• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ১৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা

  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৪৩

ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ফের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ তার দিকে স্থগিত কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি তরিকুল ইসলামের (দাদা গ্রুপ) ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেলের গ্রুপ একত্রিত হয়ে সকাল থেকে শ’ খানেক নেতা কর্মী ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়।

এরপর বেলা ১১টার দিকে বর্তমান স্থগিতকৃত কমিটি বিলুপ্ত ও নতুন কমিটি প্রদানের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের ধাওয়া দেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা। এসময় বিদ্রোহীদের ৮ জন ও সভাপতি ও সম্পাদক গ্রুপের ২জন আহত হন।

এরপর আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাস গেট থেকে সরে গেলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেন। এর এক পর্যায়ে মোবাইলে ছবিও ধারণ কে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বিল্ডিং এর নিচে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হন তারা।

এসময় যে যেভাবে পারেন দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যান। এসময় কমপক্ষে ৫ সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন। এদের সবাইকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এরপর বিকেল ৩টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাস গেটে মারমুখী অবস্থান নেয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা। এসময় তারা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান।

এসময় দৈনিক সংবাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রাকিবের ওপর চড়াও হন তারা। এসময় তাকে এলোপাথাড়ি আক্রমণ ও মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ক্যাম্পাসে কি হচ্ছে তা আমরা জানিনা। এটা জানার কথা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কারা কি করছে সেটার দায় আমাদের ওপর এখন বর্তায় না।

অন্যদিকে সভাপতি তরিকুল ইসলামকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন কেটে দেন।

এছাড়া জবি প্রক্টর নূর মোহাম্মদকে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজোয়ানুল হক শোভন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, যার যার স্বার্থ হাসিলের জন্য সবাই আমাদেরকে ব্যবহার করে। সবাইতো আমাদের কর্মী। সবাইতো ছাত্রলীগ। আমরা বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করে রিপোর্ট নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

স্থগিত কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, তারা তো কার্যক্রম ভালোর চেয়ে খারাপ করছে। এ বিষয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবো।

এই মুহূর্তে ক্যাম্পাসের আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে উভয় গ্রুপের শতাধিক নেতা কর্মী ভাগ ভাগ হয়ে অবস্থান নিয়েছে। ফলে আশেপাশের এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আশেপাশের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জগন্নাথে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন, আরেক শিক্ষক বরখাস্ত
৭ দিনের আশ্বাসের তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েনি ১৭ দিনেও
ফের জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর
সাত দিনেও প্রতিবেদন দেয়নি তদন্ত কমিটি, যা বললেন অবন্তিকার মা
X
Fresh