১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সুপরিকল্পিত: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও একাত্তরের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী, প্রতিক্রিয়াশীল দেশী ও বিদেশী চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। ৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের পর্দার আড়ালে নেপথ্যে যারা ছিল সময় এসেছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করার।
শুক্রবার রাজধানীর খামার বাড়ীর আ.ক.মু গিয়াসউদ্দিন মিলকি অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদ পরিষদের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ৭১-এর পরাজিত শক্তি দেশকে পাকিস্তানের আদলে পরিচালনা করার জন্য ১৫ আগস্টের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এটা কোনও সাধারণ হত্যাকাণ্ড নয়, সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর পরে জাতীয় চার নেতাকেও ৩ নভেম্বর জেলখানায় নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে ঘাতকরা।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে নিঃশেষ করে একটি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র বির্নিমাণের জন্য তাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যখন ঘাতকরা বুঝতে পারলো তার চেতনা, তার আদর্শের মৃত্যু নেই, তখন চিরতরে নিঃশেষ করার জন্য ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হমলা চালায় শেখ হাসিনাসহ গোটা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য। নেত্রীকে এ পর্যন্ত ২২ বার হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর হত্যার আগে ও পরে হত্যাকারী কর্ণেল ফারুক-রশিদ বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে তার কাছে গেলে তিনি বলেন, তোমরা কর, আমি সিনিয়র অফিসার হিসেবে সামনা-সামনি থাকতে পারিনা। আবার বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর সেনাবাহিনী অফিসাররা জিয়ার কাছে গেলে তিনি তাদের বলেন, সো হোয়াট! ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ দেয়ার। সেনাবাহিনীর একটি অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে সেনাদের যেকোনো হত্যার পরিকল্পনা যখন কেউ অবগত হন সেটি দ্রুত রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা। সেটি তিনি করেননি। এমনকি যারা এ অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এতেই প্রমাণিত হয় জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের কুশীলব। জিয়ার পরবর্তী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আরও প্রমাণ হয়েছে যে, তিনিই এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব। তিনি খুনীদেরকে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন তাদের পুরস্কৃত করেছেন, ভালো চাকরি দিয়েছেন, বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ইন্ডিমেনিটি অধ্যাদেশ সংসদে পাস করিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করেছেন।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক বই রচিত হয়েছে, যা পড়লে বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস জানা যায়, জানা যায় ইতিহাস বিকৃতির নোংরা উৎসবের কথা, বলেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিসিএস (কৃষি) পরিষদের মহাসচিব মোজাম্মেল হোসেন, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন-এর মহাসচিব খায়রুল আলম প্রিন্স, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন-এর সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ সাইদুর রহমান সেলিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.মো: আবদুল মুঈদ, সংগঠনের সহ-সভাপতি রাশেদ খানসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
এ
মন্তব্য করুন