সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেছেন কাদের
সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ জানান, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা পৌঁছেছেন ওবায়দুল কাদের।
এর আগে, গত ১১ জুন সকালে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়ে ৯ মার্চ দেশে ফেরেন ওবায়দুল কাদের।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য মানবাধিকার পরিপন্থী: জামায়াত
‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের পা ওপরের দিকে ঝুলিয়ে রেখে সোজা করবে বিজেপি সরকার’ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এমন মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের পা ওপরের দিকে ঝুলিয়ে রেখে সোজা করা হবে’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। আমি তার এ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
‘অমিত শাহের এ ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে না। বাংলাদেশের জনগণ ভারতের কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য প্রত্যাশা করে না।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, এ ধরনের বক্তব্য পরিহার করার জন্য ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আরটিভি/আরএ/এসএ
দেশের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি
রাজনীতির সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে বৈঠকে বসেছে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
এ সভায় সভাপতিত্ব করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এ বৈঠকে।
আরটিভি/এএইচ
ঢাবিতে শিবিরের আত্মপ্রকাশ নিয়ে যা বললেন ছাত্রদল সম্পাদক
দীর্ঘ সময় পর ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে এসেছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চললেও এটিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আত্মপ্রকাশকে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছি এবং তাদের স্বাগত জানাই। তবে একজন একজন করে নয়, সবার পরিচয় প্রকাশ করা উচিত। আমরা লক্ষ্য করেছি প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম ও পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ সামনে আসেন।
তিনি আরও বলেন, গোপন তৎপরতার মাধ্যমে কখনও জনসম্পৃক্ততার রাজনীতি সম্ভব নয়। গোপনে এক দলের নেতা হয়েও প্রকাশ্যে অন্য সংগঠনের পদবি ধারণ করা প্রতারণামূলক আচরণ, যা ছাত্র রাজনীতির সঠিক চর্চা নয়।
সবশেষে ছাত্রদলের এই কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা ছাত্রশিবিরকে গোপন তৎপরতা, আত্মপরিচয়ের সংকট ও অনুপ্রবেশের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে প্রকাশ্যে গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
আরটিভি/আইএম-টি
আ.লীগ ছাড়া সংস্কার ও নির্বাচন অসম্ভব: জয়
আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশে প্রকৃত সংস্কার ও নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জয় বলেন, সেনাপ্রধান কর্তৃক দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচনের যে সময়সীমা পেয়েছি তাতে আমি খুশি। যদিও আওয়ামী লীগ আরও আগে নির্বাচন প্রত্যাশা করেছিল। তবে এ রকম নাটক আমরা আগেও দেখেছি, যেখানে একটি অসাংবিধানিক, অনির্বাচিত সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং তারপরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে গ্রহণযোগ্য সংস্কার বা নির্বাচন করা অসম্ভব জানিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর নির্ভর করছে তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করবে নাকি তাদের মতো করে নির্বাচনের আয়োজন করবে।
শেখ হাসিনার দেশে ফেরার বিষয়ে জয় বলেন, এটা তার (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্ত। এ মুহূর্তে আমি আমার দলের নেতাকর্মীদের নিরাপদে রাখতে চাই।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। পরবর্তীতে তারা রাষ্ট্র সংস্কারের কর্মসূচি হাতে নেয়। তবে নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা দেওয়া হয়নি।
সরকারের উপদেষ্টারা বলছেন, আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিবাদী’ শাসনের ক্ষত সারিয়ে দেশকে সঠিক পথে নিতে আগে সংস্কার জরুরি, তারপর নির্বাচন। এরমধ্যেই গত ২৪ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার যাতে সংস্কার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারে, সেজন্য ইউনূস সরকারকে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেনাপ্রধান।
ওয়াকার-উজ-জামান আরও জানান, সংস্কারের মধ্য দিয়ে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আরটিভি/আরএ/এস
গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: জামায়াত আমির
আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। কারণ, রাজনীতি করতে হবে দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে, বাইরের কারও সাহায্য নিয়ে নয়।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে খুলনার সোনাডাঙ্গাস্থ আল ফারুক সোসাইটিতে আয়োজিত রুকন সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক দলসহ সকল স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে সম্মানের সঙ্গে সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন চৌকস সেনাসদস্য হত্যাসহ দেশের সব হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং এর মাস্টারমাইন্ডদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, তা না হলে আবারও জালিমদের আগমন হতে পারে, তৃতীয় শক্তির উদ্ভব হতে পারে।
রোকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরের অনেক মজলুমের চোখের পানির ফসলই হচ্ছে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান। আওয়ামী লীগের ১৫ বছর আর মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের দুই বছর এই ১৭ বছরের জুলুম-নির্যাতনের পরও জামায়াতে ইসলামী এদেশের মানুষের প্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে শুধুমাত্র আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস আর আস্থার কারণে।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে রোকন সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মো. মোবারক হোসাইন, খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
আরটিভি/আইএম/এসএ
অবিলম্বে তারেক রহমানকে দেশে ফেরার সুযোগ দিতে হবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কোনও রকম তালবাহানা সহ্য করা হবে না। সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তারেক রহমানকে দেশে ফেরার সুযোগ দিতে হবে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার না হলে কখনও নিরপেক্ষ অবস্থা তৈরি হবে না।’
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহ্র স্মরণসভায় গাজীপুরের কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘হাসিনা পালালেও সংকট কাটেনি। মানুষ বিশ্বাস করে, অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখনও বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র করছে। চক্রান্ত করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্নরকম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে আওয়ামী লীগ। সকলকে সজাগ থাকতে হবে। হিন্দুভাইরা এ দেশের নাগরিক। নিশ্চয়তা দিচ্ছি, যেকোনও ঘটনা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করা হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যৌক্তিক সময় মানে অনেক বেশি সময় না। যত দ্রুত নির্বাচন করা যাবে, ততই দেশের মঙ্গল হবে। অতিদ্রুত সংস্কার করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও রাজপথে আন্দোলন করবো।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারকে পরাজিত করার পর দম ফেলার সুযোগ পেয়েছেন। এই সুযোগ একদিনে তৈরি হয়নি। তারা গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। ক্ষমতা ধরে রাখতে প্রশাসন, বিচার, অর্থনৈতিক সবকিছু কুক্ষিগত করেছে। শেখ হাসিনা সরকার ভেবেছিল, সারাজীবন ক্ষমতায় থাকবে। অত্যাচার-নিপীড়ন করে ক্ষমতা ধরে রেখে সম্পদের পাহাড় গড়ার পরিকল্পনা ছিল।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যারা একদিন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছিল, তারাই এখন দুর্নীতির দায়ে কারাগারে যাচ্ছে।’
আরটিভি/এসএপি/এআর
মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করে যা বললেন জামায়াত আমির
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।
ডা. শফিকুর রহমান ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, পতিত স্বৈরাচারের প্রতিহিংসামূলক নিকৃষ্ট মামলায় কলম সৈনিক ও সাহসী কণ্ঠ ড. মাহমুদুর রহমানের ওপর জুলুম করে ন্যায়ভ্রষ্ট বিচারের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়। আশ্চর্য! আদালতকে সম্মান করে আজ তিনি আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর বিচারক তাকে জামিন না দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দিলেন। কোনোভাবেই তা মেনে নিতে পারছি না। নিকৃষ্ট এই মামলায় তাকে নিঃশর্ত খালাস দিয়ে অতি দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক।
তিনি লিখেছেন, মাহমুদুর রহমান স্বৈরশাসনের পুরো সময়জুড়ে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। স্বৈরাচারের হাতে (আদালত প্রাঙ্গণে) রক্তাক্ত হয়েছেন। দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন।
মাহমুদুর রহমানের উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান লেখেন, জাতি আপনার অবদানকে চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। কারণ আপনি একজন বীর।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে আপিল শর্তে জামিন আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী কোনো আদালত যদি এক বছরের বেশি কারাদণ্ড দেন তাহলে তিনি এ মামলায় জামিন দিতে পারেন না। এ আদালত থেকে গত বছরের ১৭ আগস্ট মাহমুদুর রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এক ধারায় পাঁচ বছর আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী এ আদালত এ মামলায় জামিন দিতে পারেন না। আমরা অতিদ্রুত মহানগর দায়রা আদালতে মাহমুদুর রহমানের জামিন আবেদন করবো। আশা করি তিনি জামিন পাবেন।’
আরটিভি/এফএ-টি