রূপগঞ্জের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে র্যাব
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুডস্ এন্ড বেভারেজ কোম্পানির সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে র্যাব। ওই অগ্নি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সাথে ঈদ-উল-আযহা’র আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য র্যাব মহাপরিচালক (দ্বিজই) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকাল ৩টায় রূপগঞ্জের ভূলতা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করেন। এই মানবিক কার্যক্রমে ৫০০ শতাধিক হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে সহায়তা প্রদান করা হয়।
সহায়তা প্রদান শেষে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘আমি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করার পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রমে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে এডিট ফোর্স র্যাব। নিয়মিত আভিযানিক কাজের পাশাপাশি এই ধরনের দায়িত্ব সর্বদা পালন করে আসছে বাহিনীটির। ঘটনার সঠিক কারণ উদঘাটনে সরকারি ৩টি সংস্থা জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘চলমান করোনা মহামারীতে র্যাব বিভিন্ন সময়ে সারাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে। দুস্থ ও নিপীড়িত মানুষের পাশে এবং দেশের যেকোনো আপদকালীন মুহূর্তে র্যাব ফোর্সেস সর্বদা মানুষের পাশে থেকে সব ধরণের সহায়তা প্রদান করে আসছে। র্যাব মানবিক বিপর্যয় রোধে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চায়। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে আজকে আমরা হতাহত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য উপস্থিত হয়েছি।’
র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। যাদের ঘামে, শ্রমে আমাদের এই উন্নতি তাদের প্রতি আমাদের আরও যত্নবান হতে হবে সংশ্লিষ্ট সকলে যার যার জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে। পরিশেষে সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।’
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুডস্ এন্ড বেভারেজ কোম্পানির সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় কারখানাটির ৫২ জন কর্মী নিহত হয়েছিলেন।
কেএফ
মন্তব্য করুন