সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করা হবে: কাদের
মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতাল থেকে লাফিয়ে করোনা রোগীর ‘আত্মহত্যা’
এ সময় প্রথমে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা। এরপর দলের সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ককটেল হামলা
কেএফ
মন্তব্য করুন
দেশের সার্বভৌমত্বের বড় শত্রু বিএনপি-জামায়াত : শেখ পরশ
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বাংলাদেশে সার্বভৌমত্বের সবচেয়ে বড় শত্রু বিএনপি-জামায়াত। ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। বিএনপি হচ্ছে সেই নিধিরামদের দল। শক্তি নাই, সমর্থ নাই বড় বড় কথা। শক্তি-সামর্থ্য নাই বলে নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। আন্দোলনেও বাতাস পাচ্ছে না। জমায়াতও পারছে না। এখন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে তাদের অনেক দুশ্চিন্তা।
আমি শুধু তাদের আশ্বস্ত করতে চাই, এদেশে যতদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা বেঁচে আছেন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। “কুমিরের কান্না” দিয়ে এ দেশের মানুষকে ধোঁকা দেবার চেষ্টা করবেন না।
রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে, আওয়ামী যুবলীগের ঢাকা জেলা শাখার উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পরশ বলেন, মনে রাখতে হবে, একাত্তরের পরাজিত শক্তি, পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসরদের সামনে একমাত্র বাধা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে ছলে-বলে-কৌশলে দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান হতে পারে। সেকারণে এই সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের এক পরিকল্পিত নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে। এই নীলনকশার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমদ, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দফতর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, উপ-দফতর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান (জিএস মিজান), সঞ্চালনা করেন যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুদ আহমেদ, হাজী এইচ এম সেলিম, এরফান উদ্দিন আহমেদ।
ঈদের পরেই কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার : শাজাহান খান
জঙ্গিবাদসহ সব ধরনের অসামাজিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ঈদের পরেই সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৮টায় মাদারীপুরে ঈদের নামাজ আদায় শেষে তিনি এ কথা বলেন।
শাজাহান খান বলেন, মানুষের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, সামাজিক অবস্থান সৃষ্টি, বাজারদর নিয়ন্ত্রণ ও দেশ থেকে সন্ত্রাস পরিহার করার জন্য সরকারের অঙ্গিকার রয়েছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেই চেতনা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর মানুষ বুকে ধারণ করছে এবং তার ভিত্তিতেই রাষ্ট্র পরিচালনা করা হচ্ছে।
এর আগে, মাদারীপুরের কেন্দ্রীয় পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে সোয়া ৮টায় একইস্থানে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় জামাত।
ঈদের প্রথম জামাতে নামাজ পড়ান জেলা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ইলিয়াস হাবিবুল্লাহ।
ফেসবুকে ওবায়দুল কাদেরের ভালোবাসার বার্তা
ঈদের দ্বিতীয় দিন ফেসবুকে ভালোবাসার বার্তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ভালোবাসা দিয়ে ঘৃণাকে জয় করার কথা বললেন তিনি।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ১১টি ছবি পোস্ট করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ক্যাপশনে কাদের লিখেন, ‘ঘৃণা দিয়ে ঘৃণা তাড়ানো যায় না। শুধু ভালোবাসাই তা করতে পারে।’
পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। এক ঘণ্টার মধ্যেই ১১ হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন পড়ে। এই সময়ের মধ্যে মন্তব্যও পড়েছে আড়াই হাজারের বেশি। শেয়ার হয়েছে ৫শ’র বেশি।
একজন লিখেছেন ‘কাদের ভাই, আজকে ছবি এত কম দিলেন কেন?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী, মাত্র ১১টা ছবি অ্যাটাচ করেছেন পোস্টে? মেনে নিতে পারলাম না।’
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘মিনিস্ট্রি অব লাভের মিনিস্টার।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন এক ভিডিও বার্তা দেন মন্ত্রী।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, এবারও ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের বাঁধভাঙা জনস্রোত দেখা গেছে। অনেকেই ঈদযাত্রা নিয়ে জনদুর্ভোগের আশঙ্কা করেছিলেন। তবে সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় সব সংশয় ও শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে ঈদযাত্রা তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন সময় ফেসবুকে একাধিক ছবি পোস্ট করেন ওবায়দুল কাদের। সেসব ছবি অনেক আলোচনার জন্মও দেয়।
নববর্ষ উপলক্ষে র্যালি করবে আ.লীগ
বাংলা শুভ নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে আলোচনাসভা ও বর্ণাঢ্য র্যালি করবে আওয়ামী লীগ।
রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৭টায় পুরান ঢাকা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে এই র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
র্যালির উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রোববার সকাল ৭টায় পুরান ঢাকা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনাসভা শেষে একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
ধর্ষণ মামলা : আ.লীগ থেকে বড় মনিরকে অব্যাহতি
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে দলটি। তাকে চূড়ান্ত অব্যাহতির জন্য দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করেছেন শহর আওয়ামী লীগের নেতারা, এমন তথ্যও জানা গেছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ।
তিনি বলেন, ঈদের আগে দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে গোলাম কিবরিয়াকে চূড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য সুপারিশ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদকের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফ স্বাক্ষরিত এই পত্র পাঠানো হয়েছে। দলের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে গোলাম কিবরিয়া জানান, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার ও তাদের পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য তার বিরুদ্ধে এ ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গোলাম কিবরিয়া বড় মনির টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের দলীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের ভাই। গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে গত বছর এপ্রিলে এক নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ধর্ষণের ফলে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন। পরে ওই নারী একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন। আদালতের নির্দেশে ওই সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। এতে বলা হয় ওই সন্তানের জৈবিক পিতা গোলাম কিবরিয়া নন। এর কয়েক মাস পর ওই নারী আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে ওই নারীর বড় বোন তার ভাই জনি মির্জা ও সৌরভ পালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর নেতানিয়াহু : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, সারা বিশ্বই আজ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের যে দাম্ভিকতা, যুদ্ধাংদেহী মনোভাব সেটা মনে হয় আবারও নতুন করে দেখতে পাচ্ছি। হিটলার যে ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করে হলোকাস্ট ঘটিয়েছিল, আজকে গাজায় গণহত্যার নায়ক নেতানিয়াহু একই রূপে আবির্ভূত হয়েছে।
তিনি বলেন, নেতানিয়াহু জাতিসংঘ মানে না, হোয়াইট হাউজকে তোয়াক্কা করে না। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা শুনে না। সে হিটলারের চেয়েও ভয়ংকররূপে আবির্ভূত হয়েছে। ইতোমধ্যে সে গাজায় ১৪ হাজার শিশুকে হত্যা করে ফেলছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ইরানের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ ইসরায়েলকে শান্ত থাকতে বলেছে। কিন্তু নেতানিয়াহু কারও কথা শুনছেন না। তিনি ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নেতানিয়াহু আপন ইচ্ছায় চলেন, যা খুশি করেন। যাকে ইচ্ছা ভাতে মারেন, পানিতে মারেন, এয়ার স্ট্রাইক করে মারেন। তার দাপট হিটলারকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এ সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের, দ্রব্যমূল্য সহনীয় অবস্থায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী যে এফোর্ট দিচ্ছেন, তা বিরল। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আ.লীগের এমপি-মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন করতে মানা
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। যারা এ নির্দেশ অমান্য করে উপজেলা নির্বাচন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে দল বহিষ্কারাদেশসহ কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদেরকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। তারা নিজ নিজ বিভাগে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।
নির্দেশনা পেয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৈঠকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকগণ, দপ্তর সম্পাদক ও উপ-দপ্তর সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। ওবায়দুল কাদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদককে সারাদেশে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে যাদের স্বজন ও পরিবারের সদস্য নির্বাচন করছেন, সে তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন।
এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে মাদারীপুর সদরের সংসদ সদস্য ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এবং নোয়াখালীর একরামুল করিম চৌধুরীকে ফোন করে দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক।
জানা যায়, শুধু সন্তান, পরিবার বা নিকটাত্মীয় ছাড়াও মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের প্রকাশ্যে বা গোপনে উপজেলা নির্বাচনে কোনোভাবে সম্পৃক্ত না হওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ, স্থানীয় পর্যায়ে নিজের প্রভাব বাড়ানোর জন্য মন্ত্রী–সংসদ সদস্যরা আত্মীয়–পরিজন ছাড়াও ‘মাই ম্যান’ তৈরি করার লক্ষ্যে পছন্দের প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামছেন। এতে দলের তৃণমূলের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে দলের নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন। এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকেও ব্যবহারের চেষ্টা করছেন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা। এ জন্যই কড়া অবস্থান।
এ বিষয়ে আরও জানা যায়, ২ মে সংসদের আগামী অধিবেশন বসছে। ওই অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক ডাকা হতে পারে। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নিজে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের উপজেলা নির্বাচন বিষয়ে তার অবস্থান তুলে ধরবেন। প্রভাব বিস্তার থেকে বিরত থাকার বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদেরও বৈঠক হতে পারে। সেখানেও বিষয়টি আলোচিত হবে।
প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৩ এপ্রিল।
আর দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী, এ ধাপে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২১ এপ্রিল, বাছাই ২৩ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। এই নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে।
নির্বাচন কমিশন জানায়, দেশের ৪৮১টি উপজেলায় চার ধাপের নির্বাচন শুরু হবে ৮ মে, শেষ হবে জুনের প্রথম পক্ষে। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুই ধাপের তফসিলও ঘোষণা করা হয়েছে।