• ঢাকা রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
পুলিৎজার পেল রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমস
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান ইসরাইলি ‍নৃশংসতা ছবির মাধ্যমে তুলে ধরার স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ও বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার সিইও ইলন মাস্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্যও পুরস্কৃত করা হয়েছে বার্তা সংস্থাটিকে। এ ছাড়া তিনটি করে পুরস্কার পেয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ও দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। স্থানীয় সময় সোমবার (৬ মে) এবারের পুলিৎজার পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পর্যায়ে অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার পুলিৎজার; সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ হিসেবে খ্যাত এটি। ১৯১৭ সাল থেকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকতা ছাড়াও সাহিত্য, সংগীত ও নাটকে বিশেষ অবদানের জন্যও এ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিবছর কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি বোর্ড এ পুরস্কার ঘোষণা করে। এবার পুলিৎজারের ‘ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে গাজা সংঘাত নিয়ে রয়টার্সের বেশ কয়েকটি ছবি। এর মধ্যে একটি আলোকচিত্রী মোহাম্মদ সালেমের। তাতে দেখা যায়, গাজায় নিহত পাঁচ বছরের এক শিশুর মরদেহ জড়িয়ে ধরে আছেন এক ফিলিস্তিনি নারী। ছবিটি এ বছর সম্মানজনক ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারও পেয়েছে। এছাড়া ইলন মাস্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ‘ন্যাশনাল রিপোর্টিং’ বা ‘জাতীয় বিষয়াদি নিয়ে প্রতিবেদন’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে রয়টার্স। ‘দ্য মাস্ক ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স’ শিরোনামে ধারাবাহিক ওই প্রতিবেদনে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্স, নিউরালিংক ও টেসলার বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরা হয়েছে।   রয়টার্সের পাশাপাশি ‘ন্যাশনাল রিপোর্টিং’ বিভাগে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্টও। যুক্তরাষ্ট্রের এআর-১৫ রাইফেল এবং দেশটিতে বিভিন্ন বন্দুক হামলায় এই অস্ত্রের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল সংবাদমাধ্যমটি। এ প্রতিবেদন ছাড়াও ‘এডিটোরিয়াল রাইটিং’ (সম্পাদকীয়) এবং ‘কমেন্টারি’ (মতামত) বিভাগে পুরস্কার জিতেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি। এ ছাড়া ‘ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং’ (অনুসন্ধানী প্রতিবেদন), ‘ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং’ (আন্তর্জাতিক বিষয়ে প্রতিবেদন) ও ‘ফিচার রাইটিং’ বিভাগে পুরস্কার জিতেছে নিউইয়র্ক টাইমস। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলা, ইসরাইলি গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা ও ইসরাইলের পাল্টা হামলা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং বিভাগে সেরার পুরস্কার পেয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।   পুলিৎজারে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে ধরা হয় পাবলিক সার্ভিস (জনসেবা) অ্যাওয়ার্ডকে। এ বছর এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে কাজ করা নিউ ইয়র্কভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা প্রোপাবলিকা। আর ‘ব্রেকিং নিউজ’ বিভাগে এবার পুলিৎজার পেয়েছে লুকআউট সান্তা ক্লজ নামের একটি নিউজ পোর্টাল।   এবারের পুলিৎজারে অভিবাসীদের নিয়ে ছবি প্রকাশ করে ‘ফিচার ফটোগ্রাফি’ বিভাগে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। ‘এক্সপ্লেনেটরি রিপোর্টিং’ (বিষদ ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন) ও ‘ইলাস্ট্রেটেড রিপোর্টিং অ্যান্ড কমেন্টারি’ বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন দ্য নিউইয়র্কারের সাংবাদিকেরা। আর ‘ক্রিটিসিজম’ (সমালোচনা) বিভাগের পুরস্কারটি দখলে গেছে দ্য লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের।
০৭ মে ২০২৪, ০৯:৪৬

মা-ভাইয়ের সামনে বাংলাদেশি যুবককে হত্যা, ভিডিও প্রকাশ
হত্যাকাণ্ডের ৩৬ দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মা ও ভাইয়ের সামনে বাংলাদেশি ১৯ বছরের তরুণ উইন রোজারিওকে গুলি করে হত্যার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ মে) নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল (এজি) লেটিশা জেমস গত ২৭ মার্চ ওই হত্যাকাণ্ডের পুলিশের বডি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করেছেন। খবর এবিসি নিউজের। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ দুপুরে নিউইয়র্ক সিটির ওজোনপার্কে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করেন উইন রোজারিও। এতে তার মা ও ভাই জরুরি হেল্পলাইন ৯১১-এ ফোন করে পুলিশের সহয়তা চান। বেলা আড়াইটা পুলিশের দুই সদস্য উইনদের নিজ ফ্লাটে এসে তাকে থামানোর চেষ্টা করেন। চেষ্টার এক পর্যায়ে টেজার গান ছোঁড়া হয়। সে সময়ে উইনের মা তাকে জড়িয়ে ধরে পুলিশের প্রতি আকুতি জানান গুলি না করার জন্য। তখন মানসিক ভারসাম্যহীন উইন আতঙ্কে চেয়ারের ওপরে রাখা মাছ-মাংস কাটার ছুরি নিয়ে পুলিশের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার ওপর গুলি চালান কর্মকর্তারা।  এ ঘটনায় উইনের পরিবারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‌‘এক মাসের বেশি আগে উইনকে হারিয়েছি আমরা। আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ তার শূন্যতা গভীর বেদনার সঙ্গে অনুভব করছি। নিদারুণ এই কষ্ট থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছি না। এ ভিডিও জনসম্মুখে প্রকাশের প্রয়োজন নেই। যে ভিডিও প্রকাশ হয়েছে তাতে পুরোপরি স্পষ্ট যে উইনের বেঁচে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু পুলিশ এসে আমাদের রান্নাঘরে তাকে হত্যা করল। আমাদের এবং উইনের সুরক্ষার পরিবর্তে পুলিশ কর্মকর্তারা উইনকে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় গুলি করার মত পরিস্থিতি তৈরি করলেন। তাই আমরা চাইছি, এ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হোক এবং যত দ্রুত সম্ভব তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।’ নিউ ইয়র্কের জাস্টিস কমিটির পক্ষ থেকে শুক্রবার দেওয়া বিবৃতিতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক লইডা কলোন বলেন, ভিডিওগুলো খুবই কষ্টদায়ক এবং তা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার শামিল। উইনকে গুলি করার বিষয়ে নিউ ইয়র্ক পুলিশ যে বক্তব্য দিয়েছিল, তার সঙ্গে ভিডিওর কোনো মিল নেই। মুহূর্তের মধ্যে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় উইনকে হত্যা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ এ ঘটনার পর থেকেই উইনের পরিবার ও বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে বডি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানানো হচ্ছিল। কিন্তু নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তা দেখাইনি। ফলে রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল তা প্রকাশ করেন।
০৬ মে ২০২৪, ০৫:২৯

নিউইয়র্ক টাইমস হয়ে উঠবে নিউইয়র্ক সময় : এরিক এডামস
জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির কণ্ঠস্বর হতে যাত্রা শুরু করেছে নতুন সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘নিউইয়র্ক সময়।’  গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিসব উপলক্ষে উদ্বোধনী সংখ্যা প্রকাশ হলেও ২ এপ্রিল অনুষ্ঠানিকভাবে পত্রিকাটির উদ্বোধন করেন নিউইয়র্ক নগরীর বর্তমান অভিবাবক সিটি মেয়র এরিক এডামস। অনুষ্ঠানের শুরুতে মেয়র এরিক এডামসকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান আইবিটিভি ইউএসএ’র সিইও ও নিউইয়র্ক সময়ের সম্পাদক জাকারিয়া মাসুদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিলা হোসেন। পরে উডসাইডের গুলশান টেরেসে ফিতা কেটে পত্রিকার উদ্বোধন করেন এরিক এডামস। এসময় তিনি বলনে, নিউইয়র্কের বাঙ্গালি কমিউনিটি দিন দিন আরও বড় হচ্ছে। ব্রঙ্কস, কুইন্স, ব্রুকলিনে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে। আরও শক্তিশালী হচ্ছে কমিউনিটি।   এরিক এডামস বলেন, আইবিটিভি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ‘নিউইয়র্ক সময়’ নামে সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশ করেছে। এটা কমিউনিটির উন্নয়ন, শক্তি এবং সামর্থের বহিঃপ্রকাশ। আশাকরি বাঙ্গালি কমিউনিটির ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ হয়ে উঠবে ‘নিউইয়র্ক সময়’। এখন থেকে প্রতি শুক্রবার নিউইয়র্কবাসীর হাতে পৌঁছাবে নিউইয়র্ক সময়। পত্রিকাটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খানস টিউটোরিয়ালের চেয়ারম্যান নাঈমা খান ও সিইও ডা. ইভান খান, ডেমোক্রেটিক পার্টির কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মীর বাশার, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান,  যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজাদ, মিনা সুইটসের চেয়ারম্যান রিফাতী ফারুকসহ কমিউনিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৭

৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল নিউইয়র্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও আশপাশের অঞ্চলে আঘাত হেনেছে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নিউইয়র্ক। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, নিউইয়র্কের ৪০ মাইল উত্তরের নিউ জার্সির লেবানন নামক এলাকায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছিল। আজ সকালে নিউইয়র্ক সিটির অসংখ্য মানুষ কম্পন অনুভব করেন। ওই সময় অনেক বাড়ি ঘর কেঁপে ওঠে। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় এটি একটি ভূমিকম্প ছিল। নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল মাইক্রো ব্লগিং সাইটে ভূমিকম্পের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এক্সে লিখেছেন, “পূর্ব ম্যানহাটনে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে এবং এটি পুরো নিউইয়র্কে অনুভূত হয়েছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না সেটি নিরূপণ করছে আমার দল। আমরা এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে আরও অবহিত করব।” সংবাদমাধ্যম সিবিএস জানিয়েছে, নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, তারা এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পায়নি। পূর্ব উপকূল এবং নিউইয়র্ক সিটিতে ভূমিকম্পের আঘাত এই প্রথম নয়। ২০১১ সালে, ভার্জিনিয়ায় একটি ৫ দশমিক 8 মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ১৮৮৪ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে একটি ৫ দশমিক 0 মাত্রার ভূমিকম্প পরিমাপ করা হয়েছিল। সূত্র : সিবিএস নিউজ 
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩২

ড. কামাল আবদুল নাসেরের সঙ্গে নিউইয়র্ক প্রবাসীদের মতবিনিময়
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সঙ্গে প্রবাসীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রবাসী লেখক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সুধীজনের সঙ্গে এক ‘আন্তরিক সন্ধ্যায়’ মিলিত হন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি তৌফিক ইসলাম শাতিল ও বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ কম্যুনিটির বিভিন্ন অঙ্গনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী তার বক্তব্যে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা ও গভীরতা উল্লেখপূর্বক বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে সবাইকে নিয়ে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করে পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে তিনি সেগুলোর চর্চা অব্যাহত রাখা এবং যুক্তরাষ্ট্রের  মূলধারার মধ্যে প্রসারের মাধ্যমে ‘সাংস্কৃতিক কূটনীতি’ জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।  তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপট উল্লেখপূর্বক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তা অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।  ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রবাসীদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণে তার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রবাসীদের সেবার মান সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান। মতবিনিময়কালে আমন্ত্রিত অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।  যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিরাজমান কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন। নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করায় তিনি উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান। শিক্ষা ও সংস্কৃতির মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উপদেষ্টার দায়িত্ব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীরকে অর্পণ করায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপস্থায়ী প্রতিনিধি জনাব তৌফিক ইসলাম শাতিলও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।  কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা তার স্বাগত বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশকে অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকল্পকে বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।  সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়