পোস্টার বেশি দেখানো সম্পর্কে যা বললেন হাজি মিলন
রাজধানীজুড়ে যত্রতত্র পোস্টার লাগিয়ে সৌন্দর্য নষ্ট করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। ইতোমধ্যে দ্রুত পোস্টার অপসারণের নোটিশ দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে নিজ খরচে মেট্রোরেলের স্থাপনা থেকে পোস্টার তুলতে শুরু করেছে তার লোকজন।
তবে ‘পোস্টার মিলন’ হিসেবে পরিচিত এই রাজনীতিকের দাবি, অন্যসব রাজনৈতিক দলের লোকজন প্রতিনিয়ত পোস্টার লাগালেও তারগুলো অনেক ওপরে লাগানো হয়। যে কারণে বেশি সময় ধরে থেকে যায়। অন্যরা নিচে লাগানোর কারণে নতুন নতুন পোস্টারে বাকিদেরটা ঢাকা পড়ে যায়।
বুধবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে পোস্টার সরাতে নোটিশ পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় সাইফুদ্দিন মিলন এসব কথা বলেন।
সাইফুদ্দিন জানান, মেট্রোরেলের স্থাপনায় যে পোস্টারগুলো আছে, বুধবার রাত থেকে আমার লোকজন তা তুলতে শুরু করেছে। সরকারি কোনো স্থাপনায় পোস্টার থাকলেও সেগুলোও তুলে ফেলা হবে।
তিনি বলেন, আমি বছরে মাত্র একবার পোস্টার লাগাই। এ বছর ছয় হাজার পোস্টার লাগিয়েছি। অথচ প্রতিদিন সরকারি দল, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে শুরু করে সব রাজনৈতিক দল লাখ লাখ পোস্টার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনেও লাগায়। সরকার নিষেধ করলে আর পোস্টার লাগাব না।
পোস্টার লাগানোর (নিয়ন্ত্রণ) আইন বিষয়ে জাপা নেতা সাইফুদ্দিন বলেন, পোস্টার লাগানো যদি সরকার নিষেধ করে দেয়, তাহলে কেউ পোস্টার লাগাবে না। আমরাও লাগাব না। শহর নষ্ট হোক কে চায়? সরকার বন্ধ করে দিলে কেউ লাগাবে না। অথচ সরকারি দলের অনেক নেতার প্রতি মাসে নতুন পোস্টার আসে। আর সরকারি স্থাপনা ও মেট্রোরেলে আমার লোকজনকে পোস্টার লাগাতে বারণ করেছিলাম। তারা ভুল করে লাগিয়েছে।
মন্তব্য করুন