• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যে কারণে গ্যাংস্টার সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কোয়েল
সব অভিনয়শিল্পীই বলিউডে নিজেকে মেলে ধরার স্বপ্ন দেখেন। তবে সেই তালিকায় নেই টালিউড অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক। তিনি বলিউডের সুপারহিট সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।  যেখানে সবাই মুখিয়ে থাকেন সিনেমা করার জন্য, সেখানে কোয়েল প্রস্তাব পেয়েও কেন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন? এই প্রশ্ন আজও উঁকি দেয় অভিনেত্রীর ভক্তদের মনে। জানা গেছে, বলিউডের বিগ বাজেটের সিনেমার অফার পেয়েছিলেন কোয়েল। ২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় কঙ্গনা রানাওতের। আর এই সিনেমার প্রথম প্রস্তাব পেয়েছিলে রঞ্জিতকন্যা। কিন্তু সেই সিনেমার অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কোয়েল।  কারণ অন্তরঙ্গ দৃশ্যে আপত্তি ছিল কোয়েলের। আর তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতেই সেটি লুফে নেন কঙ্গনা। এরপরে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। বর্তমানে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কঙ্গনা।    টালিপাড়ায় প্রায়ই কানাঘোষা শোনা যায়— সেদিন ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়ে না দিলে কোয়েলও হয়তো নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতেন বলিউডে। নিজের ক্যারিয়ারে দেব, যিশু সেনগুপ্ত, আবির চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তীদের বিপরীতে একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন কোয়েল। রোমান্টিক সিনেমা হোক কিংবা থ্রিলার, পর্দায় সমান দাপটই দেখিয়েছেন তিনি।  ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে পর্দায় মেলে ধরেছেন কোয়েল। টালিউডে নিজের অভিনয়গুণে তৈরি করেছেন শক্ত অবস্থান। কিন্তু অশ্লীলতার স্রোতে গাঁ ভাসাননি তিনি। প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত জীবনে ২০১৩ সালে সুরিন্দর ফিল্মসের মালিক নিসপাল সিং রানের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন কোয়েল। বিয়ের আগে সাত বছর প্রেম করেছেন এই জুটি। ২০২০ সালে দম্পতির সংসার আলো করে আসে প্রথম সন্তান কবীর।
১৫ ঘণ্টা আগে

যে কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অসহনীয় তাপমাত্রা
ভৌগোলিক কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে অসহনীয় তাপমাত্রা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। দেশের উষ্ণতম জেলা রাজশাহীতে তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক চার ডিগ্রিতে উঠলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গা জেলায়। এদিকে বরিশালের তাপমাত্রা একটু কম হলেও গরমের অনুভূতি খুবই বেশি। তবে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জেলা রয়েছে তাপপ্রবাহের বাইরে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশের উষ্ণতম জেলা হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর ওপর দিয়ে বর্তমানে মাঝারি থেকে অতি তীব্র মাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে রাজশাহীতে তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক চার ডিগ্রিতে উঠলেও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গা জেলায়। এপ্রিলের প্রায় পুরোটাজুড়েই চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। সেইসঙ্গে রাজশাহীও এই তালিকায় আছে। মূলত, ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বছরের এই সময়ে চুয়াডাঙ্গাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতেবরাবরই অসহনীয় তাপমাত্রা বিরাজ করে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের বেশির ভাগ স্থানেই মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে সূর্যের কিরণ বা রশ্মি লম্বালম্বিভাবে এসে পড়ে। অল্প কিছু এলাকায় বাঁকাভাবে পড়ে। বিশেষ করে এপ্রিলে সূর্য বাংলাদেশের ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। এসময় আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। আরও সহজ করে বলতে গেলে, এপ্রিল মাসে সূর্য থেকে বাংলাদেশের অবস্থান অন্য সময়ের তুলনায় সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে। যার কারণে সূর্যের তাপ বেশি পরে এই অঞ্চলে। চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া এবং উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী, দিনাজপুর, নওগাঁ এলাকার বাতাস উত্তপ্ত থাকার আরেকটি কারণ হলো ‘লু হাওয়া’। চলমান তাপপ্রবাহকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান। তার মতে, ‘তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়া স্বাভাবিক, এটি আবহাওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এইসময় এটা কম-বেশি প্রতিবছরই হয়। তবে এ বছর বেশি হচ্ছে। এর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আছে। ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সালের তাপমাত্রার সঙ্গে এখনকার তাপমাত্রা তুলনা করলে দেখা যায়, গড়ে পৃথিবির এক ডিগ্রি বেড়ে গেছে। এক ডিগ্রি বাড়াতেই বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তাপদাহ, বন্যা, তুষারপাত দেখা যাচ্ছে।’ রাজশাহী, যশোর, চয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা বাড়লেও, গরম বেশি অনুভূতি হয় বরিশাল অঞ্চলে। বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, ঐসব অঞ্চলের চেয়ে তাপমাত্রা অনেকটাই কম। কিন্তু বরিশালের তাপমাত্রা যশোর চুয়াডাঙ্গার চেয়ে একটু কম হলেও গরমের অনুভূতি খুবই বেশি। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন,  ‘উপকূলীয় এলাকায় তাপমাত্রা এমনিতেও ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রির বেশি ওঠে না। কিন্তু তাপমাত্রা কম থাকলেও গরমে সেখানে নাভিশ্বাস উঠে যায়। কারণ, বরিশাল অঞ্চলে প্রচুর নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর থাকার কারণে অনবরত বাষ্পায়ন হয়। তাছাড়া, বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী হওয়ায় ওখানের বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। মূলত, বাতাসে যখন জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে, তখন গরমও বেশি অনুভূত হয়।’ তবে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে সহনীয় মাত্রার গরম রয়েছে। ওই তিন বিভাগের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম হওয়ার অন্যতম কারণ ভৌগোলিক অবস্থান। এইসব অঞ্চলে একদিকে যেমন আছে বিস্তীর্ণ হাওর, অপরদিকে আছে সুউচ্চ পাহাড়। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘ময়মনসিংহ এলাকায় হাওড়ের মতো বিশাল জলাধার আছে। তাছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে হওয়ায় ওখানে মাঝে মাঝে বৃষ্টিপাত হয়। তাই তাপমাত্রা কম। চট্টগ্রাম ও সিলেটে নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ায় গরম কম অনুভূত হওয়ার এটা প্রধান কারণ। আর যদি বনাঞ্চলের হিসেব করি, ওইসব অঞ্চলে বনায়ন বেশি এবং আশেপাশে জলাধার আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর থেকে যে জলীয় বাষ্প বাংলাদেশে প্রবেশ করে, সেটা পাহাড়ি এলাকায় বাধাপ্রাপ্ত হয়। তখন ওই জলীয়বাষ্প সমৃদ্ধ বাতাসের ঊর্ধ্বগমন ঘটে বা ওপরের দিকে যায়। তারপর, ওই বাতাসের ভেতরে যে পানির কণা থাকে, তা ঘনীভূত হয়ে মেঘ তৈরি করে। মেঘ তৈরির পর তা পাহাড়ের সম্মুখভাগে বৃষ্টিপাত ঘটায় ও তাপমাত্রা কমায়। তাছাড়া, পাহাড়ি অঞ্চলের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল, পাহাড়ের একদিকে সূর্যের আলো পড়লে অন্যদিকে ছায়া পড়ে। আর, পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে বাতাস প্রবাহিত হয়। দুই পাশের, মানে উত্তপ্ত বাতাস ও ঠান্ডা বাতাস মিশ্রিত হয়ে সেখানকার তাপমাত্রা একটু কম রাখে।’ পহেলা মে থেকে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ঢাকার কিছু এলাকার তাপমাত্রা কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রঝড় ও কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। তখন দুই থেকে ছয় ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে

যে কারণে হয় হিটস্ট্রোক, প্রতিরোধে যা করবেন
প্রচণ্ড গরমে মানুষের জীবন এখন ওষ্ঠাগত। আর এই পরিস্থিতিতে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই এ বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকলে সহজেই সেই পরিস্থিতি সামলানো যায়। হিটস্ট্রোক বা হাইপারথার্মিয়াতে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করে বাড়তে থাকে। আমাদের শরীর তখন আর এই হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রাকে কন্ট্রোল করে শরীরকে ঠান্ডা করতে পারে না। এই সময় শরীরের তাপমাত্রা মাত্র ১০-১৫ মিনিটে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটেরও বেশি হয়ে যায় একে হিটস্ট্রোক বলে। এ সময় শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছরে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ হিটস্ট্রোক-এ মারা যায়। অনেক সময় ধীরে ধীরে এটি ঘটে থাকে, যদিও হুট করে ঘটার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। আমাদের দেশেও এই রোগ এখন প্রায়ই দেখা দেয় কারণ প্রতিনিয়তই পরিবেশের তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। হিটস্ট্রোকের কারণ, লক্ষণ ও বাঁচার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন। হিটস্ট্রোক-এর কারণ, লক্ষণ ও এর প্রতিকার- হিটস্ট্রোক: হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোক এক ধরনের অসুস্থতা, যা অত্যধিক গরমের কারণে হয়ে থাকে। এই অসুখে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ᱸ ফারেনহাইট-এর বেশি এবং সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছরে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ হিটস্ট্রোক-এ মারা যায়। অনেক সময় ধীরে ধীরে এটি ঘটে থাকে, যদিও হুট করে ঘটার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। আমাদের দেশেও এই রোগ এখন প্রায়ই দেখা দেয় কারণ প্রতিনিয়তই পরিবেশের তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। হিটস্ট্রোক কয়েকটি কারণে হতে পারে। চলুন কারণগুলো দেখে নেই- পারিপার্শ্বিক উচ্চ তাপমাত্রা শরীরে পানিশূন্যতা বা মিনারেলসের অভাব কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়ায়, যেমন- ডাই-ইউরেটিক্স, বিটা ব্লকারস, অ্যালকোহল হার্টের বা স্কিনের অসুখে লক্ষণ বা উপসর্গ- হিটস্ট্রোকে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে। গরমে হিটস্ট্রোকের প্রাথমিক পর্যায়ে এটি ধরতে পারলে অনেক জটিল অবস্থা থেকে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব। সাধারণত নিচের লক্ষণগুলো হিটস্ট্রোক-এ দেখা যায় শরীরের অত্যধিক তাপমাত্রা মাথাব্যথা দুর্বলতা ঝিমুনি বমি বমি ভাব হার্টবিট বেড়ে যাওয়া তবে রোগীর অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে গেলে আরও কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন- চামড়ার রং লালচে হয়ে যাওয়া মানসিক ভারসাম্যহীনতা হাঁটতে অসুবিধা হওয়া চোখের মণি বড় হওয়া বমি হওয়া ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া খিঁচুনি অজ্ঞান হয়ে যাওয়া প্রাথমিক চিকিৎসা- এই গরমে কড়া রোদ ও ভিড় এড়িয়ে চলুন। যেহেতু এটি একটি জরুরি অবস্থা, তাই এর চিকিৎসাও দ্রুত হওয়া প্রয়োজন। এই রকম পরিস্থিতিতে প্রথমেই যা করা দরকার তা হলো, রোগীর শরীর ঠান্ডা করা এবং খোলা বা ফাঁকা স্থানে নিয়ে যাওয়া। ভারি পোশাক পরে থাকলে সেটা চেইঞ্জ করে পাতলা সুতি কাপড়ের পোশাক পরিয়ে দিন। ঠান্ডা বাতাসের ব্যবস্থা করুন, প্রয়োজন মনে হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিন। রোগীর সুস্থ হতে কয়েকদিন পর্যন্ত সময় লাগবে সেটা এর তীব্রতা বা ধরনের ওপর নির্ভর করে। যদি সঠিক চিকিৎসা করা না হয় তাহলে হিটস্ট্রোক রোগীর মস্তিষ্ক , পেশী, কিডনি এবং অন্যান্য অঙ্গগুলোকেও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা শুধুমাত্র শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য কিছু না করে বরং পানি বা লিকুইড জাতীয় খাবার গ্রহণের ওপর জোর দিতে বলেন। প্রতিকার- হেলদি ও লিকুইড খাবার রাখুন ডায়েটে: আমাদের মধ্যে যারা বাইরে রোদে কাজ করি বা এক ঘন্টার বেশি ব্যায়াম করি তাদের হিটস্ট্রোক এড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে লিকুইড জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। বিশুদ্ধ পানির কোনো বিকল্প নেই। ডাবের পানি, ফ্রেশ জুস, ঠান্ডা শরবত এগুলোও পান করতে পারেন। ভাজাপোড়া, মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। লাইট ও হেলদি ফুড বেছে নিন যাতে হজমে সমস্যা না হয়। ব্যায়াম ভোরবেলায় করুন: তাপদাহ বিদ্যমান থাকলে ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ অবশ্যই সূর্যোদয়ের আগে বা খুব ভোরে করতে হবে। অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন: গরমের দিনগুলোতে অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। কারণ, অ্যালকোহল বা সুগার ড্রিংকগুলো শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে। অনেক সময় শরীরে লবণ বা মিনারেলস-এর ঘাটতি দেখা যায়। সেই সময়ের জন্য সবচেয়ে উপকারী হলো ওরস্যালাইন। রোগীর পরিস্থিতি খারাপ হলে মুখে খাওয়া সম্ভব না হলে শিরার মাধ্যমে দেওয়া হয়। কিন্তু হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের ক্ষেত্রে সবসময় এটা নিরাপদ নাও হতে পারে। কারণ, স্যালাইনের সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিন সঙ্গে সঙ্গেই। শিশু ও বয়স্কদের জন্য টিপস- সব বয়সী মানুষের ক্ষেত্রে হিটস্ট্রোক এক রকম হলেও, বয়স্ক ও শিশুদের প্রতি আলাদা নজর রাখা জরুরি। খেয়াল রাখতে হবে যেন তাদের শরীরে কোনভাবেই পানিশূন্যতা দেখা না দেয়। যেহেতু ১-২ বছর বয়সী শিশুরা নিজেদের শারীরিক অসুবিধাগুলোর কথা বলতে পারে না। তাই গরমের দিনে তাদের বার বার পানি বা শরবত দিতে হবে। শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি বাড়তে দেয়া যাবে না। তাদের খোলামেলা জায়গায় বা প্রচুর বাতাস আছে এরকম জায়গায় রাখতে হবে। শিশুদের মতো বয়স্কদের জন্যও খোলামেলা স্থান বাছাই করা উচিত। যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের শরবত বা মিষ্টি জুস না দিয়ে পানি, ডাবের পানি এগুলো দিতে হবে। এই গরমে আমি বা আপনি যেকোনো সময়ে হিটস্ট্রোক-এ আক্রান্ত হতে পারি। তৎক্ষণাৎ প্রতিরোধের বা মোকাবেলার উপায়গুলো জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই এই পরিস্থিতি থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারি।
২১ ঘণ্টা আগে

যে কারণে লালন ব্যান্ড ছাড়লেন ড্রামার তিতি
এক-দুদিন নয়, পথচলা দীর্ঘ ১৭ বছরের। এবার সেই সম্পর্কের ইতি টেনে ‘লালন’ ব্যান্ড ছাড়লেন দলনেতা ও ড্রামার থেইন হান মং তিতি। কারণ হিসেবে গণমাধ্যমকে জানালেন নানা কথা।  জানা যায়, সবশেষ গত ৯ মার্চ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) কনসার্টে লালন ব্যান্ডের সঙ্গে ড্রাম বাজান তিতি। এরপর তার ফেসবুক আইডিতে  দেখা যায় ‘লেফট জব’ স্ট্যাটাস। হঠাৎ কেন দল ছাড়লেন তিনি, এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে ভক্ত থেকে সাংবাদিক—সবার মনেই। বিষয়টি নিয়ে দেশের একটি গণমাধ্যম কথা বলে ড্রামার তিতির সঙ্গে। তখন তিনি বলেন, লালন ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা রয়েছে। আর সে কারণেই কণ্ঠশিল্পী সুমি যতটা পরিচিতি পেয়েছেন, তার তুলনায় বাকি সদস্যরা রয়ে গেছেন অনেকটাই আড়ালে। কনসার্ট আয়োজকদেরও দেখেছি, ব্যান্ড থেকে সুমিকেই বেশি গুরুত্ব দিতে। বেশির ভাগ কনসার্টে তাকেই একা আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু সেগুলোতে তিনি অংশ নেন না। এতে করে দিনের পর দিন আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সুমি। আমি এমনটা চাই না। চাই, সুমি নিজেকে মেলে ধরুক। আরও এগিয়ে যাক।  তিনি আরও বলেন, সুমি কিন্তু অনেকের মতো ব্যান্ডকে ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানও গড়তে পারেননি। তিনি আসলে যত বড় শিল্পী, সে তুলনায় আজও তার আর্থিক সফলতা আসেনি। আর এটা শুধু ব্যান্ডের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণেই।  তিতি বলেন, দেশ কিংবা বিদেশ—অনুষ্ঠান যেখানেই হোক সবাই শুধু সুমিকেই খোঁজেন, ব্যান্ডকে নয়। অবশ্য এর পেছনে কারণও রয়েছে। ব্যান্ডদলের সবাইকে নিলে অনেক খরচ। সুমি এখানেও নিজের অবস্থানে অটুট। একা কোথাও যান না। বিষয়টি নিজে থেকে অনুধাবন করেছি। চাই না, ব্যান্ডের জন্য তার সফলতা আটকে থাকুক। এ কারণেই ব্যান্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত।  তবে এসবের বাইরে কণ্ঠশিল্পী সুমিকে নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগও আছে তিতির। তিনি বলেন, সুমি অনেক সময় স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিতেন। আর তার সেই সিদ্ধান্তের ওপরেই নির্ভর করতো পুরো দলের প্র্যাকটিস ও কনসার্ট। এমনটা হওয়া উচিত নয়। কারণ, কিছু সময় মানুষকে তার প্রিয় জিনিস ছেড়ে আসতে হয়। আমি ব্যান্ড ও সুমিকে সর্বোচ্চ জায়গায় নিয়ে গেছি। খারাপ সময়ে মোটেই ফেলে যাইনি। প্রসঙ্গত, তিতি ২০০৭ সালে লালন ব্যান্ডে যোগ দেন। এর আগে তিনি ফেইথ, আর্ক, স্বাধীনতা ও কানিজ সুবর্ণার সঙ্গে কাজ করেছেন।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫২

যে কারণে পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
থানাসহ পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। একই সঙ্গে পুলিশের যেকোনো স্থাপনায় হামলার শিকার হলে কীভাবে প্রতিহত করতে হবে সেই নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, সারা দেশের সব থানায় কমপক্ষে তিনটি সেইন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ করতে হবে। এ ছাড়া থানা বা পুলিশের যেকোনো স্থাপনায় হামলার শিকার হলে কীভাবে প্রতিহত করতে হবে তার নির্দেশনা পুলিশ সদরদপ্তর থেকে সব ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, সম্প্রতি কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা বান্দরবানে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুট করেছে। এ ধরনের ঘটনা যেন এড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এ বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত আইজিপি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বান্দরবানে অস্ত্র লুটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সব ইউনিটে অ্যালার্ম প্যারেডের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে, এটি নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া নির্দেশনার মতো ঢাকা মহানগর পুলিশও থানা ও পুলিশের স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছে। গত ২৩ এপ্রিল সার্কুলারটি জারি করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ডিএমপির সার্কুলারে বলা হয়েছে, প্রত্যেক থানায় কমপক্ষে তিনটি স্থায়ী সেন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ করতে হবে। তবে, বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ সংখ্যা কম বেশি হতে পারে। রাতে ডাবল সেন্ট্রি ডিউটি মোতায়েন করতে হবে। অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশের ছুটি বা অন্যত্র দায়িত্বে না রাখার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। বাইরের কারও দেওয়া খাবার খাওয়া যাবে না। অস্ত্রাগার সুরক্ষিত রাখতে হবে। রাতে নির্দিষ্ট সময় পর থানায় বাইরের কেউ প্রবেশ করলে নিরাপত্তার স্বার্থে চেকিং ও সতর্কতার সঙ্গে প্রবেশ করাতে হবে। এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকির জন্য নয়, সবাইকে সতর্ক রাখার জন্য এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৩

যে কারণে ২০ জনের বিসিএসের স্বপ্নভঙ্গ
৮ বিভাগীয় শহরের ২১৫ কেন্দ্রে একযোগে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা (এমসিকিউ) অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ (শুক্রবার)। সকাল ১০টা থেকে এই পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ১২টায়। পিএসসির নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্র প্রবেশ করেছেন। তাই সকাল সাড়ে ৯টার পর কেন্দ্রের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে শেষ সময়ে কোনোরকম সতর্কতা না জানিয়ে ফটক বন্ধ করে এবার পরীক্ষা দিতে পারেননি প্রায় ২০ জনের মতো। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর তেজগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। ফলে এই বিসিএসের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল এই পরীক্ষার্থীদের।  তাদের অভিযোগ, পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের কোনোরকম সতর্ক না করেই ঠিক ৯টা ৩০ মিনিটে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর এক মিনিটের মধ্যেই ভেতরে প্রবেশ করতে গেটের সামনে থাকা দায়িত্বরতদের আকুতি-মিনতি করেও লাভ হয়নি।  কুমিল্লা থেকে ঢাকায় বিসিএস পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন শাউলিনা। ১৫ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হলেও শেষ সময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকতে পারেনি তিনি। শাউলিনা বলেন, আমি ৯টা ১৫ মিনিটে এই এলাকায় চলে এসেছি। ঠিক ৯টা ৩১ মিনিটে রাস্তায় গেটের সামনে ছিলাম। সর্বশেষও আমি দেখলাম ঢুকতে দিচ্ছে, তখন আমি বাচ্চাটাকে একপাশে বসিয়ে রেখে এসে দেখি গেট বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, মূল গেটের দেয়াল টপকিয়ে দ্বিতীয় গেটে এসেছি, কিন্তু এখান থেকে ঢুকতে দেয়নি। ম্যাজিস্ট্রেটকে বারবার অনুরোধ করার পরও ঢুকতে দেননি। শাউলিনা বলেন, এটাই হয়তো আমার শেষ বিসিএস। আমার কাছে পরিবারের অনেক প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু এতো প্রস্তুতি নিয়ে এসে পরীক্ষাটাই দিতে পারলাম না। জানি না এখন আমার কী করা উচিত। এই মুখ নিয়ে আমি বাসায় যাব কী করে? এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, আমাদের নিয়মই ছিল ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা বারবার বলেছি। তারপরও যদি কোনো শিক্ষার্থী যথাসময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে আসতে না পারে, তাহলে আমাদের দৃষ্টিতে সে পরীক্ষার অযোগ্য।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৪

যে কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা
দিনাজপুরে দশ মাইল মোড়ে পেট্রোল পাম্পে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। একঘন্টার বেশি সময় কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে দিনাজপুর দশ মাইল মোড়ে আরিফ ফিলিং স্টেশন পেট্রোল পাম্পে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। পাম্পের ট্যাংকিতে জ্বালানি তেল থাকায় আগুনের ভয়াবহতা বাড়ে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর কাহারোল উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের টিম লিডার আব্দুল খালেক। তবে তিনি আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি। খবর পেয়ে দিনাজপুর শহরের ফায়ার সার্ভিস, কাহারোল উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও বীরগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসেসহ মোট ৩ টি ইউনিট একঘন্টারও বেশি সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পাম্পে থাকা দুটি ট্রাকেও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদিকে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উত্তেজিত জনতার হামলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অফিসার ইনচার্জসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৬

যে কারণে আল্লাহ বৃষ্টি বন্ধ করে দেন
জাকাত মানে পবিত্রতা ও প্রবৃদ্ধি। যা ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের একটি। আল-কোরআনে নামাজের নির্দেশ যেমন ৮২ বার রয়েছে, অনুরূপ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জাকাতের নির্দেশনাও রয়েছে ৮২ বার। জাকাত আদায় না করলে আল্লাহর কঠিন শাস্তি রয়েছে। এটি আদায়ে গড়িমসি করলেও কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। হযরত আবদুল্লাহ বিন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেন, হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। যখন কোন জাতি ওজন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, কঠিন বিপদ-মুসীবত আর জাকাত আদায় না করলে তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদি ভু-পৃষ্ঠে চতুষ্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না। যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তার রসুলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাসীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ সবকিছু কেড়ে নেয়। যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযীলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে দেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস ৪০১৯)   পবিত্র কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! পণ্ডিত ও সংসারবিরাগীদের অনেকে লোকদের মালামাল অন্যায়ভাবে ভোগ করে চলছে এবং আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত রাখছে। আর যারা স্বর্ণ ও রুপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আজাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। (সুরা: তাওবাহ, আয়াত: ৩৪) সেদিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে (সেদিন বলা হবে), এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্য জমা রেখেছিলে, সুতরাং এক্ষণে আস্বাদ গ্রহণ কর জমা করে রাখার। (সূরা তাওবা, আয়াত ৩৫) তাপদাহে পুড়ছে দেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। চলমান এই অবস্থা আরও তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর, ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও তিন দিন বাড়িয়েছে। দেশের নানান জায়গায় ইসতিসকা বা বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ আদায় করা হচ্ছে। 
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪৫

যে কারণে চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ কর্মকর্তা
একজন উপপরিচালক, একজন অফিসার ও ৫৫ জন সহকারী পরিচালকসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের মোট ৫৭ জন কর্মকর্তা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়। চাকরি ছেড়ে যাওয়া এসব কর্মকর্তা বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩ জন করে, সিলেট অফিসে ২ জন, মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত ছিলেন। এসব কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের ঘাটতিতে হতাশা, চাকরির সুযোগ-সুবিধা কমে আসার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন তারা। জানা গেছে, ২০১৮ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর অ্যাকাডেমি রেজাল্টের ভিত্তিতে চারটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট পেতেন যোগদানকারীরা। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের পূর্বে তিন বছর পূর্ণ হলে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির যোগ্য হতেন কর্মকর্তারা। বর্তমানে পদ খালি থাকলেও চাকরির বয়স পাঁচ বছর না হলে পদোন্নতি দেওয়া হয় না। পূর্বের ৯ মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ এখন এক থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে যে অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো সেটিও বন্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি চাকরির পঞ্চম গ্রেডে মাসিক কার মেইনটেন্যান্সের ৪৫ হাজার টাকা যে  ভাতা দেওয়া হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক তা দেয় না। অন্যদিকে, দেশের ব্যাংক খাতে বর্তমানে চলমান অস্থিরতা, সুযোগ সুবিধা কমানো, ব্যাংক একীভূতকরণ, খেলাপি ঋণের রেকর্ড, ডলার ও তারল্য সংকটের কারণে আতঙ্কিত হয়ে কর্মকর্তারা চাকরি ছাড়ছেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে। দেশের অন্য যেকোনো চাকরির মধ্যে তুলনামূলকভাবে ব্যাংকের বেতন ও সুবিধা বেশি ছিল বলে একসময় বিসিএস, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো চাকরি ছেড়ে অনেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসতেন। কিন্তু এখন তার উল্টো হচ্ছে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৮

যে কারণে প্রদর্শনের উপযোগী নয় রাফির ‘অমীমাংসিত’
সেন্সরবোর্ডে আটকে গেল রায়হান রাফির ‘অমীমাংসিত’ সিনেমা। সিনেমাটির চুলচেরা বিশ্লেষণে বোর্ড বলছে, এতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে। কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তুর সঙ্গে বাস্তবতার মিল রয়েছে। যে কারণে তা জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন উপযোগী নয়। বুধবার (২৫ এপ্রিল)  সিনেমাটির প্রযোজক শহিদুল আলম সাচ্চুকে দেওয়া সেন্সর বোর্ডের উপপরিচালক মো. মঈনুদ্দীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি সিনেমাটির টিজার সামনে এলে দর্শকদের কেউ কেউ বলছিলেন, সিনেমাটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে বানিয়েছেন রাফী। কেউ আবার আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এর মিল খুঁজে পান। যদিও সিনেমা সংশ্লিষ্ট কেউ কিংবা সেন্সর বোর্ডও সরাসরি সাগর-রুনির নাম বলেননি। সেন্সর বোর্ড বলছে এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। চলচ্চিত্রটির কাহিনী/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সঙ্গে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে। সেন্সর বোর্ডের চিঠিতে বলা হয়, গত ৩ মার্চ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনেমাটি পরদিন ৪ মার্চ সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা পরীক্ষা করেন। এরপর সেটি অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ২২ এপ্রিল বোর্ড সদস্যরা পুনরায় পরীক্ষা করেন। পুনরায় যাচাই শেষে বোর্ড সভায় চলচ্চিত্রটির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেন্সর বোর্ডের সদস্যদেও মতে, ‘দি কোড ফর সেন্সরশিপ অব ফিল্মস ইন বাংলাদেশ, ১৯৮৫ এর ১ এর প্রথম, পঞ্চম ও সপ্তম দফায় বর্ণিত উপাদানসমূহ বিদ্যমান থাকায় ‘অমীমাংসিত’ চলচ্চিত্রটি জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন উপযোগী নয়।ফলে ‘দি বাংলাদেশ সেন্সরশিপ অব ফিল্মস রুলস, ১৯৭৭’ এর বিধি ১৬ (৫) অনুযায়ী চলচ্চিত্রটির সেন্সরপত্রের আবেদন বাতিল বা সেন্সরপত্র দিতে অস্বীকারের কথা জানায় সেন্সরবোর্ড। তবে সিনেমাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা চাইলে আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সেন্সর বোর্ডের উপপরিচালক মো. মঈনুদ্দীন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়