আমার মতো নির্যাতিত নেতা আর নেই, ৯০তম জন্মদিনে এরশাদ
দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ৯০তম জন্মদিন কেক কেটে উদযাপন করলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
বুধবার সকালে গুলশান ১ এর ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে নেতাকর্মী ও বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে ৯০ কেজি ওজনের কেক কাটেন এরশাদ। অনুষ্ঠানে হুইল চেয়ারে আসেন তিনি।
এসময় এরশাদ বলেন, আমার মতো নির্যাতিত, নিপীড়িত নেতা বাংলাদেশে আর একজনও নেই।
এরশাদ বলেন, স্ব-ইচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার পর ৫ দিনের মাথায় আমাকে জেলে যেতে হয়েছে। আমার ওপর নানারকম অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়েছে। মনে জোড় ছিল বলে টিকে আছি। কেউ আমাকে দমাতে পারেনি।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এরশাদ আরও বলেন, আমার শেষ কথা জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করুন। দলকে আগামীতে ক্ষমতায় আনুন।
-----------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : কাদেরের বাইপাস সার্জারি সফল
-----------------------------------------------------------
মনজুর হত্যা মামলার প্রসঙ্গ টেনে এরশাদ বলেন, এ মামলার রায় একাধিকবার রায় লেখা শেষ হলেও শেষ পর্যন্ত রায় দেয়া হয়নি। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে রায় পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। নতুন করে স্বাক্ষ্য প্রমাণ নিয়েছে। এভাবে নির্যাতন সহ্য করেছি। এখনো অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছি।
একই অনুষ্ঠানে রওশন এরশাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার সুফল দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন এরশাদ। এরশাদের শাসনামলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, তার কর্মকাণ্ড তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।
রওশন এরশাদের বক্তব্য দেয়ার সময় তৃণমূলের এক নেতা সিএমএইচে এরশাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ তুলে বলেন, সেখানে ভুল চিকিৎসা হয়েছে।
তবে, রওশন এরশাদ তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলা অন্যায়। এতে সিএমএইচের ডাক্তাররা ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। আর্মিদের নিয়ে খারাপ কথা বলবেন না। রওশন এরশাদের কথা থামিয়ে দিয়ে আরেকজন কথা বলায় হলের মধ্যে খানিকটা হট্টগোল তৈরি হলে তিনি তা থামিয়ে দিয়ে এরশাদের জন্মদিনের স্লোগান তোলেন।
পরে এরশাদ অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন হুইল চেয়ারে করে।
এফএম/জেএইচ
মন্তব্য করুন