• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জনগণের ভোট বর্জন ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে : ১২ দল 

আরটিভি নিউজ

  ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৪
ছবি : সংগৃহীত

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগের একতরফা ডামি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণের এই ভোট বর্জন ইতিহাসের মাইলফলক হয়ে থাকবে।

রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব ও পল্টন এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত হরতাল ও গণকারফিউর সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারা।

নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের এখনই নাকে খত দিয়ে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ, জনগণ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। দেশের মানুষ এ সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। জনগণের এ নীরব ‘ভোট প্রত্যাখ্যান’ জাতির বিজয় এবং ফ্যাসিবাদ সরকারের পরাজয়।

নেতারা আরও বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সেই ভোট ডাকাতির কলঙ্কজনক অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এ সরকার দেশ ও জনগণের জন্য একটি মহাবিপদ ডেকে এনেছে। তাই এ আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় না করা পর্যন্ত জনগণের মুক্তি আসবে না। আমরা শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ একদফার যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাব।

এ সময় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভুল পথে হাঁটতে শুরু করেছে। জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে ভোট দিতে যায়নি। কারণ, এ সরকার ভোট চুরির মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। আমরা এই সরকারের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকব।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, গণদাবি উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনের নামে তামাশা মঞ্চস্থ করছে। এই প্রহসনের নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী তামাশা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা ভোটকেন্দ্রে যায়নি। এর মধ্য দিয়ে তারা এই একতরফা নির্বাচন ও সরকারের প্রতি তাদের অনাস্থা জানিয়েছে। জনগণ হরতাল ও গণকারফিউ স্বতঃস্ফুর্তভাবে পালন করেছে। সরকারের মনে রাখা উচিত, বাংলার মজলুম মানুষেরা ‘পরাজয়’ মানে না। ইনশাআল্লাহ, জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান বলেন, দেশের মানুষ একতরফা নির্বাচনের ভোট বর্জন করে এ সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। জনগণের এই নীরব ভোট প্রত্যাখ্যানে জাতির বিজয় এবং এই সরকারের পরাজয় ঘটেছে।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আমিন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
১৩ বছর পর ভোটগ্রহণ চলছে লক্ষ্মীপুরের ৫ ইউপিতে
উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে কঠোর পদক্ষেপ 
১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুরের ৫ ইউপিতে রোববার ভোট, প্রস্তুতি সম্পন্ন
নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটারদের আস্থা রাখার আহ্বান ইসি রাশেদার
X
Fresh