সংবাদ প্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে আরটিভি
আরটিভি বেঙ্গল মিডিয়া করপোরেশন লিমিটেড’র একটি স্যাটেলাইট ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল। অনুষ্ঠানমালার জন্য দেশজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে চ্যানেলটির। অনুষ্ঠানমালার বাইরে সংবাদের জন্যও বেশ জনপ্রিয় আরটিভি চ্যানেল।
তথ্য-নির্ভর সংবাদ পাঠিয়ে সংবাদ প্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে আরটিভি। আপনার এলাকায় ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার ছবি বা ভিডিও ধারণ করে বিস্তারিত তথ্যসহ পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায়। আপনার পাঠানো সংবাদের সত্যতা যাচাই করে আপনার নাম সংযুক্ত করে তা প্রচার করা হবে।
আপনি যে ধরনের সংবাদ পাঠাতে পারেন :
- ১. সমাজের ঘটে চলা নানা অসঙ্গতি, অনিয়ম, অন্যায়-অত্যাচারের দৃশ্য।
- ২. আপনার এলাকার ঐতিহাসিক বা বিখ্যাত কোনো স্থাপনা, প্রাকৃতিক দৃশ্য।
- ৩. যেকোনো ধরনের প্রতিভা বা কারো সাফল্য।
- ৪. মানুষের আগ্রহ আছে এমন ভিন্নধর্মী বা চাঞ্চল্যকর কোনো কিছু।
আর দেরি না করে শুরু হোক আরটিভি’র সাথে আপনার পথচলা।
ইমেইল : mobilejournalism@rtvbd.tv
আপনার পাঠানো তথ্য, ছবি বা ভিডিও’র সঙ্গে অবশ্যই আপনার নাম, ঠিকানা, পেশা ও মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করতে হবে।
এসআর/
মন্তব্য করুন
ব্রডকাস্ট ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম নারী হেড অব প্রোডাকশন
সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ও কুসংস্কারকে তুচ্ছ করে সকল বাধা-বিপত্তি পেছনে ফেলে নিজ নিজ যোগ্যতাবলে এগিয়ে যাচ্ছেন নারীরা। এখন ঘর থেকে বেরিয়ে তারা কর্মক্ষেত্রের উচ্চ আসনে। সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্রেই নারীদের অংশীদারিত্ব রয়েছে। অবদান রাখছেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের নারীদের বেশ কয়েকটি তাক লাগানো সাফল্য সবার দৃষ্টি কেড়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে হেড অব প্রোডাকশন পদে নায়লা পারভীন পিয়ার পদোন্নতি। বাংলাদেশে তিনি প্রথম নারী যিনি টেলিভিশন ব্রডকাস্ট ইন্ডাস্ট্রিতে হেড অব প্রোডাকশনের দায়িত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন। চলতি বছরের মার্চের ৩১ তারিখ থেকে তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে নায়লা পিয়া বলেন, যোগ্যতা থাকলে যে একজন নারীকে দায়িত্বশীল পদের দায়িত্ব দেওয়া যায়, ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন তা প্রমাণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, নিউ মিডিয়ার যুগে টেলিভিশনের মান এবং দর্শক গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখার জন্য নতুন নতুন সৃজনশীল কাজ বাড়াতে হবে। ডিজিটাল এবং টেলিভিশনের দর্শককে আমরা একভাবে দেখি। কিন্তু এ ২ মাধ্যমের দর্শক এবং চাহিদা ভিন্ন। তাই টেলিভিশন এবং ডিজিটালের দর্শকের চাহিদা অনুসারে প্রোডাকশন তৈরি করা এবং তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কাজ করতে চাই। সেই সঙ্গে জেন্ডার সমতা নিয়ে কাজ করতে চাই।
নায়লা পিয়া এর আগে যমুনা টিভি এবং একুশে টিভিতে কাজ করেছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে ১৮ বছর ধরে তিনি এই টেলিভিশন ব্রডকাস্ট অঙ্গনে কাজ করছেন।
নায়লা পিয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফোকলোর বিভাগে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ‘সমকাল নাট্যচক্র’ তে কাজ করতেন। তিনি ‘শকুন্তলা’, ‘কবি’, ‘বসন্ত’সহ বেশ কিছু মঞ্চ নাটকে প্রধান চরিত্রতে অভিনয় করেন। তিনি ২০০৫ সালে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় অভিনয়ে গোল্ড মেডেল পেয়েছেন।
ঈদে ৬ দিনের ছুটি পেতে পারে সংবাদপত্র, নোয়াবের ঘোষণা শনিবার
সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরে টানা ৬ দিনের ছুটি পেতে পারেন। এ বিষয়ে নোয়াবের চূড়ান্ত ঘোষণা হবে শনিবার (৬ এপ্রিল)। ৯ তারিখ থেকে ১৪ এপ্রিল টানা ৬ দিন ছুটি পেতে পারেন সংবাদকর্মীরা।
প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতিবছর ২৯ রমজান থেকে ঈদে তিন দিনের ছুটি ভোগ করেন সংবাদকর্মীরা। রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে এই ছুটি চার দিনে পরিণত হয়। সে হিসাবে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি হওয়ার কথা।
কিন্তু এবার ঈদের ছুটির এক দিন পর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় বড় ছুটি পেতে যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম। এ জন্য ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।
জানা যায়, ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার বিষয়ে নোয়াবের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। তাছাড়া এদিন পত্রিকা প্রকাশ হলেও সংবাদপত্র বিপণন সংস্থা সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমুখী সমিতি তা বিপণনে অপারগতা জানিয়েছে। অন্যদিকে ঈদের ছুটির এক দিন পরই পহেলা বৈশাখের ছুটি থাকায় সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নও (ডিইউজে) নোয়াবের কাছে ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে।
তবে এবার ঈদের ছুটি ৬ দিন হলে এটি অনন্য রেকর্ড হবে। কারণ স্বাধীনতার পর আর কখনো সংবাদমাধ্যম টানা ৬ দিন বন্ধ থাকেনি।
এ বিষয়ে নোয়াবের কোষাধ্যক্ষ মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, এবার ঈদের ছুটির মাঝে এক দিনের ব্যবধানে যেহেতু পহেলা বৈশাখ পড়েছে, তাই মাঝের এক দিন বিশেষ ছুটি দেওয়া যায় কি না– তা নিয়ে নোয়াবে আলোচনা হচ্ছে। শনিবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
সংবাদপত্র বন্ধ থাকবে ৯-১৪ এপ্রিল
আসন্ন ঈদুল ফিতরে সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৬ দিনের ছুটি পেলেন। আগামী ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটি ঘোষণা করেছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি।
শনিবার (৬ এপ্রিল) নোয়াবের বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রতিবছর ২৯ রমজান থেকে ঈদে তিন দিনের ছুটি ভোগ করেন সংবাদকর্মীরা। রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে এই ছুটি চার দিনে পরিণত হয়। সে হিসাবে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছুটি হওয়ার কথা। কিন্তু এবার ঈদের ছুটির এক দিন পর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় সরকার নির্ধারিত ছুটির ফাঁদে পড়ল সংবাদমাধ্যম। আর ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নোয়াব।
এবারই প্রথম টানা ছয় দিনের ছুটি পাওয়া সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, সংবাদপত্রে এক সময় কোনো ছুটি ছিল না। ঈদের দিনও পত্রিকা প্রকাশ হতো। স্বাধীনতার পর সত্তরের দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের উদ্যাগে সংবাদপত্রে ছুটির প্রচলন শুরু হয়। তবে রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় গণমাধ্যমে এখনও ছুটি অনেক কম।
সাংবাদিক ইমনের ওপর হামলায় বিজেসি’র নিন্দা
একাত্তর টিভির সাংবাদিক ইসতিয়াক ইমন ও ক্যামেরাপারসন খোরশেদ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)।
বুধবার (১০ এপ্রিল) সংগঠনটির নির্বাহী (দপ্তর) পারভেজ রেজা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার রেল ক্রসিং এলাকায় বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর টিভির দুটি গাড়িতে হামলার পর ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন সাংবাদিক ইসতিয়াক ইমন ও ক্যামেরাপারসন খোরশেদ আলম। আরও আহত হন গাড়ির দুজন চালক। তাদেরকে লক্ষ্য করে ইট-পাথরও নিক্ষেপ করে সংঘবদ্ধভাবে ছিনতাইকারীরা। ছিনিয়ে নেয় টাকা, মানিব্যাগ ও পরিবারের জন্য কেনা ঈদের নতুন পোশাক। একপর্যায়ে ক্যামেরাম্যান খোরশেদ আলমকে জিম্মি করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে। এ সময় উপর্যুপরি কিল-ঘুসি মেরে তাকে জখম করা হয়। দুঃখজনক হলো ঘটনাস্থল উল্লেখ করে ঘটনার বিবরণ দিয়ে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও তিন থানার কেউই কোনো দায় নিতে চায়নি।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জাচ্ছে বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক এবং সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ। একইসঙ্গে থানার সীমা নিয়ে গড়িমসি না করে দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার আহ্বান জানান তারা।
‘ভাইরাল হওয়াই এখন মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে’
বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন মনে করেন বাংলাদেশে এখন ভাইরাল হওয়া সবচেয়ে বড় বিপণন কৌশল হয়ে উঠেছে৷ এক্ষেত্রে ন্যায়-অন্যায় নিয়ে মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বলে মনে করেন শিল্পী আফজাল হোসেন৷
গণমাধ্যমের সম্প্রসারণ, নতুন পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয় শিল্পীদের উত্থানে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে বেশি কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে৷ টেলিভিশন, থিয়েটারের বাইরেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্তার লাভ করেছে দর্শকদের সঙ্গে শিল্পীদের যোগাযোগ৷ রুপালি পর্দার বাইরেও তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনুসারীরা৷ তবে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে দুই ধরনের মনোভাবই রয়েছে৷
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেন, আমার কাছে মনে হয় পরিবর্তন মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারটা আমাদের থাকা উচিত৷
এক টকশো-তে বিনোদনের একাল ও সেকাল, বিনোদনের মান নিয়ে আলোচনায় অতিথি ছিলেন শিল্পী ও নির্মাতা আফজাল হোসেন এবং অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন৷
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলোয়ার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাঁধন বলেন, আমার ফলোয়ার্স অনেক আছে কিন্তু কতজন আমাকে পছন্দ করে বা আমার ভক্ত সেই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই৷ বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেটা ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুক যা হোক৷ যারা আমাকে আমার কাজের জন্য পছন্দ করে তারা আমি যেমন, যে কাজ করছি সেগুলো দেখেই আমাকে পছন্দ করেন৷ তারা যে সবাই আমার ফলোয়ার্সের মধ্যে আছে বা সবাই আমাকে ফলো করছে সবসময় এমন নয়৷ আমি এই পার্থক্যটা দেখেছি৷
দর্শক নির্বাচন ও সে অনুযায়ী কনটেন্ট নির্মাণের প্রসঙ্গে আফজাল হোসেন বলেন, আমরা একটা পজিটিভ সময়ে কাজ করতে পেরেছি৷ কাজ করার আগে যদি ভাবতে হতো, আমাদের অনেক বড় জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে হবে, তাহলে অনেকগুলো ভালো কাজ হতো না৷
গণমাধ্যম, নির্মাতাদের দর্শক ধরার প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন অনেক টেলিভিশন এলো, তখন আর অনুষ্ঠান থাকলো না৷ অনুষ্ঠান দর্শককে খাওয়ানোর বিষয় তৈরি হলো৷ আজমেরী হক বাঁধনের অভিনীত সিনেমা রেহানা মারিয়াম নূর প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে কান উৎসবে মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলো৷ তবে ছবিটি ব্যবসা সফল কিনা সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে বাঁধন বলেন, সুপার ডুপার হিট বলতে যা বুঝায় তা অবশ্যই ছিল না৷
একটি মোবাইক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া বিপণন কৌশল নিয়ে প্রশ্ন ছিল দুই অতিথির কাছে৷ এ বিষয়ে বাঁধন বলেন, আমাদের মুখ্য বিষয় হচ্ছে ভাইরাল হতে হবে৷ এত কনটেন্ট এত বিজ্ঞাপন, এত খবর, এত কিছু পৃথিবীতে ঘটে যাচ্ছে এখন এটা একটা মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি আমরা কীভাবে ভাইরাল করবো একটা কিছু৷ মানুষ চিন্তা করছে তার কাজটা কয়জন দেখছে, কয়টা ক্লিক হচ্ছে, ভিউ হচ্ছে এটার জন্য তারা অস্থির হয়ে যাচ্ছে৷
আফজাল হোসেন মনে করেন, শুধু বিজ্ঞাপন নয় যে যেখানে আছে সেই অবস্থায় যা খুশি তা করতে পারে৷ এক্ষেত্রে প্রশ্ন করার মানুষ নাই৷ যদি প্রশ্ন কেউ করে থাকে, করে ফেলে তাহলে আক্রমণ করার মানুষেরও অভাব হয় না৷
বলেন, কোনটি ন্যায় কোনটি অন্যায় সেটাও আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না৷ তবে ভাইরাল হওয়া দোষের কিছু নয় এমনটা মনে করেন তিনি৷ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, জনপ্রিয় করে তোলার মাধ্যমে ভাবনায় যদি একটা বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব হয় এর মতো অসাধারণ সৃজনশীলতা আর হতে পারে না৷ যখন মানুষ ঐ অসাধারণত্ত্বকে স্পর্শ করতে পারে না তখন খুব সাধারণ বিষয় নিয়ে এসে মানুষ হৈ চৈ ফেলে দেয় এবং এটাকে আমরা ভাইরাল বলি৷ এটা আসলে সাফল্য নয়৷ বরং এই বিষয়গুলো মানুষকে দিনে দিনে নিম্নগামী করে৷
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনিবন্ধিত অনলাইন!
দেশে অনলাইন নিবন্ধন শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগ থেকেই। তবে যেসব অনলাইন নিবন্ধনভুক্ত নয় তাদের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে এখন থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা (সাংবাদিক) বলছেন নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকার নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং আপনারাই বলছেন কিছুটা দরকার ডিসিপ্লিনের (শৃঙ্খলা) জন্য। স্বাধীনতা এমন পর্যায়ে চলে গেছে, যেটা লিমিটলেস (সীমাহীন)। যে কারণে কিছুটা ডিসিপ্লিনের অভাবও হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওনাব) কার্যনির্বাহী সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বাইরেও অনেকে অনলাইন সংবাদমাধ্যম পরিচালনা করছেন। এখানে গণমাধ্যম এতোটাই মুক্ত, উন্মুক্ত এবং স্বাধীন যে, নিবন্ধন ছাড়াও চলতে পারে এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কথা পেশাগত সাংবাদিকরাই বলছেন, এটা করা দরকার। কিন্তু আমরা এগুলো করি না। যেটা প্রমাণ করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। এটা মুক্ত না, উন্মুক্ত।
তিনি বলেন, একটা ডিসিপ্লিন আনা দরকার। যেহেতু নিবন্ধনের একটা প্রক্রিয়া আছে, সেটাকে কার্যকর করা দরকার। যারা নিবন্ধিত, তাদের কিছুটা প্রণোদনা ও সহায়তা দেওয়ার দরকার আছে, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে প্রমোট (এগিয়ে) করার জন্য।
তিনি বলেন, অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলোর মাধ্যমে অনেক চটকদার, অসত্য, মানহানিকর ও ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন হয়। এটা একটা ভালো দিক— সাংবাদিক মহলই চাচ্ছেন একটি শৃঙ্খল ডিসিপ্লিনযুক্ত সাংবাদিকতার বিকাশ। এখানে পূর্ণাঙ্গভাবে আপনাদের সাথে একমত।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, তবে একইসাথে আমি মনে করি, নিয়ন্ত্রণ কিংবা নজরদারির প্রশ্ন আসে না। আমরা এগুলোর পক্ষে না, আমরা করতে চাই না। আমরা এগুলোতে বিশ্বাস করি না। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। আমাদের এখন ৪২৬টি নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল আছে। এরমধ্যে ২১৩টির মূলধারার গণমাধ্যমে আছে—ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া। আর ২১৩টি কেবল অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আরও কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।
তিনি জানান, নতুন কেউ অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিয়ে আসতে চাইলে তাদের নিজেদের প্রমাণ করার সময় দেওয়া দরকার। আর যারা অনিবন্ধিত, আমি মনে করি, অবৈধভাবে কোনো কিছু সঠিক না, তারা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে না। সেগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবো। আর এটা আপনাদের (সাংবাদিক) দাবি। আমি কিন্তু বলছি না। কাজেই আমি সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের দাবি পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমি চাই না, সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি ঘোষণা দিলাম যে, অনিবন্ধিত অনলাইন বন্ধ করে দেবো, কালকে হেডলাইন করে পরের দিন আলাপ হবে, সরকার তো গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরছে। সেটা আমি চাই না। সাংবাদিকরাই এমনটা বলছেন।
বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আইনি নোটিশ
বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থীভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তিও বাতিল করেছে ওয়ালটন। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার, (১৬ এপ্রিল) বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ৬টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অন্তর্ভুক্ত হবে না।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।
নোটিশে আরো বলা হয়েছে, ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সাথে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থীভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।
এর আগে, ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
এরপরই বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটন জানিয়েছে দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ওয়ালটন।