• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘পাকিস্তানকে এখনই জয়ের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে’ 
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও পরের তিন ম্যাচের দুটিতেই জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা। এতে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে বাবররা। সিরিজ রক্ষা করতে হলে শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই পাকিস্তানের সামনে।  বিশ্বকাপের আগে বাবর আজমদের এমন নাজুক অবস্থার জন্য তথাকথিত পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে দুষছেন সাবেক ক্রিকেটার ও পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজা। বাবর-রিজওয়ানদের কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি। নিজের ইউটিউব চ্যালেনে রমিজ রাজা বলেন, এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তথাকথিত পরীক্ষা। একই খেলোয়াড়দের দলে নেওয়া হয়েছে। শুধু তাদের পজিশন পরিবর্তন করা হয়েছে। কাউকে বেঞ্চে রাখা হয়েছে, আবার অন্যদের খেলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ম্যাচ জয়ের প্রতি মনোযোগ দিতে বাবরেদের পরামর্শ দিয়েছেন রমিজ। তিনি বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, পাকিস্তান দলকে এখনই জয়ের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। তারা বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করছে, এমন অজুহাত দেওয়া যাবে না।  ‘তারা কিছু খেলোয়াড়ের দক্ষতা মূল্যায়ন করার চেষ্টা করছে। যে কারণে তারা তাদের নিম্নমানের পারফরম্যান্সকে ন্যায্যতা দিচ্ছে। যদি আমরা ম্যাচ হেরে যাই, দয়া করে আমাদের সহ্য করুন।’ গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতের ম্যাচে মাত্র ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৮ রান। সেখান থেকে দলকে জয় এনে দিতে পারেননি অবসর ভেঙে দলে ফেরা ইমাদ ওয়াসিম। নিউজিল্যান্ডের ১৭৮ রানের জবাবে পাকিস্তান থেমেছে ১৭৪ রানে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৭

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিস্ময়কর উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিস্ময়কর উন্নয়নের দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রধান মিলনায়তনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় দেশ অন্ধকারে চলে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে দেশকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যা শুধু ব্যক্তি বা পারিবারিক নয়, এটা স্বাধীন দেশকে হত্যা করার পরিকল্পনা।  তিনি বলেন, ৭৫ পরবর্তী এদেশে মুক্তিযুদ্ধের কোনো চেতনা ছিল না, মা-বোনের আত্মত্যাগের সম্মান ছিল না। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সবকিছুই অন্ধকারের গহ্বরে চলে গিয়েছিল। তখনকার সরকারগুলোর দায়িত্ব ছিল- মানুষ যাতে স্বাধীনতার সুখ অনুভুত করতে না পারে। এজন্য বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন স্বাধীনতার সুখ পাচ্ছি।  খালিদ মাহমুদ বলেন, দেশে এখন কেউ না খেয়ে থাকে না। শিক্ষা ও চিকিৎসার অভাব নাই। বাসস্থান ও আশ্রয়হীন মানুষও নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিস্ময়কর উন্নয়নের দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই নেতৃত্ব শেখ হাসিনা পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর থেকে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর পথে হাটছেন বলেই বাংলাদেশ উন্নয়নের বিস্ময়কর জায়গায় পৌঁছে গেছে। আমাদের গর্ব হয় যখন বিশ্ববাসী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুণাবলীর কথা জানতে চায়।  তিনি আরও বলেন, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিজয় অর্জন করেছি। তিনি হিমালয় উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন, আমি হিমালয় দেখিনি, আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি, বঙ্গবন্ধু আমার কাছে হিমালয়ের মতো।  প্রতিমন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর পর জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ারা বাংলাদেশকে হিমালয়ের চূড়া থেকে অন্ধকারের চোরাগলিতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আলোকিত বাংলাদেশ তৈরি করেছি। আমরা উন্নয়ন করেছি, সোনার বাংলা করেছি। ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করব। এজন্য প্রয়োজন মানব কাঠামোর উন্নয়ন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই উন্নয়ন সম্ভব হবে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০১

‘নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপির দিকে আঙুল তোলে আ.লীগ’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে আ.লীগ। তার দাবি ডামি সরকার সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী বাজার সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে ডামি সরকারের ডামি মন্ত্রীরা। অথচ ডামি প্রধানমন্ত্রী নির্লজ্জভাবে বিএনপির ওপর দায়ভার চাপিয়ে দেওয়ার পর নেত্রীর অনুসরণে ওবায়দুল কাদের এবং হাছান মাহমুদ একই সুরে গান গাইছে। সরকারের কাজ অভিযোগ তোলা নয়। বাজার সিন্ডিকেট করে যারা জনজীবন দুর্বিষহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। তিনি বলেন, সিয়াম সাধনার এই মাসে দেশের জনগণ একটু স্বস্তি চায়, কিন্তু প্রতিদিন রকেট গতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলছে। প্রতিবছর রমজানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কতিপয় চিহ্নিত অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নানা ছুতায় ভোক্তার পকেট কেটে ফতুর করে দিচ্ছে। মানুষ এখন সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। রিজভী বলেন, গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তার বাসভবনে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন—২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর বিএনপি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে তারাই ষড়যন্ত্র করে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়েছিল। কিন্তু সেদিন পিলখানায় কি ঘটেছিল, কারা ঘটিয়েছিল, কেন ঘটেছিল, ঘটনার নেপথ্যের নায়ক কারা, কারা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে—সবকিছুই হাছান মাহমুদ স্বীকার না করলেও দেশ—বিদেশের গণমাধ্যমে সত্য ঘটনা গতকালও প্রকাশিত হয়েছে। রিজভী বলেন, গতকালও পিলখানার সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা নিয়ে বিডিআররের সাবেক ডিজি লে. জে. (অব.) মইনুল ইসলাম গণমাধ্যমে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তা দেখে কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে? সাবেক ডিজি পরিস্কারভাবে বলেছেন, একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা বিদ্রোহীদের সঙ্গে জড়িত ছিল ও বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার সময় বাইরে তারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইতিহাস সাক্ষী, সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে রাখা আওয়ামী ষড়যন্ত্র নতুন নয়। সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে রাখতে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর প্যারালাল রক্ষীবাহিনী তৈরি করা হয়েছিল। দেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে আওয়ামী লীগ এবং তাদের দেশি-বিদেশি দোসররা সেনা কর্মকর্তা এবং সেনা সদস্যদের মুখোমুখি করে দিয়ে দেশে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৮

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে অকেজো স্যাটেলাইট
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে কয়েক হাজার কিলোগ্রাম ওজনের বিশাল এক অকেজো স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ। নিয়ন্ত্রণহীন অকেজো স্যাটেলাইটটি নিয়ে দু’চিন্তায় রয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। স্যাটেলাইটটি এই মাসে পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা। তবে কবে কোথায় স্যাটেলাইটটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তথ্য জানা যাচ্ছে না। কেননা স্যাটেলাইটটি সফলভাবে নিরাপদে অবতরণের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ২ হাজার ২৬৭ কিলোগ্রাম ওজনের স্যাটেলাইটটি এ মাসের মাঝামাঝি যেকোনো সময়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। স্যাটেলাইটটির অংশবিশেষ কোনো না কোনো সাগরে আছড়ে পড়বে। মহাকাশ থেকে আসা ধ্বংসাবশেষের মাধ্যমে আহত হওয়ার ঝুঁকি ১০ হাজার কোটি ভাগের এক ভাগ হওয়ায় এ নিয়ে আতঙ্কিত হতে মানা করেছেন তারা। খবর ডেইলি মেইল। পৃথিবীর ভূমি, মহাসাগর ও মেরু অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহের জন্য ১৯৯৫ সালে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ইআরএস-২ নামের স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠায়। প্রায় ৩০ বছর ধরে আমাদের গ্রহের ওপরে ঘুরে বেড়িয়েছে স্যাটেলাইটটি। ইআরএস ২ স্যাটেলাইটের পুরো নাম ইউরোপিয়ান রিমোট-সেন্সিং স্যাটেলাইট ২। এটি ১৯৯৫ সালের ২১ এপ্রিল উৎক্ষেপণ করা হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৮৭ মাইল দূরে অবস্থান করে। সে সময় এটি ছিল ইউরোপের তৈরি সবচেয়ে আধুনিক পর্যবেক্ষণ মহাকাশযান। বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা বা ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ করাসহ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কাজে স্যাটেলাইটটির তথ্য ব্যবহার করা হতো। ২০১১ সালের পর ইআরএস ২ স্যাটেলাইট আর ব্যবহার করা হয়নি। এ জন্য স্যাটেলাইটটিকে নির্ধারিত কক্ষপথ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এক বার্তায় ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, স্যাটেলাইটটি পৃথিবীতে কখন আর কোথায় আছড়ে পড়বে, তা সঠিকভাবে অনুমান করা সম্ভব নয়। তাই খুব নিবিড়ভাবে স্যাটেলাইটটিকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০ মাইল ওপরেই স্যাটেলাইটটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। কিছু টুকরা পৃথিবীর পৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারে। বার্তায় আরো বলা হয়, কোনো বিষাক্ত বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকবে না এসব টুকরায়। স্যাটেলাইটের ব্যাটারি শেষ হয়ে গেছে। যোগাযোগের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অনেক দিন আগেই অকেজো হয়ে গেছে। তাই ইআরএস ২ স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ বা নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগ নেই।  
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৮

কুবিতে থমকে গেছে আওয়ামীপন্থী রাজনীতি, অভিযোগের তির উপাচার্যের দিকে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রায় দুই বছর ধরেই বন্ধ শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরাই এ শিক্ষক সমিতিতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু পরিষদ নামে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের দুটি সংগঠন রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে দুটি সংগঠনের নেতাদেরই অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আব্দুল মঈন নিজের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখতে তার অনুগত শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করছেন। এর পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে স্তব্ধ করতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনায়ও তিনি বাধা প্রদান করছেন বলে অভিযোগ এ শিক্ষক নেতাদের। এদিকে কমিটি বিলুপ্তির প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হয়নি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, কমিটি বিলুপ্তির বছর পেরলেও নতুন কমিটি না হওয়ার পেছনে উপাচার্যই দায়ী। এছাড়াও অছাত্র এবং প্রশ্নবিদ্ধ প্রার্থীদের কমিটিতে আনতে একাধিকবার কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ধরনা দিয়েছেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সর্বশেষ গত ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্যদের শ্রদ্ধা নিবেদনে সরাসরি বাধা প্রদান করেন উপাচার্য। বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের মতাদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।  এর আগে ২০২২ সালের পহেলা ডিসেম্বর  বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকীসহ উপাচার্য পন্থি বেশ কয়েকজন শিক্ষক কর্তৃক নির্বাচনে হস্তক্ষেপের পর নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এরপরে গত ১ বছরেরও বেশি সময়ে বেশ কয়েকবার সমিতি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হলেও উপাচার্য পন্থি শিক্ষকদের অসহযোগিতায় বিষয়টি আর এগোয়নি। সম্প্রতি শিক্ষকদের একটি অংশ সমিতি গঠনের উদ্যোগ নিলে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করেন। এতেও উপাচার্যের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন পদে থাকা শিক্ষকদের একটি অংশ স্বাক্ষর করেননি। সর্বশেষ ৭ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) শিক্ষকদের এক সাধারণ সভায় আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘদিন সমিতি গঠন করতে না পারার বিষয়টি উপাচার্যের ইন্ধনে হয়েছে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সর্বশেষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড দুলাল চন্দ্র নন্দি জানান, শিক্ষক সমিতির সর্বশেষ নির্বাচন ভণ্ডুল করেছেন উপাচার্য পন্থি শিক্ষকগণ৷ স্পষ্টতই তারা নিজেদের সিদ্ধান্তে এমনটা করেনি। প্রশাসনের বিভিন্ন পদে তারা বহাল রয়েছেন। উপাচার্যের ইন্ধনেই এমনটা করেছে তারা। এখনও শিক্ষক সমিতি গঠন হোক, একটি অংশ সেটা তারা চায়না।    বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদি হাসান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেজর স্টেক হোল্ডারদের প্রতিনিধিত্ব করে শিক্ষক সমিতি। কিন্তু উপাচার্য শিক্ষকদের মতামতকে অবনমন করতে খুবই চাতুর্যপূর্ণভাবে তার আস্থাভাজন কয়েকজনকে দিয়ে সমিতির নির্বাচন বানচাল করেছেন। তার নির্দেশেই গত এক বছরেরও বেশি সময়ে শিক্ষকদের কোনো বৈধ প্রতিনিধিত্ব নেই। ২০১০ সালের পর থেকে কখনও শিক্ষক সমিতি অকার্যকর ছিল না। আরেকটি দিক হলো আমরা দেখেছি, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই যখন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কারাগারে প্রেরণের মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে স্তব্ধ করার প্রচেষ্টা চালায় স্বাধীনতা বিরোধীরা। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকগণ রাজপথে আন্দোলন করলেও বর্তমান উপাচার্য দেশ ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় পালিয়ে যায়। আবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েও বঙ্গবন্ধুর পরিষদকে গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে বাধা প্রদান করেন। কাজেই বিষয়গুলো খুবই পরিষ্কার। বস্তুত উপাচার্য মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে দুর্বল করার অপচেষ্টা বাস্তবায়নে তৎপর। তিনি সত্যাসত্য কোন মতাদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি তার বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যক্রমে বিভিন্ন সময়ে উপাচার্যের অসহযোগিতা এবং উপাচার্যের নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের দুটি অংশের নেতারা। বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের (কামাল-মাহবুব) সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, উপাচার্য বরাবরই বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যক্রমে বাধা প্রদান করে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে তার অসহযোগিতা পেয়েছি। সর্বশেষ গত ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তিনি প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদনে বাধা প্রদান করেন। যেটি প্রমাণ করে, তিনি মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুখে বললেও অন্তরে সেটি ধারণ করেন না। বঙ্গবন্ধু পরিষদের অপর আরেকটি অংশের (ওমর-মাহবুব) সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুক হক ভূঁইয়া জানান, উপাচার্য মুখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বললেও কাজে তার প্রতিফলন নেই। কেউ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করলে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম করতে পারেন না,  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায্য প্রমোশন আটকে দিতে পারে না, অনিয়ম করে প্রক্টরের অবৈধ ডিগ্রির অনুমোদন দিতে পারে না। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষককে দিয়ে ক্যাডার বাহিনী গড়ে তুলেছেন, যারা অন্য শিক্ষকদের মারধর, গালিগালাজ করছে। এসব বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নয়। সর্বোপরি এই প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীদারের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করেছে। এগুলোর কোনটিকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসরণ বলা যায়? এদিকে ২০২৩ সালে ৬ মার্চ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির পর প্রায় বছর পার হতে চলেছে। তবে বিভিন্ন সময়ে কমিটি গঠনের গুঞ্জন এবং কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলেও পুনরায় কমিটি গঠিত হয়নি।  বিষয়টি নিয়ে শাখা ছাত্রলীগের অন্তত দশজন নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, উপাচার্য নিজের পক্ষে কমিটি আনতে বিভিন্ন সময়ে অছাত্র এবং ভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয়ের ব্যক্তিত্বের দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারস্থ হয়েছেন। এমনকি বিভিন্ন সময়ে অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে বাধা হওয়ায় শাখা ছাত্রলীগের একাধিক নেতাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বহিষ্কার করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই৷ শুরু থেকেই বিভিন্ন সময়ে উপাচার্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের একজনের বিরুদ্ধে অপরজনকে ব্যবহার করে কোন্দলে জড়িয়েছেন। শাখা ছাত্রলীগের কোনো কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকুক, সেটি তিনি চান না। যাদের বিরুদ্ধে শিবিরের সঙ্গে যোগসূত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির সাথে থাকার অভিযোগ আছে, বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে তিনি তাদের বিষয়ে তদবির করেছেন। অপরদিকে প্রশাসনের বিভিন্ন অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে বাধা হওয়ায় গত বছরের ৬ মার্চ কমিটি বিলুপ্তির ঠিক পরদিনই ৭ মার্চ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমাদের বহিষ্কার করেছিলেন। বস্তুত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো রাজনীতি থাকুক সেটি উপাচার্য চায় না।   তবে অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য বলেন ফুল দিতে দেয়নি এটি সত্য নয়। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনে আমি একটি ম্যানেজম্যান্ট কমিটি করি। শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমি তাদের উপাচার্যের বক্তব্যের পরে ফুল দিতে বলেছি।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৩

মিয়ানমারে ফিরে যেতে আরাকান আর্মির দিকে তাকিয়ে রোহিঙ্গারা
রাখাইনে চলমান সংঘাতের কারণে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য ওপারে সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমারের অনেক রোহিঙ্গা। তবে তাদের এদেশে ঢোকার ব্যাপারে বিরোধিতা করছে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। তারা বলছেন, নিজ দেশ ছেড়ে এবার ভুল করা যাবে না।  শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পে আয়োজিত কনভেনশনে রোহিঙ্গা নেতারা বলেছেন, আরাকান আর্মি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করলে এখনই তারা ফিরে যাবেন মিয়ানমারে। দেশটির অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তুমুল সংঘর্ষ চলছে। ইতোমধ্যে রাখাইন রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা দখলে নিয়েছে সংগঠনটি। ফলে বুচিডংসহ রাখাইনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে। এদিন উখিয়া ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, রাখাইনে দুই পক্ষের হামলায় রোহিঙ্গারা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই তারা বাংলাদেশে চলে আসার জন্য নিয়মিত যোগাযোগ করছেন এখানকার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে। তবে এবার নিপীড়নের শিকার হলেও কোনো অবস্থাতেই জন্মভূমি না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতারা। তারা বলছেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এসে ভুল করেছেন তারা। সেটা দ্বিতীয়বার যেন অন্যরা না করেন। মিয়ানমারে এখন জান্তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে এখনই স্বদেশে ফিরে যাওয়া জরুরি। এক রোহিঙ্গা  বলেন, আমরা আর কোনও রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আসতে দিতে চাই না। বরং এখনই সময় সেখানে আমাদের চলে যাওয়ার। এসময়ে যেতে পারলে খুবই ভালো হয়। সেই সুরে সুর মিলিয়ে আরেক রোহিঙ্গা বলেন, কষ্ট পেলেও, জুলুমের শিকার হলেও মিয়ানমারেই থাকা দরকার ওপারের রোহিঙ্গাদের। তারা থাকতে পারলে পরে আমরাও যেতে পারবো। মিয়ানমারে দ্রুত ফিরে যাওয়ার জন্য এদিন সকালে উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পে সম্মেলন করেন এফডিএমএন রিপ্রেজেন্টেটিভ কমিটি। এতে নির্বাচিত বিভিন্ন ক্যাম্পের ৪ হাজার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। আরাকান আর্মিকে ইঙ্গিত করে কমিটির নেতা মাস্টার ছৈয়দ উল্লাহ বলেন, সংগঠনটি রোহিঙ্গাদের অবস্থান স্পষ্ট করলে তারা এখনই চলে যেতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের আরকানে আমাদের আত্মীয়স্বজন, মা-বাবা, ভাই-বোন আছে। তাদের ওপর অনেক নির্যাতন হচ্ছে। তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে, তারা যেন কোনদিনও দেশ ছেড়ে চলে না আসে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করে উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় একজোট হয়ে আমরা মিয়ানমারে ফিরে যাব।’ ছলিম উল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘আমাদের দেশ আছে। মিয়ানমারের আরকান আমাদের দেশ। আমরা দেশে ফিরে যেতে চাই।’ এদিকে শরণার্থী কমিশন বলছে, নতুন করে যেকোনো অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসান কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আমাদের বর্ডার গার্ড (বিজিবি) অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য প্রবেশ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। একজন রোহিঙ্গাকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমরা সব সময়ই সজাগ আছি।  
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৭

‘কোহলি আমার দিকে থুতু মেরেছিল’
কয়েক দিন আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ডিন এলগার। তবে এবার ভারতীয় টপ-অর্ডার ব্যাটার বিরাট কোহলিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি। ২০১৫ সালে মোহালি টেস্টে এলগারকে থুতু মেরেছিলেন কিং কোহলি। সে সময়ে ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারতে গিয়েছিল প্রোটিয়ারা। আর সিরিজের প্রথম ম্যাচ ছিল মোহালিতে। সেই টেস্ট চলাকালে কোহলির সঙ্গে এলগারের কথার লড়াই হয়েছিল। তখনই এলগারের দিকে থুতু মেরেছিলেন ভারতের প্রাক্তন এই অধিনায়ক। সম্প্রতি ‘ব্যান্টার উইথ দ্য বয়েজ’ পডকাস্টে এলগারের ভাষ্য, যখন আমি ব্যাট করতে যাই, তখন (রবিচন্দ্রন) অশ্বিন আর ওর নাম কী... (রবীন্দ্র) জাদেজার বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই করে নিজের মতো খেলছিলাম। সে সময় কোহলি যেন আমার দিকে থুতু ছিটিয়েছিল। তবে ওই সময়ে ছেড়ে কথা বলেননি এলগারও। স্থানীয় ভাষায় তিনিও কোহলিকে গালি দিয়েছিলেন। বিষয়টি নাকি কোহলি বুঝতেও পেরেছিল।  এলগারের মন্তব্য, হ্যাঁ, সে পেরেছিল। কারণ, (দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক সাবেক তারকা এবি) ডি ভিলিয়ার্স আরসিবিতে (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু) তার সতীর্থ ছিল। যদিও পরবর্তীতে তাদের দুইজনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল। ২০১৭-১৮ মৌসুমে ফের ভারত গিয়েছিল প্রোটিয়ারা। সেই সফরে এলগারের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাদের মধ্যকার তিক্ততা মিটিয়ে নেন কোহলি। সিরিজ শেষে একসঙ্গে পানশালাতেও গিয়েছিলেন তারা। গত ৩ জানুয়ারি কেপটাউনে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ইনিংস খেলেন এলগার। সে সময়ে প্রোটিয়া এই ব্যাটারের আউটে সতীর্থদের উদযাপনে নিষেধ করেন কোহলি। একপর্যায়ে কাছে এসে তাকে বুকেও টেনে নিয়েছিলেন কোহলি।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:১৬

‘সতর্ক আছি, মিয়ানমারের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বাংলাদেশ’
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির তীব্র লড়াই চলছে। সেই সংঘাতের মর্টারশেল এসে পড়েছে বাংলাদেশে। এ ঘটনায় মিয়ানমারে দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সরকার বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলছে। সেই সংঘাতের মর্টারশেল আমাদের দেশে এসে পড়েছে। এটি আমরা অবশ্যই নজর রাখছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের সীমান্তরক্ষীরা সতর্ক আছে এবং মিয়ানমার বাহিনীর সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ আছে। আমরা আশা করবো সেখান থেকে কোনও মর্টারশেল এখানে আসবে না। আমরা সতর্ক আছি। মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে ফের প্রচণ্ড গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় সীমান্তের এপারে কক্সবাজারের টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ির বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।  তারা সীমান্তের কাছে হেলিকপ্টার উড়তে দেখেছেন। ভারী মর্টারশেলের শব্দও তারা শুনতে পাচ্ছেন। আতঙ্কে থাকার কথা বলেছেন ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারাও।  রোববার ওপার থেকে বাংলাদেশের ভেতরে অন্তত ৫টি মর্টারশেল ছিটকে আসার বিষয়ে খবর প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।  মর্টারশেল উড়ে আসার বিষয়ে উদ্বিগ্ন কি-না, এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা আশা করব যে, সেখান থেকে কোনো মর্টারশেল আমাদের দেশে আসবে না। তবে আমরা সতর্ক আছি এ ব্যাপারে। আবারও সংঘাতের ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অনুপ্রবেশের কোনো শঙ্কা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এখনও কোনো কিছু দৃশ্যমান হয়নি। উল্লেখ্য, দেশটিতে সংঘাতের মধ্যে ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্টের পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। আগে থেকে থাকা রোহিঙ্গাদের নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার ক্যাম্পগুলোতে এখন ১১ লাখ রোহিঙ্গার বাস।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:২৩

'শরীফার গল্প' নিয়ে শিক্ষাবিদদের ভাবনা / বিতর্ক না বাড়িয়ে ধারণাগত ত্রুটির দিকে নজর দিতে পরামর্শ
পাঠ্যপুস্তক ছেড়ে মানববন্ধন ও ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের অন্যতম আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্প। তৃতীয় লিঙ্গ নাকি রূপান্তরিত- কোন শ্রণির প্রতিনিধিত্ব করছে গল্পটি, একরকম ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে। দুই মেরুতে অবস্থানরতদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশের পাশাপাশি চলছে পাল্টাপাল্টি যুক্তিতর্ক। তবে, নেতিবাচক বিতর্ক না বাড়িয়ে গল্পটিতে ধারণাগত ত্রুটির দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ শিক্ষাবিদদের। শিক্ষা গবেষকদের মতে, ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্পে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গকে পরিচয় করাতে গিয়ে ট্রান্সজেন্ডারের অবতারণা করাটা ধারণাগত ত্রুটি। আর সমাজকল্যাণ গবেষকরা মনে করছেন, বিষয়টি উচ্চশ্রেণির পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা কার্যকরী হতে পারতো হয়তো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক হাফিজউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ক্লাসের পাঠ্যসূচিতে যদি অন্তর্ভুক্ত করতে তা হলে আমাদের হিজড়া সম্প্রদায়কে ফোকাস করা জরুরি এবং এটা প্রয়োজনে সপ্তম শ্রেণি থেকে আরও ওপরের ক্লাসে নেওয়া যেতে পারে, যাতে করে তারা বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হয়।  বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্পে মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় চরিত্রের যে শারীরিক পরিবর্তন দেখানো হয়েছে সেটা ট্রান্সজেন্ডারের ধারণা দেয়। আবার একইসঙ্গে পরবর্তীতে ফোকাস করা হয়েছে হিজড়ার বিষয়ে। সুতরাং এটা তথ্যগত ভ্রান্তি, যেটা সংশোধন করা যেতে পারে। শিক্ষা গবেষকদের মতে, যেকোনো বিষয়ে ভিন্নমত থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তবে যে উপায়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে তা কাঙ্খিত নয়। এ বিষয়ে প্রতিবাদের ভাষা এমন হওয়া উচিত নয়। পাঠ্যপুস্তকের এই একটি গল্প আবারও বিভেদের রেখা টেনেছে ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও প্রগতিশীলদের মাঝে। ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতেই অবস্থান ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও প্রগতিশীলদের। এ বিষয়ে ইসলামি চিন্তাবিদ শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে আল্লাহর সৃষ্টিতে কোনো প্রকার পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা চলবে না। অর্থাৎ মৌলিক কোনো পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। মানবাধিকার কর্মী খুশি কবীর জানান, সংবিধান সব নাগরিককে সমান অধিকার দিয়েছে। তাই ভিন্নতা আমাদের মেনে নিতে হবে। তিনি মনে করেন, এ বিষয়টা সরকারকে আরও স্পষ্ট করা উচিত। থার্ডজেন্ডার রাখি শেখ জানান, চাইলেই তো আর মেয়ে হওয়া যায় না। আমি নিজেকে মেয়ে দাবি করলাম আর মেয়ে হয়ে গেলাম, এমন হয় না। থার্ডজেন্ডার আর ট্রান্সজেন্ডার এক না। প্রসঙ্গত, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে সংযোজিত ‘শরীফার গল্পে’র সমাধান টানতে ইতোমধ্যে কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৫

‘নির্বাচন বর্জনকারীরা বিদেশি বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে আছে’
নির্বাচন বর্জনকারীরা বিদেশি বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। কাদের বলেন, যারা নির্বাচন বর্জন করেছে তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। এ সরকারকে হঠাতে তারা বিদেশি বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা আশা করছে কম্বোডিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞা আসবে। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা কোনো নিষেধাজ্ঞা, কোনো ভিসা নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করেন না। ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এই নীতিতে শেখ সরকারের কার্যাবলী পরিচালিত হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতিতে কেউ সন্ত্রাস ও অস্থিরতা তৈরি করলে মোকাবিলা করতে হবে। বিরোধীদলকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। ইশতেহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ইশতেহার বাস্তবায়ন করায় আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। অনেক বাধা আসতে পারে। কারণ যারা নির্বাচন বর্জনকারীরা নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। এর আগে, সকাল ৯টায় সড়কপথে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে গোপালগঞ্জে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী ও নতুন মন্ত্রীসভার সদস্যরা। পরে বেলা পৌনে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তারা।  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পর এই প্রথম নিজ জেলা গোপালগঞ্জ গেছেন শেখ হাসিনা। সফরসূচি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর শনিবার নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন। পরদিন রোববার কোটালীপাড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়