• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গৌরনদীতে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩
বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই পক্ষের তিনজন আহত হয়েছেন।  বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  আহতরা হলেন- গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক পৌর মেয়র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের কর্মী দেলোয়ার হোসেন দিলু, প্রতিপক্ষ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীর কর্মী মাহিলারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু এবং পলাশ হাওলাদার।   প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের এক নেতা বৃহস্পতিবার মৃত্যুবরণ করেন। তার জানাজার নামাজে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে যান চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পিকলু। সেখানে হারিছুর রহমানের সমর্থকরাও এলে দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের তিন-চারজন আহত হয়েছেন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন জানান, তারা আহতদের সুস্থ করতে সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করছেন। তবে সৈকত গুহের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত থাকায় তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। তার শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে কি না তা পরে নিশ্চিত হয়ে বলা যাবে। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৯ ঘণ্টা আগে

জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই আ.লীগ রাষ্ট্র পরিচালনা করছে: কাদের
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (২ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। কাদের বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সব অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি সবসময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধকোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আবার ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল। যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহণ করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা মানায় না। কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাটতন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশের ললাটে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনোদিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ায়নি। বরং বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা, সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষক হত্যা এবং বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে বন্দুকের জোরে মানুষকে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আদমজী জুটমিলসহ বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ধাপে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে, চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়িয়েছে।  কাদের বলেন, শ্রমজীবী মানুষসহ সব মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।  
২২ ঘণ্টা আগে

আ.লীগের বৈঠক : মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের ভোট করার বিষয়ে যা জানা গেল
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে স্বজনকে প্রার্থী করানো মন্ত্রী ও দলীয় এমপির তালিকা তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। অভিযুক্ত মন্ত্রী এবং দলীয় এমপিকে শোকজ করা হতে পারে। সাংগঠনিক শাস্তির পাশাপাশি কেড়ে নেওয়া হতে পারে দলীয় পদ-পদবি।  আওয়ামী লীগের তৃণমূলে এমন মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হলেও মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, বৈঠকের শুরু থেকে আমি ছিলাম না। আমি থাকা অবস্থায় উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের প্রার্থিতা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। সাংগঠনিক নানা বিষয়ে এবং বিভিন্ন দিবসকেন্দ্রিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এদিন সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কোন আলোচনা হয়নি। তবে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সাংগঠনিক নির্দেশনা অমান্য করলে সময়মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এ বছর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর হীরক জয়ন্ত জাকজমকপূর্ণভাবে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, শেখ কামালের জন্ম দিবস, ১৫ আগস্টসহ বিভিন্ন দিবস পালন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জানা গেছে, মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের বিষয়টি তোলেননি। সাংগঠনিক বিষয় পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানান। ফলে দলের অন্য নেতারা আর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেননি। প্রসঙ্গত, দেশে এখন ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে। এবার চার ধাপে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫টিতে ভোট হবে, পরে মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বাকিগুলোয় ভোটের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৮ মে থেকে প্রথম পর্যায়ের ভোট শুরু হবে।  
০১ মে ২০২৪, ০৪:২০

‌‘উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়নি’
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন দলের  সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে গণভবনে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কোন আলোচনা হয়নি। তবে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সাংগঠনিক নির্দেশনা অমান্য করলে সময় মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘এ বছর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর হীরক জয়ন্ত জাকজমকপূর্ণভাবে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, শেখ কামালের জন্ম দিবস, ১৫ আগস্টসহ বিভিন্ন দিবস পালন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৮

‌‘হিটস্ট্রোকে’ আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
বরিশালের বাকেরগঞ্জে ‌‘হিটস্ট্রোকে’ রিয়াজুল ইসলাম (৪২) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেন বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজিব আহমেদ তালুকদার। মৃত রিয়াজুল ইসলাম উপজেলার কলসকাঠী গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজিব আহমেদ বলেন, আমার নির্বাচনের প্রচারে দুপুরে অন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে কলসকাঠি বাজারে আসেন রিয়াজুল ইসলাম। পরে বাসায় ফিরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সেহতাব আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, রোগী হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা গেছেন। তবে তার হিস্ট্রি শুনে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হিটস্ট্রোকেই তার মৃত্যু হয়েছে। অন্য কোনো কারণ পাওয়া যায়নি।
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩০

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল আওয়ামী লীগ নেতার
বগুড়ার ধুনটে সড়ক দুর্ঘটনায় জুলফিকার আলী (৭৪) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে থানার পাশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন তিনি। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  জুলফিকার আলী মাস্টার বগুড়া ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের সরুগ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি সরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কালেরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরের দিকে জুলফিকার মোটরসাইকেলে উপজেলা সদরের দিকে যাচ্ছিলেন। থানার উত্তরপাশে পৌঁছলে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারান। এতে মোটরসাইকেল রাস্তার পাশে বটগাছে ধাক্কা দিলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৫

ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় শাহবাগ থানায় জিডি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ ওরফে খোকন এ জিডি করেন। জিডিতে বলা হয়েছে, ২০ এপ্রিল বেলা ১১টায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ২০ বছর মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেননি। একপর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই, সেহেতু মন্ত্রী ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন। জিডিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। যাতে মন্ত্রী মহোদয়ের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে। সরকারের ক্ষমতায় থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে?  মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। তার এই মিথ্যাচারের বক্তব্য যমুনা টেলিভিশন, আরটিভি, অন্যান্য স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়