• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আন্দোলন চলতেই থাকবে: ড. কামাল

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১১ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:২৯

শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অধীনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঐক্যফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জোটের শীর্ষ নেতারা।

ড. কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচনও আন্দোলনের অংশ। আমাদের চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। আন্দোলন চলতেই থাকবে। আমরা প্রতিদিনই অবস্থা পর্যবেক্ষণ করব। অবস্থা বুঝে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। আন্দোলন শুরু হয়েছে, প্রয়োজন অনুযায়ী সবকিছুই করা হবে।

তবে এই সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এক মাস তফসিল পেছানোর দাবি জানানো হয়।

নির্বাচনে প্রতীক কী হবে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আলাপ-আলোচনা করে আমরা আগামীকাল সোমবার এ বিষয়ে জানাব।’

গত কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনে যাবে এই রাজনৈতিক জোট। যদিও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে সরকারকে সাত দফা দাবি দিয়েছিল বিএনপি-গণফোরাম-জেএসডি-কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ-নাগরিক ঐক্যসহ কয়েকটি দলের সমন্বয়ে গঠিত নতুন এ রাজনৈতিক জোট। সরকারের সঙ্গে দাবিগুলো নিয়ে দুই দফা সংলাপও করেছিল। কিন্তু বিরোধী এই জোটের কিছু দাবি ও প্রস্তাবনা নাকচ করে দেয় সরকার। এই দরকষাকষি শেষেই নির্বাচনে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলো ঐক্যফ্রন্টের।

ড. কামাল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সাত দফা দাবি থেকে সরে আসছি না। এর সঙ্গে আমরা বর্তমান তফসিল বাতিল করে এক মাস পিছিয়ে নতুন তফসিল ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি। সেক্ষেত্রেও বর্তমান সংসদের মেয়াদকালেই নির্বাচন করা সম্ভব হবে।

ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বলেন, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ন্যূনতম শর্ত এখন পর্যন্ত পূরণ করা হয়নি। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরও বিটিভিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। যা নির্বাচনী আচরণের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সাবেক সিইসি ড. শামসুল হুদাসহ সকল দল ও জনগণের আপত্তি সত্ত্বেও ইভিএম বাতিল করেনি ইসি। এরকম একটা পরিস্থিতিতে একটা অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। এরকম প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দায়িত্ব ইসি ও সরকারের উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতির পাশাপাশি ঐক্যফ্রন্ট কড়া নজর রাখবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি। জনগণের দাবি না মানা হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

ফখরুল বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন না করে সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে থেকেছে, সেটা এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে হওয়া নির্বাচন দেখলেই বুঝা যায়। সেই ধারাবাহিকতায় ইসি তড়িঘড়ি করেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার নির্ধারিত ৯০ দিনের ৩৫ দিন বাকি থাকতেই। অথচ ১৯৯৬ সালে নির্ধারিত ৯০ দিন সময় শেষ হওয়ার ১৩ দিন আগে, ২০০১ সালে ১২ দিন আগে ও ২০১৪ সালে ২০ দিন আগে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল। সরকারি দলের তফসিল পেছানোর আহ্বান না জানানো, তড়িঘড়ি করে ইসির তফসিল ঘোষণায় আবারও প্রমাণিত হয়, সরকারের মেইন টার্গেট হলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বাইরে রেখে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির আদলে নির্বাচন করা।

আরও পড়ুন :

আরসি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh