশি সৃষ্টি হয়েছে পুকুর ও বিভিন্ন জলাশয় পানি শূন্য হয়ে যাবার কারণে। অনেক পরিবার পানির সমস্যা সমাধানে মোটর বসিয়েছে। সেখান থেকে পানি নিয়ে চাহিদা মেটাচ্ছে অন্য পরিবারগুলো। পানির সংকটে প্রভাব পড়েছে কৃষিতে। স্যালো মেশিনেও পানি উঠছে না। ফলে পাটের জমিতে সেচ দিতে পারছে না কৃষক। অনেক জমির পাট পানির অভাবে মারা যাচ্ছে। অনেক কৃষক স্যালো মেশিনে পানি তুলতে ১২ ফুট গর্ত করেছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের আটদাপনিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এখানে কোনো নলকূপে পানি উঠছে না। অনেকে নলকূপের সাথে মোটর বসিয়েছে। তারপরও পানি উঠছে না। পাংশা উপজেলার সরিষা, বাবুপাড়া, কলিমহর, মৌরাট, পাট্টা ইউনিয়নেও চলছে পানির সংকট। পাশাপাশি এসব এলাকার চাষিরা পানির অভাবে পাটের জমিতে সেচ দিতে পারছে না। রাজবাড়ী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু জাকারিয়া বলেন, গ্রীষ্মকালে খরায় পানির স্তর নিচে নেমে যায়। ফলে টিউবওয়েল থেকে পানি ওঠে না। আমাদের এ অঞ্চলে বেশির ভাগ পানির লেয়ার ২৫ ফুটের নিচে নেমে গেছে। ফলে এখন টিউবওয়েল ও চাপকল দিয়ে পানি উঠছে না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে যারা সাবমারসিবল পাম্প অথবা তারা টিউবওয়েল বসিয়েছে তাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৬

তীব্র গরমে পানি ও স্যালাইন বিতরণ ওয়েলবিং ফাউন্ডেশনের
তীব্র তাপপ্রবাহে প্রায় দুই হাজার রিকশাচালক, শ্রমজীবী মানুষ ও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে ওয়েলবিং ফাউন্ডেশন। সময় হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁও, শ্যামলী, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন পয়েন্টে এ বিতরণ কার্যক্রম চালানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, ওয়েলবিং ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মো. রাজিকুল হাসান, সমন্বয়ক রাকিব হাসান অভি, গোলাম মাহবুদ এবং জেসিআই ঢাকা ডিপ্লোমেটসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের লোকাল প্রেসিডেন্ট আরাফাত কবির, সদস্য সামিয়া রহমান। পানি ও খাবার স্যালাইন পেয়ে শ্রমজীবী ও রিকশাচালকরা বলেন, ‘এই প্রচণ্ড গরমে আমাদের কথা চিন্তা করে যে উপহার দিয়েছে তা পেয়ে আমরা খুব খুশি হয়েছি। ওয়েলবিং ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মো. রাজিকুল হাসান বলেন, আমাদের সংগঠনটি এসডিজি-৩ বিষয়ক মেডিকেল প্রফেশনালদের ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম। তাপপ্রবাহের মধ্যে শ্রমজীবী দিনমজুর, রিকশাচালকদের কিছুটা স্বস্তি দিতে এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। বিশেষ করে জনসাধারণের মাঝে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক লিফলেটের বিতরণের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হয়েছে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩০

হিলিতে তীব্র গরমে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ
বৈশাখ মাসে চলছে সারাদেশে প্রচণ্ড তাপদাহ ও তীব্র গরম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে রোদ ও গরমের তীব্রতা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ঠিক সেই সময়ে দিনাজপুরের হিলিতে রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইকচালক ও পথচারীদের মাঝে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন হাকিমপুর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার চারমাথা মোড়ে প্রায় ২০০ জন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন হাকিমপুর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সেক্রেটারি মোসলেম উদ্দিন, হাকিমপুর উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, সভাপতি সবিরুল ইসলাম, সদস্য ডা. সাইদুর রহমান, মেহেদী হাসানসহ আরও অনেকে।  রিকশাচালক আরমান আলী বলেন, প্রচণ্ড তাপ ও তীব্র গরম এর কারণে ঘর থেকে মানুষ বিনা প্রয়োজনে বাহির হচ্ছে না। পেট তো আর এসব বোঝে না। তাই রিকশা নিয়ে রাস্তায় বাহির হয়েছি। সকাল থেকে যাত্রী ও তেমন পাচ্ছি না। চারমাথা মোড়ে বসে আছি এমন সময় হঠাৎ আমার হাতে পানির বোতল ও খাবর স্যালাইন তুলে দিলেন। আমি খুব খুশি। আমি তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের ভালো করেন। ফেডারেশনের উপদেষ্টা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরম ও প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে সারাদেশ। এ সময় সবচেয়ে কষ্টে থাকে রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইকচালক ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তাই আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে হিলি চারমাথা মোড়ে ২০০ জন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলাম। আমি সমাজের বিত্তবান ও সকল রাজনৈতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি  আহ্বান জানাই তারাও যেন এ সময় শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায়।  সভাপতি সবিরুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা হিলি চারমাথা মোড়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলাম। আমাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত শ্রমিকদের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৫

তাপ কমাতে দৈনিক ৪ লাখ লিটার পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি
তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। হাঁপিয়ে উঠেছে মানুষ। গরম বাতাসে শরীরে যেন আগুন ধরে যাবে। এই অবস্থায় সড়কের উত্তাপ কমাতে এবং বায়ু দূষণ রোধে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে পানি ছিটানো হচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা স্প্রে করা সম্ভব হয়। উত্তর সিটির মুখপাত্র মকবুল হোসাইন বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন দিয়ে প্রতিদিন প্রায় চার লাখ লিটার পানি ছিটানো হয়। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের নির্দেশে ছুটির দিনগুলোতেও পানি ছিটানো অব্যাহত থাকছে। পাশাপাশি ডিএনসিসির স্প্রে ক্যানন দিয়ে বিভিন্ন সড়কে পানি ছিটানোর কাজ চলছে। এটি বায়ু দূষণ রোধের পাশাপাশি উত্তাপ কমাতেও ভূমিকা রাখছে। জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ডিএনসিসির অধীন বিভিন্ন সড়কে এসব বিশেষ যানের মাধ্যমে পানি ছিটানো হচ্ছে। গত দুই দিনে দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে মিরপুর টেকনিক্যাল থেকে পানি ছিটানোর কাজ শুরু করা হয়। পরে মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্বর, মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর, মিরপুর-১৪ নম্বর গোল চত্বর হয়ে আবার টেকনিক্যাল মোড়ে পানি ছিটানো হয়।  এছাড়া, বনানী নেভি গেট থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে ক্যানন-১ এয়ারপোর্ট রোড ও উত্তরা হাউস বিল্ডিং হয়ে আবার বনানী কবরস্থান এলাকায় এসে কাজ শেষ করে। অন্যদিকে ক্যানন-২ মিরপুর রোড বা মাজার রোড সিগন্যাল থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে। এরপর গণভবন এলাকায়, মানিক মিয়া এভিনিউ, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, মগবাজার হয়ে গাবতলী গিয়ে পানি ছিটানো শেষ করে। আজও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে এই কার্যক্রম ‍পরিচালিত হচ্ছে  
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়