• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রতীক পেয়েই জোর জনসংযোগে নেমেছেন ইমরান

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম

  ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৩৭

কুড়িগ্রাম-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার সোমবার দুপুরে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের কাছ থেকে প্রতীক পেয়েই নেমে পড়েছেন এলাকাবাসীর কাছে ভোট চাইতে।

তিনি উন্নয়নের গতির সঙ্গে মিল রেখে তার নিজ মার্কা বেছে নিয়েছেন মোটর গাড়ি। নির্বাচিত হলে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের তিনটি উপজেলার নানা সমস্যা ও সম্ভাবনা মাথায় রেখে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে ভোটের ময়দানে ছুটে বেড়াচ্ছেন এই তরুণ নেতা। রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলা নিয়ে গঠিত পিছিয়ে পড়া এই এলাকার মানুষের উন্নয়নে তার বেশ কিছু ব্যক্তিগত পরিকল্পনা রয়েছে।

তার সঙ্গে নির্বাচনী কাজে প্রচারণার সময় কথা হলে তিনি আরটিভি অনলাইনকে জানান, পিছিয়ে পড়া কুড়িগ্রাম-৪ আসনের শতকরা প্রায় ৭২জন মানুষ নিম্ন আয়ের। বন্যা ও নদী ভাঙনে প্রতিবছর শতশত পরিবার এখানে গৃহহীন হয়। নেই কোনও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। সে কারণে যুব সমাজের মধ্যে হতাশা ও নানান ধরনের অবক্ষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ যুব সমাজ ও নারীদের কথা মাথায় রেখে কর্মসংস্থানের সুযোগের কথা বলেন তিনি। এজন্য এই এলাকায় ইকোনমিক জোন করে ইন্ড্রাস্ট্রি ব্যবস্থার ওপর জোর দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রধান লক্ষ্য হল নদী ভাঙনকবলিত পরিবারদের পুনর্বাসিত করার পাশাপাশি নদী শাসনের লক্ষ্যে পূর্ব পাড়ে বাঁধ ও ড্রেজিং করা। যাত্রী সাধারণের পারাপারের সুবিধার্তে চিলমারী-রৌমারী-যাদুরচর ও রাজিবপুরে ফেরী চলাচলের ব্যবস্থা করা।

এর বাইরে আমরা লক্ষ্য করছি ঢাকার সঙ্গে রৌমারীর কোনও রেল যোগাযোগ নেই। আমরা দেওয়ানগঞ্জ থেকে ২৫ কিলোমিটার রেল টেনে আনলেই রৌমারী-রাজিবপুরের মানুষ রেলে ঢাকার সঙ্গে চলাচল করতে পারবে। এছাড়া ঢাকার সঙ্গে সরাসরি চিলমারী ও রৌমারীর রেল যোগাযোগ নেই। এজন্য আন্তঃনগর রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার জন দাবিটি পূরণ করা। এতে অর্থনৈতিকভাবে এলাকার মানুষ অনেক উপকৃত হবে। এয়াড়াও তিনি ঢাকা-রৌমারী সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। রৌমারীর স্থল ও চিলমারীর নৌবন্দর ভৌগোলিকভাবে খুবই প্রোটেনসিয়াল। এ দুটি বন্দর আন্তর্জাতিক মানের বন্দর হিসেবে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার ওপর জোর দেন তিনি। এর বাইরে বৃহৎ চরাঞ্চলের মানুষের এখন পর্যন্ত শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানসহ বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। এগুলো যদি আমরা চরাঞ্চলের মানুষের জন্য প্রোভাইড করতে পারি তাহলে এলাকার চিত্র পাল্টে যাবে।

এজন্য আমি নির্বাচিত হলে চরাঞ্চলের দিকে বিশেষ নজর দেয়া হবে। সর্বপরি এলাকার বৃহৎ যুব সমাজের জন্য কিছু পরিকল্পনা নেয়া। এসব তরুণদের কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি চাহিদামতো বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যদি বিদেশে পাঠানো যায় তাহলে তারা সমাজের মূল স্ট্রিমে পৌঁছতে পারবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার এজন্য এলাকাবাসীর কাছে ভোটের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করেছেন।

আরও পড়ুন :

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তীব্র গরমের জন্য দায়ী সরকার : মির্জা আব্বাস
কেন্দ্রে ভোট দিতেন না উত্তম কুমার, মহানায়কের জন্য ছিল যে ব্যবস্থা
৪৬তম বিসিএস প্রিলি শুক্রবার, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে : সিইসি
X
Fresh