• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাবরের নেতৃত্ব ছাড়ার রহস্য উন্মোচন করলেন জাকা আশরাফ
ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন বাবর আজম। তবে তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে তৈরি হয় নানা প্রশ্ন। এবার বাবরের অধিনায়কত্ব ছাড়ার কারণ সম্পর্কে মুখ খুললেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাবেক চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ।  ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেনি পাকিস্তান। তাই বাবরকে শুধু টেস্ট ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন জাকা আশরাফ।  কিন্তু এক ফরম্যাটের জন্যও যদি বাবরকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে কোনো সংস্করণেই বাবর অধিনায়কত্ব করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন।  আসরের ৯ ম্যাচে চার জয়ের বিপরীতে ও পাঁচটিতেই হেরেছিল দ্য গ্রিন ম্যানরা। অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্বও দিতে পারেননি বাবর। ব্যাট হাতে ৯ ম্যাচে ৪০ গড়ে ৩২০ রান করেছিলেন তিনি। পাকিস্তানের লাহোরে এক সংবাদমাধ্যমকে জাকা আশরাফ বলেন, আমি বাবরকে লাল বলে নেতৃত্বে থাকতে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সাদা বলে নতুন কাউকে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাবর বলেছিল, যদি তাকে এক সংস্করণ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সব সংস্করণ থেকেই পদত্যাগ করবে। তিনি আরও বলেন, আমি তাকে দলের একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে খেলতে পরামর্শ দিয়েছিলাম। কেননা এটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল অধিনায়কত্বের চাপ ওর জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। বাবর সরে যাওয়ার পর পাকিস্তানের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব পান যথাক্রমে- শান মাসুদ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। মাত্র এক সিরিজ পরই আফ্রিদিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বে বহাল আছেন মাসুদ।  জাকা আশরাফ মনে করেন, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে আফ্রিদিকে আরও বেশি সময় দেওয়া উচিত ছিল। পাশাপাশি সাদা বলের নতুন অধিনায়ক বাবরের জন্য শুভকামনাও জানিয়েছেন আশরাফ।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৩

পাঁচ মাস পর নেতৃত্ব ফিরে পেলেন বাবর, যা বললেন আফ্রিদি
বাবর আজমের হাতে আবারও অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তুলে যাচ্ছে পিসিবি, এটা কয়েক দিন আগেই জানা গিয়েছিল। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। এবার সেই কাজও সেরে ফেলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।  রোববার (৩১ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টের মাধ্যমে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে বাবরের নাম ঘোষণা করেছে পিসিবি। পোস্টে পিসিবি জানিয়েছে, নির্বাচক কমিটির পরামর্শক্রমে সভাপতি মহসিন নাকভি বাবর আজমকে পাকিস্তান জাতীয় দলের সাদা বলের (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) অধিনায়ক করেছে।  এর আগে সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষে ব্যর্থতায় দায়ে তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়েন এই তারকা ব্যাটসম্যান, যার মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই পুনরায় দায়িত্ব পেয়েছেন বাবর। বাবর আবারও দায়িত্বে ফেরায় মাত্র একটি সিরিজেই শেষ হয়ে গেল শাহিন আফ্রিদির নেতৃত্বের অধ্যায়। তার অধীনে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে দ্য গ্রিন ম্যানরা।  যদিও সে সময় শাহিনের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়ার মতো কোনো আলাপ ওঠেনি। সর্বশেষ পিএসএল আসরের মাঝপথেই আসে অধিনায়ক পরিবর্তনের বিষয়টি। পিসিবির নতুন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন পাকিস্তান কিংবদন্তি এবং শহিন আফ্রিদির শশুর শহিদ আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাবেক এই অলরাউন্ডার এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমি নির্বাচক কমিটির অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের এমন সিদ্ধান্তে আশ্চর্য হয়েছি। আমি এখনও বিশ্বাস করি যদি সত্যিই অধিনায়ক পরিবর্তনের দরকার ছিল, তাহলে রিজওয়ানই সেরা পছন্দ হতে পারত। বাবরকে সমর্থন জানিয়ে আফ্রিদি  আরও লিখেছেন, যেহেতু সিদ্ধান্ত হয়েই গেছে, পাকিস্তান দল ও বাবর আজমের জন্য আমার পুরো সমর্থন এবং শুভকামনা থাকবে। পাকিস্তানের মাটিতে আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শুরু হবে বাবর আজমের দ্বিতীয় অধ্যায়। ১৮ এপ্রিল থেকে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দল।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ২৩:১১

নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়ে সাকিবের মন্তব্যের সত্যতা প্রকাশ তামিমের
গত বছর বিশ্বকাপের বিমানে ওঠার আগে দেশের বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। যেখানে সতীর্থ তামিম ইকবালের বেশ কয়েকটি বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে অনেক সমালোচনার শিকার হতে হয় এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে। সে সময় তামিম ইকবালের হঠাৎ করে অবসর ও অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়েও কথা বলেছিলেন সাকিব। তিনি বলেন, আমি তো প্রায় এক বছর আগে থেকেই শুনছি, যে অধিনায়কত্ব করবে না। এটা নিয়ে ড্রেসিং রুমেও অনেক কথা হতো।  ‘আমার যতটুকু মনে পড়ে, কোনো এক সিরিজে কেউ একজন বলেছিল যে ভাই নেতৃত্ব ছাড়লে আগেই ছেড়ে দেন। সামনে বিশ্বকাপ আছে তাই যে আসবে সে কিছুটা সময় পাবে।’ সাকিবের এমন মন্তব্যের পর অনেকেই তার দিকে আঙ্গুল তুলেছিল, যে অধিনায়কত্ব দেওয়ার জন্য পিছন থেকে ষড়যন্ত্র করেছেন তিনি। তবে আট মাস পর সাকিবের সেই মন্তব্যে সত্যতা প্রমাণ করেছেন তামিম নিজেই। সোমবার (১১ মার্চ) দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রকাশ করা হয় তামিম ইকবালের একটি সাক্ষাৎকার। সেখানে তার অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন এই টাইগার ড্যাশিং ওপেনার। তামিম বলেন, এটা হঠাৎ করে নয় আমি যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি, তারপর জালাল ভাইয়ের বাসাতেও আমি বলেছি। আর মানুষ একটা জিনিস ভুল জানে। আমরা অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়টি হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত নয়। এমন ঘটনাও ঘটেছে আমাকে থ্রেট দেওয়া হয়েছে, তুমি এমন করলে আমরা অন্য অধিনায়ক দেখবো।  সুতরাং তামিমের অধিনায়কত্ব ছাড়া বিষয়টি হঠাৎ করে নয় তা প্রমাণ হয়। নেতৃত্ব নিয়ে বিসিবি এবং কোচের সঙ্গে আগে থেকেই একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল তামিমের সঙ্গে। যার ফলেই অধিনায়কত্ব ছাড়েন তামিম।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩২

নেতৃত্ব পরিবর্তনে ইসিতে চিঠি দিয়ে সাড়া পেল না রওশনপন্থীরা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পরিবর্তনে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে রওশন এরশাদপন্থীরা। তবে এতে সাড়া দেয়নি ইসি। শনিবার (৯ মার্চ) ইসির উপসচিব মো. মাহবুবুল আলম শাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী না-হওয়ায় রওশনপন্থীদের আবেদন ইসিতে নামঞ্জুর হয়েছে। এর আগে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পরিবর্তনে গত ৪ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর চিঠি দেয় রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ। চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের গুলশানের বাসায় দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জরুরি বর্ধিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সভায় সবার দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টির গঠনতান্ত্রিক ক্ষমতাবলে রওশন এরশাদ পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেছেন এবং কাজী মামুনুর রশীদকে অন্তর্বর্তী (পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত) মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদিকে শনিবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল করেন রওশন এরশাদপন্থীরা। কাউন্সিলে রওশন এরশাদকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে আগামী ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয়। কাউন্সিলে আগামী তিন বছরের জন্য জাতীয় পার্টির মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন কাজী ফিরোজ রশীদ। সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা নির্বাচিত। এ ছাড়া পাঁচজন কো-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। কো-চেয়ারম্যানরা হলেন- শাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাদ এরশাদ, গোলাম সারওয়ার মিলন, সুনীল শুভ রায়। সুনীল শুভ রায় জাতীয় পার্টির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করবেন। জাতীয় পার্টির দুই শীর্ষ নেতা রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরের দ্বন্দ্ব অনেক পুরোনো। তবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ হন রওশনপন্থীরা। অন্যদিকে, ছেলে সাদ এরশাদকে রংপুরে মনোনয়ন না দেওয়ায় রওশন এরশাদ নির্বাচন থেকে বিরত থাকেন। এর জেরে নতুন করে জাপায় দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এখন শেষে পর্যন্ত দলটি দুই ভাগ হয়ে গেল।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২২:০৭

জেনারেটর মার্কেটে নেতৃত্ব দিচ্ছে এসিআই মোটরস
এফওয়াই ১৯ ডিজেল জেনারেটরের মাধ্যমে বাজারে এসিআই মোটরসের আয়ের অংশ ছিল ২ শতাংশ, যা চলতি বছর ২৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে । বাংলাদেশে হিমোইনসা এবং ইয়রপাওয়ার ডিজেল জেনারেটরের পরিবেশক, এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাসের মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজারে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে তাদের জেনারেটর । সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ১০-৩,০০০ কেভিএ ক্ষমতার ডিজেল জেনারেটরের বাজারের আকার গত অর্থবছরে প্রায় ৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে এই অর্থবছরেও একই রকমের  হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক মন্দা, ডলার সংকটের কারণে সময়মতো আমদানি করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, চলমান প্রকল্পগুলির মধ্যে মানসম্পন্ন পণ্য এবং পরিষেবা প্রদান আমাদেরকে  অন্যান্য ব্র্যান্ডকে পেছনে ফেলে, বাজারের সর্বাধিক অংশীদারিত্ব অর্জন করতে এবং বাজারের নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। মেগাপ্রকল্প, শিল্প এবং রিয়েল এস্টেট প্রকল্পের জন্য ২০২৩ সালে কেনা প্রায় ৬০০টি ডিজেল জেনারেটরের মধ্যে ইয়রপাওয়ার এবং হিমোইনসার শেয়ার ছিল যথাক্রমে ২৪ শতাংশ এবং ২১ শতাংশ। এসিআই মোটরসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টেম্পেস্ট, এফজি উইলসন, ফেরবো, সিএট এবং ওয়েলল্যান্ড পাওয়ার বাজারে প্রতিযোগিতা করেছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৮

তামিমের অদক্ষ নেতৃত্ব ভোগাচ্ছে ফরচুন বরিশালকে
চলমান বিপিএলের জন্য তামিম ইকবালের নেতৃত্বে অভিজ্ঞতা গুরুত্ব দিয়ে দল গঠন করেছে ফরচুন বরিশাল। একই দলে টাইগার ক্রিকেটের সেরা কয়েকজন খেলোয়াড় থাকায় প্রশ্ন উঠেছিল অধিনায়কের দায়িত্ব উঠবে। সবাই ভেবেছিল হয়তো তরুণ মিরাজের কাঁধে উঠতে নেতৃত্বে গুরু দায়িত্ব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তামিমের উপরেই ভরসা রেখেছেন বরিশাল ম্যানেজমেন্ট। তামিমের অধীনের বিপিএলের শুরুটা দুর্দান্ত করে বরিশাল। প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্স হারায় দলটি। তবে পরের তিন ম্যাচেই হারের তিতো স্বাদ পেয়েছিল মিরাজ-রিয়াদরা। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি ম্যাচে জয়ের কাছে গিয়েও ভুল সিদ্ধান্তের জন্য হারের সাক্ষী হয়েছে বরিশাল। সবশেষ খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে তামিম ইকবালের অদক্ষ অধিনায়কত্বের শিকার হয়েছে বরিশাল। টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করে বিজয়-আফিফদের আটকে গিয়েছিল মিরাজ-তাইজুলরা। ১৬ ওভার ৪ বলে দলীয় একশত রান পূরণ করে খুলনা। কিন্তু পরের ২০ বলে ৫৫ রান তুলে লড়াকু পুঁজি পায় খুলনা টাইগার্স। খুলনার এই সাফল্যে পিছনে বড় অবদান রেখেছে অধিনায়ক তামিমের বোলার আনার সিদ্ধান্ত। ম্যাচের ১৯তম ওভারে মাহমুদউল্লাহকে বোলিংয়ে আনেন বরিশাল দলপতি। সেই ওভারে ১৮ রান খরচ করেন রিয়াদ। যেখানে তাইজুল ইসলাম ৩ ওভারে মাত্র ৭ দিয়েছ ২ উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন। এ ছাড়াও দুই বিদেশি মোহাম্মদ ইমরান ও আকিভ জাভেদেরও একটি করে ওভার অবশিষ্ট রয়েছে। শেষ ওভারে খালেদ খরচ করেন ১৬ রান। এই ম্যাচে জয় পেলেও বরিশালের জন্য ম্যাচটি বেশ কঠিন হয়ে গিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে মিরাজ ও শোয়েব মালিকের ঝড় ইনিংসে ভর করে জয় পায় তারা। যেখানে খুব সহজেই ১৩০ রানের মধ্যেই আটকাতে পারতো ফরচুন বরিশাল। সাধারণত বড় ম্যাচে বা কঠিন পরিস্থিতে বোলাররা সবচেয়ে বেশি সাহস পেয়ে থাকেন দলের অধিনায়কের কাছে থেকে। তবে চলমান বিপিএলে তামিমের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ঢাকা পর্বে খুলনার বিপক্ষে শেষ ওভারে খালেদ আহমেদ বলে ব্যাটাররা যখন রান তুলছিলেন। তখন অধিনায়ক হিসেবে পরামর্শ দেওয়ার বিপরীতে বার বার খালেদের দিকে লক্ষ্য বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় বরিশাল অধিনায়ককে। ম্যাচ শেষে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচেও হেরে যায় তামিম-মুশফিকরা। সব মিলিয়ে এবারের বিপিএলে তামিমের অধিনায়কত্ব কিছুটা ভোগাচ্ছে ফরচুন বরিশালকে। দেশের সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়ে ছয় ম্যাচ খেলে তিনটিতে জয় পেয়েছে ফরচুন গ্রুপের দলটি।  
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৩

জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিতে চান তাসকিন 
রাত পোহালেই মিরপুরে পর্দা উঠবে বিপিএলের দশম আসরের। উদ্বোধনী ম্যাচে শক্তিশালী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে দুর্দান্ত ঢাকা। ঢাকার পেস ইউনিটের অন্যতম ভরসা তাসকিন আহমেদ। তবে মাঠে নামার আগে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন এই টাইগার পেসার। ঢাকার নেতৃত্বের ভার উঠেছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের কাঁধে, আর সহ-অধিনায়ক তাসকিন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তাসকিন। এ সময় জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তাসকিন বলেন, জি, অবশ্যই স্বপ্ন আছে। কেন নয়, সব খেলোয়াড়েরই এই (নেতৃত্ব দেওয়ার) স্বপ্ন থাকে। ধাপে ধাপে সবকিছুই হবে এক সময়।  নিজের দলকে নিয়ে এই সহ-অধিনায়ক বলেন, আমাদের দলটা অনেক তরুণ। সুজন স্যার আছেন, মোসাদ্দেক আছে, আমিও আছি। আরও অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। হয়তো অনেক বিদেশি ক্রিকেটার আসবে দেরিতে, কাউকে সঠিক সময়ে পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, যে দলটা আছে এটাই যদি গুছিয়ে দলগত ভাবে খেলতে পারি, অবশ্যই ভালো কিছু হবে। আমার নিজের যে অভিজ্ঞতাগুলো আছে আমি সবসময় দলের জন্য শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাতে আমাদের দলটা উপকৃত হয়। আমি সাধ্যমত সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো অধিনায়ককে সহযোগিতা করার। সবারই লক্ষ্য থাকবে ভালো করার, দলকে জেতানোর।    এ ছাড়াও সহ-অধিনায়ক তাসকিনের কাছে নিজেরে প্রত্যাশার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন অধিনায়ক সৈকত। তিনি বলেন, তাসকিন সিনিয়র ক্রিকেটার। অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে খেলছে সে। আর একজন পেসার হিসেবে এরই মধ্যে সে একটা উদাহরণ সেট করেছে, যে কিভাবে সংগ্রাম করে ফিরে আসতে হয়। কিভাবে দলে টিকে থাকতে হয়। সে হিসেবে সব সময়ই তাসকিনের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করি।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়