• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেনজীরের সম্পদ: অনুসন্ধান প্রতিবেদন নিয়ে দুদককে হাইকোর্টের যে নির্দেশ
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পদের অনুসন্ধানের অগ্রগতির রিপোর্ট দুই মাসের মধ্যে দাখিল করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। এর আগে সোমবার বেনজীর আহমেদের সম্পদ অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান। এর আগে বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।  সম্প্রতি ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। দৈনিকটির দাবি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় আসেন পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।  এই সংবাদে বলা হয়, বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে। প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৮

বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।  এরই মধ্যে রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে দুদক চেয়ারম্যান ও সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে অঢেল সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার আয়ের বিচারে অভাবনীয়। প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে নতুন করে আলোচনায় উঠে আসেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদে। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে অঢেল সম্পদ গড়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেনজীরের অঢেল সম্পদের মধ্যে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে তার বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।  অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা। এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি পাঠিয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনও জানান, বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলো অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এই মহাপরিদর্শক, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের নামে থাকা অঢেল সম্পদ কীভাবে অর্জিত হয়েছে, তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেছেন তিনি।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৮

বেনজীরের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চান ব্যারিস্টার সুমন
সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান দাবি করেছেন। এ সময় তিনি হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এ নিয়ে এক আবেদন জমা দেন তিনি। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে আবেদন করেছি। সবাইকে আল্লাহ বাঁচাইছে, ‘বেনজীর সাহেব বেশিদিন সময় পাননি। আর কিছুদিন সময় পেলে গোপালগঞ্জ কিনে নিতেন। পুলিশে যারা অসৎ হবেন বেনজীর সাহেবকে আদর্শ ধরে নেবেন।’ দুদক চেয়ারম্যান বরাবর করা আবেদনে বলা হয়, ৩৪ বছর পর ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর বেনজীর আহমেদ অবসরে যান। অবসরের পর বেনজীর আহমেদ চাকরিকালীন স্ত্রী ও মেয়ের নামে অনেক সম্পদ গড়েছেন। যা তার জ্ঞাত-আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আবেদনে আরও বলা হয়, বেনজীর ও তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ এবং কন্যাসন্তান তাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে বেনজীর তার পদের অপব্যবহার করে উল্লিখিত সম্পত্তি অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অর্জন করেছেন। আবেদনে তিনি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, কন্যা ফারহিন রিশতা বিন্তে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের অবৈধ সম্পদ বিষয়ে তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করছি। পরে সাংবাদিকদের ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আসেছে। এটার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ইনকোয়ারির ব্যবস্থা না দেখে আমি দুদকের দ্বারস্থ হয়েছি। দুদক আমলে না নিলে হাইকোর্ট আছে মন্তব্য করে সুমন বলেন, সাবেক আইজিপির এতো সম্পদ দেখে সৎ পুলিশ অফিসার খুব বেশি ফ্রাস্ট্রেটেড হবেন। সৎ নাগরিকদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এটা যদি সত্য হয়, যারা অসৎ আছে তারা প্রতিযোগিতায় নামবে, আমরা সবাই বেনজির হতে চাই। এর জন্য মনে হয়েছে এটা দেশের জন্য ভয়ানক বিষয়। এটা ইনকোয়ারি হওয়া দরকার। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করেন ২০ এপ্রিল। ভিডিওতে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করে বলেন, এসবের দালিলিক প্রমাণ দিতে পারলে প্রমাণদাতাকে সেই সম্পদ বিনামূল্যে দিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৭

সাংবাদিককে কারাদণ্ডের ঘটনায় অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার সাংবাদিক শফিউর রহমান রানাকে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনার অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তথ্য কমিশন। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের নিকট প্রতিবেদন জমার বিষয়টি উপস্থাপন করেন প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক। সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক ও তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি। সাংবাদিককে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দেওয়ায় তথ্য কমিশনকে এ সময় ধন্যবাদ জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। প্রধান তথ্য কমিশনারের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গণমাধ্যম ও পেশাদার সাংবাদিকদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় যেকোন পেশাদার সাংবাদিকের অনাকাঙ্ক্ষিত হয়রানির বিপক্ষে এবং পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর। প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার আছে। সরকারের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করেছেন। এ আইনের আওতায় জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।   তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক বলেন, আগামীকাল (১৯ মার্চ) এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট উভয়পক্ষকে তথ্য কমিশনে সমন করা হবে বলেও প্রতিমন্ত্রীকে জানান প্রধান তথ্য কমিশনার। এ বিষয়ে তিনি তথ্য কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কেও প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এর আগে ঘটনাটি তদন্তের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুককে দায়িত্ব দেয় তথ্য কমিশন। দায়িত্ব পেয়েই তিনি গত ১০ মার্চ সকালে শেরপুর জেলা কারাগারে গিয়ে সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানার সঙ্গে কথা বলেন এবং তার বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। একইদিন দুপুরে তিনি নকলায় সাংবাদিক রানার বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীর সাথেও কথা বলেন। বিকেলে তথ্য কমিশনার নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিনের সঙ্গে সাংবাদিকের আবেদনের বিষয়ে কথা বলেন ও সাজার নথি দেখেন। গত পাঁচ মার্চ দেশ রূপান্তরের শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এ দণ্ডাদেশ দেন।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি  ইউএনও কার্যালয়ে প্রবেশ করে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথি জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কর্মরত সিএ শিলা আক্তার তাকে বাধা দিলে রানা তার সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং তাকে গালিগালাজ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হলে তার সঙ্গেও রানা অসদাচরণ করেন।  এ অভিযোগে নকলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রানাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নকলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে রানাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৪

এস আলমের অর্থ পাচার অনুসন্ধান নিয়ে হাইকোর্টের রুল খারিজ
এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে বিদেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অনুসন্ধান নিয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। এ বিষয়ে এস আলমের আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, রুল খারিজের পর এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের কোনো ধরনের অনুসন্ধান চলবে না। তবে দুদক, বিএফআইইউসহ সংশ্লিষ্টরা চাইলে নিজ উদ্যোগে অনুসন্ধান করতে পারবে বলে জানিয়েছেন আদালতে। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পাওয়ার পর দুদককে অনুসন্ধান করার জন্য পরামর্শ দেব। গত বছরের ৪ আগস্ট দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘এস আলমের আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে ৬ আগস্ট বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এই আদেশ দেন। দুদককে দুই মাসের মধ্যে অভিযোগ অনুসন্ধান করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন আদালত। মানি লন্ডারিং রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়। এ ছাড়া প্রকাশিত প্রতিবেদনের অভিযোগ অনুসন্ধানে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে অর্থ বাইরে পাঠানো হয়েছিল কি না, তা জানিয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে এই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এরপর গ্রুপটির মালিক সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল করেন। শুনানি শেষে গত বছরের ২৩ আগস্ট চেম্বার জজ বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন, তার ওপর ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করেন। এরপর গত ৮ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি হয়। আপিল বিভাগ এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন। 
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৩

তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কাজ আরও জোরদার করা হবে: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
অভ্যন্তরীণ সকল উৎস হতে দেশীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোলার বোরহানউদ্দিনে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে পেট্রোবাংলা ৪৬টি কূপ খনন, পুনঃখননের কার্যক্রম শুরু করেছে। এসব কূপ থেকে ৬১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। ২০২৩ সালে এই কার্যক্রমের আওতায় ১১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে, এ কার্যক্রম চলমান। তিনি বলেন, ভোলা দ্বীপ একটি গ্যাস সমৃদ্ধ অঞ্চল। এখানে আরও ৯টি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভোলার নদী এলাকায় দ্বিমাত্রিক ভূকম্পণ জরিপ করা হবে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাইপলাইন দিয়ে ৩ বছরের মধ্যে ভোলার গ্যাস মূল ভূ-খণ্ডে নেওয়া হবে। এছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভোলায় শিল্প গ্যাস সংযোগ দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। বর্তমানে ভোলা থেকে সিএনজি করে দৈনিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেশের মূল ভূ-খণ্ডের শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য নেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তা ২৫ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত করা হবে। সফরকালে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৪

শমসের মবিনকে শোকজ
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সিলেট-৬ আসনের সোনালী আঁশ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরীকে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।  বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনের জন্য গঠিত অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান আল আসাদ মো. মাহমুদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত নোটিশে তাকে এ শোকজ করা হয়। নোটিশে বলা হয়, নির্বাচনী এলাকা ২৫৪, সিলেট-৬ আসনে সোনালী আঁশ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরী। মঙ্গলবার গোলাপগঞ্জ থানা বাসেশ্বর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে তথা শিতেশ্বর গ্রামে ইন্তেজামিয়া কমিটি আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা বা অনুদান দিয়েছেন। নোটিশে আরও বলা হয়, এ বিষয়টি নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ এসেছে; যা নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর ৩ নং বিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এমতাবস্থায় আপনার (শমসের মবিন চৌধুরী) বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কেন সুপারিশ করা হবে না এই মর্মে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। 
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়