নারায়ণগঞ্জের ডিসি, এসপি, সিভিল সার্জন হোম কোয়ারেন্টিনে
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ জেলার ঊর্ধ্বতন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা কোয়ারেন্টিনে আছেন। নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম।
জানা গেছে বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম কোয়ারেন্টিনে আছেন। তবে তারা কোয়ারেন্টিনে থাকলেও বাসা থেকে বসেই টেলিফোনে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন সহকর্মীদের। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাও বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। এদিকে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজও কোয়ারেন্টিনে আছেন।
প্রশাসক জসিম উদ্দিনের মুঠোফোনে কল দিলে তা রিসিভ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক বাড়িতে আছেন। জনসমাগম যাতে কম হয় এ কারণে অফিসে কম সময় দেওয়া হচ্ছে। তবে আমাদের সব কাজ চলছে। করোনার নমুনা পরীক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তিনি (ডিসি) কাশিসহ অসুস্থ অনুভব করেছিলেন। এ কারণে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে তিনি এখন সুস্থ আছেন। চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, আমি আসলে কোয়ারেন্টিনে আছি। বাসায় বসে অফিস করছি। টেলিফোনে নির্দেশ দিচ্ছি।
এসজে
মন্তব্য করুন