• ঢাকা সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১
logo
লোকসভায় বিরোধী দলীয় নেতা হচ্ছেন রাহুল গান্ধী
এক দশক পর বিরোধীদলীয় নেতা পেতে যাচ্ছে ভারতের লোকসভা। আর সে ক্ষেত্রে বিরোধী দলীয় নেতা হতে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শনিবার (৮ জুন) বিরোধী দলটির সর্বোচ্চ নির্বাহী ফোরাম ‘কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি’ (সিডব্লিউসি) সর্বসম্মতভাবে রাহুলকে বিরোধী দলীয় নেতা করতে প্রস্তাব পাস করেছে। রাহুল এ দায়িত্ব নিতে রাজি হলে এক দশক পর লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেতা হবেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি এবং নিজের কেন্দ্র কেরালার ওয়েনাড় থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেসের সাবেক এই সভাপতি। রাহুলকে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতার। বৈঠক শেষে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি ভেনুগোপাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, লোকসভায় রাহুল গান্ধীকে বিরোধী নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, সিডব্লিউসির সভায় রাহুলকে বিরোধী দলীয় নেতা করার ব্যাপারে প্রস্তাব উঠলে তিনি বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি ভাববেন। তখন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে তাকে মনে করিয়ে দেন, সিডব্লিউসি এ বিষয়ে প্রস্তাব পাস করেছে। পদটি তারা গ্রহণ করা উচিত। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল সভার পর বলেন, “পৃথক একটি প্রস্তাবে সিডব্লিউসি রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলীয় নেতার পদ গ্রহণে সর্বসম্মতভাবে অনুরোধ করেছে। সভায় অংশগ্রহণকারী সবাই একমত যে, রাহুল গান্ধীরই বিরোধী দলীয় নেতা হওয়া উচিত।” প্রয়োজনীয় আসন না পাওয়ায় গত দুই নির্বাচন ২০১৪ ও ২০১৯ সালে লোকসভায় কেউ বিরোধী দলের নেতা ছিলেন না। বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে গেলে ৫৪৩টি আসনের অন্তত ১০ শতাংশ আসন জিততে হয়। গত দুই মেয়াদে কংগ্রেস কিংবা অন্য কোনো দলই তা পায়নি। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট ২৩৩টি আসন জিতেছে। কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছে ৯৯টি আসন। এর মধ্যে দলের নেতা রাহুল গান্ধীর দুটি। একটি উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি ও অপরটি কেরালার ওয়েনাড়। লোকসভায় ২৯২টি আসন পেয়ে সরকার গড়তে যাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ। রোববার (৯ জুন) তৃতীয়বারের মতো সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। শপথ নেবেন তার মন্ত্রিসভার সদস্যরাও।  
০৮ জুন ২০২৪, ২০:৩৪

২৯৮ আসনের ফল ঘোষণা, বড় ব্যবধানে এগিয়ে বিজেপি
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মোট ২৯৮টি আসনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ১৪৮টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। অন্যদিকে, ৫৮টি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। অন্যান্য দলগুলো বাকি আসনগুলো পেয়েছে। এর মধ্যে ২৩টি আসনে জয় পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)। ১৪টি আসন পেয়েছে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। পাঁচটি আসনে জয় পেয়েছে দ্রাভিদা মুন্নেত্র কাঝাগাম (ডিএমকে)। জনতা দল পেয়েছে চারটি আসন। তিনটি করে আসন পেয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (সিপিআইএম) ও আম আদমি পার্টি। দুটি করে আসনে জয় পেয়েছে ও জনতা দল (জেডি-এস), তেলেগু দেশাম, শিব সেনা (এসএইচএসইউবিটি), শিব সেনা (এসএইচএস) ও জনতা দল (সেকুলার)। এছাড়া একটি করে আসন পেয়েছে রাষ্ট্রীয় লোক দল, জম্মু এবং কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স (জেকেএন), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (এইচএএমএস), রেভিউলেশনারী সোশালিস্ট পার্টি (আরএসপি), ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি), ভয়েজ অফ দ্য পিপলস পার্টি, জোরাম পিপলস মুভমেন্ট, শিরোমনি আকালি দল, রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি, ভারত অধিবাসী পার্টি, সিকিম ক্রান্তি মোর্চা ও আজাদ সমাজ পার্টি। ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, বিজেপি ৮৯টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৩৯টি আসনে। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ১৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ১৫টি আসনে। ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে একটি দল বা জোটের ২৭২টি আসন প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে এটা নিশ্চিত যে, বিজেপি এককভাবে ক্ষমতায় আসতে পারছে না। বিজেপি যেসব আসনে এগিয়ে রয়েছে, সেগুলোতে জয় ধরলেও আসনসংখ্যা দাঁড়ায় ২৪৪টি। অন্যদিকে একই হিসাবে কংগ্রেসের আসনসংখ্যা দাঁড়ায় ৯৮। উল্লেখ্য, সাত ধাপে টানা দেড় মাস ভোটগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা পর্ব। গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয় এবারের লোকসভা নির্বাচন। সাত ধাপে ভোট শেষ হয় গত ১ জুন।
০৪ জুন ২০২৪, ২১:১৮

রাহুল গান্ধীর বড় জয়
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কেরালা ওয়েনাডে ও উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি আসনে  জয় পেয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য, কেরালা ওয়েনাডে আসনে রাহুল পেয়েছেন ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৪৪৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (সিপিআই) প্রার্থী অ্যানি রাজা পেয়েছেন ২ লাখ ৮৩ হাজার ২৩ ভোট। দুজনের ভোটের ব্যবধান ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৪২২। অন্যদিকে, ভারতের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি আসনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী চার লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজেপির প্রার্থী দীনেশ প্রতাপ সিংকে পরাজিত করছেন। একই প্রতিদ্বন্দ্বীকে মা সোনিয়া গান্ধীর থেকেও বেশি ব্যবধানে হারিয়েছেন ছেলে রাহুল। ফেসবুক পোস্টে দীনেশ বলেন, তিনি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে, কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে রায়বেরেলির জনগণের সেবা করেছেন। এই সেবাকালে যদি তার চিন্তা, কথা বা কাজে কোনো ভুল হয়ে থাকে কিংবা তিনি কাউকে আহত করে থাকেন, তাহলে তিনি ক্ষমা চান। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত মোট ২২০টি আসনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১৪টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। ৫০টি আসনে জিতেছে কংগ্রেস।  সাত ধাপে টানা দেড় মাস ভোটগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা পর্ব। গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয় এবারের লোকসভা নির্বাচন। সাত ধাপে ভোট শেষ হয় গত ১ জুন।
০৪ জুন ২০২৪, ২০:৪৮

রায়বেরেলিতে বিজেপি প্রার্থীকে ৪ লাখ ভোটে হারালেন রাহুল গান্ধী
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি আসনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কাছে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির প্রার্থী দিনেশ প্রতাপ সিং। দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা নির্বাচনি কার্যক্রম শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ জুন)  সকাল ৮টায় ভোট গণনা শুরু হয়। ইন্ডিয়া টুডের দুপুর ১টা ৪২ মিনিটে হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, রাহুল গান্ধীর কাছে দিনেশ পরাজয় স্বীকার করেন। ভোট গণনা চলাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন দিনেশ। এতে তিনি রায়বেরেলির জনগণের কাছে ক্ষমা চান। বলেন, তার দলের সদস্যরা কংগ্রেসের এই ঘাঁটিতে (রায়বেরেলি) বিজেপির জয় নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু জনগণের রায় দেওয়ার বিষয়টি তার দলের সদস্যদের হাতে ছিল না। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, ভারতের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি আসনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ৪ লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজেপির প্রার্থী দীনেশ প্রতাপ সিংকে পরাজিত করছেন। নিজের অপর আসন ওয়েনাডেও এগিয়ে রয়েছেন এই কংগ্রেস নেতা। ফেসবুক পোস্টে দিনেশ বলেন, তিনি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে, কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে রায়বেরেলির জনগণের সেবা করেছেন। এই সেবাকালে যদি তার চিন্তা, কথা বা কাজে কোনো ভুল হয়ে থাকে কিংবা তিনি কাউকে আহত করে থাকেন, তাহলে তিনি ক্ষমা চান। রায়বেরেলি কংগ্রেসের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। গত ২০ মে এই আসনে ভোট হয়।  
০৪ জুন ২০২৪, ১৬:৪৮

রাহুল ইস্যুতে লখনৌ মালিককে ধুয়ে দিলেন শেবাগ
আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরে যায় লখনৌ। এরপর দলপতি লোকেশ রাহুলের ওপর প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দেন লখনৌ চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। রাহুল বিরস বদনে দলের মালিকের সেসব কটুকথা শুনেছেন।  রাহুলের সঙ্গে দলটির মালিকের এমন আচরণ মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। সেই ঘটনায় এবার মুখ খুললেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার বীরেন্দ্রর শেবাগ। সম্প্রতি ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেবাগ বলেন, এই সব ব্যবসায়ীরা বোঝে শুধু লাভ-ক্ষতি। কিন্তু এখানে তো তার কোনো ক্ষতিও হয়নি। তাহলে কী নিয়ে এত ক্ষুব্ধ? আপনি ৪০০ কোটি রুপি আয় করেন। এটা এমন ব্যবসা, যেখানে আপনার নিজের কিছুই করার নেই। এখানে কাজ করার জন্য অন্যরা আছে। যাই ঘটুক না কেন, আপনি তো লাভ করছেন। তিনি আরও বলেন, আপনার কাজ খেলোয়াড়দের উৎসাহ যোগানো। যে ঘটনাটা ঘটেছে, এই খেলোয়াড় চলে যেতে চাইলে তো নেওয়ার জন্য আরও ফ্র্যাঞ্চাইজি আছে। আর আপনি যদি একজন খেলোয়াড়কে হারিয়ে ফেলেন, আপনার জেতার সুযোগ তো শূন্য। এদিকে, ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইকে লখনৌর দলের একটি সূত্র জানিয়েছে আগামী মৌসুমে রাহুলকে ছেড়ে দিতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সেক্ষেত্রে নতুন কোনো দলে দেখা যেতে পারে তাকে। লখনৌর জার্সিতে এখন পর্যন্ত তিন আসর মিলিয়ে ৩৬ ম্যাচে ১৩৫০ রান করেছেন তিনি। চলতি আসরেও ১২ ম্যাচে ৩৮ গড়ে করেছেন ৪৬০ রান। এবারের আসরে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এখনও প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে আছে লখনৌ।   মূলত, গত ৮ মে লখনৌ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ১০ উইকেটে পরাজয় বরণ করে। এদিন আগে ব্যাট করে লখনৌ ৪ উইকেটে ১৬৫ রান করে লখনৌ। জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়েই মাত্র ৯.৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ।
১৩ মে ২০২৪, ১৭:৪২

রাহুল ও পুরান ঝড়েও রক্ষা পেলো না লখনৌ, শুভসূচনা রাজস্থানের
চলমান আইপিএলের চতুর্থ ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। এই ম্যাচে লখনৌকে ২০ রানে হারিয়ে আসরে শুভসূচনা করেছে রাজস্থান। রোববার (২৪ মার্চ) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে লখনৌকে ১৯৪ রানের লক্ষ্য দেয় রাজস্থান। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান তুলতে পারে রাহুল-পুরানরা। এতে ২০ রানের জয় পায় রাজস্থান। এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে রাজস্থান র‌য়্যালসের দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও জশ বাটলার। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি দুজনের কেউই। ৯ বলে ১১ রান করে বাটলার আউট হলে ১২ বলে ২৪ রান করে তাকে সঙ্গে দেন জয়সওয়াল। তৃতীয় উইকেটে ব্যাটিংয়ে এসে রান তুলতে থাকেন সঞ্জু স্যামসন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন রিয়ান পরাগ। ২৯ বলে ৪৩ রান করে পরাগ আউট হলেও ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন স্যামসন। ৭ বলে ৫ রান করে আউট হন শিমরন হেটমাইয়ার। শেষ দিকে ১২ বলে ২০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ধ্রুব জুড়েল। অপর প্রান্তে ৫২ বলে ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন রাজস্থান দলপতি। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের বড় পুঁজি পায় রাজস্থান র‌য়্যালস। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় লখনৌ সুপার জায়ান্টস। ৫ বলে ৪ রান করে ফেরেন প্রোটিয়া ব্যাটার কুইনটন ডি কক। ৩ বলে শূন্য রান করে আউট হন দেবদুত পাডিক্কেল। এরপর ৫ বলে ১ রান করে আয়ুশ বাদোনি আউট হলে দলীয় ১১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে লখনৌ। তবে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় কোটায় ব্যাট করতে নামেন দীপক হুদা। তাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল। ১৩ বলে ২৬ রান করে দীপক আউট হলেও ৩৫ বলে ফিফটি তুলে নেন রাহুল। ব্যাটিংয়ে এসে তাণ্ডব শুরু করেন ক্যারিবিয়ান তারকা নিকোলাস পুরানও। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ে পথে হাঁটতে থাকে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। ৪৪ বলে ৫৮ রান করে রাহুল আউট হলে ছন্দ হারায় তারা। ৩ বলে ৪ রান করে মাকার্স স্টোইনিস আউট হলে একাই লড়াই করতে থাকে পুরান। শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেও ২০ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান তুলতে পারে রাহুল-পুরানরা। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন ট্রেন্ট বোল্ট। এ ছাড়াও নানড্রে বুরগার, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুবেন্দ্রা চাহাল ও সানদীপ শর্মা একটি করে উইকেট নেন।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২০:১১

বাংলাদেশের চেয়েও ভারতে বেকারত্বের হার বেশি : রাহুল গান্ধী
নরেন্দ্র মোদির আমলে ভারতে বেকারত্বের হার বিগত ৪০ বছরের মধ্যে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এ সময় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভারতের তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার পাকিস্তানের প্রায় দ্বিগুণ এবং বাংলাদেশ, ভুটানের মতো দেশের চেয়েও বেশি। রোববার (৩ মার্চ) মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে ‘ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা’য় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন রাহুল। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের (আইএলও) এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারতে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার এখন ২৩ শতাংশ। মোদির জিএসটি এবং নোটবন্দি নীতির কারণেই ভারতে ক্ষুদ্র ব্যবসা কার্যত শেষ হয়ে গেছে। আইএলও’র ২০২২ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের নিরিখে গোটা বিশ্বে যে ৬টি দেশ একেবারে পেছনের সারিতে রয়েছে, তার মধ্যে ভারত অন্যতম। এই ৬টি দেশের মধ্যে ভারতের সঙ্গে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, আর্মেনিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও ইরান। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে এক্স-এ পোস্ট করেছিলেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। রাহুল সেই পরিসংখ্যানই তুলে ধরেছেন। ২০২২ সালের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের বেকারত্বের হার ১১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। কংগ্রেসের এ নেতার অভিযোগ, ২০১৪ সালে মোদি সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন ভারতে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ২১ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৬ শতাংশ। ২০১৯ সালে কিছুটা কমলেও করোনার বছর ২০২০ সালে বেকারত্বের হার ৩০ শতাংশ পার হয়ে গিয়েছিল ভারতে। এখন কিছুটা কমে ২৩ শতাংশে। এরপরেও মোদি বলেন যে, তিনি গরিবদের জন্য কাজ করছেন।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:১৩

পশ্চিমবঙ্গে রাহুল গান্ধীর গাড়িতে পাথর নিক্ষেপ 
পশ্চিমবঙ্গের মালদায় ভারতীয় কংগ্রেস পার্টির নেতা রাহুল গান্ধীর গাড়িতে পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে গাড়িটির জানালার কাচ ভেঙে গেলেও অক্ষত রাহুল।  বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে পাথর নিক্ষেপের এ ঘটনাটি ঘটে। এদিন ‘ভারত জোড়ো নবযাত্রার’ অংশ হিসেবে বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেন রাহুল গান্ধী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করেছিল ভারতীয় কংগ্রেস। তবে ওই আলোচনা ভেস্তে যায়। এরপরই রাহুল গান্ধীর গাড়ির ওপর হামলার ঘটনা ঘটল। আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর এই দুই দল প্রকাশ্যে একে-অপরের সমালোচনা করেছে। যদিও ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিরুদ্ধে গঠিত জোট— ‘ইন্ডিয়া’তে আছে দুই দলই। কংগ্রেসের এমপি অধীর রঞ্জন চৌধুরী হামলার ব্যাপারে বলেছেন, ‘খুব সম্ভবত ভিড় থেকে কেউ একজন পাথর নিক্ষেপ করেছে। এটি ছোট একটি ঘটনা। কিন্তু এতে বড় কিছু হতে পারত।’ একইদিন মালদায় গেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। মালদায় নিজের ‘জনসংযোগ যাত্রায়’ দেওয়া বক্তব্যে মমতা বলেছেন, ‘আমি রাজনীতি খুব বেশি করি না। কিন্তু কিছু দল আছে, যারা নির্বাচনের সময় বসন্তের কোকিলের মতো কিচিরমিচির করছে। বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। আমরা একা লড়াই করব। যদি কেউ বিজেপিকে হারাতে পারে; সেটি হলো তৃণমূল কংগ্রেস।’
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১০

রাহুল গান্ধীর যাত্রায় বিজেপি সরকারের বাধার অভিযোগ
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর যাত্রা আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাহুল ও তার যাত্রাকে মঙ্গলবার গুয়াহাটি শহরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এর আগে ভারতজোড়ো যাত্রা নিয়ে কোনো অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু এবার লোকসভা ভোটের আগে নয়ায় যাত্রায় বেরিয়েছেন রাহুল গান্ধী। যাত্রা শুরু হয়েছে মণিপুর থেকে। এখন তা আসামে। কিন্তু আসামে রাহুলের যাত্রায় বারবার প্রশাসনের বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ দাবি রাহুল গান্ধী নিজে ও তার দল কংগ্রেস। সোমবার রাহুল নওগাঁওতে একটি মন্দিরে যেতে চান। কিন্তু তাকে সেই মন্দিরে যেতে দেয়া হয়নি। রাহুল তখন মাটিতে বসে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান। সমর্থকরা রঘুপতি রাঘব গাইতে থাকেন। মঙ্গলবার তার গুয়াহাটিতে যাত্রা করার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন জানিয়ে দেয়, গুয়াহাটির ভিতরে যাত্রা করা যাবে না। কারণ, মঙ্গলবার কাজের দিন। যাত্রা করা হলে শহরের ভিতরে প্রবল যানজট হবে। তাই যাত্রা করতে দেওয়া হবে না। জাতীয় সড়ক দিয়ে যাত্রা লোয়ার আসামের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এই পরিস্থিতিতে পাঁচ হাজার কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক নিয়ে রাহুলের ন্যায় যাত্রা গুয়াহাটি শহরের ভিতরে ঢুকতে চায়। কিন্তু পুলিশ বাধা দেয়। কংগ্রেস কর্মীরা ব্যারিকেড সরিয়ে দিয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তারা রাহুল গান্ধীর যাত্রাকে কিছুতেই শহরের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। রাহুল বলেছেন, কিছুদিন আগে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা ও বজরং দল এই রাস্তা দিয়ে মিছিল করে গেছে। তখন তাদের আটকানো হয়নি। আমাদের আটকে দেওয়া হলো। আমরা ব্যারিকেড সরিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা আইন ভাঙিনি। তবে আমাদের দুর্বল ভাববেন না। কংগ্রেস কর্মীদের শক্তি যথেষ্ট। রাহুল আরও বলেন, মেঘালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আমার মতবিনিময়ের অনুষ্ঠান ছিল। তার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে পড়ুয়াদের দেখা করতে দেয়নি। পড়ুয়ারা এখন আসাম-মেঘালয় সীমান্তে এসে আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। কংগ্রেস কর্মীদের কাছে আমার আবেদন, বিজেপি-আরএসএসের থেকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা আসামে তাদের হারাবো। আমি জানি, পুলিশ কর্মীদের বলা হয়েছে আমাকে ঢুকতে না দিতে। ওরা ডিউটি করছেন। কিন্তু ন্যায় হওয়া দরকার। আমরা আপনাদের সঙ্গে লড়তে আসিনি। আমরা দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে লড়তে এসেছি। কংগ্রেসের অভিযোগ, আসামে ঢোকার পর থেকে বারবার ন্যায় যাত্রায় বাধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। হিমন্ত বলেছেন, কংগ্রেস কর্মীদের বলছি, আমি আপনাদের নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে উসকানি দেয়ার জন্য পুলিশকে মামলা করতে বলেছি। আপনারা যে ভিডিও ফুটেজ দিয়েছেন, তাতেই উসকানি দেওয়ার প্রমাণ আছে। তিনি বলেছেন, আসামের মানুষ শান্তিপূর্ণ। নকশালি কায়দায় ঝামেলা করার ঘটনা আসামের সংস্কৃতিতে নেই। প্রতিদিনের দিল্লির ব্যুরো চিফ আশিস গুপ্ত জানিয়েছেন, রাহুলের যাত্রায় প্রচুর মানুষকে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রচুর সংখ্যায় নারীরা যোগ দিচ্ছেন। সেটা সম্ভবত হিমন্ত বিশ্বশর্মারা প্রত্যাশা করেননি। তাই এইভাবে যাত্রায় বাধা দেওয়া হচ্ছে।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৩

‘আরটিভি অদম্য সুর’ : চ্যাম্পিয়ন ওয়াদুদুর রহমান রাহুল
দীর্ঘ পথপরিক্রমায় দর্শক-শ্রোতাদের ভালো লাগাকে প্রাধান্য দিয়ে সংবাদ ও অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছে দেশের জনপ্রিয় বেসরকারি টিভি চ্যানেল আরটিভি। সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যয়ে দর্শকদের নানান প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টায় প্রতি মুহূর্তে এগিয়ে চলেছে চ্যানেলটি। বাংলা ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বর্ণাঢ্য রিয়েলিটি শো’র মাধ্যমে ইতোমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে আরটিভির রিয়েলিটি শোগুলো। তারই প্রেক্ষিতে এবার ‘প্রতিবন্ধী মানে প্রতিভা, বন্দি নয়’-এই স্লোগানে আরটিভিতে শুরু হয়েছিল প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণে মিউজিক্যাল রিয়েলিটি শো ‘আরটিভি অদম্য সুর।’  নানা ধাপ শেষে সব প্রতিযোগিকে পিছনে ফেলে বিজয়ের মালা গলায় তুলে নিলেন ওয়াদুদুর রহমান রাহুল। রোববার (১৪ জানুয়ারি) ‘আরটিভি অদম্য সুর’র ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে ফার্স্ট রানার আপ হয়েছেন ফারহিম আঞ্জুম সোহানা ও মোঃ সাইফ উদ্দিন রাফি। সেকেন্ড রানার আপ হয়েছেন মো: আশরার বিল্লাহ খান। গ্র্যান্ড ফিনালের আয়োজনে আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্ত সৈয়দ আশিক রহমান বলেন, গেয়ে উঠার এই তো সময় স্লোগান সামনে রেখে  প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহনে আরটিভি প্রথমবারের মত আয়োজন করেছে  রিয়েলিটি শো ‘আরটিভি অদম্য সুর’। এমন আয়োজন বিশ্বে এই প্রথম। বাংলাদেশের অনেক অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার প্রতিযোগি  ‘আরটিভি অদম্য সুর’এ অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘ জার্নি শেষে আজ আমরা পৌছে গিয়েছি চূড়ান্ত পর্বে। বাংলাদেশে ৪৬ লাখের মত মানুষ আছে যারা কোন না কোন ভাবে প্রতিবন্ধী। এই বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকার ২০৪১ সালের মাঝে যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ ঠিক করেছে টা অর্জন করতে হলে এই বিপুল সংখ্যক জনবলের প্রতিভাকে কাজে লাগাতে হবে।      দারাজের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার,  এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো তার বক্তব্যে বলেন, এমন একটি সুন্দর আয়োজনের জন্য প্রথমেই আরটিভিকে সাধুবাদ জানাই। সারা পৃথিবীতেই এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমাদের এখন সময় এসেছে পরিবর্তন আনার। আর ঠিক সময় আরটিভি এমন একটি আয়োজন করেছে। আরটিভি সব সময় নতুন কিছু নিয়ে কাজ করে আর তাই চ্যানেলটি সবার প্রিয়।  বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালি হক চৌধুরী বলেন, বার্জার পেইন্টস অনেক দিন ধরেই ১০-১২টি স্কুল চালাই। কিন্ত জাতীয় পর্যায়ে এমন প্রতিভাবান মানুষদের সামনে নিয়ে আসার সাহস আমাদের কখনোই হত না আরটিভি এগিয়ে আসতো। টাকাতো সবাই দিতে পারে কিন্ত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের সবচেয়ে বেশি দরকার ভালোবাসা। আর তাই আমাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে সবার এগিয়ে আসা উচিত।  জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেন, অসাথ্যকে সাধন করা বা পদক্ষেপ গ্রহণ করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। যেটি আরটিভি তার দক্ষ জনবল নিয়ে জাতীর সামনে উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বিশাল জনবলকে যদি কর্মক্ষম মানব সম্পদে রুপান্তর না করতে পারি তাহলে আমাদের লক্ষভ্রস্ট হওয়ায়র সম্ভাবনা থাকে। আমরা আশাবাদি ২০৪১ সালের মাঝে এদেরকে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।  আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শফি মন্ডল, ইমন সাহা, ইলিয়াস কাঞ্চন , সাইফ উদ্দিন নাসির (ব্যবস্থাপনা পরিচালক - এস এম সি),কবির বকুল, মেহরীন, হায়দার হোসেন, শাহিদুল ইসলাম হেলাল, অধ্যাপক জিয়াউল হাসান কিসলু (বীরমুক্তিযোদ্ধা ও নাট্যব্যাক্তিত্বি, ডঃ এস চক্রবতী (চেয়ারম্যান এস পি হসপিটাল) , হাসনাত মিয়া (এ.আর.ডাব্লু কনস্যুলেট, বাংলাদেশ অনারারি কনস্যুলেট) সহ আরও অনেকে।    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ১ম বার এর মত আয়োজিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে মিউজিকাল রিয়েলিটি শো বার্জার পেইন্টস প্রেজেন্টস ‘গেয়ে ওঠার এই তো সময়’ স্লোগানে “আরটিভি অদম্য সুর” পাওয়ার্ড বাই-দারাজ, দিস প্রোগ্রাম ব্রট টু ইউ বাই-ইয়ামাহা, এসোসিয়েট পার্টনার- জয়া স্যানেটারি ন্যাপকিন, লিলি সৌন্দর্য্যরে সংজ্ঞায় তুমি এবং এস পি হসপিটাল। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চল থেকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার প্রতিযোগীর ভিডিও থেকে প্রাথমিক বাছাই করে ১হাজার প্রতিযোগীর ভিডিও বিচারকগণ বিশ্লেষণ করেন। আরটিভি বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া ষ্টুডিওতে ১ হাজার থেকে ২০০ জন প্রতিযোগী নিয়ে শুরু হয় ‘অদম্য সুর’ এর ‘ষ্টুডিও অডিশন’ রাউন্ড। আরটিভি অদম্য সুর-এর পুরো আয়োজনে বিচারকার্য সম্পন্ন করছেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, আলম আরা মিনু এবং প্রতিবন্ধিতাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ সৈয়দা মুনীরা ইসলাম। সৈয়দা মুনিরা ইসলামের পরিকল্পনা ও নির্বাহী প্রযোজনায় মাহমুদা মাহা’র সঞ্চালনায় আরজু আহমেদেও প্রযোজনায় আরটিভির পর্দায় ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে প্রতি শুক্রবার ও রবিবার বিকাল ৫.৩০ মিনিটে পর্বগুলো সম্প্রচার হয়।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়