• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উপজেলা নির্বাচন / দ্বিতীয় ধাপে ২০৫৫ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে লড়তে দুই হাজার ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপের ১৬০টি উপজেলা নির্বাচনে আজ (রোববার) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭৩০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে  ৭৬৩ জন ও  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৬২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে। এ ধাপে ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি।  এবারের উপজেলা নির্বাচন কয়েকটি ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে এবং তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ২৯ মে।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৮

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোটদানের রেকর্ড
বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভার নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এতে রেকর্ডসংখ্যক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। প্রথম ধাপে ভোটার উপস্থিতি ছিল গড়ে ৬০ শতাংশ।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ভোট শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। এই ধাপে ভোটার উপস্থিতি বেশি ছিল পশ্চিমবঙ্গে ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ছিল বিহারে ৪৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এসব খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। প্রথম ধাপে মোট ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। উত্তর প্রদেশে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৫৮ শতাংশ। রাজ্যের আটটি আসনে শুক্রবার ভোট হয়েছে। রাজ্যটির প্রধান নির্বাচনি কর্মকর্তা নবদ্বীপ রিনওয়া বলেছেন, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটার উপস্থিতির নির্দিষ্ট তথ্য শনিবার জানানো হবে। পশ্চিমবঙ্গে বিচ্ছিন্ন সহিংসতার মধ্যে ভোটার উপস্থিতি ছিল সর্বোচ্চ।  পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটকে কেন্দ্র করে মোট ৫৫৬ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে কোচবিহারে ২৬৯টি, আলিপুরদুয়ারে ১৬২টি এবং জলপাইগুড়িতে ১২৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ভারতের নির্বাচন কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, একটি মসৃণ, স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য কঠোরভাবে কাজ করছে কমিশন। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মধ্যে মূল লড়াই হতে যাচ্ছে। জোটগতভাবে ৪০০ আসন জয়ের স্বপ্ন দেখছে ক্ষমতাসীন জোট এনডিএ। আর এককভাবে ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে জোটটির মূল দল ভারতীয় জনতা পার্টি। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন সাতটি ধাপে মোট ৯৬ কোটি ৯০ লাখ ভোটার ভোট দেবেন। ভোটারের এই সংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগেরও বেশি। দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে ২৬ এপ্রিল। পরবর্তী ধাপগুলোর ভোট হবে যথাক্রমে, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণা করা হবে।    
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০১

তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট
তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ মে। দেশে ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে। এবার চার ধাপে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫টিতে ভোট হবে, পরে মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বাকিগুলোয় ভোটের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলার মধ্যে ২১টিতে ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বাকি ৯১টি উপজেলার ভোট হবে কাগজের ব্যালটে। এ নিয়ে তিন ধাপে ৪২২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলো। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৮ মে ১৫০ উপজেলায়, দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে ১৬১ উপজেলায় ভোট হবে। আর চতুর্থ ধাপের ভোট হওয়ার কথা ৫ জুন। তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হবে- ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ, নীলফামারী সদর, দিনাজপুর জেলার খানসামা, সদর ও চিরিরবন্দর; লালমনিরহাট সদর; রংপুর জেলার গংগাচড়া ও সদর; কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী, ভুরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বর; গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জ। রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার শাজাহানপুর, সদর ও শিবগঞ্জ; নওগাঁ জেলার আত্রাই ও রাণীনগর, রাজশাহী জেলার পবা ও মোহনপুর; নাটোর জেলার গুরুদাসপুর ও বড়ইগ্রাম; সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর (ইভিএম) ও চৌহালী (ইভিএম); পাবনা জেলার সদর (ইভিএম), আটঘরিয়া (ইভিএম) ও ঈশ্বরদী (ইভিএম)। বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলার গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি; পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া (ইভিএম) ও ভান্ডারিয়া (ইভিএম); ভোলা জেলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া; বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা। খুলনা বিভাগের যশোর জেলার সদর (ইভিএম), অভয়নগর (ইভিএম) ও বাঘারপাড়া (ইভিএম); বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা; খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া ও সদর। মানিকগঞ্জ জেলার সদর (ইভিএম) ও সাটুরিয়া (ইভিএম); ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা ও সদরপুর; শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা (ইভিএম) ও গোসাইরহাট (ইভিএম), নরসিংদী জেলার শিবপুর ও রায়পুরা; টাঙ্গাইল জেলার সদর, দেলদুয়ার ও নাগরপুর; মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান ও শ্রীনগর; কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা, তাড়াইল, করিমগঞ্জ ও মিঠামইন। ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া, ঈশ্বরগঞ্জ ও ত্রিশাল; জামালপুর জেলার মেলান্দহ (ইভিএম) ও মাদারগঞ্জ (ইভিএম); নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ, মদন ও খালিয়াজুড়ী। চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর; কুমিল্লা জেলার বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, মুরাদনগর ও দেবীদ্বার; চাঁদপুর জেলার কচুয়া (ইভিএম) ও ফরিদগঞ্জ (ইভিএম); ফেনী জেলার সোনাগাজী, সদর, দাগনভূঞা; নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, সদর ও কোম্পানীগঞ্জ; লক্ষ্মীপুর জেলার সদর; চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা, বোয়ালখালী, পটিয়া ও চন্দনাইশ; কক্সবাজার জেলার উখিয়া (ইভিএম), টেকনাফ (ইভিএম) ও রামু (ইভিএম), খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি; রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ার চর, লংগদু ও বাঘাইছড়ি। সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক ও দোয়ারা বাজার; সিলেট জেলার বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার; মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল; হবিগঞ্জ জেলার লাখাই, সদর ও শায়েস্তাগঞ্জ।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪০

প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় মনোনয়নপ্রত্যাশী ১৮৯১
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৮ মে। এই ধাপের নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য মনোনয়ন দাখিলের সময় শেষ হয়েছে আজ বিকেল ৪টায়। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ১৫০টি উপজেলায় মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্তি সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তিনি বলেছেন, এবার সম্পূর্ণ অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। এতে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তপসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই আগামী ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত, যা নিষ্পত্তি হবে ২১ এপ্রিলে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এ ছাড়া প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৩ এপ্রিল এবং ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে। প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক। এদিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনকে সামনে রেখে। তফসিল অনুযায়ী, এ ধাপে ১৬১ উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হচ্ছে আগামী ২১ এপ্রিল। এরপর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের জন্য ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণের জন্য ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল এবং আপিল নিষ্পত্তির জন্য ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ২ মে। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে। চার ধাপের উপজেলা নির্বাচনের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী ২৯ মে ও ৫ জুন।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৩

দ্বিতীয় ধাপে ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২১ মে
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দেশের ১৬১টি উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এ তফসিল ঘোষণা করেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সভা শেষে ইসি সচিব জানান, ১৬১ উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুসারে এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২৩ এপ্রিল। যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়লে আপিল করা যাবে ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। আর আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। তিনি জানান, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে আর ভোটগ্রহণ করা হবে ২১ মে। এবার চারটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে দেশের ৪৮১টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এর আগে প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়। প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে।  
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৩

ভারতের লোকসভা নির্বাচন ১৯ এপ্রিল, ৭ ধাপে হবে ভোটগ্রহণ
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে দেশটির ৫৪৩ আসনের নির্বাচন। সাত ধাপে ভোটগ্রহণ চলবে ১ জুন পর্যন্ত। আর ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ৪ জুন।  শনিবার (১৬ মার্চ) ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার এ তফসিল ঘোষণা করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সিকিম, উড়িষ্যা, অরুণাচল প্রদেশ এবং অন্ধ্র প্রদেশ- এই চারটি রাজ্যে একযোগে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তালিকাতে রাখা হয়নি জম্মু-কাশ্মীরের নাম। ২০১৮ সাল থেকে রাষ্ট্রপতির শাসনাধীন আছে প্রদেশটি।  এছাড়া বিহার, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ুসহ একাধিক রাজ্যের ২৬টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে এ সময়ের মধ্যে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর প্রচারের বিরুদ্ধে শক্ত বার্তা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। রাজনৈতিক দলগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করা উচিত জানিয়ে রাজিব কুমার বলেছেন, ভুয়া খবর প্রচার আইন অনুযায়ী কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ (৩)(বি) ধারা প্রতিটি রাজ্যের নোডাল অফিসারদের বেআইনি বিষয়বস্তু অপসারণের ক্ষমতা দিয়েছে। এছাড়া জাতিগত বিদ্বেষ এবং ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান করার ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, প্রচার-প্রচারণা হতে হবে ইস্যুভিত্তিক। কোনো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেওয়া যাবে না, ধর্মীয় কোনও কিছু উদ্ধৃত করা যাবে না। কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না।  এছাড়া সংবাদমাধ্যমে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রদানের ক্ষেত্রেও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজিব কুমার। কোনটি বিজ্ঞাপন আর কোনটি খবর সেটি স্পষ্ট করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এসব বিষয় নজরদারিতে রাখার জন্য ২১০০ সদস্যের একটি পরামর্শক দল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। যারা নিয়ম ভঙ্গ করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। যেসব ভোটারের বয়স ৮৫ বছরের উপরে এবং যারা শারীরিকভাবে অক্ষম তারা চাইলে বাড়িতে থেকে ভোট দিতে পারবেন। বর্তমানে ভারতে ৮৫ বছরের উপরে ৮২ লাখ ভোটার রয়েছেন।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৭

চার ধাপে হবে উপজেলা ভোট, শুরু ৪ মে
সারাদেশে চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আগামী ৪ মে প্রথম ধাপের ভোটের মধ্য দিয়ে তা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন কমিশন ভবনে ২৭তম কমিশন সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান। জাহাংগীর আলম জানান, মাধ্যমিক পরীক্ষা, পবিত্র রমজান মাস ও বর্ষাকাল— এ তিনটি বিষয় নিয়ে ভাবছে ইসি। বর্তমানে নির্বাচন উপযোগী উপজেলার সংখ্যা ৪৫২টি। চার ধাপে হবে ভোটগ্রহণ। এরমধ্যে প্রথম ধাপে ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ তথা শেষ ধাপের ভোট হবে ২৫ মে। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন বৈঠক হয়। চলতি বছর ইসিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ আরও কিছু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন করতে হবে। সারাদেশে উপজেলা পরিষদ ৪৯৫টি রয়েছে। সাধারণত সব উপজেলায় একসঙ্গে নির্বাচন করা হয় না। একাধিক ধাপে সম্পন্ন করতে হয় এ নির্বাচন। এবারও ধাপে ধাপে এই নির্বাচন সম্পন্ন করার চিন্তা করছে ইসি।  বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ পূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়। বর্তমানে দেশে ৪৫২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপযোগী হয়ে রয়েছে। জুনের মধ্যে এসব উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। এ ছাড়া আগামী মার্চের মধ্যে প্রায় সবগুলো উপজেলা নির্বাচনের উপযোগী হবে।  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৬

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র  / সক্ষমতার নতুন ধাপে বাংলাদেশ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। দেশের সক্ষমতার নতুন স্মারক হয়ে দাঁড়ানো মেগাস্ট্রাকচারটি এখন প্রস্তুত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। চলতি বছরের শেষ নাগাদ চালু হতে যাচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। আর ২০২৫ সালের মধ্যেই চালু হবে বাকি ইউনিট অর্থাৎ, পুরো কেন্দ্র। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে প্রকল্পটি বুঝিয়ে দিতে পূর্ণ নিশ্চয়তা দিচ্ছে নির্মাতা দেশ রাশিয়াও। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বল্পতম সময়ে জটিল এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গেল বছর সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ শুরু হয় পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়াম নিয়ে আসার প্রক্রিয়া। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু সংস্থা রোসাটমের তত্ত্বাবধানে ৭টি ধাপে ১৬৮টি ইউরেনিয়ানের অ্যাসেম্বলি পৌঁছে গেছে রূপপুরের প্রকল্প এলাকায়।  এখন চলছে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, আর জ্বালানি লোডিংয়ের প্রস্তুতি। এ প্রসঙ্গে রোসাটমের ডিজি অ্যালেক্সি লিখাচেভ বলেন, বিড়ম্বনার অনেক ধাপ পেরিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্পটি এখন সফলতার দ্বারপ্রান্তে। প্রকল্প এলাকায় পারমাণবিক জ্বালানি পৌঁছানোর অর্থই হলো, বড় আকারে স্টার্ট-আপ কর্মসূচির জন্য এখন চূড়ান্ত প্রস্তুতির সময় হয়ে গেছে। কমিশনিংয়ের আগে সুক্ষ্ম যন্ত্রপাতিগুলোর উপর অন্তত দেড় হাজার পরীক্ষা চালানো হবে। গেলো কয়েক বছর অনেক চাপের মধ্য দিয়ে পার হলেও, সব চ্যালেঞ্জই এখন পর্যন্ত সফলভাবে উতরানো গেছে। সামনেও চ্যালেঞ্জ থাকবে। কিন্তু কোনও চ্যালেঞ্জের মুখেই প্রকল্প এলাকা ছেড়ে যাবে না রাশিয়ান একজন কর্মীও। কোনো অবস্থাতেই এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পেছনে ফিরে আসার আর সুযোগ নেই।   এদিকে, টানা চতুর্থবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বললেন, কাজ চলছে সূচি মাফিক। ২০২৫ সালেই পরমাণু বিদ্যুৎ পাবে দেশ। মন্ত্রী বলেন, ‘এই ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা বেশ কঠিন কাজ। এটা এখন আর গাল-গল্প নয়; এটা সত্যি। এখন আমরা পরমাণু বিদ্যুতের যুগে প্রবেশ করেছি। ফুয়েল চলে আসা মানে এটা আমরা অর্জন করেছি। ২০২৪ সালেই প্রথম ইউনিট চালু হবে। আর ২০২৫ সালের মধ্যেই চালু হবে পুরো কেন্দ্র।’   পরমাণু বিশেষজ্ঞদের মতে, এতো অল্প সময়ের মধ্যে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে নতুন রেকর্ড করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে সক্ষমতার নতুন ধাপে পা রাখছে দেশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগর শিক্ষক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামের মতে, যেভাবে কাজ চলছে, তা যদি সঠিকভাবে চলতে থাকে তাহলে ৭-৮ বছরের মধ্যে আমরা বিদ্যুতের কমার্শিয়াল অপারেশনে চলে যেতে পারব। আর এটা হবে একটা নবাগত দেশের জন্য মাইলফলক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ এতো হাইটেক প্রযুক্তি চালানোর সক্ষমতা অর্জন করবে- এটা কিন্তু বিশ্বমণ্ডলে আলোচনা হবে। অনেক দেশ আমাদের অনুসরণ করার চেষ্টা করবে।’ রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় নির্মাণাধীন এ প্রকল্পটিতে ভিভিইআর প্রযুক্তির তৃতীয় প্রজন্মের রিঅ্যাক্টর বা পরমাণু চুল্লি ব্যবহৃত হচ্ছে, যার প্রত্যেকটির উৎপাদন সক্ষমতা ১২শ মেগাওয়াট করে।  
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়