• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঈদ আসলে এখন মনে হয় বড় হয়ে গিয়েছি : ইভানা
ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। সাধারণ মানুষ তো বটেই ঈদের খুশি সবার সাথে ভাগ করার জন্য তারকারাও মুখিয়ে থাকে এই দিনটির জন্য। শত ব্যস্ততার মাঝেও তারকারা এ সময় নিজের পরিবারকে সময় দেন। ঘুরতে যান বন্ধুদের সাথে। আরটিভির ঈদ আয়োজনে ঈদ সহ নানা বিষয় নিয়ে কথা হলো বর্তমান সময়ের অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রী ইভানার সাথে।  আরটিভি : ঈদ কোথায় করলেন?  ইভানা: ঈদ ঢাকাতেই করেছি। আর এখন ঈদ নিয়ে তেমন পরিকল্পনা থাকে না। ছোট বেলায় আগে অনেক প্লেন করতাম। মেহেদী দিবো, চাঁদরাতে ঘুরবো, ঈদের দিন ঘুরবো। কিন্তু এখনকার ঈদ নিয়ে তেমন কিছুই করা হয়না। কারণ কাজিনদের অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে। এবার ঈদটা আমার জন্য অনেক স্পেশাল কারণ তিন বছর পর মা বাংলাদেশে এসেছে। ঈদে মায়ের হাতের রান্না খেয়েছি অনেক বছর পর।  আরটিভি : তারকা হওয়ার আগের ঈদ ও এখনকার ঈদে কি পার্থক্য?  ইভানা : তারকা হওয়ার আগের ঈদ গুলোই ভালো ছিল। আসলে এক একটা বয়স থাকে। বয়সের সাথে সাথে পারিপার্শ্বিক অবস্থাও পরিবর্তন হয়। ঈদ আসলে এখন মনে হয় বড় হয়ে গিয়েছি। আগে সালামি নিতাম এখন দিতে হয়। সত্যি কথা বলতে এখন আর আগের মত ঈদ ঈদ ভাইভটা পাইনা। আমি খবুই সাধারণ মানুষ। আমি নিজেকে কখনোই তারকা মনে করি না। হয়তো মানুষ ভালোবাসে পছন্দ করে বলেই তারকা বলে ডাকে। আমি নিজেকে কখনোই বড় কিছু মনে করিনা। আমি খুব সাধারণ ভাবেই জীবন কাটাই।  আরটিভি : ঈদ নিয়ে মজার কোন স্মৃতি? ইভানা: ঈদ নিয়ে অনেক ছোট বেলার মজার স্মৃতি আছে। ছোটবেলায় যৌথ পরিবার ছিলো। তখন অন্যরকম আনন্দে ঈদ কাটতো। প্রতিটা বাসায় গিয়ে সবার কাছ থেকে সালামি নিতাম। কে কত কার থেকে সালামি পেয়েছি সেটি গুনতাম। সালামির টাকা দিয়ে কি কিনবো টা প্লেন করতাম। আব্বুকে নিয়ম করে দিয়েছিলাম আমাকে সবচেয়ে বেশি সালামি দিতে হবে। আম্মু গৃহিনী ছিলো তাও আম্মুর থেকে সালামি নিতাম। আম্মু আবার আমারকে বলতো কে কত সালামি দিয়েছে? সেই টাকা গুলো দিতে কিন্তু আমি দিতাম না। আসলে ঈদ নিয়ে মজার স্মৃতি বলে শেষ করা যাবে না। আর এখন আমার কাছে ঈদের আনন্দ মানে কাজ দেখে দর্শকদের ভালোবাসা পাওয়াটা।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৮

‘শেষমেশ’-এ কাজের অভিজ্ঞতা দারুণ ছিলো : পারসা ইভানা
ছোট পর্দার বর্তমান সময়ের অভিনেত্রী পারসা ইভানা। বিশেষ করে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটক দিয়ে ভক্তদের কাছে দারুণ খ্যাতি অর্জন করেছেন করেছেন তিনি। এই ভালোবাসা দিবসে বেশ কয়েকটি কাজ তার মুক্তি পেয়েছে। এবার ঈদে ব্যস্ত আছেন ‘শেষমেশ’ নিয়ে। যেটি পরিচালনা করেছেন বর্তমান সময়ের হিট মেশিন খ্যাত নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। ইভানা তার ফেসবুকে দুটো ছবি পোস্ট করে রহস্য জিইয়ে রেখেছেন। তিনি প্রকাশ করেননি তার চরিত্রের নাম ও ধরন। তবে আরটিভির সঙ্গে আলাপ হলে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, কাজের অভিজ্ঞতা বেশ দারুণ ছিল। গল্প, নির্মাণ সব কিছুতেই দর্শক ভিন্নতা খুঁজে পাবে। পাশাপাশি প্রতিটা চরিত্রে ভিন্নতা থাকছে। যা আগের কোনো কাজে ছিল না।  নির্মাতা অমি বলেন, আমাদের আশপাশে ফ্যামিলি প্রিয় এমন অনেক ছেলে দেখা যায়। অনেকে রিলেট করবে। পারিবারিক গল্পে আবেগের সঙ্গে অনেক হাস্যরস থাকে, সেই লেয়ারগুলো তুলে ধরতে চেয়েছি। ঈদে আমার এই একটিমাত্র কাজ আসবে। তাই সবসময়ের মতো কাজে যত্নশীল ছিলাম। ঈদুল ফিতরে ক্লাব ইলিভেনের ইউটিউবে ‘শেষমেশ’ প্রচারিত হবে। এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিয়াউল হক পলাশ, পারসা ইভানা, মনিরা মিঠু, চাষি আলম, শিমুল শর্মা, পাভেল, সুমন পাটোয়ারী, ইশরাত জাহিন, তানজিম অনিক, সাদিয়া তানজিন। ঈদের পরে শুরু হবে অমির ‘ফিমেল ৪’ ওয়েব ফিল্মের শুটিং। বহুল জনপ্রিয় এই কনটেন্টটি কোরবানির ঈদে ওটিটি প্লাটফর্ম বঙ্গ-তে মুক্তি পাওয়ার কথা।
২৮ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৮

‘আমরা কত অসহায়’
রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ছয়তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। এর মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে এবং পরিবারের কাছে ৩৮টি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নাড়া দিয়েছে দেশবাসীকে। এ ঘটনায় শোকে কাতর শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও। ঢালিউড থেকে টিভি ইন্ডাস্ট্রির তারকারা সবাই শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। সেই কাতারে আছেন অভিনেত্রী ইভানা। ইভানা তার ফেসবুকে লিখেছেন, আমরা কত অসহায়, আল্লাহ। এদিকে শোকস্তব্ধ অভিনেত্রী রুনা খান। কিছু বলার ভাষা নেই তার। শুধু লিখেছেন, গভীর শোক। আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খান নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে লেখেন, ঢাকার বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা। চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক লিখেছেন, ৪৬ জন মানুষের মৃত্যু আপনার কাছে খুব অল্প মনে হচ্ছে??? একবার ভাবুন তো এই ৪৬ জনের সঙ্গে কতশত হাজার জনের সখ্যতা, ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল! ভাবুন, আসুন সাবধান হই, বিবেকবান হই, সৎ হই, মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি! মহান আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডে ছয়তলা ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে এবং রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান এবং ঘটনাস্থলকে ‘ক্রাইম সিন’ ঘোষণা দিয়ে ভবনটির সামনে হলুদ ফিতা আটকে দেন। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। ভবনটিতে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ছাড়াও, স্যামসাংয়ের শোরুম, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, ইলিন, খানাস ও পিৎজা ইন আছে বলে জানা গেছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়