• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তামাক খেত থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে তামাক খেত থেকে রোমান মিয়া (৬) নামে একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের খোলাহাটি সেতুবাজার এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত রোমান ভাদাই ইউনিয়নের ত্রিমোহনী ভাদাই খোলাহাটি এলাকার আমিনুর হকের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকেল থেকে শিশু রোমান মিয়াকে খুঁজে না পাওয়ায় এলাকায় মাইকিং ও থানায় জিডি করা হয়। আজ বিকেলে সেতু বাজার এলাকার একটি তামাক খেতে কিছু লোক কাজ করতে গেলে সেখানে অর্ধশরীর পুতে রাখা অবস্থায় একটু শিশুর মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে  আদিতমারী থানা পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের কঠিন শাস্তি দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ-উন-নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২০:০২

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের তামাক থেকে দূরে থাকতে হবে’
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের তামাক থেকে দূরে থাকতে বলেছেন ঢাকা-১০ আস‌নের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফের‌দৌস আহমেদ। শনিবার (৯ মার্চ ) ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্ট বাংলাদেশ (ইউল্যাব) প্রাঙ্গণে বেসরকা‌রি স্বেচ্ছা‌সে‌বী সংস্থা নারী মৈত্রী আয়োজিত তামাক‌বি‌রোধী যুব সম্মেলন-২০২৪ এ তিনি এ আহ্বান জানান। ফের‌দৌস আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে ধূমপান ও তামাক থেকে দূরে থাকার বিকল্প নাই। ফেরদৌস বলেন, আজকের তরুণরাই স্মার্ট বাংলা‌দেশ গড়ার হা‌তিয়ার। ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ তামাকমুক্ত দেশ গড়তে তরুণ‌দের ভূমিকা অপরিসীম। তাই আজকের তরুণদের অবশ্যই স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। তরুণদের অংশগ্রহণে তামাক ও ধূমপানবিরোধী প্রচারণাকে আরও বেগবান করতে হবে এবং নিজেদের দক্ষ এবং যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এসময় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকর‌ণে জোর দেওয়ার তা‌গিদ দেন এই চিত্রনায়ক। সম্মেলনে অংশ নেওয়া দুই শতা‌ধিক তরুণ শিক্ষার্থী তামাকের বিরু‌দ্ধে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপা‌শি তামাকমুক্ত আগামী প্রজন্ম গড়‌তে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শ‌ক্তিশালী করা আহ্বান জানান। নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউল্যাবের উপাচার্য ইমরান রহমান, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. আবদুস সালাম মিয়াহসহ সংগঠনটির সদস্যরা।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২১:২৫

কেন্দুয়ায় তামাক চাষে ঝুঁকছে কৃষক, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জমিতে ফলন ভাল ও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় দিন দিন বেড়েই চলেছে ক্ষতিকর তামাকের চাষ। অনেক চাষি এই তামাকের চাষের কুফল সম্পর্কে তেমন জানেন না। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই তামাক চাষে মনোযোগী হয়ে উঠছেন তারা। কেন্দুয়া কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চিরাং ও পাইকুড়া ইউনিয়নে তামাক চাষ হয়। দুল্লী, বৈরাটী, চর বৈরাটি ও নওপাড়া গ্রামের আবাদ হয় বেশি। কৃষি অফিসের হিসেব মতে এবছর ৭ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। তবে স্থানীয়দের বলছেন এরচেয়ে অধিক জমিতে তামাক চাষ হয়। বৈরাটি গ্রামের তামাক চাষি গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষ থেকেই আমরা তামাক চাষ করে আসছি। এতে আমাদের কোনো ক্ষতি হয় না। এবছর ৬ কাঠা জমিতে তামাক চাষ করেছেন তিনি। অন্যান্য ক্ষেতে সবজিসহ ধান ফসলও আবাদ করেছেন। তামাক ফসলে ধানের চেয়ে লাভ বেশি। এক কাঠা ক্ষেতে ৩ মন তামাক হয়। দুইশ টাকা ধরে বিক্রয় করলে ২৪ হাজার টাকা হয়। সব মিলে উৎপাদন খরচ হয় ৩ হাজার টাকা। আর এক কাঠা ক্ষেতে ধান হয় ৭/৮ মন। উৎপাদন খরচ লাগে প্রায় আড়াই হাজার টাকা। ধানের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ হয় তামাকে। শ্রম একটু বেশি লাগে। তামাক ক্ষেতে পোকামাকড় দমনে স্থানীয় কৃষি অফিসারসহ কীটনাশক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পরামর্শ নেন বলেও জানান তিনি। এমন বক্তব্য শুধু গিয়াসউদ্দিনের নয় এলাকায় অধিকাংশ কৃষকের। উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, এবছর ৭ হেক্টর জমিতে তামাক চাষাবাদ হয়েছে। তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহি করা হয়। গত বছরের তুলনায় এবছর তামাক আবাদ কমেছে বলেও দাবি তার।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৫

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা প্রয়োজন : নানক 
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার পক্ষে একমত পোষণ করেছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে নারী মৈত্রীর প্রতিনিধি দল জাহাঙ্গীর কবির নানকের সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন তামাক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। টোব্যাকো এটলাস ২০১৮-এর তথ্য মতে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মানে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ প্রাণ হারান। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ও জীবন রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে হবে এখনই বলে একমত পোষণ করেন মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং তামাক বিরোধী সকল কার্যক্রমে নারী মৈত্রীর পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন, নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি, টোব্যাকো কন্ট্রোল প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর নাছরিন আকতার, মেহেদি হাসান, এডভোকেসি অফিসার এবং মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন অফিসার আলফি শাহরীন।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়