এখনই নাসিরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না জাতীয় পার্টি
নায়িকা পরীমণি ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে। তবে এখনই তার কোনো বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না জানিয়েছেন দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘পরীমনি তার ফেসবুক পোস্টে কারও নাম উল্লেখ না করায় এখনই কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না।’
আরও পড়ুন...পরীমণি মদের জন্য উত্তেজিত হয়ে গ্লাস ছুড়ে মারেন: নাসির
রোববার (১৩ জুন) রাতের পরীর ফেসবুক পোস্ট ছিল অনেকটাই চমকে দেয়ার মতো। তিনি ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনলেও কারও নাম উল্লেখ করেননি।
কিন্তু গণমাধ্যমের সামনে সেই ব্যক্তি নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলে দাবি করেন। বুধবার রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে একটি কাজের আলোচনায় গিয়ে পরিচয়। তার সঙ্গীকে মারধর করে তাকে জোর করে মদ ও নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়। পরে সেখান থেকে তিনি কীভাবে এসেছেন, সেটি মনে নেই। একপর্যায়ে নিজেকে আবিষ্কার করেন তার গাড়িতে।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসির ইউ মাহমুদ বা নাসির উদ্দিন মাহমুদ। তিনি কুঞ্জ ডেভেলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান। উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া লায়ন ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের ডিসট্রিক্ট চেয়ারম্যান ছিলেন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, পুলিশের তদন্তে দলের কারও নাম বেরিয়ে এলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
-
আরও পড়ুন... পরীমণি ইস্যুতে নতুন তথ্য দিলেন জায়েদ খান
জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, নাম উল্লেখ করুক, পুলিশ তদন্ত করবে তারপর বেরিয়ে আসুক। যদি নাম আসে তখন আমরা আমাদের ব্যবস্থা নেবো।
এদিকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের আগে ব্যবসায়ী নাসির বলেছেন, আমাদের কাছে দামি মদ না পেয়ে সে (পরীমণি) উত্তেজিত হয়ে যায়, আমার ওপর চড়াও হয় এবং বারের মধ্যেই একটার পর একটা কাঁচের গ্লাস ভাঙচুর করে। ওই সময়ে আমাকে সে গালিগালাজ করে। তখন আমাদের স্টাফরা তাকে থামানো চেষ্টা করে।
একপর্যায়ে পরীমণির সঙ্গে থাকা ছেলেটা আমাকে চড়-থাপ্পর দেয়। এরমধ্যে পরীমণি আমার দিকে গ্লাস ছুঁড়ে মারলে তা আমার ঘাড়ে এসে লাগে। এমন পরিস্থিতিতে আমি সিকিউরিটিদের নির্দেশ দেই- তাকে সরিয়ে নিতে। তখন সিকিউরিটিরা তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তখন পরীমণি অতিরিক্ত মদ্যপ অবস্থায় ছিলো, যে কারণে সে ঠিকমতো গাড়িতে উঠতে পারছিলো না। এ ঘটনার রেকর্ডও আমাদের সিসি ক্যামেরায় সংরক্ষিত আছে।
এম
মন্তব্য করুন