• ঢাকা সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১
logo
যেসব অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস
দেশের ছয়টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, রংপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।  এসব এলাকার নৌবন্দরকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা এবং কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে, এ ছাড়া দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৩ জুন ২০২৪, ০৯:৫৭

ঈদের আগে অর্থনীতিতে স্বস্তির হাওয়া
নানা সংকটের মাঝে অর্থনীতির পালে লেগেছে স্বস্তির হাওয়া। আর এই স্বস্তি এসেছে আসন্ন ঈদকে ঘিরে। ঈদ ঘিরে সার্বিক যেই লেনদেন হবে, তাতে দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। কোরবানির পশুর বাজার, রেমিট্যান্স, কেনাকাটা, ভ্রমণ ও বিনোদন ব্যয় থেকে আর্থিক লেনদেন অর্থনীতির পালে হাওয়া লাগাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। কোরবানির ঈদে সবচেয়ে বেশি অর্থের লেনদেন হয় পশুর বাজার ঘিরে। পশুর বাজারে গত ঈদে বিক্রি হয়েছিল ৬০ হাজার কোটি টাকার, এবার লক্ষ্য ৭৫ হাজার কোটি টাকার।  অর্থনীতি চাঙা করতে পশুর চামড়ারও ভূমিকা রয়েছে। অন্যদিকে বছরের অন্য যেকোনো মাসের চেয়ে এ সময় রেমিট্যান্স আসে সবচেয়ে বেশি। সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী এবং গার্মেন্টস শ্রমিক ও সারাদেশের দোকান কর্মচারীদের বেতন-বোনাস যুক্ত হয় ঈদ বাজারে। রোজার ঈদে পোশাক ও খাদ্যপণ্যে মানুষ বেশি ব্যয় করে। তবে এই ঈদেও এ খাতে ব্যয় নেহায়েত কম নয়। একইভাবে লবণ, মসলা, ছুরি-চাকু, পরিবহন, ভ্রমণ-বিনোদন বাবদও বেশ মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় হয়। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মানুষের সম্পৃক্ততা বিবেচনায় নিলে ঈদকেন্দ্রিক অর্থনীতির গুরুত্ব দিনকে দিন বাড়ছে। বিশেষত বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশে মুসলমানদের বেশির ভাগই এখন পশু কোরবানি দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। কোরবানির আগে ও পরে মিলিয়ে সপ্তাহ দেড়েক সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। পশুর হাট থেকে শুরু করে ব্যাংকপাড়া এবং পণ্যবাজার থেকে কামারবাড়ি-সবখানেই এখন চরম ব্যস্ততা।  অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশের মানুষের আর্থিক টানাটানি আছে এবারও, তবু আমার বিশ্বাস কোর বানির ঈদ ঘিরে দেশের অর্থনীতি চাঙা হবে। কারণ, এই সময় অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের অধিকাংশই চলে ঈদকে ঘিরে। আর এ কারণেই প্রতি বছরই দেশের অর্থনীতিতে ঈদের গুরুত্ব বাড়ছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে দেশে কোরবানি দেওয়ার হার যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে কোরবানির পশুর সংখ্যাও। ২০২২ সালে দেশে কোর বানি দেওয়া হয় ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি পশু। ওই বছর দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু ছিল ১ কোটি ২১ লাখ। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে দেশে কোরবানি দেওয়া হয় ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি, যার আর্থিক মূল্য ৬০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।  গত বছর কোরবানিযোগ্য পশু ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি। এবার দেশে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি। প্রত্যাশা করা হচ্ছে এবার কোরবানি দেওয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৫ হাজার থেকে ১ কোটি ১০ হাজার হতে পারে। যার মূল্য হতে পারে ৭০-৭৫ হাজার কোটি টাকা।  পশু কোরবানির সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতিতে চামড়ার ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, প্রতি বছর দেশে দেড় কোটিরও বেশি পশুর চামড়া পাওয়া যায়। এর প্রায় ৬০ শতাংশই আসে কোরবানির পশু থেকে। চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ খাতের মূল বাজার ৪-৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িত অন্যান্য বাজারসহ এ খাতে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। বছরের যেকোনো মাসের চেয়ে দেশে রেমিট্যান্স বেশি আসে এই কোরবানির ঈদের আগে। বছরের অন্য মাসের পুরো ৩০ দিনে যেখানে রেমিট্যান্স আসে ১৫ থেকে ১৬ হাজার কোটি- টাকার মতো, সেখানে কোরবানির ঈদের আগের মাত্র দুই সপ্তাহেই আয়ে ১৬ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকার মতো। দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে গত মে মাসে ২২৫ কোটি (২.২৫ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর চলতি জুন মাসের প্রথম ৭ দিনেই প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৭২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ১০ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। এর আগে কখনোই এক দিনে ১০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসেনি। বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১১৮ টাকা) হিসাবে। টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৮ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ১০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার; টাকার অঙ্কে যা ১ হাজার ২২৪ কোটি। মাসের বাকি ১৮ দিনেও এই হারে এলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের হিসাব ৩১১ কোটি ২৭ লাখ (৩.২৭ বিলিয়ন) ডলারে পৌঁছাবে। যা হবে একক মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। যেহেতু আগামী ১৭ জুন ঈদুল আজহা, তাই বাকি কয়েক দিনে যত রেমিট্যান্স আসবে তাতে ঈদের আগে চলে আসবে ১৬ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা। প্রতি বছর দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। রসুনের চাহিদা ৫ লাখ টন, আদা ৩ লাখ টন। এর উল্লেখযোগ্য অংশই পশু কোরবানিতে ব্যবহার হয়। গরম মসলা বিশেষ করে এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, জিরা, তেজপাতারও উল্লেখযোগ্য অংশ কোরবানিতে ব্যবহার হয়। কোরবানির বাজারে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হবে এসব পণ্যে। কোরবানির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো কামার আইটেম। ছুরি, বঁটি, দা, চাপাতি, কুড়াল, রামদা ছাড়া কোরবানিই সম্ভব নয়। সঠিক কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কোরবানিতে পণ্যটির বাজার এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের এক সমীক্ষায় বলা হয়, ঈদে পরিবহন খাতে অতিরিক্ত যাচ্ছে ১ হাজার কোটি টাকাও বেশি। এ উৎসবে ভ্রমণ ও বিনোদন বাবদ ব্যয় হয় ৪ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে আরও কয়েকটি খাতের কর্মকাণ্ড অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সাড়ে ২০ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সম্ভাব্য বোনাস বাবদ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। দেশব্যাপী ৬০ লাখ দোকান কর্মচারীর বোনাস ৫ হাজার কোটি টাকা। পোশাক ও বস্ত্র খাতের ৭০ লাখ শ্রমিকের সম্ভাব্য বোনাস ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ অর্থ ঈদ অর্থনীতিতে বাড়তি যোগ হচ্ছে। এ ছাড়া কোর বানির ঈদে ফ্রিজের বিক্রি বেড়ে যায়। কোর বানির ঈদে ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ফ্রিজ বিক্রি হয় বলে জানা গেছে। দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, কোরবানিকে কেন্দ্র করে অর্থনীতিতে হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। এই অর্থ শহর থেকে গ্রামে আবার গ্রাম থেকে শহরে আসছে। এক কথায় ঈদকে ঘিরে দেশের সর্বত্র একটা কর্মচাঞ্চল্য দেখা দেয়, গতি আসে অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে। তিনি আরও বলেন, সত্য বলতে কি- আমরা যারা ব্যবসায়ী তারা সারা বছর অপেক্ষায় থাকি দুই ঈদ বাজারের। এর মধ্যে রোজার ঈদ বাজার থাকে পোশাক ও খাদ্যপণ্যকে ঘিরে, আর কোরবানির ঈদ চাঙা থাকে পশুর বাজারকে কেন্দ্র করে। যদিও এখন দেশের মানুষ আর্থিক টানাপাড়েন রয়েছে, তবু আমাদের প্রত্যাশা এবারের ঈদেও সব শ্রেণির ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ভালো হবে।
১২ জুন ২০২৪, ১৬:১৫

৪ অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস
দেশের ৪ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সঙ্গে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আরেক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।  এ ছাড়া রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণও হতে পারে।
০৫ জুন ২০২৪, ১০:১৮

দুপুরের মধ্যে ৯ অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার আভাস
দেশের ৯টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকায় বজ্রবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে  আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে সোমবার (৩ জুন) রাতে দেওয়া আবহাওয়ার সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর বিস্তার লাভ করেছে। মৌসুমি বায়ু দেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে- বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
০৪ জুন ২০২৪, ০৮:২০

৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে যেসব জেলায়
দুপুরের মধ্যে দেশের সাত জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সোমবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, দিনের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
৩০ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৩

শাবনূরের চলচ্চিত্রে ফেরা নিয়ে যে মন্তব্য করলেন রিয়াজ
ঢাকাই সিনেমার অন্যতম সফল জুটি বলা হয় শাবনূর ও রিয়াজকে। ক্যারিয়ারে একসঙ্গে অসংখ্য ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তারা। শুধু তাই নয়, খুব অল্প সময়ে দর্শকদের নজর কাড়েন এই জুটি।    প্রায় ৪০টির বেশি সিনেমায় জুটি বেঁধে কাজ করেছেন শাবনূর-রিয়াজ। ২০১২ সালের পর দুজনই অনিয়মিত হয়ে পড়েন চলচ্চিত্র। ভেঙে যায় দর্শক নন্দিত এই জুটি। তবে দীর্ঘ বিরতির পর আবারও চলচ্চিত্রে ফেরার ঘোষণা দেন শাবনূর। ইতোমধ্যে ‘রঙ্গনা’ এবং ‘মাতাল হাওয়া’ নামে ছবি দুটিতে অভিনয় করবেন। আলোচনা চলছে আরও দু-একটি সিনেমা নিয়ে।     শাবনূরের এই ‘কামব্যাক’—কে বেশ বাহবা দিচ্ছেন ভক্তরা। পাশাপাশি তার সহকর্মীরাও স্বাগতম জানিয়েছেন এই নায়িকাকে। এবার শাবনূরের চলচ্চিত্রে ফেরার প্রসঙ্গে নিয়ে কথা বলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ।  সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে এসে নিজের নানান কাজ নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি শাবনূরের চলচ্চিত্রে ফেরা নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। রিয়াজ বলেন, সিনেমা যদি শাবনূরকে করতেই হয় তাহলে সে ভালো কিছু করুক। সবসময় তার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভ কামনা রয়েছে। কিছুদিন আগে একটি ঘরোয়া পার্টিতে শাবনূরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, অভিনন্দন জানিয়েছি তাকে।   চিত্রনায়ক আরও বলেন, আমি বলব—  শাবনূর যদি সিনেমা করতে চায়, তাহলে এত দিন বিরতিতে থাকার মানে কী ছিল? আসলে অনেক সময় আমরা নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। শাবনূর কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা আমি জানি না।   বন্ধু হিসেবে শাবনূরের উদ্দেশে রিয়াজের ভাষ্য, যদি সিনেমা করতে চায় তাহলে তার উচিত হবে ২০২৪-এর কনটেন্ট, স্ক্রিপ্ট এবং পরিচালক নির্বাচন করে সিনেমা করা। শাবনূরকে এমনিতেই মানুষ ১০০ বছর মনে রাখবে। তবে সে আবার যে সিনেমা  করবে, সেই সিনেমা যেন তাকে পরবর্তী আরও ১০০ বছর বাঁচিয়ে রাখে।   রিয়াজ বলেন, তাকে মনে রাখতে হবে, সে যে সময়টা বিরতি নিয়েছিল, এর মাঝে বাংলাদেশের সিনেমা এবং মিডিয়ায় অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। আগে অনেকেই ছিল,  যারা এখন বেঁচে নেই। তাই যদি শাবনূর স্ক্রিপ্ট, ডিরেক্টরসহ পুরো টিম ঠিকঠাকভাবে সিলেক্ট করে আবার সিনেমা করে, তাহলে আমি বলতে চাই, তার সিনেমায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত সঠিক হবে।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৩

সবারই ভুল ভাঙবে: শাবনূর
ঢাকাই সিনেমার নন্দিত নায়িকা শাবনূর। দুই যুগের বর্ণিল ক্যারিয়ার তার। অভিনয় করেছেন প্রায় আড়াই শতাধিক চলচ্চিত্রে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে বড় পর্দায় অনুপস্থিত তিনি। সম্প্রতি সিনেমা করার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন এই নায়িকা। দেশে ফেরার আগে তিনি যুক্ত হয়েছেন তরুণ নির্মাতা আরাফাত হোসেনের ‘রঙ্গনা’ সিনেমায়। এই সিনেমার মাধ্যমে বিরতি পেরিয়ে নতুনভাবে শাবনূরের প্রত্যাবর্তন হচ্ছে। সম্প্রতি সিনেমাটির একটি পোস্টার প্রকাশ্যে এলে আলোচনার পাশাপাশি সমালোচিত হন শাবনূর। বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, যে পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে তা তো একটা ডামি মাত্র। সিনেমাটির কাজ শুরু করি, নতুন পোস্টার আসুক, সিনেমা মুক্তি পাক, তাহলে দেখবেন আমার মতো দর্শকও এ গল্প পছন্দ করেছেন। দর্শকদের আশ্বস্ত করে শাবনূর বলেন, আমাকে যারা ভালোবাসেন তারা আমাকে ভালো কাজে দেখতে চান। আমি ভালো কাজ দিয়ে ফেরার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছি। যে সিনেমা দিয়ে ফিরছি, সে কাজটি মুক্তির পর সবারই ভুল ভাঙবে। পরিচালক তরুণ হলেও কাজটি তার নতুন নয়। দারুণ একটি সিনেমা তিনি উপহার দেবেন। কিছুদিন আগে শোনা যায়, চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত একটি সিনেমায় মাহফুজ আহমেদের বিপরীতে অভিনয় করবেন শাবনূর। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মাতাল হাওয়া’ সিনেমাটি এখনো চূড়ান্ত নয়। সিনেমাটি নিয়ে এখনো বিস্তারিত আলাপ বাকি রয়েছে, প্রস্তাব পেয়েছি মাত্র। আগে গল্প ও চিত্রনাট্য দেখি, তারপর ব্যাটে-বলে মিললে অবশ্যই সিনেমাটি করব।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৩

নৌকার পালে বিজয়ের হাওয়া লেগেছে : এনামুল হক 
শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ দেশের মানুষ একমাত্র শেখ হাসিনার ওপর আস্থাশীল ও তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক নৌকা। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকা। সুতরাং চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার করে নৌকার বিজয় ঠেকানো যাবে না। নৌকার পালে বিজয়ের হাওয়া লেগেছে, নৌকার জয় সুনিশ্চিত। সোমবার (১ জানুয়ারি) শরীয়তপুর-২ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এনামুল হক শামীম বলেন, সারা দেশে নির্বাচনী উৎসব বিরাজ করছে। এ দেশের মানুষ আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য প্রস্তুত। বিশেষ করে নড়িয়া-সখিপুরে কখনও নৌকা পরাজিত হয়নি। এ জনপদ নৌকার জনপদ, নৌকার ঘাঁটি। তিনি বলেন, নড়িয়া-সখিপুরের মানুষ ভালো করেই জানে নৌকায় ভোট দিলে উন্নয়ন হয়। ২০১৮ সালে আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন বলেই নড়িয়ায় বেড়িবাঁধ হয়েছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ, নতুন নতুন ভবন হয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সব ক্ষেত্রেই নড়িয়া-সখিপুর এগিয়ে যাচ্ছে। তাই নড়িয়া-সখিপুরের মানুষ আবারও নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন-সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম ইসমাইল হক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য জহির সিকদার, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান জাকির বেপারী, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নাজমা মোস্তফা, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সরদার, সাধারণ সম্পাদক জাফর শেখ, ঘরিষার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব খান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নুর এ আলম আশিক প্রমুখ।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:১৮

ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রাম
ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। দুদিন থেকে কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশায় সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা থাকছে চারদিক। সঙ্গে বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। ফলে শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে এ জেলায়। কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলছে যানবাহন। শীত বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। শিশু বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত রোগে।  সোমবার (১ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুদিন থেকে জেলায় সন্ধ্যা নামলেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। রাতভর থাকে তীব্র শীতের প্রকোপ। সকালে কুয়াশা আর বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া শিশিরে নাজেহাল হয়ে পড়েছে দিন মুজুর শ্রেণির মানুষ। ঘন কুয়াশায় চলতি ইরি মৌসুমের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। শ্রমিক আমিনুর ইসলাম জানান, শীত আর কুয়াশা থাকায় সকাল সকাল কাজে যোগ দিতে পারছেন না তারা। অনেকটা বেলা হওয়ার পর তাদের কাজে যোগ দিতে হচ্ছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, এখন প্রতিদিন তাপমাত্রা কমে আসবে এবং ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীতের তীব্রতা বাড়বে এ জেলায়। 
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়